Published on Apr 18, 2025 Updated 0 Hours ago

ট্রাম্পের এফ-৩৫ প্রস্তাব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের যুদ্ধবিমান ক্রয় সংক্রান্ত সমস্যাটি আরও জটিল হয়ে উঠেছে, যা কার্যকরী দক্ষতা, কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন এবং ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

এফ-৩৫ বাজি: ভারত কি এই ঝুঁকি নেবে?

ভারতের ১১৪টি বহুমুখী যুদ্ধবিমানের জরুরি অনুসন্ধান পঞ্চম প্রজন্মের উন্নয়ন কর্মসূচির আকাঙ্ক্ষা আরও জটিল হয়ে উঠেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এফ-৩৫ জয়েন্ট স্ট্রাইক ফাইটার-এর (জেএসএফ) একটি আশ্চর্যজনক প্রস্তাব দিয়েছেন অন্য দিকে রাশিয়া এই বছরের মধ্যেই হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড-এর (এইচএএল বা হ্যাল) সঙ্গে মিলে তাদের এস-৫৭ ই ফেলন উৎপাদনে ভারতের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করার প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবগুলি মূলধারা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, যা ব্যাপক বিতর্ক জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছে। আমেরিকা ভারতে সামরিক বিক্রয় বৃদ্ধির পাশাপাশি বাণিজ্য শুল্ক আরোপের সুযোগ গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে এই প্রস্তাবটি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। তাৎক্ষণিক ভাবে দুটি প্রশ্ন সামনে উঠে এসেছে: এই প্ল্যাটফর্মটি কি ভারতীয় বিমান বাহিনীর (আইএএফ) কার্যকরী প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে, যার ক্রমশ ক্ষয়প্রাপ্ত ফাইটার স্কোয়াড্রন বেঞ্চ ক্ষমতা বিদ্যমান? এই চুক্তি কি ভারতের ভূ-রাজনৈতিক গতিশীলতার জন্য কৌশলগত ভাবে অর্থবহ?

আমেরিকা ভারতে সামরিক বিক্রয় বৃদ্ধির পাশাপাশি বাণিজ্য শুল্ক আরোপের সুযোগ গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে এই প্রস্তাবটি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

একটি যুদ্ধবিমানের বিশ্লেষণ আসলে প্রচারিত হচ্ছে এমন সহজ সংখ্যাতাত্ত্বিক তুলনার চাইতেও অনেক জটিল। এফ-৩৫ একটি সমস্যাপূর্ণ ক্ষেত্র, যা পরীক্ষার নির্দেশিকা মিশন প্রস্তুতির লক্ষ্য পূরণের চেষ্টার ক্ষেত্রে গুরুতর নির্ভরযোগ্যতা, প্রাপ্যতা রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারির শেষে প্রকাশিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফিসকাল ইয়ার ২০২৪ অ্যানুয়াল অপারেশনাল টেস্ট অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন রিপোর্ট অনুসারে কিছু মূল বিষয় হল, এর স্টিলথ বৈশিষ্ট্যগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করা কঠিন তা সম্পূর্ণ রূপে পরীক্ষা করা হয়নি এবং এর লজিস্টিক সমস্যাটিও এত দীর্ঘ যে, তা স্থাপন করাও কঠিন। ব্যয় বৃদ্ধি আর একটি চ্যালেঞ্জ কারণ প্রায় ৩,০০০ এফ-৩৫ তৈরি কেনার জন্য ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমান করা হয়েছিল, যা আজ ,৪৫৬টি প্ল্যাটফর্মের বহরের জন্য দ্বিগুণ হয়ে ৪১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। জেএসএফ-কে ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের ট্রেনরেকবলা হয়েছে যা মার্কিন বিমান বাহিনীর কোষাগার প্রায় শূন্য করে দিয়েছে।(১) এই প্রকল্পটি ইলন মাস্কেরও নজরে এসেছে, যিনি সরকারি ব্যয়ে আর্থিক কর্তনের জন্য মার্কিন সরকারের দক্ষতা বিভাগের অনানুষ্ঠানিক নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অতিরিক্ত দামি এফ-৩৫ স্কোয়াড্রনের সংখ্যা মারাত্মক ভাবে সীমিত করবে এবং ভারতের প্রচলিত প্রতিরোধ ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য স্কোয়াড্রনের সংখ্যা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন সি-১৭, সি-১৩০ এবং অ্যাপাশে বহরের মতো নিবেদিতপ্রাণ রক্ষণাবেক্ষণ মেরামতের অবকাঠামো, সুযোগ-সুবিধা সরঞ্জাম স্থাপনের জন্য এর বিশাল খরচ হবে, যা এখনও প্রকাশ্যে আসেনিতার পরে রয়েছে পরিবেশ-নিয়ন্ত্রিত ভাণ্ডার এবং পরীক্ষার সুবিধা কার্যকরী অভিযানকে সহায়তা প্রদানকারী ব্যবস্থা-সহ অস্ত্রের খরচ। আইএএফ যে সীমিত সংখ্যক স্কোয়াড্রন বহন করতে পারে, তার অর্থ হল এটি কার্যকর ভাবে রুশ ফরাসি প্ল্যাটফর্মের ইতিমধ্যেই বৈচিত্র্যময় বহরে কোনও রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত সর্বাঙ্গীন আন্তঃকার্যক্ষমতা ছাড়াই কোনও দেশ-নির্দিষ্ট বিকল্প যোগ করতে পারত, যা এর বহর ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জগুলিকে আরও বাড়িয়ে তুলত।

অতিরিক্ত দামি এফ-৩৫ স্কোয়াড্রনের সংখ্যা মারাত্মক ভাবে সীমিত করবে এবং ভারতের প্রচলিত প্রতিরোধ ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য স্কোয়াড্রনের সংখ্যা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ।

কঠোর মার্কিন বিদেশি সামরিক বিক্রয় নীতি এবং নিয়মাবলির অর্থ হল, অপারেশনাল মিশন-প্রোগ্রামিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ফাইটার রাডার, রাডার ওয়ার্নিং রিসিভার, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার (ইডব্লিউ) সরঞ্জাম এবং আত্মরক্ষা করতে সক্ষম স্যুটগুলির নিয়ন্ত্রণ সোর্স কোডগুলি মার্কিন উৎপাদিত সমস্ত বিমানের সঙ্গে উপলব্ধ নয়। এটি সম্ভবত আইএএফ-এর দৃষ্টিকোণ থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কার্যকরী সীমাবদ্ধতা। এই প্ল্যাটফর্মগুলি কার্যকর ভাবে স্বতন্ত্র কারণ এগুলি আইএএফ-এর নেট-কেন্দ্রিক অভিযানে এসইউ ৩০, এয়ারবোর্ন ওয়ার্নিং কম্যান্ড সিস্টেম, এয়ারবোর্ন আর্লি ওয়ার্নিং কন্ট্রোল এয়ারক্রাফ্ট, পারিপার্শ্বিক রাডার এবং অ্যাক্টিভ ডিনায়াল সিস্টেম-এর (এডিএস) মূল ভিত্তি বহরের ডেটা-লিঙ্ক এবং নেটওয়ার্কিং প্রোটোকল হিসাবে সমন্বিত করতে সক্ষম হবে না। এর অর্থ হল প্ল্যাটফর্মটি আইএএফ-এর আক্রমণাত্মক কাউন্টার-এয়ার মিশন কৌশলগত ভাবে গভীর স্ট্রাইক মিশনে প্রতিপক্ষ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় অনুপ্রবেশ, আক্রমণ বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় কোনও কম্পোজিট মাল্টি-প্ল্যাটফর্ম প্যাকেজের অংশ হতে পারে না। এটি ভবিষ্যতে আইএএফ-এর সমন্বিত বিমান অভিযান এবং যৌথ অভিযানের অংশ হবে না, যেখানে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর আকাশ ও ভূখণ্ড সংক্রান্ত সেন্সর এবং শ্যুটাররা যুদ্ধ শৃঙ্খলের সঙ্গে যুক্ত ভবিষ্যতের যৌথ যুদ্ধক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য। এর একক ইঞ্জিন কেবল এর যুদ্ধে বেঁচে থাকার ক্ষমতাকেই প্রভাবিত করবে না, বরং বিমানের উচ্চ খরচ পাখি-নিবিড় পরিবেশে শান্তিকালীন প্রশিক্ষণের জন্য একটি গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণ হবে।

পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং সামরিক সহায়তার দীর্ঘ ইতিহাস - যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার সামরিক বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত হাতিয়ার - পাকিস্তান বিমান বাহিনীর প্রধান ভিত্তি এফ-১৬ বহরের বিরুদ্ধে এফ-৩৫-এর যুদ্ধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি অতিরিক্ত গতিশীলতা হিসেবে কাজ করবে। একই ভাবে, আইএএফ-এর রুশ যুদ্ধবিমান, ইডব্লিউ সরঞ্জাম এবং এডি অস্ত্র ব্যবস্থার সঙ্গে দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করার বিষয়টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি সমস্যা হবে। ভারতের উত্তর সীমান্তের কাছাকাছি চিনা ইলেকট্রনিক সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স সেন্সর-সহ প্ল্যাটফর্মটি পরিচালনার ক্ষেত্রে শান্তিকালীন বিধিনিষেধও থাকা বাধ্যতামূলক, যা আইএএফ-এর কার্যকরী স্বাধীনতাকে আরও প্রভাবিত করবে।

পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং সামরিক সহায়তার দীর্ঘ ইতিহাস - যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার সামরিক বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত হাতিয়ার - পাকিস্তান বিমান বাহিনীর প্রধান ভিত্তি এফ-১৬ বহরের বিরুদ্ধে এফ-৩৫-এর যুদ্ধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি অতিরিক্ত গতিশীলতা হিসেবে কাজ করবে।

কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে, প্রথম বারের মতো মার্কিন যুদ্ধবিমান কেনার ফলে দীর্ঘস্থায়ী ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক কী ভাবে প্রভাবিত হবে, তা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা প্রয়োজন। এই চুক্তি অবশ্যই ভারতের নিজস্ব পঞ্চম প্রজন্মের অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট ডেভেলপমেন্ট, এর ভবিষ্যৎ কমব্যাট এয়ার টিমিং সিস্টেম প্রোগ্রাম এবং ভবিষ্যতের এডি সিস্টেমের উপর প্রভাব ফেলবে কারণ এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, এগুলি যেন আইএএফ-এর সমস্ত মূলধারার যুদ্ধ প্ল্যাটফর্ম এবং অ-মার্কিনসেন্সরগুলির সঙ্গে কার্যকর ভাবে সমন্বিত হয়। মার্কিন সরবরাহকৃত ইঞ্জিনের উপর নির্ভর করে থাকা এবং ইতিমধ্যেই বিলম্বিত তেজস যুদ্ধবিমানের উন্নয়ন ভারতের জন্য একটি বড় সমস্যাকেই তুলে ধরে। ভারতের কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন সংরক্ষণ সুনিশ্চিত করার জন্য রাশিয়া ফ্রান্সের সঙ্গে দীর্ঘ, স্থিতিশীল তুলনামূলক ভাবে আরও নির্ভরযোগ্য কৌশলগত সম্পর্কের বিপরীতে মার্কিন প্রস্তাবটির নিবিড় ভাবে মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। এ কথা বিবেচনা করা উচিত যে, রাফাল এবং এস-৫৭ সংস্কার সংক্রান্ত কর্মসূচি’, ‘ভারসাম্যপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম’, ‘মার্কিন সামগ্রী মুক্তএবং দীর্ঘমেয়াদে পরিচালনার জন্য আরও সুলভ মূল্যের হয়(২)

ভারতের কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন সংরক্ষণ সুনিশ্চিত করার জন্য রাশিয়া ফ্রান্সের সঙ্গে দীর্ঘ, স্থিতিশীল তুলনামূলক ভাবে আরও নির্ভরযোগ্য কৌশলগত সম্পর্কের বিপরীতে মার্কিন প্রস্তাবটির নিবিড় ভাবে মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।

দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে আইএএফ-এর ক্রমহ্রাসমান যুদ্ধ শক্তি রোধ করার প্রয়োজনীয়তা, বিশেষ করে ১১৪টি মাল্টি-রোল ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট (এমএফআরএ) কেনার জরুরি প্রয়োজনের সঙ্গে সঙ্গে তার নিম্নগামী গতি অব্যাহত রয়েছে। সিদ্ধান্তহীনতা, উদাসীনতা, একটি ভঙ্গুরক্রয় ব্যবস্থা(৩) এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিণতিগুলি  উপলব্ধি করার ব্যর্থতার দরুন সমস্যাটি জটিল হয়ে পড়েছে। দেশের এমএফআরএ প্রয়োজনীয়তা দেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধ বিমান উৎপাদন আকাঙ্ক্ষা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এবং ইতিমধ্যেই জটিলতার আরও তীব্রতা রোধ করার জন্য এই পার্থক্য নিরূপণ অপরিহার্য। দেশের প্রচলিত প্রতিরোধে বিমান শক্তির অবদান যাতে আরো দুর্বল হয়ে না পড়ে, সে জন্য একটি দ্রুত এমএফআরএ ক্রয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কারণ এটি সরাসরি আকাশ, স্থল এবং সমুদ্র ক্ষেত্রে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার উপর প্রভাব ফেলবে। ভারতীয় সামরিক বাহিনী বিমান শক্তিকে  উপেক্ষা করার সাহস পাবে না কারণ আমাদের দুটি প্রধান প্রতিপক্ষের শক্তিশালী বিমান বাহিনী রয়েছে। অন্য দিকে, পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের প্রয়োজনীয়তা হল প্ল্যাটফর্ম, সিস্টেম অস্ত্রের সক্ষমতা ক্রমাগত উন্নত করার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতা সুনিশ্চিত না করা হলে, ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিমান শক্তি দ্রুত হ্রাস পাবে। ভারতের প্রতিপক্ষের তালিকায় পঞ্চম ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের অনিবার্য বিস্তার বিবেচনা করে, দেশের প্রচলিত প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করার জন্য সামরিক বাহিনী-চালিত বিকল্পটিকে বেছে নিতে হবে, যা এর ভবিষ্যতের বৃদ্ধি, ভূ-রাজনৈতিক গতিপথ এবং কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ।

 


এয়ার মার্শাল ডক্টর দীপ্তেন্দু চৌধুরী নয়াদিল্লির ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের প্রাক্তন কম্যান্ড্যান্ট।

 


নিবন্ধে প্রকাশিত মতামত লেখক(দের) ব্যক্তিগত।

২) আইবিইডি

৩) ভাস্বর কুমার, ‘এমওডি টু রিফর্ম প্রোকিওরমেন্ট পলিসি ইন ৬-১২ মান্থস ডিফেন্স সেক্রেটার’, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.