-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
নিজের প্রচারণার প্রতিশ্রুতি পূরণ করে ট্রাম্প প্রশাসন ও নীতির প্রায় সকল গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ইও জারি করেছেন।
ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে মার্কিন রাজনৈতিক বিজ্ঞানী এবং বিশ্লেষকরা আগের তুলনায় অনেক বেশি করে ‘সাংবিধানিক সঙ্কট’ শব্দটির সম্মুখীন হয়েছেন। এক্সিকিউটিভ অর্ডারস বা কার্যনির্বাহী আদেশ (ইও) এবং প্রেসিডেন্টের নির্দেশিকা এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। তাঁর প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২২০টি ইও-তে স্বাক্ষর করেন। তাঁরর দ্বিতীয় মেয়াদের মাত্র এক মাসের মধ্যেই ২০২৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ট্রাম্প ৭৩টি ইও, ২৩টি ঘোষণাপত্র এবং ১২টি মউ-তে স্বাক্ষর করেছেন অর্থাৎ মোট ১০৮টি কার্যনির্বাহী পদক্ষেপ নিয়েছেন। জর্জ ওয়াশিংটনের পর থেকে প্রত্যেক প্রেসিডেন্ট ইও স্বাক্ষর করেছেন এবং আধুনিক প্রেসিডেন্টের সময়কালে সেই মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম ১০০ দিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ইও স্বাক্ষর করার ক্ষেত্রে সকলকে ছাপিয়ে গিয়েছেন।
মার্কিন রাজনৈতিক পরিসরে ইও, বিশেষ করে প্রেসিডেন্টের ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে সর্বদাই গুরুত্বপূর্ণ থেকেছে। কিন্তু এই বছরের ২০ জানুয়ারি কার্যালয়ের ভার গ্রহণ করা দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসনের প্রেক্ষিতে এটির গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রেসিডেন্টের জন্য ইও জারি করার আইনি ভিত্তি মার্কিন সংবিধানের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে নিহিত, যা সরকারের কার্যনির্বাহী শাখার সূচনা ঘটায় এবং প্রেসিডেন্টের উপর ‘আইনগুলি বিশ্বস্ততার সঙ্গে যেন কার্যকর করা হয়, তা সুনিশ্চিত করা’র ক্ষমতা ন্যস্ত করে। নিজের প্রচারের প্রতিশ্রুতি পূরণ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসন ও নীতির প্রায় সকল গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ইও জারি করেছেন, যা বাইডেন প্রশাসনের তরফে জারি করা নীতিগুলির সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী।
প্রেসিডেন্টের জন্য ইও জারি করার আইনি ভিত্তি মার্কিন সংবিধানের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে নিহিত, যা সরকারের কার্যনির্বাহী শাখার সূচনা ঘটায় এবং প্রেসিডেন্টের উপর ‘আইনগুলি বিশ্বস্ততার সঙ্গে যেন কার্যকর করা হয়, তা সুনিশ্চিত করা’র ক্ষমতা ন্যস্ত করে।
ট্রাম্প প্রশাসন মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের উদ্ধৃতি তুলে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য কার্যনির্বাহী বিভাগের বাধ্যবাধকতাকে ন্যায্যতা দিয়েছে। ক্রমশ এ কথা স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে, মার্কিন সংবিধানের ‘চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স’ বা ‘নিরীক্ষণমূলক প্রক্রিয়া’ শুরু হবে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কিছু কার্যনির্বাহী পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা আদালত অবধি গড়াতে পারে। কিছু ইও-র উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হতে পারে এবং কিছুর বাস্তবায়ন ঘটানো হবে। তবে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু হওয়ার এক মাস পর স্বাক্ষরিত ইও এবং সেগুলির প্রভাব সম্পর্কে পর্যালোচনা করার সময় এসেছে।
সারণি ১: ২০২৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ট্রাম্পের কার্যনির্বাহী আদেশের অবস্থা
সরকারের অন্যান্য শাখার উপর কার্যনির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইও-কে একটি কার্যকর সাধনী হিসেবে ব্যবহার করেছেন। ট্রাম্পের জন্য, তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে এটি অন্য দু’টি শাখার সাথে, বিশেষ করে বিচার বিভাগের সঙ্গে একটি প্রতিযোগিতামূলক পথের সূচনা করতে পারে। বেশ কয়েকটি ইও নিয়ে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে এবং কিছু ইও বাতিল করা হয়েছে। তাই এই সমস্ত ক্ষেত্রে আইনসভা কী ভূমিকা পালন করে, তা দেখার বিষয়। শেষ পর্যন্ত, ইও আইন প্রণয়নে কংগ্রেসের প্রক্রিয়াকে প্রতিস্থাপন করতে পারে না। কংগ্রেসই একমাত্র প্রেসিডেন্টের ভেটোকে অগ্রাহ্য করার ক্ষমতা রাখে।
এখন এটাই দেখার যে, সরকারের অন্য দু’টি শাখা ট্রাম্প প্রশাসনের একগুচ্ছ ইও-কে – যা একটি দেশ হিসেবে আমেরিকার মৌলিক প্রকৃতিকে বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় ভাবেই পরিবর্তন করতে পারে – আদৌ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে কি না।
বিবেক মিশ্র অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের ডেপুটি ডিরেক্টর।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Vivek Mishra is Deputy Director – Strategic Studies Programme at the Observer Research Foundation. His work focuses on US foreign policy, domestic politics in the US, ...
Read More +