মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের মধ্যে ‘চিপ যুদ্ধ’ তাদের প্রতিযোগিতামূলক সম্পর্কের কাঠামোগত গতিশীলতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। যেহেতু বাইডেন প্রশাসন চায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ন্ত্রণ করতে, ডেটা ব্যবহারের ব্যবস্থাপনা করতে, এবং চিনের উপর একটি প্রযুক্তিগত সুবিধা সুরক্ষিত করতে, আর সেইসঙ্গে দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনা আরও উচ্চ পর্যায়ে যাওয়া রোধ করতে, তাই চিনের বিরুদ্ধে বাইডেন প্রশাসনের দ্বারা আরোপিত চিপ প্রবিধানগুলি প্রতিযোগিতার একটি কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের মধ্যে ‘চিপ যুদ্ধ’ তাদের প্রতিযোগিতামূলক সম্পর্কের কাঠামোগত গতিশীলতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে চিপ–এর ভূ–রাজনীতি এবং তাদের বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণকারী নিয়মগুলির কেন্দ্র হল প্রযুক্তি স্থানান্তর; এবং তা মার্কিন–চিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে স্পষ্ট। বিশ্ব মঞ্চে দেশগুলি প্রাথমিকভাবে তাদের উন্নত চিপ উৎপাদন ও পূর্বাভাসযোগ্যতা নিশ্চিত করার জন্য পুনর্গঠিত জোটগুলির মাধ্যমে ডেটা প্রক্রিয়াকরণ, সঞ্চয় ও সংগ্রহের ক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধি করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাইডেন প্রশাসনের পূর্ববর্তী অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উদ্যোগগুলি চিনের উপর সুবিধা অর্জনের লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছিল। এই দিকে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রাথমিক পদক্ষেপ ছিল সিঙ্গাপুর–ভিত্তিক ব্রডকম দ্বারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান চিপ প্রস্তুতকারক কোয়ালকম–এর অধিগ্রহণ বন্ধ করার নির্বাহী আদেশ। এই পদক্ষেপটি চিনের সঙ্গে বৃহত্তর ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’ উস্কে দেয়।
বাইডেনের অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় আসা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের মধ্যে সহযোগিতার প্রত্যাশা তৈরি করেছিল। যাই হোক, এই আশা ভেস্তে যায় বাইডেনের গৃহীত পরবর্তী দৃঢ় পদক্ষেপগুলির কারণে, যেমন ২০২২–এর ৭ অক্টোবরের চিনে সেমিকন্ডাক্টর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত, এবং ২০২৩–এর ৯ আগস্টের চিপস অ্যান্ড সায়েন্স অ্যাক্ট, যা চিনা সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে মার্কিন বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রণ করে। বিষয়টিকে ‘আপৎকালীন অবস্থা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।
২০২২–২০২৩ সময়কালটি চিপ উৎপাদন এবং সম্পর্কিত সরবরাহ শৃঙ্খলে মার্কিন আধিপত্য বজায় রাখতে বাইডেন প্রশাসনের শক্তিশালী আইনি হস্তক্ষেপের সাক্ষী হয়েছে। আমেরিকা সেমিকন্ডাক্টর আবিষ্কার করেছিল, কিন্তু আজ তারা বিশ্বের সরবরাহের মাত্র ১০ শতাংশ উৎপাদন করে। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ কমার্সের নিষেধাজ্ঞাগুলির লক্ষ্য উন্নত কম্পিউটিং চিপ, সুপার কম্পিউটার ও উন্নত সেমিকন্ডাক্টরগুলির চিনা উৎপাদনের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করা। কিছু রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য সুপারকম্পিউটারে ব্যবহার করার আইটেমগুলির জন্য নতুন লাইসেন্সের প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি চিপ ম্যানুফ্যাকচারিং সরঞ্জাম উৎপাদন, যা অন্যথায় চিনকে উপকৃত করতে পারে। এই উচ্চসম্পদ প্রযুক্তির মধ্যে রয়েছে ‘ননপ্লানার ট্রানজিস্টর আর্কিটেকচার সহ লজিক চিপস, অথবা ১৬–১৪ ন্যানোমিটার বা তার নিচের একটি প্রোডাকশন টেকনোলজি নোড, ১৮ ন্যানোমিটার (এনএম) বা কম হাফ পিচের ডায়নামিক র্যানডম অ্যাক্সেস মেমরি (ড্র্যাম) চিপ বা ১২৮ বা তার বেশি লেয়ার সহ এনএএনডি ফ্ল্যাশ মেমরি চিপ।” একটি বিস্তৃত নিয়ম হিসাবে, চিপের আকার যত ছোট হবে তার ক্ষমতা তত বেশি উন্নত হবে। হুয়াওয়ের সাম্প্রতিক অগ্রগতি, যে দেশীয়ভাবে ৭ এনএম চিপ তৈরি করেছে বলে দাবি করেছে, তা মার্কিন বিধিনিষেধের সীমাবদ্ধতার দিকে একটি নির্দেশক হতে পারে, এবং বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে ফাটল ও সম্ভাব্য ব্যাঘাতের দিকেও।
নতুন ও উদীয়মান প্রযুক্তির উপর বাহ্যিক নির্ভরতা এড়াতে একটি দেশীয় বাস্তুতন্ত্রের বিকাশের জন্য চিনা আহ্বান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আরও সতর্ক করে তুলেছে। বাইডেনের ২০২৩ সালের আগস্টের নির্বাহী আদেশ তিনটি খাতে চিনা সংস্থাগুলিতে মার্কিন বিনিয়োগকে সীমাবদ্ধ করতে চেয়েছিল: সেমিকন্ডাক্টর ও মাইক্রোইলেক্ট্রনিক্স, কোয়ান্টাম তথ্য প্রযুক্তি, এবং কিছু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা। প্রথম বারের মতো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুধু মানুষ ও পণ্য নয়, মূলধনের বিনিময়ও সীমিত করেছে। অক্টোবরে সর্বশেষ নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাইডেন প্রশাসন প্রযুক্তি ও ডেটা নিয়ন্ত্রণের দিকে আরও একটি পদক্ষেপ করেছে, যার জন্য নতুন নিরাপত্তা মূল্যায়ন, ইক্যুইটি ও নাগরিক অধিকার নির্দেশিকা এবং শ্রমবাজারে এআই–এর প্রভাব সম্পর্কে গবেষণা প্রয়োজন হবে।
নতুন ও উদীয়মান প্রযুক্তির উপর বাহ্যিক নির্ভরতা এড়াতে একটি দেশীয় বাস্তুতন্ত্রের বিকাশের জন্য চিনা আহ্বান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আরও সতর্ক করে তুলেছে।
প্রভাবশালী অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তি শক্তি হিসেবে বেজিং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। চিন দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেমিকন্ডাক্টর উপাদান জার্মেনিয়াম ও গ্যালিয়াম রপ্তানির উপর অতিরিক্ত সীমা আরোপ করেছে। উপরন্তু, চিন চিনা কোম্পানির কাছে আমেরিকান মাইক্রোন চিপ বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। ২০ অক্টোবর চিন প্রসারিত মার্কিন প্রবিধানের প্রতিক্রিয়া হিসাবে নির্দিষ্ট গ্রাফাইট পণ্যগুলিতে নতুন রপ্তানি সীমা আরোপ করে। উভয় ক্ষেত্রেই চিন বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল ও খনিজ সরবরাহ শৃঙ্খলের উপর তার নিয়ন্ত্রণ ব্যবহার করে পশ্চিমের বৃহত্তর অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিয়েছে। বিশ্বের জার্মেনিয়ামের প্রায় ৬০ শতাংশ এবং বিশ্বের গ্যালিয়ামের ৯০ শতাংশ চিনে উৎপাদিত হয়। যেহেতু গ্রাফাইট বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) ব্যাটারির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, তাই চিনের গ্রাফাইট নিয়ন্ত্রণ ইভি ব্যাটারি উৎপাদন শিল্পে বড় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই অর্থনৈতিক–নিরাপত্তা উত্তেজনা বৃদ্ধির একটি বড় ঝুঁকি হল যে কাঁচামালের উপর চিনের নিয়ন্ত্রণ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ, উদীয়মান ও সবুজ প্রযুক্তি তৈরির ক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করতে পারে। চিনের জন্য এই সুবিধাগুলি বৃহত্তর অর্থনৈতিক ও ভূ–রাজনৈতিক অযাচিত লাভ এনে দিতে পারে, এবং সম্ভাব্যভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সহযোগী সরবরাহ শৃঙ্খলগুলির জন্য অন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করতে পারে৷
এই অর্থনৈতিক–নিরাপত্তা উত্তেজনা বৃদ্ধির একটি বড় ঝুঁকি হল যে কাঁচামালের উপর চিনের নিয়ন্ত্রণ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ, উদীয়মান ও সবুজ প্রযুক্তি তৈরির ক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করতে পারে।
৭ অক্টোবর ২০২২–এর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ বিধিনিষেধ, যা ছিল মার্কিন–চিন চিপ প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রাথমিক পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি, মার্কিন শিল্পে দুটি প্রধান প্রভাব ফেলেছে: অত্যাধুনিক চিপস ও সম্পর্কিত প্রযুক্তিগুলির জন্য চিনা বাজারে চাহিদা হ্রাস ও প্রতিশোধমূলক নিয়ন্ত্রণ, এবং চিনের নিষেধাজ্ঞার ফলে ভূ–রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি। পিচবুকের তথ্য অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চিনে মোট ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োগের পরিমাণ ২০২১ সালের ৩২.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৯.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে। ২০২৩ সালে মার্কিন ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্টদের দ্বারা চিনা প্রযুক্তির স্টার্ট–আপগুলিতে শুধুমাত্র ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। মার্কিন সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানির আয়ের এক–তৃতীয়াংশ আসে চিনে বিক্রয় থেকে; কিছু কোম্পানির জন্য এই সংখ্যাটি ৭০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলে সরবরাহ শৃঙ্খল নেটওয়ার্ক স্থাপন খুব ধীর গতিতে এগোলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিগুলিকেই আঘাত করতে পারে, এবং চিন সহ বিদেশি প্রতিযোগীদের জন্য ফাঁকা জমি ছেড়ে দিতে পারে। চিপস ও সেমিকন্ডাক্টর সরঞ্জামের উপর বিদ্যমান রপ্তানি নিষেধাজ্ঞাগুলি মার্কিন কোম্পানিগুলির জন্য সম্ভাব্য বাজারের আকারকে হ্রাস করে, যা মধ্য থেকে দীর্ঘমেয়াদে আমেরিকার প্রতিযোগিতামূলক সুবিধাকে সম্ভাব্যভাবে হ্রাস করতে পারে। চিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমদানির একমাত্র উৎস নয়, যদিও এটি ৩৩ শতাংশ যা আমদানির বৃহত্তম অংশ তৈরি করে। এছাড়াও, চিনের নিজস্ব চোরাচালান সমস্যা এবং তাদের নির্ভরতা হ্রাস করার জন্য আমদানিকারকদের সংকল্পের কারণে বেজিং জার্মেনিয়াম ও গ্যালিয়ামের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা থেকে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল নাও পেতে পারে।
‘চিপ যুদ্ধ’ তার অভিপ্রেত লক্ষ্যের থেকে কম অর্জন করছে বলে মনে হচ্ছে। জটিল আন্তঃনির্ভরতার বৈশিষ্ট্যযুক্ত একটি যুগে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনে নিষেধাজ্ঞা বা রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের কার্যকারিতা মিত্র ও প্রতিপক্ষ উভয়ের প্রযুক্তিগত ক্ষমতাকেই আঘাত করতে পারে। অংশীদার, বন্ধু ও জোটের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের কারণে এই চ্যালেঞ্জটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিশেষভাবে উচ্চারিত হতে পারে। বিকশিত সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের প্রতিরক্ষাকে প্রভাবিত করার উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে যেহেতু সেমিকন্ডাক্টর চিপগুলি দ্বৈত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে, যার ফলে এআই–এর সঙ্গে তাদের একীকরণ উদ্বেগের বিষয়।
আমরা যখন একটি নতুন ডিজিটাল যুগের সূচনা করছি, সেই সময় বিভিন্ন সমাজ ও দেশের মধ্যে প্রযুক্তির দখল, উদ্ভাবন ও নিয়ন্ত্রণের লড়াই মহাশক্তি রাজনীতির ভূচিত্রকে রূপ দেবে। প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ঐতিহাসিকভাবে বৈশ্বিক শক্তি কাঠামোর পরিবর্তনের পিছনে একটি চালিকা শক্তি হয়েছে। ঊনবিংশ শতকে ব্রিটেন শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছিল, আর মহাকাশ, পারমাণবিক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ভাবন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পূর্ববর্তী ইউএসএসআর–এর মধ্যে প্রতিযোগিতা বিংশ শতকের শেষার্ধের শক্তির গতিশীলতাকে সংজ্ঞায়িত করেছিল। সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রের প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রতিযোগিতার এই রূপান্তরমূলক সময়ের প্রতিধ্বনি করার জন্য প্রস্তুত।
সেমিকন্ডাক্টর রেসকে যা আলাদা করে তা হল রিমোট কন্ট্রোল থেকে এআই এবং কৃষি থেকে বিমান চালনা পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির ব্যাপক প্রয়োগ। ক্যানটেলমো ও ক্রেপস পরামর্শ দেন যে, কম্পিউটিং শক্তি ও রোবোটিক্সের অগ্রগতির কারণে মহাশক্তিগুলির বিস্তৃত কৌশলে পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে। ফলস্বরূপ, চিপ রেসে আধিপত্যের জন্য মার্কিন–চিন প্রতিযোগিতাকে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণে বা বাণিজ্য যুদ্ধ হিসাবে দেখা অদূরদর্শী হবে। এই প্রতিযোগিতা সম্ভবত এই যুগের মহাশক্তি রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অন্য অনেক ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব ফেলবে।
বিবেক মিশ্র অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের একজন ফেলো।
পঙ্কজ ফানাসে অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন রিসার্চ ইন্টার্ন।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.