কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৫-২৬ সম্ভবত সাম্প্রতিক সময়ে উপস্থাপিত সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় বাজেটগুলির মধ্যে একটি। ২০২৪-২৫ সালের জন্য ৬.৩ শতাংশের কম প্রত্যাশিত বৃদ্ধি সত্ত্বেও বৃদ্ধির সংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় অর্থনীতি বিশ্বের সমস্ত প্রধান অর্থনীতির মধ্যে সেরা-কার্যকরী অর্থনীতি। এই বিষয়টি উপলব্ধি করার সময় অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪-২৫ আরও স্বীকার করেছে যে, সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূচক সত্যিই ভাল অবস্থায় রয়েছে। তাই, সময়টি উন্নয়ন সংক্রান্ত চিন্তাধারায় কিছু বিগ-ব্যাং পরিবর্তন আনার পাশাপাশি স্বল্পমেয়াদি বৃদ্ধির পথে বাধা হতে পারে এবং বিকশিত ভারত ২০৪৭-এর দীর্ঘমেয়াদি রূপকল্পের প্রতিবন্ধক হতে পারে এমন কিছু শিথিলতার মোকাবিলা করার জন্য উপযুক্ত বলে মনে হচ্ছে। এর জন্য, স্বল্পমেয়াদি উদ্বেগগুলির মোকাবিলায় এবং ভারতীয় অর্থনীতির দীর্ঘকালীন কিছু সমস্যার নিরসনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করা হয়েছে। তার মানে এই নয় যে বাজেটে কিছুই বাদ যায়নি। আমি বরং এক এক করে সেগুলি ব্যাখ্যা করি।
২০২৪-২৫ সালের জন্য ৬.৩ শতাংশের কম প্রত্যাশিত বৃদ্ধি সত্ত্বেও বৃদ্ধির সংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় অর্থনীতি বিশ্বের সমস্ত প্রধান অর্থনীতির মধ্যে সেরা-কার্যকরী অর্থনীতি।
বাজেটের প্রথম ইতিবাচক দিকটি হল ব্যক্তিগত আয়করের ক্ষেত্রে প্রদত্ত এবং ইতিমধ্যেই বহুল-আলোচিত ছাড়। ১২ লক্ষ ভারতীয় টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়কে আয়করমুক্ত করে, এবং ৩০ শতাংশের সর্বোচ্চ করের হারের জন্য ধাপটি বার্ষিক ১৫ লক্ষ থেকে পরিবর্তন করে ২৪ লক্ষ ভারতীয় টাকায় নিয়ে যাওয়ায়, পরিবারের হাতে উচ্চ-নগদপ্রবাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়েছে, “... নতুন জমানায় একজন করদাতা যাঁর আয় ১২ লাখ টাকা তিনি করের ক্ষেত্রে ৮০,০০০ টাকা ছাড় পাবেন... ১৮ লক্ষ টাকা আয়সম্পন্ন একজন ব্যক্তি ৭০,০০০ টাকা লাভ পাবেন৷ … একজন ব্যক্তি যাঁর আয় ২৫ লক্ষ টাকা তিনি সুবিধা পাবেন ১,১০,০০০ টাকা।” সাধারণ মানুষ, পরিবার ও নাগরিকদের হাতে এই অতিরিক্ত অর্থের ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চালক ব্যক্তিগত খরচকে উজ্জীবিত করার প্রবণতা রয়েছে। গত তিন দশকে ভারতের বৃদ্ধি উপভোগের দ্বারা চালিত হয়েছে, যা থেকে ধরে নেওয়া যেতে পারে যে উপভোগ বৃদ্ধি ও জিডিপি বৃদ্ধির একটি সহ-গমন রয়েছে; যদিও গত অর্থবর্ষ ২৪-এ এবং অর্থবর্ষ ২৫-এর প্রথম দুই ত্রৈমাসিকে এই পারস্পরিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়েছিল, তবে অর্থবর্ষ ২৫-এর তৃতীয় ত্রৈমাসিকে প্রবণতাটি পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। এই পুনরুজ্জীবনকে আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন, এবং কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৫-এ ব্যক্তিগত আয়কর প্রস্তাবগুলি ঠিক সেটাই করার চেষ্টা করেছে। আরও, এটি খরচযোগ্য আয় (অর্থাৎ কর কাটার পর আয়) বৃদ্ধির মাধ্যমে উপভোগ গুণককে উৎসাহিত করবে। নিম্ন ও মধ্য-আয়ের গোষ্ঠীর উপভোগের প্রান্তিক প্রবণতা (অর্থাৎ খরচযোগ্য আয়ের মাত্রায় অর্থের বৃদ্ধির সঙ্গে উপভোগ বৃদ্ধি) উচ্চ আয়ের গোষ্ঠীর তুলনায় যথেষ্ট বেশি, যেমনটা ওআরএফ-এর অনুমানগুলি ইঙ্গিত করে, আর তাই মধ্যবিত্তের জন্য ছাড় একটি উচ্চ খরচ গুণক প্রভাবের মাধ্যমে বৃদ্ধিকে চালিত করবে৷
বৃদ্ধির দ্বিতীয় চালক হল মূলধনী ব্যয় বৃদ্ধি। যদিও এটা মনে হতে পারে যে ২০২৪-২৫ থেকে বাজেট বরাদ্দ মাত্র ০.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, বাস্তবে ২০২৪-২৫ সালের প্রকৃত মূলধনী ব্যয় থেকে ২০২৫-২৬ সালের বাজেট বরাদ্দের বৃদ্ধি ১০%-এর বেশি। এরপর যদি এই বরাদ্দের সঙ্গে ‘মূলধন সম্পদ তৈরির জন্য অনুদান’ যোগ করা হয়, তাহলে বাজেট বরাদ্দের কার্যকর মূলধনী ব্যয় ২০২৪-২৫ থেকে ১৭ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পাবে। অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪-২৫ নিয়ে আলোচনা করার সময় আমি ভারতীয় অর্থনীতির জন্য মূলধনী ব্যয়ের গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে বলেছিলাম যে, সংখ্যাগুলি মূলধনী ব্যয়ের উচ্চতর কার্যকারিতাকে তুলে ধরে। এর গুণক প্রভাব, আনুমানিক ২, উল্লেখযোগ্যভাবে রাজস্ব ব্যয়কে ছাড়িয়ে যায়, যা আধিক্যহীন ০.৯-এ স্থির থাকছে। অর্থবর্ষ ২৫-এর প্রথম ত্রৈমাসিকে সাধারণ নির্বাচনের কারণে মূলধনী ব্যয় সাময়িকভাবে পিছিয়ে গিয়েছে। যাই হোক, জুলাই-পরবর্তী সময়ে এটি একটি শক্তিশালী পুনরুত্থান প্রত্যক্ষ করেছে, এমনকি যদিও ঋণ-বহির্ভূত প্রাপ্তিগুলি সঙ্কোচনের সম্মুখীন হয়েছে — প্রাথমিকভাবে এই বৃদ্ধির জন্য দায়ী রাজ্যগুলিতে কর হস্তান্তর৷ এটি প্রস্তাব করে যে সরকার রাজস্ব দৃঢ়ীকরণ ও মূলধনী বিনিয়োগের মধ্যে প্রচলিত বিনিময়যোগ্যতা (ট্রেড-অফ) নিখুঁতভাবে পার হয়ে এসে এটি নিশ্চিত করেছে যে বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তাগুলির সঙ্গে যেন আপস না-করা হয়।
জাহাজ নির্মাণের প্রচেষ্টা এবং সামুদ্রিক উন্নয়ন তহবিল গঠন প্রশংসনীয় পদক্ষেপ, তবে বাজেটে এখানে উপকূলীয় অর্থনীতির কথাও বিবেচনা করা উচিত ছিল, যেখানে প্রচুর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হতে পারে।
বৃদ্ধির তৃতীয় চালক হিসাবে যা এই বাজেটে উল্লেখ করা হয়েছে তা এসেছে ব্লু ইকনমির আকারে। তবে, সম্ভবত সেখানে আরও সুযোগ ব্যবহার করা যেত। কৃষির অধীনে এটি শুধুমাত্র সামুদ্রিক মৎস্য চাষের কথা বলেছে, কিন্তু পর্যটন, কৃষি-শিল্প সংযোগ, শিপিং শিল্প, উপকূলীয় ও সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের পরিষেবা, জমির মালিকদের কার্বন বাজারের সঙ্গে সংযুক্ত করে এমন প্রকৃতি-ভিত্তিক জলবায়ু সমাধান ইত্যাদির মতো নীল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিশাল সম্ভাবনার সদ্ব্যবহার করা হলে তা সামগ্রিকভাবে সামষ্টিক অর্থনীতিকে সাহায্য করত। অবশ্যই, জাহাজ নির্মাণের প্রচেষ্টা এবং সামুদ্রিক উন্নয়ন তহবিল গঠন প্রশংসনীয় পদক্ষেপ, তবে এখানে বাজেটে উপকূলীয় অর্থনীতির কথাও বিবেচনা করা উচিত ছিল, যেখানে প্রচুর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হতে পারে। নীল অর্থনীতির সম্ভাবনাকে বাস্তবায়িত করার জন্য এর অ-বিপণন অবদানের অর্থনৈতিক মূল্যায়ন অত্যন্ত প্রয়োজন। বৈশ্বিক অনুমানগুলি প্রস্তাব করে যে নীল অর্থনীতির মূল্য ২৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যদিও ভারতের জন্য এমন কোনও অনুমান নেই৷
বৃহত্তর ক্ষেত্রগত প্রেক্ষাপটে বাজেটে কৃষির জন্য ব্যাপক ঘোষণা রয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে অর্থনীতির সবচেয়ে ধীরগতির বৃদ্ধির এই ক্ষেত্র, যাকে অর্থনীতির সবচেয়ে বড় নিয়োগকর্তা বলে দাবি করা হয়, সেটি এখনও পর্যন্ত অর্থনীতিকে জর্জরিত করে এমন গভীর, দীর্ঘ অস্বস্তির প্রতিফলক। অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪-২৫ অনুসারে, জনসংখ্যার ৪৬.১ শতাংশকে নিয়োগ করে বর্তমান মূল্যে অর্থবর্ষ ২৪ (পিই)-এর জন্য ভারতের জিডিপিতে প্রায় ১৬ শতাংশ অবদান রাখা এই ক্ষেত্রটি অন্য সমস্ত ক্ষেত্রের মধ্যে সর্বনিম্ন গড় শ্রম উৎপাদনশীলতার প্রমাণ৷ বর্তমান অবস্থায়, বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন ও দক্ষতা এই ক্ষেত্রকে বৃদ্ধির চালকে রূপান্তরিত করতে পারে না। আসল চ্যালেঞ্জ হল ভারতের অভ্যন্তরীণ কৃষি সরবরাহ শৃঙ্খলকে খুঁটিয়ে দেখা, অনুধাবন করা, যুক্তিযুক্ত করা ও নিয়ন্ত্রণ করা। পেঁয়াজের মতো পণ্যের মজুতদারি ও অনুমানমূলক কার্যকলাপ দ্বারা চালিত পুনরাবৃত্ত খাদ্য মূল্যস্ফীতির প্রবণতা দীর্ঘকাল ধরে এই ক্ষেত্রটিকে জর্জরিত করেছে, এবং অন্তিম উপভোক্তাদের ক্ষতি করছে। অন্যদিকে, বাজার সংযোগের অভাবে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা লাভজনক মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বারবার চেষ্টা করা সত্ত্বেও ভৌত বাজারের নিয়ন্ত্রণ এই বিকৃতিগুলিকে রুখতে ব্যর্থ হয়েছে। সমস্যাটি অভিনব বা ক্ষণস্থায়ী নয়, বরং এটি ভারতের কৃষি বাজারে গভীর-স্থাপিত কাঠামোগত অদক্ষতাকে প্রতিফলিত করে, এবং এখানে আরও কার্যকর নিয়ন্ত্রক ও নীতিগত হস্তক্ষেপের প্রয়োজন। বাজেটে, অ-আর্থিক নিয়ন্ত্রকদের কথা বলার সময়, একটি শক্তিশালী, স্বায়ত্তশাসিত ভৌত বাজার নিয়ন্ত্রক গঠনের কথা উল্লেখ করা উচিত ছিল, যাতে কৃষি ক্ষেত্রে এই কাঠামোগত অদক্ষতা রোধ করা যায়।
পেঁয়াজের মতো পণ্যের মজুতদারি ও অনুমানমূলক কার্যকলাপ দ্বারা চালিত পুনরাবৃত্ত খাদ্য মূল্যস্ফীতির প্রবণতা দীর্ঘকাল ধরে এই ক্ষেত্রটিকে জর্জরিত করেছে, এবং অন্তিম উপভোক্তাদের ক্ষতি করছে।
দীর্ঘমেয়াদে, বৃদ্ধির চতুর্থ ইতিবাচক চালক হল মানব পুঁজি। এখানেই বাজেট ভাল স্কোর করছে। শিক্ষা ও দক্ষতার জন্য এবং স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও ব্যাপক ঘোষণা রয়েছে। ভারত একটি শ্রম-সমৃদ্ধ অর্থনীতি এবং তার যুব পুঁজি নিয়ে গর্বিত। যাই হোক, শিল্প বিপ্লব ৪.০-এর চাহিদা মেটাতে দক্ষতার মাধ্যমে এই ধরনের জনসংখ্যাগত লভ্যাংশ কাজে লাগাতে হবে। এখানেই নতুন দক্ষতা অর্জন করতে হবে। কথিত কর্মসংস্থান সমস্যা চাকরি সৃষ্টির দৃষ্টিকোণ থেকে সমস্যা নয় — একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি সর্বদা চাকরি তৈরি করে, যেমনটি প্রমাণিত হয়েছে যে ২০১৬-১৭ থেকে ২০২২-২৩-এর মধ্যে, যখন মোট সংখ্যায় ১৭০ মিলিয়ন নতুন চাকরি তৈরি হয়েছে। অতএব, সমস্যাটি দক্ষতার অমিলের মধ্যে রয়েছে, সংখ্যার অমিলের মধ্যে নয়। দক্ষতা এবং উন্নত স্বাস্থ্যসুবিধার মাধ্যমে শ্রম প্রবাহকে উৎপাদনশীল মানব পুঁজিতে রূপান্তরিত করার জন্য কেন্দ্রীয় বাজেটের নতুন উদ্যোগগুলি (ন্যাশনাল সেন্টার অফ এক্সিলেন্স ফর স্কিলিং, সেন্টার অফ এক্সিলেন্স ইন এআই ফর এডুকেশন, আইআইটি-এর ক্ষমতা সম্প্রসারণ ইত্যাদি) অনেক সুবিধা করে দিতে পারে, যদি এই প্রবণতা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকে। প্রথমত, এটি দেশীয় অর্থনীতির জন্য একটি উৎপাদনশীল শ্রম প্রবাহ তৈরি করতে পারে এবং শ্রম উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারে। দ্বিতীয়ত, এটি ভাল মজুরির মাধ্যমে উপভোগ-চালিত বৃদ্ধিকে সাহায্য করবে। তৃতীয়ত, ভারত শ্রম-ঘাটতিসম্পন্ন উন্নত অর্থনীতিগুলিতে মানব পুঁজি পাঠানোর জন্য একটি সুযোগ তৈরি করতে পারে, যার ফলে সেই দেশগুলি এই প্রক্রিয়া থেকে লাভবান হবে এবং দেশীয় অর্থনীতিও প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে উপকৃত হবে।
বৃদ্ধির পঞ্চম চালক হিসাবে পরিকল্পিত হয়েছে এমএসএমই-গুলি, যার জন্য অনেকগুলি পরিকল্পনা প্রস্তাব করা হয়েছে। যদিও ভারতীয় রপ্তানির ৪৫ শতাংশ এমএসএমই-গুলির, তাদের বৈশ্বিক মূল্য শৃঙ্খলের জন্য উপযুক্ত করে তুলতে প্রতিযোগিতামূলক করে তোলাও একটি চ্যালেঞ্জ। উৎপাদিত পণ্যগুলির জিভিসি-তে ভারতীয় এমএসএমই-র অবদান খুব কম করে বললে নগণ্য, এবং সেইজন্য প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলি সেই দিকে কতটা সাহায্য করতে পারে, তা দেখা বাকি।
যদিও ভারতীয় রপ্তানির ৪৫ শতাংশ এমএসএমই-গুলির, তাদের বৈশ্বিক মূল্য শৃঙ্খলের জন্য উপযুক্ত করে তুলতে প্রতিযোগিতামূলক করে তোলাও একটি চ্যালেঞ্জ।
যাই হোক, বাজেটে একটি বড় ভুল হল জলবায়ু অভিযোজন অর্থায়নকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা, যদিও অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪-২৫ এর উপর জোর দিয়েছে। এটি বিস্ময়কর, কারণ নবায়নযোগ্য জ্বালানি মন্ত্রকের জন্য বরাদ্দ যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সবুজ শক্তির রূপান্তরের দিকে সরকারের অভিপ্রায় তুলে ধরে।
একটি রাজস্ব শৃঙ্খলা দৃষ্টিকোণ থেকে, এই বাজেট অর্থবছর ২৫-এর জন্য ৪.৮ শতাংশের সংশোধিত প্রাককলন থেকে রাজস্ব ঘাটতি ৪.৪ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলেছে। আসন্ন চ্যালেঞ্জ হল সরকার কীভাবে পরিস্থিতি পরিচালনা করবে যখন ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে অষ্টম বেতন কমিশনের সুপারিশগুলি বাস্তবায়িত হবে, যার ফলে রাজস্ব ব্যয়ের মাধ্যমে বহিঃপ্রবাহ হবে।
যাই হোক না কেন, আপাতত, এই বাজেট আর্থিক বিচক্ষণতা, বৃদ্ধির জন্য কাজ করা, এবং বণ্টনমূলক ন্যায়বিচারকে উন্নত করার মধ্যে লেনদেন এড়িয়ে যাওয়ার একটি সফল প্রচেষ্টা। এটি বিকশিত ভারত ২০৪৭-এর দীর্ঘমেয়াদি রূপকল্পের উপর প্রভাব ফেলবে।
নীলাঞ্জন ঘোষ সেন্টার ফর নিউ ইকনমিক ডিপ্লোমেসি (সিএনইডি) এবং অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের কলকাতা কেন্দ্রের নেতৃত্ব দেন।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.