Author : Vivek Mishra

Published on Apr 21, 2025 Updated 0 Hours ago

ট্রাম্প ২.০ আমেরিকার বৈশ্বিক নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি হ্রাস করতে পারে বলে উদ্বেগ সত্ত্বেও চিনের সঙ্গে এর কৌশলগত প্রতিযোগিতা অব্যাহত থাকবে, আর ভারত  এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসাবেই থাকবে।

নতুন ভারত-মার্কিন নিরাপত্তা কমপ্যাক্ট

অর্থনৈতিক উচ্চতা, ক্ষমতা ও প্রভাবের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রগুলির জায়গা পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাদের সম্পর্কও পরিবর্তিত হয়। বৃহৎ শক্তির সঙ্গে তাদের সম্পর্কের পরিবর্তনশীল প্রকৃতিতে এটি সবচেয়ে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। বিপরীতে, বৃহৎ শক্তিগুলি যেভাবে পুনর্নির্মাণ করে তার মধ্যে তাদের নিজস্ব ক্রমবর্ধমান শক্তি সম্পর্কে অন্তর্নিহিত সাফল্যের গল্প থাকে, এবং তা শুধুই সহনশীলতার গল্প নয়, বরং  ক্রমবর্ধমান বাধ্যবাধকতারও একটি কাহিনি। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত শতাব্দীর  তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি সময় ধরে বৃদ্ধি, প্রভাব এবং নরম ও কঠোর উভয় শক্তির একটি ধ্রুবক দৃষ্টান্ত হিসাবে থেকে গিয়েছে, চিন ও ভারত বিশ্বের প্রধান শক্তির সঙ্গে উদীয়মান রাষ্ট্রগুলির সম্পর্কের ধরনের দুটি খুব বিপরীত চিত্র উপস্থাপন করেছে। গত তিন দশকে চিনের বৃদ্ধি বিভিন্ন উপায়ে বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা নিশ্চয়তাদানকারী হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কারণে সহজতর হয়েছে। এখন কিন্তু চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মৌলিকভাবে একটি বৃহৎ শক্তি প্রতিযোগিতায় আবদ্ধ, এবং প্রতিযোগিতার প্রায় প্রতিটি দিক দ্রুত নিম্নগামী হয়ে চলেছে। তিনটি কারণ এই প্রবণতাকে তীব্র করেছে। প্রথমত, মার্কিন সামাজিক ও রাজনৈতিক পছন্দ এবং ধরনে দ্রুত পরিবর্তন আমেরিকার অভ্যন্তরে তার নিজের নিরাপত্তা এবং বিশ্বে তার ভূমিকা সম্পর্কে চিন্তাভাবনার পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এই বৃহৎ শক্তি  প্রতিযোগিতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে চিন যখন পিছন থেকে দ্রুত এগিয়ে আসছে, সেই সময় আমেরিকা তার শীর্ষস্থান ধরে রাখতে চাইছে। ইতিমধ্যে চিনের নৌশক্তির রূপান্তর ইন্দো-প্যাসিফিক দেশগুলির উপর অভূতপূর্ব চাপ সৃষ্টি করেছে, এবং বিশ্বজুড়ে তার অর্থনৈতিক শক্তির নীরব বিস্তার ঘটাতে দিয়েছে, যা বৈশ্বিক শক্তির গতিশীলতার পরামিতির পুনর্মূল্যায়ন বাধ্যতামূলক করেছে। অবশেষে, একটি নতুন প্রযুক্তি প্রতিযোগিতা, যা আগামী কয়েক দশকের মধ্যে বৃহৎ শক্তির প্রতিযোগিতার গতিপথকে রূপ দেবে, তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর উদীয়মান শক্তিগুলির সঙ্গে বহুপাক্ষিক সমন্বয়ের একটি পরিবেশ তৈরি করেছে। একত্রে, এগুলি ওয়াশিংটনকে নিরাপত্তা, ক্ষমতা ও প্রভাবের একটি নতুন উপযোগী দৃষ্টিভঙ্গির দিকে চালিত করেছে। ওয়াশিংটনের পুনর্মূল্যায়নের শিখরে রয়েছে ভারত।


চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মৌলিকভাবে একটি বৃহৎ শক্তি প্রতিযোগিতায় আবদ্ধ, এবং প্রতিযোগিতার প্রায় প্রতিটি দিক দ্রুত নিম্নগামী হয়ে চলেছে।



১৩-১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন, তখন সৌহার্দ্য, স্মৃতিকাতরতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও বাস্তববাদ মিলেমিশে গিয়েছে বলে মনে হয়েছিল। ভারত-মার্কিন সম্পর্কের পর্যবেক্ষকেরা আশা করেছিলেন যে, ট্রাম্প দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন ছাপ ফেলবেন, এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতার বিদ্যমান দৃষ্টান্ত মেনে চলবেন না। মাত্র ৪০ ঘণ্টার এই সফরে একটি নতুন মার্কিন-ভারত কমপ্যাক্ট (সামরিক অংশীদারি, ত্বরান্বিত বাণিজ্য ও প্রযুক্তির জন্য সুযোগের অনুঘটক) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার লক্ষ্য প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, জ্বালানি নিরাপত্তা, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক, এবং বহুপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে সমন্বয়ের জন্য নতুন বিস্তৃত কাঠামো হিসাবে কাজ করা।

গত দুই দশক ধরে, ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ২০০৫ সালের ফ্রেমওয়র্ক ফর দ্য ইউএস-‌ইন্ডিয়া ডিফেন্স রিলেশনশিপ ধারাবাহিক গতির উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে, যা ‘‌মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতকে ক্রমবর্ধমান বিস্তৃত, জটিল এবং কৌশলগত সহযোগিতার পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার’‌ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পরবর্তীকালে ২০১৫ সালের জুনে স্বাক্ষরিত ১০ বছরের ফ্রেমওয়র্কটি ‘‌উচ্চ-স্তরের কৌশলগত আলোচনা, উভয় দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে অব্যাহত বিনিময় এবং প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদার করার সুযোগ প্রদান করেছে’‌। কাঠামোর সর্বশেষ সম্প্রসারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্কের বিস্তৃত প্রকৃতির প্রতিফলন, বিশেষ করে সংবেদনশীল প্রযুক্তি হস্তান্তরে সহযোগিতা ও কৌশলগত আস্থার প্রতি ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের প্রতিফলন। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই বছর একবিংশ শতাব্দীতে মার্কিন-ভারত প্রধান প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বের জন্য একটি নতুন দশ বছরের  ফ্রেমওয়র্ক স্বাক্ষরের কথা ঘোষণা করেছে, কারণ ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি তার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। গুরুত্বপূর্ণভাবে, নতুন কাঠামোটি ভারতকে প্রধান প্রতিরক্ষা অংশীদার (এমডিপি) হিসাবে স্বীকৃতি দেয়, যাতে এটি নিশ্চিত করা যায় প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তির প্রাপ্তি ও সরবরাহের নিশ্চয়তা পরবর্তী দশক ধরে একটি টেকসই প্রক্রিয়ার অংশ হতে পারে।

২০০৫ সালে ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা সহযোগিতার জন্য যে পথ নির্ধারণ করা হয়েছিল, তার ফলে প্রতি ১০ বছর অন্তর নতুন অগ্রাধিকার প্রদানের জন্য নতুন উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজন হয়েছে। সর্বশেষ এই পদক্ষেপে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে প্রতিরক্ষা শিল্প সহযোগিতা, সহ-উৎপাদন এবং আন্তঃকার্যক্ষমতার সম্প্রসারণকে স্থান দেওয়া হয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা চাহিদা পূরণের জন্য সরবরাহ দ্রুত করার মূল পরিকল্পনাগুলির মধ্যে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে যে তারা এই বছর ভারতের 'জ্যাভলিন' অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল এবং 'স্ট্রাইকার' পদাতিক যুদ্ধযানগুলির জন্য নতুন ক্রয় ও সহ-উৎপাদন ব্যবস্থা অনুসরণ করবে। এছাড়াও, ছয়টি অতিরিক্ত পি-৮আই মেরিটাইম পেট্রোল বিমান ক্রয় ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ভারতের গোয়েন্দা, নজরদারি ও নিরীক্ষণ (আইএসআর) ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।


ভারতের প্রতিরক্ষা চাহিদা পূরণের জন্য সরবরাহ দ্রুত করার মূল পরিকল্পনাগুলির মধ্যে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে যে তারা এই বছর ভারতের 'জ্যাভলিন' অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল এবং 'স্ট্রাইকার' পদাতিক যুদ্ধযানগুলির জন্য নতুন ক্রয় ও সহ-উৎপাদন ব্যবস্থা অনুসরণ করবে।



দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসন স্পষ্টতই ভারতের সঙ্গে নিরাপত্তা সম্পর্ক সংক্রান্ত দীর্ঘমেয়াদি  দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছে, যেখানে পরিকল্পিত পদক্ষেপগুলির কেন্দ্রবিন্দু হল দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা সম্পর্কগুলিকে গভীরভাবে কাঠামোগত করে আরও সংহত করা। কৌশলগত বাণিজ্য অনুমোদন-১ (এসটিএ‑১) অনুমোদনের মাধ্যমে ভারতের এমডিপি মর্যাদার বৃহত্তর ব্যবহার, দ্বিপাক্ষিক ক্রয় চ্যানেলগুলিকে উন্নত করার জন্য একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা ক্রয় (আরডিপি) চুক্তির জন্য আলোচনা শুরু করা এবং প্রতিরক্ষা পণ্য ও পরিষেবার জন্য মসৃণ পারস্পরিক সরবরাহ লাইন স্থাপন করা, এবং আন্তর্জাতিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ  (আইটিএআর)-‌সহ অস্ত্র স্থানান্তর বিধি পর্যালোচনা এই সবই গভীর একীকরণ, আন্তঃকার্যক্ষমতা এবং সহ-উৎপাদনকে উৎসাহিত করার দিকে চালিত করে।

গত পাঁচ বছরে যুদ্ধক্ষেত্রে এবং যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে শেখা শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে, মোদী ও ট্রাম্পের পরবর্তী দশকের জন্য একটি রোডম্যাপের রূপরেখা তৈরি করা বরং বাধ্যতামূলক ছিল। যুদ্ধ ও নিরাপত্তার ভবিষ্যতের জন্য স্বায়ত্তশাসিত ব্যবস্থার গুরুত্ব এমনই একটি ক্ষেত্র। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অটোনমাস সিস্টেম ইন্ডাস্ট্রি অ্যালায়েন্স (এএসআইএ) ঘোষণা করেছে, যা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শিল্প অংশীদারি ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি নতুন উদ্যোগ। ভারতীয় ও মার্কিন কোম্পানিগুলির মধ্যে যৌথ উৎপাদনকারী মেরিটাইম সিস্টেমস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সক্ষম কাউন্টার আনম্যানড এরিয়াল সিস্টেম (ইউএএস)-এর জন্য অংশীদারিত্ব একইসঙ্গে প্রতিরোধ ও নিবারণমূলক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য কার্যকর হতে পারে।

সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ভারত ও আমেরিকা ‘‌ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মার্কিন ও ভারতীয় সামরিক বাহিনীর বিদেশে মোতায়েনের সমর্থন ও তা বজায় রাখার উদ্দেশ্য ঘোষণা করে এই অঞ্চলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ 'নতুন ভিত্তি' তৈরি করেছে। এই মোতায়েনের মাধ্যমে যেমন ভারত ও আমেরিকা কীভাবে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আঞ্চলিক নিরাপত্তার দিকে দৃষ্টিপাত করবে তা পুনর্নির্মাণ করা যেতে পারে, তেমনই রসদ সরবরাহ, গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি, যৌথ মানবিক ও দুর্যোগ ত্রাণ অভিযানের জন্য সেনা ব্যবহার, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, উপসাগর থেকে দূর প্রাচ্য পর্যন্ত সাধারণ হুমকি মোকাবিলায় সহযোগিতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে।

প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, জ্বালানি নিরাপত্তা, মহাকাশ এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরও বেশ কয়েকটি ঘোষণা করা হয়েছিল, যা উভয় দেশের মধ্যে নতুন নিরাপত্তা চুক্তিতে অবদান রাখে। তবে, যৌথ বিবৃতিতে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং তাদের বহুপাক্ষিক সহযোগিতা কাঠামোর তিনটি প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ভারত মহাসাগর ভারত-মার্কিন সহযোগিতার একটি মূল ক্ষেত্র হবে। মেটার উচ্চাভিলাষী ৫০,০০০ কিলোমিটার সমুদ্রতলের কেবল প্রকল্পের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংযোগ ও বাণিজ্যে সমন্বিত বিনিয়োগকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগ ইন্ডিয়ান ওশন স্ট্র্যাটেজিক ভেঞ্চারের সূচনা অবশ্যই বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল পরিকাঠামো ও আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে সংযুক্ত ও শক্তিশালী করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেয়। দ্বিতীয়ত, মোদীর সফর ভারত-প্যাসিফিক অঞ্চলে কোয়াড কাঠামোর গুরুত্বের প্রতি ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের দায়বদ্ধতার উপর জোর দিয়েছে। এবং পরিশেষে, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই নতুন দ্বিপাক্ষিক চুক্তির একটি মূল অভিসারী বিন্দু হল সংযোগ প্রকল্প। ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডোর (‌আইএমইসি) পরবর্তী আন্তঃআঞ্চলিক সংযোগ প্রকল্প হিসাবে কাজ করার লক্ষ্য রাখে, যা জ্বালানি সরবরাহ শৃঙ্খলের গমনপথ পুনরায় নির্ধারণ করতে পারে। তবে, এর সাফল্য মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক বাহ্যিকতার উপর নির্ভরশীল।


মেটার উচ্চাভিলাষী ৫০,০০০ কিলোমিটার সমুদ্রতলের কেবল প্রকল্পের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংযোগ ও বাণিজ্যে সমন্বিত বিনিয়োগকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগ ইন্ডিয়ান ওশন স্ট্র্যাটেজিক ভেঞ্চারের সূচনা অবশ্যই বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল পরিকাঠামো ও আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে সংযুক্ত ও শক্তিশালী করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেয়।


 
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স জোর দিয়ে বলেছেন যে, আমেরিকা আশা করে ইউরোপ তার নিরাপত্তায় আরও বেশি ভূমিকা নেবে, যার ফলে ওয়াশিংটন অন্য গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলিতে মনোনিবেশ করতে পারবে। অন্তর্নিহিত বার্তাটি স্পষ্ট ছিল: ইন্দো-প্যাসিফিকের নিরাপত্তা তথা চিনের চ্যালেঞ্জ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য শীর্ষ অগ্রাধিকার হিসাবে রয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসন আমেরিকার বৈশ্বিক নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি কমিয়ে আনতে পারে এমন উদ্বেগ সত্ত্বেও, চিনের সঙ্গে তার কৌশলগত প্রতিযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এক আত্মবিশ্বাসী ট্রাম্প প্রশাসন ভারতকে তার কৌশলগত লক্ষ্যগুলি এগিয়ে নেওয়ার জন্য এবং বিশ্ব মঞ্চে আমেরিকার ভূমিকা পুনর্নির্মাণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসাবে দেখে।



বিবেক মিশ্র অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের ডেপুটি ডিরেক্টর।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.