Author : Girish Luthra

Published on May 31, 2024 Updated 0 Hours ago

যদিও বিভিন্ন স্তরে পর্যালোচনা খুবই কাজের, সরবরাহযোগ্যগুলি সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ব্যাখ্যা এবং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য অভিন্ন অঙ্গীকার প্রয়োজন।

ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও শিল্প সহযোগিতা: এখন সরবরাহের সময়

গত দুই দশকে ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক অনেক দূর এগিয়েছে, এবং একটি অত্যন্ত বিস্তৃত-ভিত্তিক সহযোগিতায় বিকশিত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা একটি বিস্তৃত বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হয়েছে, যা একটি গভীরতর বহুক্ষেত্রগত সম্পৃক্ততাকে অন্তর্ভুক্ত করে। যদিও বিচ্যুতির কিছু ক্ষেত্র মাঝেমধ্যে উঠে এসেছে, সেগুলি এখনও পর্যন্ত উভয় পক্ষের দ্বারা পরিপক্বতা ও পারস্পরিক দেওয়া-‌নেওয়ার ভিত্তিতে মোকাবিলা করা হয়েছে। ২০২৩ সালের জুনে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় সফরের মাধ্যমে সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য উৎসাহ প্রদান করা হয়েছিল, যা অংশীদারিত্বে আরও গতিশীলতা ও দৃঢ়তার প্রত্যাশা জাগিয়েছিল। এই সফরে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও শিল্প সহযোগিতার উপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছিল, যেমনটি যৌথ বিবৃতিতে প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিভাগে তুলে ধরা হয়েছে। এভাবে যথাযথভাবে আখ্যাত ‘‌নেক্সট জেনারেশন ডিফেন্স পার্টনারশিপ'কে শক্তিশালী করা হয়েছে।


প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা একটি বিস্তৃত বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হয়েছে, যা একটি গভীরতর বহুক্ষেত্রগত সম্পৃক্ততাকে অন্তর্ভুক্ত করে



ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতাকে বিস্তৃতভাবে তিনটি স্বতন্ত্র কিন্তু আন্তঃসম্পর্কিত ক্ষেত্রে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে আঞ্চলিক ও বিশ্ব নিরাপত্তা ও উন্নয়ন বিষয়ে সহযোগিতা; সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বর্ধিত এবং প্রাতিষ্ঠানিক সম্পৃক্ততা (অনুশীলন, তথ্য আদান-প্রদান, প্রশিক্ষণ, অন্যান্য বিনিময় ও কর্মসূচি); এবং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও শিল্পে সহযোগিতা। তবে সহযোগিতার তৃতীয় স্তর (প্রযুক্তি ও শিল্প) ধারাবাহিকভাবে পিছিয়ে রয়েছে, এবং এখনও অর্থপূর্ণভাবে ফলপ্রসূ হয়ে উঠতে পারেনি।

প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সহযোগিতা 

প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য গত এক দশকে বিভিন্ন চেষ্টা করা হয়েছে। ২০১২-১৪ সালের ইউএস-ইন্ডিয়া ডিফেন্স টেকনোলজি অ্যান্ড ট্রেড ইনিশিয়েটিভ (
ডিটিটিআই)–এর অধীনে অগ্রগতির অভাবের জন্য প্রায়শই দায়ী করা হয় উপযুক্ত যৌথ কাঠামোর অনুপস্থিতি এবং ভিত্তিগত চুক্তির উপসংহার টানতে বিলম্বকে। ফ্রেমওয়ার্ক ফর ইউএস-‌ইন্ডিয়া ডিফেন্স রিলেশনস (২০১৫), ভারতকে মেজর ডিফেন্স পার্টনার হিসাবে মনোনীত করা (২০১৬), এবং তিনটি মৌলিক চুক্তি (২০১৬ সালে লেমোয়া, ২০১৮ সালে কমকাসা ও ২০২০ সালে বিইসিএ) স্বাক্ষর করার মাধ্যমে এর মোকাবিলার চেষ্টা করা হয়েছিল। উভয় পক্ষের ডিটিটিআই সমন্বয়কারীরা বছরে দুবার মিলিত হতেন; একটি ডিটিটিআই ইন্টার-এজেন্সি টাস্ক ফোর্স এবং একটি ডিটিটিআই ইন্ডাস্ট্রি কোলাবরেশন ফোরাম তৈরি করা হয়েছিল; চারটি সার্ভিস-নেতৃত্বাধীন যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছিল (ভূমি ব্যবস্থা, নৌ ব্যবস্থা, বিমান ব্যবস্থা এবং বিমান বাহক প্রযুক্তি সহযোগিতা)। তবে প্রযুক্তি সহযোগিতায় নগণ্য অগ্রগতি হয়েছিল।

নতুন উদ্দীপনা প্রদানের জন্য ২০২২ সালের মে মাসে ইনিশিয়েটিভ অন ক্রিটিকাল অ্যান্ড ইমার্জিং টেকনোলজিস
(আইসেট) ঘোষণা করা হয়েছিল এবং জানুয়ারি ২০২৩ সালে তা চালু করা হয়েছিল। প্রযুক্তি সহযোগিতার একটি বড় ছত্র-‌কাঠামো হিসাবে এটি বাণিজ্যিক ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করে, এবং সেইসঙ্গে ভারত-‌মার্কিন কৌশলগত বাণিজ্য সংলাপ-‌এর সঙ্গেও এটি সংযুক্ত।


২০১২-১৪ সালের ইউএস-ইন্ডিয়া ডিফেন্স টেকনোলজি অ্যান্ড ট্রেড ইনিশিয়েটিভ (ডিটিটিআই)–এর অধীনে অগ্রগতির অভাবের জন্য প্রায়শই দায়ী করা হয় উপযুক্ত যৌথ কাঠামোর অনুপস্থিতি এবং ভিত্তিগত চুক্তির উপসংহার টানতে বিলম্বকে।



গত কয়েক মাসে, প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাঠামোগত আলোচনা এগিয়েছে, কিন্তু সুনির্দিষ্ট ফলাফল এখনও পাওয়া যায়নি। মূল চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে রয়েছে ভারতের ডিআরডিও-র সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি ক্ষেত্রের আরঅ্যান্ডডি প্রচেষ্টাকে সারিবদ্ধ করা, প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি বা মেধা সম্পত্তি অধিকার শেয়ার করা বা একসঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও শক্তিশালী সুরক্ষা ব্যবস্থা, প্রযুক্তিগত নেতৃত্ব বজায় রাখার কৌশলগত প্রয়োজন, দামি প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে একক স্বাতন্ত্র বজায় রাখা, এবং মূল প্রযুক্তির সুবিধার জন্য বাণিজ্যিক বিবেচনা।
সহ-উৎপাদনের জন্য সহ-উন্নয়নের প্রস্তাবটি প্রথম ডিটিটিআই-এর অধীনে প্রাথমিক বৈঠকগুলিতে উত্থাপিত হয়েছিল। দেখা যাচ্ছে এখনও অবধি এই প্রস্তাবে ভারতীয় পক্ষের উৎসাহে মার্কিন পক্ষের সমান সাড়া পাওয়া যায়নি।

সহ-উন্নয়ন দিয়ে শুরু করে সহ-উৎপাদনের দিকে অগ্রসর হওয়ার মডেলটির প্রশ্নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারা গৃহীত অনুরূপ সহযোগী প্রকল্পগুলি খতিয়ে দেখা কাজের হবে। অনেক ক্ষেত্রে এমনকি কট্টর মার্কিন মিত্ররাও তাদের নিজস্ব নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তার জন্য স্বাধীনভাবে নকশা বদল, পরিমার্জন, এবং প্লাগ-ইন সিস্টেম/সাব-সিস্টেম করার নমনীয়তা বজায় রাখতে সক্ষম হয়নি। নকশা এবং উন্নয়ন কাজের অংশে 'ব্ল্যাক বক্স' প্রকৃতি এবং কিছু মূল অংশ/সফটওয়্যারের কঠোর নিয়ন্ত্রণ নির্মূল করা যায়নি।

এই ধরনের সহযোগিতামূলক কর্মসূচির আরও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তবে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সামগ্রিক সুবিধাগুলি — ভূ-রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং প্রযুক্তিগত — ত্রুটিগুলিকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। মডেলটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত, উভয় পক্ষের শক্তিকে কাজে লাগানো এবং অন্যান্য অনুরূপ প্রোগ্রাম থেকে পাঠ অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। বাণিজ্যিক ও নিয়ামক চ্যালেঞ্জগুলি দ্রুত মোকাবিলা করতে হবে। ২০২৪-২৫ সালে এই জাতীয় কয়েকটি প্রকল্প ঘোষণা করা উচিত। এছাড়াও, কয়েকটি যৌথ প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্প আগামী দুই বছরের মধ্যে শুরু করা উচিত।



প্রতিরক্ষা উদ্ভাবনে সহযোগিতা

প্রযুক্তি, সিস্টেম ও পণ্যগুলিতে প্রতিরক্ষা উদ্ভাবনের প্রচেষ্টার সমন্বয়ের জন্য ২০২৩ সালের জুন মাসে ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা ত্বরণ বাস্তুতন্ত্র (
ইন্ডাস-এক্স) চালু করা হয়েছিল। এটি সংশ্লিষ্ট জাতীয় প্রতিরক্ষা বাস্তুতন্ত্রের ঘাঁটিগুলিকে সংযুক্ত করেছে — ভারতে ইনোভেশন ফর ডিফেন্স এক্সিলেন্স (আইডেক্স) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডিফেন্স ইনোভেশন ইউনিট (ডিআইইউ)। এটি চালু হওয়ার পর থেকে একটি সিনিয়র উপদেষ্টা গ্রুপ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে; ইন্ডাস-এক্স মিউচুয়াল প্রমোশন অফ অ্যাডভান্সড কোলাবোরেটিভ টেকনোলজিস (ইমপ্যাক্ট)-‌এর অধীনে প্রারম্ভিক যৌথ উদ্ভাবন চ্যালেঞ্জ (সমুদ্রের তলদেশে যোগাযোগ, তেল পড়া সনাক্তকরণ/একীকরণ ব্যবস্থা) চালু করা হয়েছে;‌ প্রতিরক্ষা বিনিয়োগকারী-স্টার্ট-আপ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে; এবং শিল্পের সঙ্গে অ্যাকাডেমিয়া কর্মশালা চালিত হয়েছে (ইউএস-ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিল এবং ইউএস-ইন্ডিয়া স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ ফোরাম দ্বারা সমর্থিত)।


প্রযুক্তি, সিস্টেম ও পণ্যগুলিতে প্রতিরক্ষা উদ্ভাবনের প্রচেষ্টার সমন্বয়ের জন্য ২০২৩ সালের জুন মাসে ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা ত্বরণ বাস্তুতন্ত্র (ইন্ডাস-এক্স) চালু করা হয়েছিল।



প্রাথমিক পদক্ষেপ এবং প্রতিরক্ষা উদ্ভাবনে একসঙ্গে কাজ করার প্রচেষ্টা ভাল, তবে বাস্তবায়নের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এখন শুরু হয়েছে। যৌথ তহবিল সহায়তা এবং সফল উদ্ভাবনের বাণিজ্যিকীকরণ সম্পর্কিত বিষয়গুলি পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা দরকার। ইন্ডাস-এক্স একটি প্রোটিজি-মেন্টর ধারণাকে পোষণ করে, যাকে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা এবং উপযুক্তভাবে সহজতর করা প্রয়োজন। অনেক ক্ষেত্রে, সশস্ত্র বাহিনী দ্বারা কার্যকর ব্যবহারের লক্ষ্যে উদ্ভাবনগুলিকে বৃহত্তর প্ল্যাটফর্ম এবং সিস্টেমগুলিতে একীভূত করতে সক্ষম করার জন্য উভয় পক্ষের মূল নির্মাতাদের সঙ্গে ক্রস-লিঙ্কিং ডিফেন্স স্টার্ট-আপগুলি গুরুত্বপূর্ণ হবে।


প্রতিরক্ষা শিল্প সহযোগিতা

২০২৩ সালের জুন মাসে স্বাক্ষরিত '
রোডম্যাপ ফর ইউএস-ইন্ডিয়া ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোঅপারেশন'-এর অধীনে প্রতিরক্ষা শিল্প সহযোগিতায় এখন অগ্রগতি হচ্ছে। রোডম্যাপে এই সহযোগিতার জন্য কিছু নীতির রূপরেখা দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে আছে নীতির পরিবর্তন, লাইসেন্সিং, রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা সরবরাহ ব্যবস্থা, এফডিআই, এবং প্রযুক্তি স্থানান্তর। এটি সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে ব্যবসা-থেকে-ব্যবসায়িক মিথস্ক্রিয়া বাড়ানো এবং বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারতীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের একীকরণকে উন্নীত করার চেষ্টা করেছিল। দুই পক্ষের সমবায় প্রকল্পের ধারণা, উদ্ভাবন এবং সহযোগিতার সুযোগের অগ্রগতি ছিল।

দুটি বড় প্রকল্পে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রথমটি হল 
জিই-‌৪১৪ এরো-ইঞ্জিনগুলির সহ-উৎপাদনের জন্য জিই ও হ্যাল-এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক, যেখানে আগামী মাসগুলিতে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ দ্বিতীয়টি হল ৩১টি এমকিউ ৯বি ড্রোন সংগ্রহ করা (যার মধ্যে ভারতে এসেম্বলি এবং গ্লোবাল এমআরও থাকবে), যার জন্য ভারত লেটার অফ রিকোয়েস্ট (এলওআর) দেওয়ার কাজ শুরু করেছে এবং শীঘ্রই একটি লেটার অফ অফার অ্যান্ড অ্যাকসেপ্টেন্স (এলওএ) প্রত্যাশিত। এই প্রকল্পগুলি অবশ্য রোডম্যাপের সরাসরি ফলাফল নয়, যদিও এগুলির উদ্দেশ্যগুলিতে অবদান রাখার সম্ভাবনা রয়েছে৷


প্রতিরক্ষা শিল্প সহযোগিতার রোডম্যাপটি স্বল্পমেয়াদি নির্দেশিকা হিসাবে তৈরি করা হয়েছে, এবং মার্কিন-ভারত প্রতিরক্ষা সম্পর্কের জন্য ২০১৫ ফ্রেমওয়ার্কের পরিকল্পিত আধুনিকীকরণ-‌সহ শীঘ্রই এটি সংশোধিত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। 



বেশ কিছু বেসরকারি ভারতীয় প্রতিরক্ষা এবং মহাকাশ সংস্থা এখন কিছু বড় মার্কিন সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে ডিজাইন, কম্পোনেন্ট এবং অ্যাসেম্বলি তৈরির জন্য এবং তাদের বৈশ্বিক প্রয়োজনীয়তার জন্য সিস্টেম ইন্টিগ্রেশনের লক্ষ্যে। এই ব্যবস্থাগুলিকে শিল্প সহযোগিতার পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য দুইটি বাস্তুতন্ত্র এক দশক আগের তুলনায় আরও ভাল অবস্থানে রয়েছে। প্রতিরক্ষা শিল্প সহযোগিতার রোডম্যাপটি স্বল্পমেয়াদি নির্দেশিকা হিসাবে তৈরি করা হয়েছে, এবং মার্কিন-ভারত প্রতিরক্ষা সম্পর্কের জন্য ২০১৫ ফ্রেমওয়ার্কের পরিকল্পিত আধুনিকীকরণ-‌সহ শীঘ্রই এটি সংশোধিত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। যাই হোক, কাঠামো ও ধারণা থেকে এবার কর্মসূচি এবং প্রকল্প সূচনা করার প্রয়োজন রয়েছে।


উপসংহার

ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি এবং শিল্প সহযোগিতার অভিন্ন উদ্দেশ্যগুলির জন্য বহু বছর এবং যথেষ্ট প্রচেষ্টা বিনিয়োগ করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি সক্ষম চুক্তি, কাঠামো, সংস্থা ও রোডম্যাপ সহ বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি চূড়ান্ত করা হয়েছে। ২০২৩ সালের জুনে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফরকে এই প্রচেষ্টাগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। যদিও ২+২ সংলাপসহ বিভিন্ন স্তরে পর্যালোচনাগুলি খুবই কাজের, সরবরাহযোগ্যগুলি সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ব্যাখ্যা এবং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য অভিন্ন অঙ্গীকার প্রয়োজন। সমসাময়িক বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, বিচ্যুতির কয়েকটি ক্ষেত্র, উভয় দিকে বিদ্যমান ও বিকশিত প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব, এবং উভয় দেশের আসন্ন নির্বাচনের দিকে মনোনিবেশ করার ঘটনাগুলির দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার এই মূল ক্ষেত্রে গতি কমানো উচিত নয়। ফ্রেমওয়ার্ক ও কোর গ্রুপের একটি সিরিজ থেকে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন এবং বাস্তবে অনুবাদ করার জন্য পরবর্তী দুই থেকে তিন বছর গুরুত্বপূর্ণ হবে। সরবরাহযোগ্যতার অতি-গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় শীঘ্রই শুরু হতে হবে।




গিরিশ লুথরা অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন বিশিষ্ট ফেলো

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.