Author : Raj Shekhar

Published on Apr 19, 2025 Updated 0 Hours ago

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাত্মক এআই ফতানি নিয়ন্ত্রণ উদ্ভাবনকে দমিয়ে রাখা, আস্থা নষ্ট করা এবং সহযোগিতার ক্রমবর্ধমান আহ্বানের মাঝেই বিশ্বব্যাপী এআই শাসনব্যবস্থাকে দুর্বল করার ঝুঁকি তৈরি করেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এআই রফতানি নিয়ন্ত্রণ ও দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থার মধ্যে বিরোধ অব্যাহত

বিশ্বব্যাপী ব্যবসা ও রাজনীতির নেতৃবৃন্দের জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দ্রুত একটি শীর্ষ কৌশলগত অগ্রাধিকার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এআই-তে সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতের বিনিয়োগ সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। উদ্যোগ স্টার্টআপগুলি বৃদ্ধি লাভের জন্য এআই-এর বাণিজ্যিকীকরণের সুযোগগুলি অন্বেষণ করছে এবং সরকারগুলি বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলকতা বৃদ্ধি বজায় রাখতে এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষার জন্য জাতীয় সক্ষমতা বিকাশের উপর মনোনিবেশ করছে। এআই-কে কেন্দ্র করে এই ধরনের উৎসাহ সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে কি না, তা অবশ্য সময়ই বলবে। আপাতত, এই দশকের শেষ নাগাদ বিশ্ব অর্থনীতিতে এআই-এর অবদান ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে বলে অনুমান করা হচ্ছে এবং এর নির্মাতারা প্রায়শই এর উন্নয়নকে ম্যানহাটন প্রকল্পের সঙ্গে তুলনা করছেন - যার ফলে এর নিয়ন্ত্রণ বিস্তার প্রায় অনিবার্য হয়ে ওঠে। এই নিবন্ধটিতে আলোচনা করা হয়েছে যে, কী ভাবে সাম্প্রতিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এআই ফতানি নিয়ন্ত্রণ নিয়মগুলি (ইউনাইটেড স্টেটস এআই এক্সপোর্ট কন্ট্রোল রুলস) এআই-এর দায়িত্বশীল শাসনের উপর আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে বাধা দান করতে পারে, যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সংখ্যাগরিষ্ঠ বিশ্ব এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি ও নিরাপত্তার উপর পড়বে।

এই দশকের শেষ নাগাদ বিশ্ব অর্থনীতিতে এআই-এর অবদান ট্রিলিয়ন  ডলারে পৌঁছবে বলে অনুমান করা হচ্ছে এবং এর নির্মাতারা প্রায়শই এর উন্নয়নকে ম্যানহাটন প্রকল্পের সঙ্গে তুলনা করছেন - যার ফলে এর নিয়ন্ত্রণ বিস্তার প্রায় অনিবার্য হয়ে ওঠে।

নিয়ন্ত্রণের ধাঁধা

বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থাগুলি এআই প্রযুক্তি স্ট্যাকের বেশ কয়েকটি মূল উপাদানের জন্য বিশ্বব্যাপী বাজারের বৃহত্তম অংশ নিয়ন্ত্রণ করে - প্রধানত এআই মডেল ওয়েট (এমন পরামিতি, যা মডেলের কর্মক্ষমতা নির্ধারণ করে) এবং উন্নত কম্পিউটেশন চিপস (বিশেষ গ্রাফিক্স প্রক্রিয়াকরণ হার্ডওয়্যার যা মডেলগুলিকে জটিল, সমান্তরাল গণনা চালাতে সক্ষম করে)। অতএব, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এআই-এর মূল বিল্ডিং ব্লকগুলিতে কার প্রবেশাধিকার আছে এবং কোন শর্তাবলির অধীনে তা কাজ করে, সেই বিষয়টি নির্ধারণ করার জন্য একটি সুবিধাপ্রাপ্ত অথচ সম্ভাব্য অনিশ্চিত অবস্থানে রয়েছে। এই ধরনের যে কোন সিদ্ধান্তের সরাসরি পরোক্ষ  অর্থনৈতিক নিরাপত্তা প্রভাব থাকতে বাধ্য এবং তা কেবল তার সীমানার মধ্যে থাকা মানুষ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্যই নয়, বরং বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা শিল্পের জন্যও বটে। এ কথা উল্লেখ্য যে, এআই-এর অর্থনৈতিক মানবিক সম্ভাবনা এবং এর অবাধ বিস্তার থেকে সৃষ্ট নিরাপত্তা হুমকিগুলি অতিরঞ্জিত নয়। অতএব, মার্কিন নেতৃত্বের উচিত তাদের বিদেশনীতিতে এই সিদ্ধান্তগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার আগে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে মূল্যায়ন পুনর্মূল্যায়ন করা।

২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক প্রবর্তিত এআই রফতানি নিয়ন্ত্রণের ধারাবাহিকতা বোধগম্য ছিল। এই নিয়ন্ত্রণ মূলত চিনের মতো দেশগুলিকে উদ্দেশ্য করেই গৃহীত হয়েছিল, যারা গণতন্ত্র, মানবাধিকার নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা রক্ষার জন্য মার্কিন প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বলে মনে হয় না ভবিষ্যতে, চি, রাশিয়া বা মার্কিন অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন অন্য দেশগুলিকে এড়িয়ে যেতে সাহায্য করার জন্য মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করা দেশগুলিতেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ প্রসারিত করা যুক্তিসঙ্গত হবে, বিশেষ করে যতক্ষণ না এই জাতীয় দেশগুলির নাক্তকরণ প্রক্রিয়া অনুমানের চাইতে প্রমাণের ভিত্তিতে করা হয়। যাই হোক, বাইডেন প্রশাসনের শেষ দিনগুলিতে প্রবর্তিত আরও সাম্প্রতিক এআই রফতানি নিয়ন্ত্রণ নিয়মগুলি ভয় অনিয়ন্ত্রিত ভীতির আধিক্যকে দর্শায়।

বিশ্বের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ জনসংখ্যাকে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন এআই অবকাঠামোয় প্রবেশাধিকার থেকে সীমাবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত আরও ন্যায্যতা দাবি করে।

এই নতুন নিয়মের ক্ষেত্রটি প্রায় ১৫০টি দেশের জন্য মার্কিন-উত্পাদিত এআই চিপস মডেল ওয়েটগুলিতে প্রবেশাধিকারের উপর এক ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করে, যার মধ্যে প্রায় সমগ্র সংখ্যাগরিষ্ঠ বিশ্ব অন্তর্ভুক্ত কিছু বিশেষজ্ঞ যেমন পরামর্শ দিয়েছেন, এই দেশগুলিকে মার্কিন স্বার্থের সঙ্গে দুর্বল সাযুজ্য, মার্কিন প্রতিপক্ষের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক এবং আরও লেনদেনমূলক বৈদেশিক নীতি হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এই পরামর্শটি অতিরঞ্জিত এবং খুব সহজেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। বিশেষ করে যখন ভারতও কোয়াডের সদস্য হওয়া এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি শক্তিশালী কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা সত্ত্বেও এই বিধিনিষেধের শিকার হয়েছে। বিশ্বের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ জনসংখ্যাকে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন এআই অবকাঠামোয় প্রবেশাধিকার থেকে সীমাবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত আরও ন্যায্যতা দাবি করে। এটি ছাড়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতির পদক্ষেপটি অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং অযৌক্তিক বলে মনে হচ্ছেকারণ এটি বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি নিরাপত্তার জন্য গুরুতর পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

নতুন এআই রফতানি নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী এআই বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে ভয় অবিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি করতে শুরু করেছে। এই নিয়মগুলি কেবল মার্কিন এআই চিপ বাজারকে দমিয়ে রাখার হুমকিই দেয় না, বরং বিশ্বব্যাপী এআই সরবরাহ শৃঙ্খলের মধ্যে গভীর বৈষম্য মোকাবিলায় এবং একটি নিরাপদ, আরও সুরক্ষিত ন্যায়সঙ্গত বিশ্বের জন্য এআই বিশ্বাস সুরক্ষা গুণমানগুলির বিশ্বব্যাপী সমন্বয় সাধনে ট্রাম্প প্রশাসন যে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে, তারও বিপরীত। ফলস্বরূপ, ওয়াশিংটনকে  এই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ত্যাগ করার পাশাপাশি জি মত্য এবং ২০২৪ সালের মার্চ জুন মাসে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবগুলিকে উপেক্ষা করার আলোকে দেখা যেতে পারে, যার লক্ষ্য আজ আমাদের বিশ্বে বিস্তৃত এআই ডিজিটাল বিভাজন দূর করা। নিজের নতুন এআই রফতানি নিয়ন্ত্রণ নীতির মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানকে দুর্বল করা, সংখ্যাগরিষ্ঠ বিশ্বের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য বিশ্বস্ত প্রযুক্তি অংশীদার হিসাবে তার খ্যাতিকে হুমকির মুখে ফেলা, তার এআই শিল্পের বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলকতাকে শক্তিশালী করতে এবং স্বল্পমেয়াদি দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা দুর্বলতা থেকে তার স্বার্থকে রক্ষা করতে সহায়তা করতে পারে এমন মূল সুযোগগুলি হারানোর ঝুঁকির সামনে অরক্ষিত করে দেয়।

নতুন এআই রফতানি নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী এআই বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে ভয় অবিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি করতে শুরু করেছে।

বিস্তারের লভ্যাংশ

ভারত ও ব্রাজিলের মতো দেশগুলির সঙ্গে কৌশলগত সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী এআই বিভাজন দূর করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো এবং অ্যাপ্লিকেশন সংক্রান্ত উন্নয়ন সহায়তা সম্প্রসারণের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করতে এবং তার প্রযুক্তিগত নেতৃত্বের উপর আস্থা বাড়াতে পারে। এর পাশাপাশি শক্তিশালী মিত্রদের শৃঙ্খল সম্প্রসারণ করতে এবং চিনের নেতৃত্বে প্রতিদ্বন্দ্বী জোটের বিশ্বব্যাপী এআই প্রতিযোগিতায় উত্থানের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।

সর্বোপরি, বিভিন্ন দেশ বা অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সহায়তা ওয়াশিংটনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ এআই সুরক্ষা সুরক্ষা সংক্রান্ত উদ্যোগের চাইতেও তাদের সহযোগিতার উপর বেশি নির্ভরশীল হতে পারে, যা এআই-এর জন্য বিশ্বব্যাপী নিয়মকানুন গুণমান গঠনে মার্কিন নেতৃত্বকে শক্তিশালী করবে। এটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন এআই অবকাঠামো চুরি বা বিচ্যুতির ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে এবং মার্কিন এআই সংস্থাগুলির জন্য আরও অনুকূল অনুমানযোগ্য বৈশ্বিক নিয়ন্ত্রক পরিবেশ তৈরি করতে সহায়তা করতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার এআই গবেষণা উন্নয়ন কার্যক্রমকে সমর্থন করার জন্য আন্তঃসীমান্ত তথ্য ভাগাভাগির চুক্তির ক্ষেত্রেও তার সমর্থনের শর্ত রাখতে পারে ভারতকে তার মহাদেশীয় আকারের ডেটাসেটগুলি শ্রেণিবদ্ধ করা এবং গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট-এ (জিপিইউ) আরও ভাল প্রবেশাধিকারের উদ্দেশ্যে আলোচনা করার লক্ষ্যে সেগুলিকে কাজে লাগানোর পরামর্শ ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে।’ এর পাশাপাশি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি বাজারে তার এআই পণ্য পরিষেবাগুলির জন্য আমদানি শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি মার্কিন সংস্থাগুলিকে এআই প্রতিভা ব্যয় সুবিধা-সহ সেই ক্ষেত্রে গবেষণা বা উৎপাদন সুবিধা স্থাপনের সুযোগ করে দিতে পারেযেমন ভারত ডেটা সায়েন্স এবং মেশিন লার্নিংয়ে দ্রুত বর্ধনশীল দক্ষ পেশাদারদের আবাসস্থল হয়ে উঠেছে। এই কৌশলগুলিকে কাজে লাগিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার সংস্থাগুলিকে বিশ্বব্যাপী আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে পারে এবং তার এআই শিল্পের বৃদ্ধি সম্প্রসারণকে ত্বরান্বিত করতে পারে।

মার্কিন সমর্থন এআই ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা দেশগুলিকে এআই-প্রস্তুতির দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয় এবং তা মার্কিন এআই হার্ডওয়্যার, ফটওয়্যার সমাধানগুলির জন্য নতুন বাজারের উন্মোচন করতে পারে।

আমেরিকা এমনকি তার সমর্থনকে আরও বিস্তৃত (নন-এআই) উদ্দেশ্যে’র সঙ্গে যুক্ত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, উন্নত কম্পিউটিংয়ের বিনিময়ে ওয়াশিংটন চিনা আমদানির উপর নির্ভরতা হ্রাস বা মার্কিন রফতানির উপর শুল্ক হ্রাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন বৈদেশিক নীতির অগ্রাধিকারগুলিতে দেশগুলির কাছ থেকে সহযোগিতা চাইতে পারে। পরিশেষে, মার্কিন সমর্থন এআই ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা দেশগুলিকে এআই-প্রস্তুতির দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয় এবং তা মার্কিন এআই হার্ডওয়্যার, ফটওয়্যার সমাধানগুলির জন্য নতুন বাজারের উন্মোচন করতে পারে। এটি এআই প্রতিভা এবং উচ্চ-মূল্যের ডেটাসেটের বিশ্বব্যাপী শৃঙ্খলগুলিকেও সমৃদ্ধ করতে পারে, যা মার্কিন এআই শিল্প নতুন এআই নিয়ম অনুসরণ করতে ব্যবহার করতে পারে।

চূড়ান্ত পরিণতি

যদি ওয়াশিংটন তার নতুন এআই রফতানি নিয়ন্ত্রণ নীতি বাস্তবায়নে এগিয়ে যায়, তা হলে এআই-এর দায়িত্বশীল শাসন একটি আদর্শবাদী আকাঙ্ক্ষায় রূপান্তরিত হতে পারে। এআই ইক্যুইটি সুরক্ষার অগ্রগতিতে প্রচেষ্টার বিষয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্রুত শক্তিশালী বিকল্প ছাড়া বিশ্ব জুড়ে দেশগুলি অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে এবং তাদের নিজস্ব আর্থিক উন্নয়নমূলক লক্ষ্য পূরণের জন্য তাদের অগ্রাধিকার অংশীদারিত্ব পুনর্বিবেচনা বা পুনর্বিন্যাস করতে বাধ্য হতে পারে। এর অর্থ হতে পারে, এআই উন্নয়নে নীতিশাস্ত্র নিরাপত্তার বিবেচনাকে প্রান্তিক করে দেওয়া এবং এআই-এর দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থায় অর্থবহ আন্তর্জাতিক সহযোগিতার অবনতি, যা বিশ্বকে সুদূরপ্রসারী অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেবে। অতএব, পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আগে ট্রাম্প প্রশাসনের অবশ্যই উচিত এই নীতি পুনর্বিবেচনা করা

 


রাজ শেখর এনএএসএসসিওএম-এর লিড রেসপন্সিবল এআই। তিনি ভারতে দায়িত্বশীল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যাপক প্রবর্তন গ্রহণের জন্য একটি পথনির্দেশিকা সংজ্ঞায়িত করার ক্ষেত্রে এনএএসএসসিওএম-এর প্রচেষ্টার নেপথ্যে কাজ করছেন।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Author

Raj Shekhar

Raj Shekhar

Raj Shekhar is the Lead Responsible AI at NASSCOM, driving NASSCOM's efforts at defining a roadmap for an extensive roll-out and adoption of responsible AI ...

Read More +