Author : Sabine Ameer

Published on May 22, 2024 Updated 0 Hours ago

নাগর্নো-কারাবাখের পতন ককেশাস এবং তার বাইরে একটি নতুন ভূ-রাজনৈতিক ব্যবস্থার উত্থানকে চালিত করতে পারে।

নাগর্নো-কারাবাখের পতন এবং তার প্রভাব

আর্মেনিয়া আজারবাইজান অন্তত গত তিন দশক ধরে নাগর্নো-কারাবাখ (আর্মেনিয়ায় আর্টসাখ নামেও পরিচিত) অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধিতা করছে। চিরাচরিত ভাবে, নাগর্নো-কারাবাখের সংখ্যাগরিষ্ঠ আর্মেনীয় মানুষ এবং আর্মেনীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সুবিশাল অংশের সঙ্গে ঐতিহাসিক আর্মেনিয়ার একটি অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। তা সত্ত্বেও বাকু বিতর্কিত অঞ্চলটির উপর দাবি করে আসছে, যেহেতু এটি আজারবাইজানের ভৌগোলিক পরিসরের মধ্যে পড়ে। নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলটি অন্তত গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সরকারের শাসনের আওতায় ছিল, যেটিকে আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। এ পর্যন্ত তিনটি সহিংস সংঘর্ষে দুই দেশ-রাষ্ট্র একে অপরের সম্মুখীন হয়েছে। নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলে গত সেপ্টেম্বর মাসে ২৪ ণ্টা ব্যাপী সংঘর্ষের পরেও যা খতিয়ে দেখা হয়নি তা হল নাগর্নো-কারাবাখের পতনের প্রভাব, যেটি সম্ভবত ককেশাস এবং তার সীমা ছাড়িয়েও একটি নতুন ভূ-রাজনৈতিক ব্যবস্থার জন্ম দিয়েছে।

 

আজারবাইজানের আর্টসাখ দখল: একটি নতুন ভূ-রাজনৈতিক ব্যবস্থা?

নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের আজারি দখলের সঙ্গে সঙ্গে জাঙ্গেজুরের দিকে আরও মনোযোগ দেওয়া হয়েছেএটি ইরানের সঙ্গে ৪০ মাইল দীর্ঘ সীমান্ত বরাবর আর্মেনীয় কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে একটি প্রত্যন্ত অথচ কৌশলগত অঞ্চল। এই অঞ্চলে একটি সোভিয়েত যুগের অপ্রচলিত রেলপথ - যাকে এখন জাঙ্গেজুর করিডোর হিসাবে পুনর্গঠিত করা হয়েছে - আজারবাইজানকে নাখচিভানের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য পরিকল্পিত হয়েছে। নাখচিভান আবার হল আজারবাইজানের একটি ভূখণ্ডবেষ্টিত অঞ্চল, যা আর্মেনীয় ভূখণ্ড দ্বারা দেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন। অঞ্চলটি আজারবাইজান তুর্কিয়ে উভয়ের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ কারণ জাঙ্গেজুর করিডোরটি ইয়েরেভান-তেহরান সীমান্তের নিকটবর্তী অঞ্চলে আর্মেনিয়া বরাবর বাকু থেকে কার্সকে সংযোগকারী একটি কৌশলগত পরিবহণ পথের সুযোগ করে দেবে। তুর্কিয়ে আজারবাইজানের নাগর্নো-কারাবাখ দখলকে জাঙ্গেজুর করিডোর (পুনরায়) চালু করার সোপান হিসাবে দেখা হলেও এটি ককেশাস অঞ্চলের ভূ-রাজনীতির জন্য সুদূরপ্রসারী পরিণতি ডেকে আনতে পারে। ইরানের আশঙ্কা এই যে, প্রকল্পটি আর্মেনিয়ার সঙ্গে তার সীমানাকে অবরুদ্ধ করতে পারে এবং এর ফলস্বরূপ ইরান স্পষ্টতই ইঙ্গিত দিয়েছে যে, জাঙ্গেজুর দখল করার জন্য আজারবাইজানের প্রচেষ্টা একটি সামরিক প্রতিক্রিয়ার সূচনা করবে এবং স্বাভাবিক ভাবেই তা আজারবাইজানের রাজনৈতিক মিত্র তুর্কিয়েকে বিষয়টির মধ্যে টেনে আনবে।

 

অঞ্চলটি আজারবাইজান তুর্কিয়ে উভয়ের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ কারণ জাঙ্গেজুর করিডোরটি ইয়েরেভান-তেহরান সীমান্তের নিকটবর্তী অঞ্চলে আর্মেনিয়া বরাবর বাকু থেকে কার্সকে সংযোগকারী একটি কৌশলগত পরিবহণ পথের সুযোগ করে দেবে।

 

জাঙ্গেজুর আজারবাইজানের সঙ্গে তার শক্তি সংযোগ জোরদার করার জন্য তুর্কিয়েকে এক কার্যকর সুযোগও প্রদান করে। আর্টসাখ দখলের এক সপ্তাহের মধ্যে আজারবাইজান তুর্কিয়ে একটি নাখচিভান গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ শুরু করে। এই পাইপলাইনটি তুর্কিয়ে-আজারবাইজান সীমান্ত পেরিয়ে ইগদির অর্থাৎ তুর্কিয়ের মধ্যে ৫০ মাইল এবং নাখচিভানে আরও ১১ মাইল পর্যন্ত সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। নাখচিভান বর্তমানে তার তেল সরবরাহের জন্য ইরানের উপর নির্ভরশীল এবং নাখচিভান গ্যাস পাইপলাইন আজারবাইজানকে তার প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহকারী করে তুলবে। এর ফলে একটি উচ্চাভিলাষী জ্বালানি পরিবহণ পথ হিসাবে জাঙ্গেজুর করিডোরের আজেরি তুর্কীয় দৃষ্টিভঙ্গি সহজতর হবে। করিডোরটির কাজ সম্পন্ন হলে তা নাখচিভানের মাধ্যমে তুর্কিয়ে আজারবাইজানের মধ্যে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ককে জোরদার করতে পারে। যদিও কথা অস্পষ্ট রয়ে গিয়েছে যে, জাঙ্গেজুর করিডোর আর্মেনীয় সার্বভৌমত্বের ঊর্ধ্বে উঠে আর্মেনীয় ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে একটি পূর্ণ মাত্রার করিডোর হয়ে উঠবে কি না। এবং এই প্রসঙ্গটিই এই অঞ্চলে একটি নতুন সংঘাতের সূত্রপাত করতে পারে, যা ইউরেশীয় জ্বালানি বাজারগুলিকে ব্যাহত করার সমূহ সম্ভাবনা ধারণ করে।

আজারবাইজানে তেলের অস্তিত্ব দক্ষিণ ককেশাসে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আগ্রহকে চালিত করার অন্যতম কারণ। উদাহরণস্বরূপ, রাশিয়া ও ইউক্রেনের  মধ্যে বিদ্যমান যুদ্ধের মাঝেই দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলে সংঘাতের আরও কোনো বৃদ্ধি দৃশ্যত আজারবাইজান থেকে ইউরোপে তেল ও গ্যাস রফতানিকে ব্যাহত করতে পারে। তাই দক্ষিণ ককেশীয় সঙ্কটের বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রণোদনা এখন ঝুঁকির সম্মুখীন। এক দিকে, সামরিক সংঘাতের সময় রাশিয়া আর্মেনিয়াকে রক্ষা করার জন্য চুক্তির মাধ্যমে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে (পরে ২০১০ সালে স্বাক্ষরিত সম্প্রসারিত প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে তার সংস্কার করা হয়েছে) এবং অন্য দিকে তুর্কিয়ে ঐতিহাসিক ভাবে আজারবাইজানের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করেছে। অতীতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারকেও বিরোধপূর্ণ স্বার্থগুলি মিটমাট করতে হয়েছিল মূলত তার নিজস্ব মার্কিন-আর্মেনীয় সম্প্রদায়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে এবং আজারবাইজানের কাস্পিয়ান সাগরের তেলের ভাণ্ডার কেন্দ্রীভূত করে বিকল্প তেল পাইপলাইন রুটগুলি সুরক্ষিত করার মার্কিন অভ্যন্তরীণ উদ্দেশ্যের কারণে। এই ভাবে দক্ষিণ ককেশাসে যে কোন সঙ্কট কেবল আর্মেনিয়া আজারবাইজানের প্রত্যক্ষ শক্তিগুলিকেই সম্পৃক্ত করবে না, বরং একই সঙ্গে তুর্কি, ইরানীয়, রুশ, মার্কিন, ইউরোপীয় এবং বিশেষ করে ফরাসিরা এই অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ পরোক্ষ শক্তি হিসেবে সম্পৃক্ত হয়ে পড়বে।

 

নাখচিভান বর্তমানে তার তেল সরবরাহের জন্য ইরানের উপর নির্ভরশীল এবং নাখচিভান গ্যাস পাইপলাইন আজারবাইজানকে তার প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহকারী করে তুলবে। এর ফলে একটি উচ্চাভিলাষী জ্বালানি ট্রানজিট রুট হিসাবে জাঙ্গেজুর করিডোরের আজেরি তুর্কীয় দৃষ্টিভঙ্গি সহজতর হবে।

 

রুশ বিপর্যয়: চিনের বিআরআই-এর জন্য একটি সুযোগ

সোভিয়েত-পরবর্তী রাজনৈতিক পরিসরে গত তিন দশক ধরে রাশিয়ার প্রধান লক্ষ্য হল অন্তত রাজনৈতিক ভাবে পূর্ববর্তী ইউএসএসআর-এর প্রাক্তন প্রজাতন্ত্রগুলিকে পুনঃএকত্রিত করা এবং পুনঃসংহত করা। যাই হোক, নিজের পরিধি বরাবর এ হেন হিমায়িত সংঘাত আসলে রাশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য অনুকূল, যা ককেশাস ও মলদোভার মতো অঞ্চলের দেশগুলিকে ইউরো-আটলান্টিক সমন্বিতকরণের পথে বাধা দেবে। উদাহরণস্বরূপ, মলদোভা-ট্রান্সনিস্ট্রিয়া সংঘর্ষে মস্কোর পদ্ধতি ছিল মলদোভাকে ন্যাটো ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদান থেকে বিরত রাখা। নাগর্নো-কারাবাখ বিরোধের প্রেক্ষিতে পশ্চিমের সঙ্গে আরও ভাল কূটনৈতিক সম্পর্কের সম্ভাবনাকে বাদ দিয়ে এই অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীল রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল রাখাই হল রাশিয়ার প্রধান উদ্দেশ্য। নাগর্নো-কারাবাখ দ্বন্দ্ব প্রকৃতপক্ষে সোভিয়েত-পরবর্তী পরিসরে বেশ কয়েকটি হিমায়িত সংঘাতের মধ্যে অন্যতম হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে বিনষ্ট করেছে।

সহজাত ভাবে রাশিয়া নাগর্নো-কারাবাখের মাটিতে যুদ্ধ হতে দিতে নারাজ এবং এখন নিঃসন্দেহে জাঙ্গেজুর নিয়ে বিতর্ক একটি পূর্ণ মাত্রার সঙ্কটে পরিণত হয়েছে কারণ এটি ককেশাস সমগ্র সোভিয়েত-পরবর্তী পরিসর… উভয় ক্ষেত্রেই তার দীর্ঘ রাজনৈতিক অবস্থানকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। বেলারুশের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ইউক্রেনের বিদ্যমান যুদ্ধ রাশিয়াকে এই ইঙ্গিত দেয় যে, ককেশাস-সহ এই অঞ্চলে তার নেতৃত্ব অত্যন্ত হুমকির মুখে পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আর্মেনিয়ার সাম্প্রতিক যৌথ সামরিক মহড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) রোম সংবিধির অনুমোদন - যা ভ্লাদিমির পুতিনকে গ্রেফতারের দাবি করে – এই হুমকির স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়। এর পাশাপাশি, ইউক্রেনের যুদ্ধ ইউএসএসআর-পরবর্তী অঞ্চলে চিরাচরিত নিরাপত্তা প্রদানকারী হিসেবে রাশিয়ার ভাবমূর্তিকে গভীর ভাবে খর্ব করেছে। নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের পতন এবং ন্যাটো ইইউ উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে কেন্দ্র করে বিদ্যমান আর্মেনীয়, এমনকি জর্জীয় বক্তব্য স্পষ্টতই রাশিয়ার জন্য এক ভূ-রাজনৈতিক পরাজয়ের ইঙ্গিত দেয়, যা রাশিয়ার ভাবমূর্তিতে এক বিশাল ধাক্কা।

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আর্মেনিয়ার সাম্প্রতিক যৌথ সামরিক মহড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) রোম সংবিধির অনুমোদন - যা ভ্লাদিমির পুতিনকে গ্রেফতারের দাবি করে – এই হুমকির স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়।

 

নাগর্নো-কারাবাখের পতনের সঙ্গে সঙ্গেই আজারবাইজানের সঙ্গে এটির সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমন্বিতকরণ নিয়ে আন্তর্জাতিক আলোচনা চলছে এবং জাঙ্গেজুর করিডোর সংক্রান্ত আলোচনা ফের প্রকাশ্যে এসেছে। চিন দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলে বিশেষ করে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের জন্য বিদ্যমান সঙ্কটের প্রেক্ষিতে এক স্পষ্ট রাজনৈতিক সুবিধাভোগী হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। বেজিং ইউরোপে এমন পরিবহণ পথ তৈরি করছে, যা রাশিয়াকে এড়িয়ে যেতে পারে। এই পথগুলির মধ্যে অন্যতম কাজাখস্তান থেকে আজারবাইজান এবং পরবর্তীতে জর্জিয়া, তুর্কিয়ে এবং শেষ পর্যন্ত ইউরোপে পৌঁছনোর জন্য কাস্পিয়ান সাগর অতিক্রম করবে নাখচিভান আজারবাইজানের মধ্যে করিডোরটি বেজিংকে দক্ষিণ ককেশাস হয়ে ইউরোপে যাওয়ার আর কটি পথ প্রদান করতে পারে: একটি পথ জর্জিয়া হয়ে এবং অন্যটি দক্ষিণ আর্মেনিয়া নাখচিভান হয়ে। যে কোন অর্থনৈতিক সহযোগিতা আর্মেনীয় ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে নাখচিভান পরিসরকে সংযুক্ত করার সম্ভাবনা অবশেষে চিনকে আজারবাইজান ও কাস্পিয়ান সাগরের মাধ্যমে তুর্কিয়ে মধ্য এশিয়াকে সংযুক্ত করবে, যা বিআরআই-এর কার্যকারিতার জন্য একটি অপরিহার্য যোগসূত্র।

কাস্পিয়ান সাগরের সঙ্গে সংযোগগুলি অবশেষে চিনকে পাকিস্তান এবং ভারতে (তার দীর্ঘস্থায়ী প্রতিদ্বন্দ্বীমূলক প্রতিবেশীর মাধ্যমে) সরাসরি পথ সরবরাহ করতে পারে। সুতরাং, এই পথ বাস্তবায়িত হলে আজারবাইজান কর্তৃক আর্টসাখের দখল থেকে চিনকে রাজনৈতিক সুবিধা প্রদান করবে এবং সম্ভবত ভারতের উপরেও কিছু গুরুতর ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। রাশিয়া শুধু মাত্র ককেশাসেই নয়, বরং ইউএসএসআর-পরবর্তী বৃহত্তর জাতি-রাষ্ট্র বিশ্বে শান্তির দূত হিসেবে নিজের জায়গা হারাচ্ছে (আংশিক ভাবে ইউক্রেনে বিদ্যমান যুদ্ধের কারণেও), ইরান বাকুকে সামরিক প্রতিরোধের হুমকি দিচ্ছে এবং চিনাগর্নো-কারাবাখের পতনের সম্ভাব্য সুবিধাপ্রাপকদের মধ্যে অন্যতম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এই নতুন ভূ-রাজনৈতিক শৃঙ্খলার উত্থানের মাঝেই পশ্চিম এখনও বাকুর সঙ্গে শক্তির সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করবে না কি পশ্চিমী আর্মেনীয় সম্প্রদায়ের অভিযোগের সমাধান করবে তা নিয়ে এখনও রাজনৈতিক দ্বিধার সম্মুখীন।

 


সাবিনে আমির ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব গ্লাসগো-র পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস-এর ডক্টরাল গবেষক।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.