২০২১ সালের কনফারেন্স অফ পার্টিস ২৬ (কপ২৬) বিশ্বব্যাপী গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে দেশগুলিকে তাদের জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা ও তার সঙ্গে সম্পর্কিত রাষ্ট্রনির্ধারিত অবদান (এনডিসি) বাড়াতে উদ্বুদ্ধ করেছে। যাই হোক, নতুন করে নির্ধারিত এনডিসি এবং ২০৩০ সালের জন্য ঘোষিত অঙ্গীকারগুলি অপ্রতুল, এবং আদৌ প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যগুলির সঠিক অনুসারী নয়। ২০৩০ সালে নির্গমনের অনুমিত হ্রাস ৭.৫ শতাংশ, যা উষ্ণায়ন ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ৩০ শতাংশের চেয়ে অনেক কম। উল্লেখ্য, ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে থাকার জন্য আদর্শ ছিল ৫৫ শতাংশ। অনেক বিশ্লেষক মন্তব্য করেছিলেন যে কোভিড–১৯ অতিমারিটি সবুজ অ্যাজেন্ডার সঙ্গে পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে সমন্বিত করার এবং ডিকার্বনাইজেশন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার একটি অনন্য সুযোগ ছিল। কিন্তু কোভিডের কারণে ২০২০ সালে নির্গমন হ্রাসের প্রভাব ক্ষণস্থায়ী ছিল। আসন্ন জলবায়ু সংকটের জরুরি প্রয়োজন ও মাত্রা কিন্তু দাবি করে সবুজ রূপান্তর বাধ্যতামূলক করার জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী হতে হবে এবং সহযোগিতা বাড়াতে হবে। এই আলোচনায় অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক জলবায়ু নীতি স্থাপত্যে একটি কার্যকর উপকরণ হিসাবে কার্বন মূল্য নির্ধারণের ভূমিকা অন্বেষণ করা হয়েছে।
আরোপণ: মন্নত জসপাল, “টু প্রাইস অর নট টু প্রাইস? মেকিং আ কেস ফর আ কার্বন প্রাইসিং মেকানিজম ফর ইন্ডিয়া,” ও আর এফ অকেশনাল পেপার নং ৩৬৮, সেপ্টেম্বর ২০২২, অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন