-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
অর্থনীতিতে, ওয়াশিংটনের ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তি নিষেধাজ্ঞা এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প ২.০-র শুল্ক সংক্রান্ত চাপের মধ্যে শি চিনের শীর্ষস্থানীয় শিল্প-কর্ণধারদের এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বেজিংয়ের অর্থনীতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিগুলির মধ্যে অন্যতম হল ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধান চিনা সংস্থাগুলির কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠক। রাজনৈতিক নির্বাহী বা পার্টি-রাষ্ট্রের আইনসভা শাখা এবং চিনের শিল্পপতিদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ থাকলেও এই মিথস্ক্রিয়ার সময়টি নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য।
অর্থনীতিতে মন্দা, ওয়াশিংটন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তিগত নিয়ন্ত্রণ এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প ২.০-এর শুল্ক সংক্রান্ত চাপের আলোকে এই সম্মেলনটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অতীতেও এই ধরনের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেমন ২০২০ সালের জুলাই মাসে কোভিড-১৯ অতিমারির প্রেক্ষাপটে এবং এর আগে ২০১৮ সালের নভেম্বরে মার্কিন-চিন বাণিজ্যযুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করার সময়ে।
এ হেন বৈঠক শিল্পক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয়দের সঙ্গে শি-র ঘনিষ্ঠতাকেই দর্শায়, যাঁদের মধ্যে আলিবাবার মা ইউন-এর (জ্যাক মা) মতো কয়েকজন নিয়ন্ত্রণকারী প্রচারের লক্ষ্য হয়ে উঠেছিলেন। নিয়ন্ত্রণকারীরা ২০২০ সালে আলিবাবা গ্রুপের আর্থিক ও ঋণদানকারী শাখা অ্যান্ট-এর প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) হঠাৎ বন্ধ করে দেয়। গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একচেটিয়া তদন্তের পর নিয়ন্ত্রণকারীরা ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে ২.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার জরিমানা আরোপ করে। পরে মা ২০২৩ সালে আলিবাবা গোষ্ঠীর নেতৃত্বের পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
শি অর্থনীতির উন্নয়নের অনুশীলনকে ‘চিনা ধাঁচের আধুনিকীকরণ’ বলে অভিহিত করেছেন এবং তিনি দাবি করেন যে, উদ্ভাবন, প্রতিভা, শিল্প এবং মুদ্রা-মূলধন শৃঙ্খলের সমন্বিতকরণের মাধ্যমেই এই আধুনিকীকরণ অর্জন করা যেতে পারে। নানাবিধ অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে উদ্ভাবনের পথে হাঁটা, প্রতিযোগিতার আবহ উন্নত করা এবং শিল্প ব্যবস্থার উন্নয়ন।
শি তাঁর ভাষণে শিল্পপতিদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে এবং অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য তাঁদের প্রাণবন্ত মনোবলকে ‘জাতীয় কর্তব্য’ হিসেবে তুলে ধরার আহ্বান জানান। তাঁদের সম্মিলিত মনোভাবকে শান্ত করে শি জোর দিয়ে বলেন যে, শিল্পের সামনে উঠে আসা চ্যালেঞ্জগুলি ক্ষণস্থায়ী এবং পার্টি-রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফল। শি অর্থনীতির উন্নয়নের অনুশীলনকে ‘চিনা ধাঁচের আধুনিকীকরণ’ বলে অভিহিত করেছেন এবং তিনি দাবি করেন যে, উদ্ভাবন, প্রতিভা, শিল্প এবং মুদ্রা-মূলধন শৃঙ্খলের সমন্বিতরণের মাধ্যমেই এই আধুনিকীকরণ অর্জন করা যেতে পারে। নানাবিধ অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে উদ্ভাবনের পথে হাঁটা, প্রতিযোগিতার আবহ উন্নত করা এবং শিল্প ব্যবস্থার উন্নয়ন। এই বৈঠকে উপস্থিতদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন যথাক্রমে আলিবাবা ও ডিপসিক-এর প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা ও লিয়াং ওয়েনফেং, হুয়াই-এর রেন ঝেংফেই, বিওয়াইডি-র ওয়াং চুয়ানফু, ইউনিট্রি রোবোটিক্স-এর জিংজিং ওয়াং, উইল সেমিকন্ডাক্টর-এর ইউ রেনরং, বৈদ্যুতিক ডিভাইস নির্মাতা চিন্ট-এর নান কুনহুই, পশুখাদ্য উৎপাদনকারী নিউ হোপ-এর লিউ ইয়ংহাও এবং শিশুদের জন্য পুষ্টি উৎপাদনকারী ফেইহে-র তরফে লেং ইউবিন।
ভোক্তাদের আস্থা বর্তমানে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়েছে, যার ফলে সেই উদ্যোক্তাদের মনোবলও ভেঙে যাচ্ছে, যাঁরা বাজারের চাহিদা মেনে ব্যবসায় নেমেছিলেন। এর আগে বড় সংস্থাগুলির উপর শি-র কঠোর পদক্ষেপ এবং ট্রাম্পের উত্থানের পর ভূ-রাজনৈতিক চাপের কারণেও এই সমস্যা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে বেজিং দাচেং নামে একটি গবেষণা সংস্থা চিনের বেসরকারি খাতের ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে। ৮০০টিরও বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের প্রতিষ্ঠানের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ৫০ শতাংশেরও বেশি বলে যে, তারা কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে। সর্বোপরি, ৬৩ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন যে, তারা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন অথবা আগের বছরের তুলনায় নগদ প্রবাহ হ্রাস পাচ্ছে। মাত্র ১৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের আগামী দুই বছরে বিনিয়োগ বৃদ্ধির কোনও পরিকল্পনা দেখা গিয়েছে। আমেরিকান চেম্বার অফ কমার্স ইন চায়নার ২০২৪ সালের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে পরিচালিত একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষাতেও এটি প্রতিফলিত হয়েছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, প্রায় ৩০ শতাংশ মার্কিন প্রতিষ্ঠান হয় চিন থেকে তাদের কার্যক্রম স্থানান্তরের কথা ভাবছে অথবা ইতিমধ্যেই অন্যত্র স্থানান্তরিত করেছে। উদ্বেগজনক ভাবে চিন থেকে মার্কিন সংস্থাগুলির এই প্রস্থান ২০২০ সালের তুলনায় দ্বিগুণ, যখন কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে চিন কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। চিনা বাজারে লাভের পরিমাণ কমে যাওয়াই মার্কিন সংস্থাগুলির প্রস্থানের অন্যতম কারণ। আমেরিকান চেম্বার অফ কমার্স সমীক্ষায় সাক্ষাৎকার দিয়েছে এমন ৫০ শতাংশেরও বেশি সংস্থা জানিয়েছে যে, তারা হয় কোনও রকমে টিকে থাকছে অথবা বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এর ফলে ভোক্তা ও পরিষেবা খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে ক্ষতির অতলে ডুবে থাকা বা কোনও ক্রমে টিকে থাকা সংস্থাগুলির পরিসংখ্যান যথাক্রমে ৬০ শতাংশ ও ৫৭ শতাংশ। মার্কিন প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২১ শতাংশ সংস্থা তাদের বিনিয়োগ পরিকল্পনায় চিনকে ‘শীর্ষ অগ্রাধিকার’ হিসেবে বিবেচনাই করেনি।
আমেরিকান চেম্বার অফ কমার্স সমীক্ষায় সাক্ষাৎকার দিয়েছে এমন ৫০ শতাংশেরও বেশি সংস্থা জানিয়েছে যে, তারা হয় কোনও রকমে টিকে থাকছে অথবা বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
সাধারণ অভিযোগগুলি হল পরিচালনা সংক্রান্ত ব্যয় এবং ‘নেইজুয়ান’-এর (内卷) ঘটনা যার অর্থ ‘আন্দোলন’। এই সব কিছুই তীব্র প্রতিযোগিতাকে দর্শায় এবং এটি চিনের অর্থনৈতিক মডেলের সঙ্গে সম্পর্কিত। বছরের পর বছর ধরে চিন বৃহৎ মূলধন বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করেছে, যার ফলে অতিরিক্ত ক্ষমতার সমস্যা দেখা দিয়েছে। বাজারে সস্তা পণ্যের প্রবাহের অর্থ হল চাহিদা হ্রাস উৎপাদনকারীদের উপর প্রভাব ফেলছে, যার ফলে তারা প্রতিযোগিতামূলক থাকার জন্য পণ্যের দাম কমিয়ে আনছে। বর্তমানে চিনা পণ্যের উপর নতুন শুল্ক আরোপের জন্য ট্রাম্পের সাম্প্রতিক আহ্বান চিনা সংস্থাগুলির জন্য এই সমস্যাটিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। অন্য দিকে ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের তীব্রতার সম্মুখীন হওয়ার পরে যদি নির্মাতারা চিনের বাইরে উৎপাদন শৃঙ্খল সরিয়ে নিয়ে যান, তা হলে তা অনিশ্চিত কর্মসংস্থান পরিস্থিতিকে আরও গুরুতর করে তুলতে পারে। প্রাথমিক ভাবে চাকরি হারানোর বিষয়টি চিনের কমিউনিস্ট পার্টির ক্ষমতা দখলের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। সুতরাং, সাম্প্রতিক মাসগুলিতে ব্যাটারি উৎপাদন এবং সৌর-বিদ্যুৎ সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক খাতের শিল্প সমিতিগুলি সদস্যদের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতে এবং লোকসান রোধে আক্রমণাত্মক ছাড়ের প্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানোর ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে।
সংক্ষেপে, প্রথমত, ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট পরিবর্তনের আগে চিন-মার্কিন প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা তীব্রতর হয়ে ওঠে। শি-র বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন টেনসেন্ট-এর মা হুয়াতেং (পনি মা) এবং কনটেম্পোরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি কোং লিমিটেড-এর (সিএটিএল) জেং ইউকুন। সম্প্রতি মার্কিন সরকার এই দুই ব্যক্তিতে চিনা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার জন্য চিহ্নিত করেছে। সিএটিএল-কে বিশ্বের বৃহত্তম ব্যাটারি প্রস্তুতকারকদের মধ্যে অন্যতম বলা হয়, অন্য দিকে টেনসেন্ট একটি মাল্টি-ইউটিলিটি ফোন অ্যাপ্লিকেশন ‘উইচ্যাট’ নিয়ন্ত্রণ করে, যেখানে যোগাযোগ, ইলেকট্রনিক নগদ স্থানান্তর, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং, পরিবহণ ও খাবার সরবরাহকে সমন্বিত করা হয়েছে এবং এটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় এক বিলিয়ন। প্রযুক্তি সংস্থাটির আগ্রহ অর্থ, ক্লাউড কম্পিউটিং, মিডিয়া, মেসেজিং, ভিডিও স্ট্রিমিং এবং চলচ্চিত্র প্রযোজনার ক্ষেত্রগুলিতে বিস্তৃত। অন্য দিকে, জানুয়ারি মাসে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের সময় অ্যামাজন, অ্যাপল, গুগল, মেটা, ওপেনএআই এবং টিকটক-এর মতো মার্কিন শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি সংস্থাগুলির প্রধানরা তাঁদের উপস্থিতি স্পষ্ট ভাবে চিহ্নিত করেছিলেন, যা আবারও প্রযুক্তি প্রতিযোগিতার তীব্রতার ইঙ্গিত দেয়।
প্রযুক্তি সংস্থাটির আগ্রহ অর্থ, ক্লাউড কম্পিউটিং, মিডিয়া, মেসেজিং, ভিডিও স্ট্রিমিং এবং চলচ্চিত্র প্রযোজনার ক্ষেত্রগুলিতে বিস্তৃত।
দ্বিতীয়ত, উদ্যোক্তাদের সমাবেশের অতিথি তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে তাদের শিল্প দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী বাজার নেতাদের অথবা সংস্থার প্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এই ঘটনা দর্শায় যে, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের প্রেক্ষাপটে সরবরাহ শৃঙ্খল সংক্রান্ত সমস্যাটি শি জিনপিংয়ের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে। ২০২৪ সালে ২০তম কেন্দ্রীয় কমিটির তৃতীয় প্লেনাম বৈঠকেও এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল, যেখানে শিল্পক্ষেত্রের মেশিন টুলস, ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট এবং শিল্প সফটওয়্যারের মতো পণ্যের জন্য শক্তিশালী শিল্প শৃঙ্খলের মাধ্যমে স্থিতিস্থাপকতা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। প্লেনাম আরও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির জন্য চিনা সংস্থার তরফে পূর্ণ সমর্থন আশা করেছিল, যা শি জিনপিংয়ের দ্বারা বর্ণিত একটি প্রধান অগ্রাধিকারও বটে।
সবশেষে, চিনের বেসরকারি খাতের সঙ্গে পার্টি-রাষ্ট্রের লক্ষ্যগুলির জৈবিক সমন্বিতকরণের কাজটি নীতিনির্ধারকদেরই করতে হবে, বিশেষ করে যখন ভারত এবং চিন সম্পর্কের স্বাভাবিকীকরণের দিকে সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। ২০২০ সালের গলওয়ান ঘটনা ও পরবর্তী সামরিক অচলাবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, ভারতীয় অবস্থান ছিল যে, চিনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতার উপর নির্ভরশীল। এখন ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে টহল সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিনা বিনিয়োগকে মেনে নেওয়ার প্রত্যাশা আরও বাড়বে। ভারতে অবস্থিত উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে কর্মরত শ্রমিকদের সীমাবদ্ধ করার জন্য বেজিংয়ের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ এবং ভারতে উৎপাদন শৃঙ্খলের স্থানান্তরকে বাধা দেওয়ার জন্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলি দ্বারা চিন থেকে রফতানির উপর বৃহত্তর নজরদারির নিরিখে ভারত সরকারকে চিনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরায় চালু করার বিষয়টিকে সতর্কতার সঙ্গে পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।
কল্পিত এ মানকিকর ওআরএফ-এর দিল্লি শাখার স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Kalpit A Mankikar is a Fellow with Strategic Studies programme and is based out of ORFs Delhi centre. His research focusses on China specifically looking ...
Read More +