Expert Speak Raisina Debates
Published on Mar 18, 2022 Updated 5 Days ago

বিভিন্ন অবস্থান নেওয়া সত্ত্বেও, ইউক্রেন সঙ্কটের প্রেক্ষিতে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলির প্রতিক্রিয়া প্রাথমিক ভাবে তাদের জাতীয় স্বার্থ দ্বারা প্রভাবিত।

ইউক্রেন সঙ্কটের পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিক্রিয়া

Source Image: Anatoly Gray — Flickr/CC BY-NC 2.0

ইউক্রেন সঙ্কটের পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিক্রিয়া

এই নিবন্ধটি ‘ইউক্রেন সঙ্কট: সংঘর্ষের কারণ এবং গতিপথ’ সিরিজের অন্তর্গত।


এক দিকে যখন রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করছে, তখন দক্ষিণ এশিয়া এই সঙ্কটের প্রেক্ষিতে স্বতন্ত্র ভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ভারত এবং পাকিস্তানের বাস্তব রাজনীতি নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা হলেও দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলির প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে যথেষ্ট বিশ্লেষণ করা হয়নি। রুশ আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করা বা প্রতিবাদ জানানো… সবটাই মূলত এই রাষ্ট্রগুলির ব্যক্তিগত স্বার্থ দ্বারা পরিচালিত। ২০২২ সালের ২ মার্চ রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদে (ইউ এন জি এ) মতদানের ঘটনা এই বিভাজনকে আরও স্পষ্ট ভাবে ব্যাখ্যা করে (সারণি ১ দেখুন)। যদিও এ হেন প্রতিক্রিয়ার প্রকৃতি কৌশলগত এবং রাশিয়ার আক্রমণ থেকে উদ্ভূত নতুন পদ্ধতিগত ও কৌশলগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশগুলিকে চালনা করার কাজে অক্ষম।

সারণি ১: দক্ষিণ এশিয়ার নীতিসমূহ এবং ইউ এন জি এ-তে মতদান 

দেশ নীতি ইউ এন জি এ ভোট
আফগানিস্তান নিরপেক্ষ (ইসলামিক আমিরশাহি দ্বারা) পক্ষে (ইসলামিক রিপাবলিক দ্বারা উপস্থাপিত)
বাংলাদেশ অঘোষিত ভাবে নিরপেক্ষ মতদানে বিরত
ভুটান রাশিয়ার সমালোচনাকারী পক্ষে
নেপাল রাশিয়ার সমালোচনাকারী পক্ষে
মলদ্বীপ নিরপেক্ষ, পরবর্তী কালে রাশিয়ার সমালোচনাকারী পক্ষে
শ্রীলঙ্কা নিরপেক্ষ মতদানে বিরত

সূত্র: প্রতিবেদকের নিজস্ব, ওয়াশিংটন পোস্ট

নিরপেক্ষতা অবলম্বন

আফগানিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা এই সংঘাতে কোনও পক্ষ অবলম্বন করতে অস্বীকার করেছে এবং নিজেদের সরকারি বিবৃতিতে নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করেছে। আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরশাহি রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয় পক্ষকেই শান্তিপূর্ণ ভাবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে বলেছে। শ্রীলঙ্কা সংশ্লিষ্ট দুই পক্ষকেই কূটনীতি ও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছে

তালিবানের শান্তি ও নিরপেক্ষতার বিবৃতি তাদের আন্তর্জাতিক বৈধতা এবং সাহায্য চাওয়ার বৃহত্তর প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত। অনুমান করা হচ্ছে যে, ইউক্রেনের সঙ্কটের ফলে গোটা বিশ্বের নজর সরে যাবে আফগানিস্তানের উপর থেকে এবং তা আফগানিস্তানের জন্য ত্রাণ ও মানবিক সহায়তার কাজে প্রয়োজনীয় তহবিলের উপরে প্রভাব ফেলবে। নিরপেক্ষতা অবলম্বনই তাই সে দেশের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট পথ এবং তারা উৎস নির্বিশেষে আন্তর্জাতিক সাহায্য এবং স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য মরিয়া। দেশটির ভূ-রাজনীতিতে অস্থিতিশীলতা এবং বৃহৎ শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা মাথায় রেখে তালিবান তাদের বর্বরতা এবং শত্রুতা বজায় রাখার ব্যাপারে অনিশ্চয়তায় ভুগছে। শেষমেশ তালিবানও সারা বিশ্বের কাছে তাদের একটি সংশোধিত ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে। শান্তি বজায় রাখার জন্য তাদের আহ্বান এবং পূর্ববর্তী সরকারের অধীনে কর্মরত আফগানদের ইউক্রেন থেকে উদ্ধারের চেষ্টা গোষ্ঠীটির নিজেকে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং শান্তি প্রচারকারী হিসেবে উপস্থাপিত করার একটি প্রচেষ্টা মাত্র

ইউক্রেনের অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং রাশিয়ার উপর জারি করা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মতো যুদ্ধকালীন বাস্তবতা শ্রীলঙ্কাকে গভীর ভাবে প্রভাবিত করবে।

একই ভাবে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সঙ্কটও তার নিরপেক্ষতার সিদ্ধান্তকে রূপ দিয়েছে। শ্রীলঙ্কা গুরুতর বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্কট এবং ঋণ সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছে। এবং স্পষ্টতই প্রতিটি ডলারের বহিঃপ্রবাহ এবং অন্তঃপ্রবাহ দ্বীপরাষ্ট্রটির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ফলে তাদের পক্ষে পশ্চিমি দেশগুলিকে বা সংঘাতের সঙ্গে জড়িত পক্ষগুলির রোষে না পড়ার চেষ্টা সহজেই বোধগম্য। এ ক্ষেত্রে রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়েই দেশটির জন্য বৈদেশিক মুদ্রার গুরুত্বপূর্ণ উৎস। শ্রীলঙ্কায় আগত মোট পর্যটকের এক চতুর্থাংশই এই দুই দেশের নাগরিক। এ ছাড়া রাশিয়াও শ্রীলঙ্কা থেকে শীর্ষ চা আমদানিকারকদের মধ্যে অন্যতম। এবং এই রফতানির ফলে শ্রীলঙ্কা ২০২০ সালে ১৪ কোটি ৩০ লক্ষ মার্কিন ডলার রাজস্ব অর্জন করেছে। ইউক্রেনের অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং রাশিয়ার উপর জারি করা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মতো যুদ্ধকালীন বাস্তবতা শ্রীলঙ্কাকে গভীর ভাবে প্রভাবিত করবে। এর পাশাপাশি জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি, বকেয়া অর্থ প্রদানে বিলম্বের সম্ভাবনা এবং রুশ আমদানিকারীদের দ্বারা ভবিষ্যতে দ্রব্য ক্রয়ের মন্থরতা শ্রীলঙ্কাকে নিরপেক্ষ অবস্থান অবলম্বন করতে এবং শান্তির অনুরোধ করতে বাধ্য করেছে। 

অঘোষিত নিরপেক্ষতা

অন্য দিকে বাংলাদেশ এক অঘোষিত নিরপেক্ষতার নীতি গ্রহণ করেছে। তারা উভয় পক্ষকেই আলাপ-আলোচনা এবং কূটনীতির পথে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে। এই অবস্থান সম্ভবত তার জাতীয় স্বার্থ এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদে রাশিয়ার নিয়ম লঙ্ঘনের অস্বস্তির মধ্যে একটি আপস বলে মনে করা যেতে পারে।

রাশিয়া বাংলাদেশের উন্নয়নের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশকে তার লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রির (এল ডি সি) অবস্থা থেকে উন্নতি সাধনে এবং দেশটির অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও জ্বালানি নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ২০২০ সালেই দুই দেশের পারস্পরিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৪০ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ এ মাসে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন ইউরেশীয় অর্থনৈতিক ইউনিয়নের সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য মেমোরেন্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং (মউ) স্বাক্ষর করবে বলেও আশা করা হয়েছিল। এ ছাড়াও রাশিয়া বাংলাদেশকে তার জ্বালানির সুরক্ষা বজায় রাখার কাজে সাহায্য চালিয়ে গেছে। রাশিয়ার মালিকানাধীন গ্যাজপ্রম বাংলাদেশি গ্যাসক্ষেত্রে কূপ খননের জন্য একাধিক চুক্তি অব্যাহত রেখেছে। রাশিয়া প্রযুক্তিগত ভাবে এবং বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ৯০ শতাংশের বেশি আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে। এই পারমাণবিক কেন্দ্রের প্রথম এবং দ্বিতীয় ইউনিট যথাক্রমে ২০২২ এবং ২০২৩ সালে উৎপাদন শুরু করবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়া বাংলাদেশের সামরিক হার্ডওয়্যার, বস্ত্র এবং সার শিল্পে উল্লেখযোগ্য ভাবে বিনিয়োগ করেছে। সম্ভবত রাশিয়ার উপর এই নির্ভরতাই বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়াকে আকার দিয়েছে।

রুলস বেসড অর্ডার বা নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থার উপরে বাজি ধরা

বর্তমান সঙ্কটের ক্ষেত্রে নেপাল, ভুটান এবং মলদ্বীপ ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে। আক্রমণ শুরুর পর থেকেই নেপাল রাশিয়ার কার্যকলাপের কঠোর সমালোচনা করে আসছে। তারা আলাপ-আলোচনার উপরে জোর দিয়েছে এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদ লঙ্ঘন করা ও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগের জন্য রাশিয়ার তীব্র নিন্দা করেছে। ভুটান জানিয়েছে যে, তারা যুদ্ধের প্রভাবগুলি পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করবে এবং কোনও ভুটানি যেন ইউক্রেনে না আটকে থাকে, সে বিষয়ও নিশ্চিত করবে। যদিও সে প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে ভাল সম্পর্ক দর্শিয়ে ইউ এন জি এ-তে তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে এবং ভুটান ও অন্যান্য ছোট দেশের জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদের মূল্যবোধ ও আদর্শ বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার উপরে জোর দিয়েছে৷ মলদ্বীপের তরফেও এই সঙ্কটের প্রেক্ষিতে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী কেবল মাত্র উভয় পক্ষকে শান্তি ও রাজনৈতিক সমাধানের পথ অবলম্বন করার অনুরোধ করেছেন। ইউ এন জি এ-তে মলদ্বীপের সাম্প্রতিক মতদান তার অবস্থান পরিবর্তনের দিকে ইঙ্গিত করছে।

রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক সীমিত। তবে ইউক্রেনের বিপরীতে হেঁটে রাশিয়া নেপালের দিকে হেলিকপ্টার প্রদান, অর্থনৈতিক বিনিয়োগ এবং মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। রাশিয়া ও নেপালের বাণিজ্য ২০১৯ সালে ১ কোটি ২ লক্ষ মার্কিন ডলারের মাত্রা ছুঁয়েছে এবং ওই একই বছরে ১০,৪০০ এরও বেশি রুশ পর্যটক নেপালে ভ্রমণে গিয়েছিলেন। রাশিয়ার সঙ্গে এই সীমিত সম্পর্ক ইউক্রেনের সঙ্গে নেপালের আদানপ্রদানকে ছাপিয়ে গিয়েছে। একই রকম ভাবে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার সঙ্গে ভুটানের সম্পর্কও সীমিত।

নেপাল ভারত ও চিনের বিরুদ্ধে সীমান্ত লঙ্ঘন এবং অধিগ্রহণের অভিযোগ এনেছে এবং ভুটান আগ্রাসী এবং ধীর লয়ে চিনের অধিগ্রহণের জন্য এখনও তাদের সীমান্ত নির্ধারণ করতে পারেনি।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে তাদের প্রতিক্রিয়া এ ভাবে আপাতদৃষ্টিতে তাদের ভৌগোলিক অবস্থান এবং উদ্বেগের ফসল। ভারত ও চিনের মধ্যে অবস্থিত এই দেশগুলি বুঝতে পারছে যে, তারা ক্ষমতার প্রতিযোগিতার কেন্দ্রে রয়েছে। তিব্বতে চিনা আগ্রাসন এবং ভারতের সিকিম অধিগ্রহণ হিমালয়ের কোলের এই দেশগুলির দুশ্চিন্তা বজায় রেখেছে। নেপাল ভারত  চিনের বিরুদ্ধে সীমান্ত লঙ্ঘন এবং অধিগ্রহণের অভিযোগ এনেছে এবং ভুটান আগ্রাসী এবং ধীর লয়ে চিনের অধিগ্রহণের জন্য এখনও তাদের সীমান্ত নির্ধারণ করতে পারেনি। যে হেতু তারাও অদূর ভবিষ্যতে একই ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে, তাই আক্ষরিক অর্থেই রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদ এবং অন্য ছোট দেশগুলির অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষাই তাদের স্বার্থের অনুকূল।

রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সঙ্গে মলদ্বীপের সম্পর্ক মূলত পর্যটনক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ। মলদ্বীপে ভ্রমণকারী মোট পর্যটকের ২০ শতাংশেরও বেশি আসেন রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে। ২০২১ সালেই মলদ্বীপে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে আসা পর্যটকের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২০৮,০০০ এবং ২৩,০০০। শ্রীলঙ্কার মতো এই যুদ্ধও দ্বীপ দেশটির কোভিড-পরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তাই এই দেশটি নিরপেক্ষ থাকতে এবং শান্তির আবেদন করতে বাধ্য হয়েছে। ইউ এন জি এ-তে মলদ্বীপের নীতিতে একটি পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। যদিও মলদ্বীপ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রতিযোগিতা তীব্রতর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সতর্কতার সঙ্গেই সার্বভৌমত্ব এবং বৈদেশিক নীতি নির্ধারণ করছে।

দীর্ঘমেয়াদি লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত?

সর্বোপরি এই দক্ষিণ এশীয় দেশগুলি নিজেদের জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েই এই সঙ্কটে সাড়া দিয়েছে। তাদের প্রতিক্রিয়াগুলি অবশ্য কৌশলগত প্রকৃতির এবং রুশ আক্রমণের ফলে উদ্ভূত প্রক্রিয়াগত ও কৌশলগত পরিবর্তনের সঙ্গে এই দেশগুলিকে অভিযোজিত করতে অক্ষম। মস্কোর উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা সম্ভবত এই দেশগুলির বাণিজ্য, পর্যটন, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, সংযোগ ব্যবস্থা, জ্বালানি নিরাপত্তা, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং সামরিক আধুনিকীকরণের নীতিগুলিকে আরও জটিল করে তুলবে। একই ভাবে, এই সঙ্কট প্রভাবের ক্ষেত্রগুলির প্রাসঙ্গিকতা, নিরাপত্তার জন্য ভূ-অর্থনীতির উপর নির্ভরতা, নিরপেক্ষতার সম্ভাবনা, জোট এবং পশ্চিমি দেশগুলির ক্ষমতা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। এই দেশগুলির জন্য রাশিয়া এবং তার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণের তুলনায় পূর্বোক্ত পরিবর্তন এবং চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা অপেক্ষাকৃত কঠিন।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.