-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
আসাদের শাসনের পতনের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার সামনে দাঁড়িয়ে এবং তা হল সিডব্লিউসি কার্যকর করা ও সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রের ভাণ্ডার বিনষ্ট করা।
সিরিয়ায় সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও আসাদ সরকার স্বৈরাচারী ও ক্লেপ্টোক্রেটিক বা চুরির মনোভাবাপন্ন প্রশাসনিক কার্যকলাপের সংমিশ্রণের মাধ্যমে আনুগত্য অর্জনের উদ্দেশ্যে পৃষ্ঠপোষকতা ব্যবহার করে নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছিল। ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর ১০ দিনের বিদ্রোহের পর হাফেজ আল-আসাদের পুত্র বাশার আল-আসাদ-সহ পুরো আসাদ সরকারের পতন হয়।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ মানবিক ট্র্যাজেডি ও রাসায়নিক যুদ্ধ-সহ নিষিদ্ধ অস্ত্রের ব্যবহার রোধ করার লক্ষ্যে অনেক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ব্যর্থতাকেই প্রকাশ্যে এনেছে। বিশ্বব্যাপী নিষেধাজ্ঞা ও নিন্দা সত্ত্বেও বেশ কিছু সিরিয়ান শক্তি একাধিক বার বিক্ষোভকারী ও বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে এই অস্ত্রগুলি ব্যবহার করার জন্য পরিচিত। একটি নতুন সিরিয়ান সরকার গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই রাসায়নিক অস্ত্রের বিষয়টি সিরিয়াকে এই ধরনের অস্ত্রমুক্ত রাষ্ট্রে পরিণত করার আবশ্যিকতার কথাও বলে।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ মানবিক ট্র্যাজেডি ও রাসায়নিক যুদ্ধ-সহ নিষিদ্ধ অস্ত্রের ব্যবহার রোধ করার লক্ষ্যে অনেক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ব্যর্থতাকেই প্রকাশ্যে এনেছে।
বাশার আল-আসাদের শাসন এবং রাসায়নিক যুদ্ধ
ইতিহাস জুড়ে একাধিক যুদ্ধের সময় রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার দেখা গিয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বেশ কয়েকটি দেশ ক্লোরিন ও মাস্টার্ড গ্যাস ব্যবহার করেছিল, যার ফলে কমপক্ষে ১.৩ মিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল এবং ৯০,০০০-এরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল। যুদ্ধের ট্র্যাজেডি রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার ও অপব্যবহার নিয়ে নানাবিধ আলোচনাকে উস্কে দিয়েছিল, যার ফলে ১৯৯৩ সালে কেমিক্যাল ওয়েপন কনভেনশন বা রাসায়নিক অস্ত্র সম্মেলন (সিডব্লিউসি) গঠন করা হয়েছিল, যার লক্ষ্য ছিল রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করা ও সেগুলির পুনরুত্থানকে দমানো। তা সত্ত্বেও, ১৯৯৩ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের ৩০০টিরও বেশি ঘটনা প্রত্যক্ষ করা গিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ২০১৭ সালে নিজের খুড়তুতো ভাই ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের নির্দেশে ঘটা কিম জং নামের হত্যা এবং রাশিয়া রাষ্ট্রের নির্দেশে ২০১৮ সালে হওয়া সের্গেই স্ক্রিপালের হত্যা।
রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধও এই ধরনের নৃশংসতা প্রশমনের বিষয়ে বিশ্বকে হতাশ করেছে। সিরিয়ার বিরোধীরা যখন শক্তিশালী হতে শুরু করে, তখন আসাদ সরকার ক্ষমতা হারানোর আশঙ্কায় ভীত হয়ে পড়েছিল। তাই তারা তখন নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে এবং ভিন্নমতাবলম্বীদের নিয়ন্ত্রণ করতে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার শুরু করে। বিশেষ করে, সামরিক ও বেসামরিক অবকাঠামোর বিরুদ্ধে নির্বিচারে সারিন, ক্লোরিন ও মাস্টার্ড গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছিল। ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সিরিয়ায় বিভিন্ন পক্ষের তরফে ১৩টি বিচ্ছিন্ন হামলা চালানো হয়েছে।
সারণি ১: ২০১৩-২০২০ সালে সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ
তারিখ |
অভিযুক্ত অপরাধী |
আহত/ক্ষতিগ্রস্ত |
২৩/৩/২০১৯ |
অজানা |
২১ |
২৪/১১/২০১৮ |
হায়াত তেহরির আল-শাম (অভিযুক্ত) |
১০ |
২৪/১১/২০১৮ |
হায়াত তেহরির আল-শাম (অভিযুক্ত) |
১১ |
২৪/১১/২০১৮ |
হায়াত তেহরির আল-শাম (অভিযুক্ত) |
১১ |
১১/১১/২০১৬ |
ফ্রি সিরিয়ান আর্মি |
২৪ |
৩/১১/২০১৬ |
আনসার আল-দিন ফ্রন্ট, অথেন্টিসিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফ্রন্ট, নুর-আল-দিন আল-জিনকি আন্দোলন |
২৯ |
৩০/১০/২০১৬ |
আহরার আল-শাম, আল-নুসরা ফ্রন্ট, ফ্রি সিরিয়ান আর্মি |
৩৫ |
১৬/৮/২০১৬ |
ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট (আইএসআইএল) |
৫ |
২/৮/২০১৬ |
নুর-আল-দিন আল-জিনকি আন্দোলন |
২০ |
৭/৪/২০১৬ |
আহরার আল-শাম, ফ্রি সিরিয়ান আর্মি, জইশ আল-ইসলাম (সিরিয়া) |
২৯ |
২১/৮/২০১৫ |
ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট (আইএসআইএল) |
২৪ |
১১/৪/২০১৪ |
আল-নুসরা ফ্রন্ট |
১০১ |
১৯/৩/২০১৩ |
অজানা |
১৩০ |
উৎস: গ্লোবাল টেররিজম ডাটাবেস
বেসামরিক এলাকায় রাসায়নিক অস্ত্রের তিনটি ঘটনা বিশ্বব্যাপী প্রভাব ফেলেছে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে প্রথম বড় রাসায়নিক অস্ত্র হামলাটি ঘটে ২০১৩ সালে ঘৌতা আক্রমণের সময়। দামেস্কের উপকণ্ঠে পূর্ব ঘৌতার বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে এক দিন ভোরবেলা থেকে সারিন গ্যাস দিয়ে সজ্জিত রকেট ছোড়া হয়েছিল, যার ফলে ১৫০০ জন মারা গিয়েছিল। ঘৌতা আক্রমণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে হতবাক করেছিল। কারণ এটি সিডব্লিউসি-র স্পষ্ট লঙ্ঘনকেই দর্শায় এবং গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহারের জন্য সরকারের ইচ্ছা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে। আসাদের সরকার দায় অস্বীকার করে অভিযোগ করে যে, বিদ্রোহীরা এই হামলার জন্য দায়ী। তবে রাষ্ট্রপুঞ্জের (ইউএন) তদন্তকারীদের ক্রমবর্ধমান প্রমাণ ইঙ্গিত দেয় যে, আসাদের বাহিনীই এই অপরাধের নেপথ্যে রয়েছে।
ঘৌতা আক্রমণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে হতবাক করেছিল। কারণ এটি সিডব্লিউসি-র স্পষ্ট লঙ্ঘনকেই দর্শায় এবং গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহারের জন্য সরকারের ইচ্ছা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে।
২০১৭ সালে খান শায়খুনেও সারিন পাওয়া গিয়েছিল, যেখানে বিদ্রোহীদের আর একটি শক্ত ঘাঁটিতে বোমা হামলা চালানো হয়েছিল, যার ফলে শিশু-সহ ৮০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। সেই হামলার জবাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাসায়নিক হামলার উৎসস্থল শায়রাত বিমানঘাঁটিতে ৫৯টি তোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল। মার্কিন পদক্ষেপ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিন্দা সত্ত্বেও রাশিয়ার ভেটো ব্যবহারের কারণে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়নি, যেখানে আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায় এবং এর পরেও আসাদ সরকার রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার অব্যাহত রেখেছিল।
২০১৮ সালে পূর্ব ঘৌতা জেলার দৌমা শহরে একটি ক্লোরিন গ্যাস হামলায় বেসামরিক এলাকায় ৪২ জন নিহত হয়েছিল, যেখানে বিদ্রোহীদের একটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে এ হেন হামলা চালানো হয়েছিল। সিরিয়ার সরকার অঞ্চলটি পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করছিল এবং রাসায়নিক হামলাটি অঞ্চলটিকে দখল করার জন্য একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছিল। উচ্ছেদ চুক্তির মধ্যে এই আক্রমণটি চালানো হয়েছিল, যার ফলে আক্রমণের এলাকা ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করা বেসামরিক নাগরিকরা প্রভাবিত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও সংযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র- সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং সিরিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ এনেছে। অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রোহিবিশন অফ কেমিক্যাল ওয়েপনস বা রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা (ওপিসিডব্লিউ) ঘটনাটির তদন্ত করার জন্য একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন বা তথ্য অনুসন্ধান অভিযান (এফএফএম) চালিয়েছে। এই তিরস্কারের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্স সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযুক্ত নানাবিধ কেন্দ্রের উপর বিমান হামলা চালিয়েছে। প্রতিশোধমূলক হামলা সত্ত্বেও আসাদ সরকার হামলার দায় স্বীকার করার পরিবর্তে বিদ্রোহীদের দায়ী করেছে এবং বিমান হামলা আবারও সরকারের কার্যক্রম ব্যাহত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
আসাদ সরকারের অবসান, দায়বদ্ধতা এবং বল প্রয়োগ
রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং ওপিসিডব্লিউ-এর তরফে অসংখ্য প্রতিবেদন, তদন্ত ও নিন্দা সত্ত্বেও আসাদের সরকার তার কর্মকাণ্ডের জন্য তেমন ফলাফল ভোগ করেনি। আসাদ সরকারকে জবাব দিতে বাধ্য করার প্রচেষ্টা উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে, যার মধ্যে রাশিয়ার মতো মিত্র দেশগুলির ধারাবাহিক বিরোধিতাও অন্তর্ভুক্ত, যারা বারবার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলিকে ভেটো দিয়েছিল।
সরকারের পতনকে ভূ-রাজনৈতিক জয় হিসেবে বিবেচনা করা হলেও এটি যুদ্ধাপরাধের জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনীকে জবাবদিহি করার প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করে না, বিশেষ করে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য। সিডব্লিউসি-এর প্রয়োগ না করা এবং আন্তর্জাতিক প্রতিশোধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সিডব্লিউসি ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মৌলিক বিষয়ের ত্রুটিগুলি প্রকাশ্যে এনেছে। এই ধরনের কাঠামোতে স্বেচ্ছাসেবী প্রকৃতি ও প্রয়োগের নিয়মের অভাব এগুলিকে নিছক প্রতীকী অঙ্গভঙ্গির মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছে এবং এই সংস্থাগুলি অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে বা প্রকৃত দায়বদ্ধতা চাপিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়। সিরিয়ার বিষয়টি দর্শায় যে, আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামো বিশ্বব্যাপী ও অভ্যন্তরীণ ভাবে দায়িত্ব ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ও সক্রিয় ভাবে প্রয়োগ করা উচিত।
আসাদ সরকারের অবসান সত্ত্বেও সিরিয়ায় এখনও রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ রয়েছে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের অস্ত্রের ব্যবহার যাতে না করা হয়, তা সুনিশ্চিত করার জন্য এখনই সেগুলি নির্মূল করতে হবে। ভবিষ্যতের ট্র্যাজেডি রোধ করার জন্য সিডব্লিউসি-কে শক্তিশালী করতে হবে এবং এর প্রয়োগকে পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। প্রথমত, রাসায়নিক হামলার জন্য অপরিহার্য ভাবে দায়বদ্ধতা চাপিয়ে দিতে হবে। ওপিসিডব্লিউ-র মতো তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে অকাট্য প্রমাণ সংগ্রহ করতে এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করতে আরও সক্রিয় হতে হবে; এফএফএম এবং জেআইএম-এর (জয়েন্ট ইনভেস্টিগেটিভ মেকানিজমস বা যৌথ তদন্ত প্রক্রিয়া) মতো উপ-সংস্থাগুলিকে নিয়মিত দেখভাল করতে হবে, বিশেষ করে রাসায়নিক অস্ত্র তৈরিতে সহায়তা করে এমন উপকরণের বাণিজ্য ও লব্ধতার ক্ষেত্রে। এবং কেবল ব্যবহারের ক্ষেত্রেই নয়, বরং রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারকারীদের সরবরাহ শৃঙ্খলকে দায়বদ্ধ করতে হবে।
অপরাধীদের জবাবদিহি করতে ও ভবিষ্যতে লঙ্ঘন রোধ করতে সিডব্লিউসি-র দায়িত্ব, দায়বদ্ধতা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলা গুরুত্বপূর্ণ।
রাসায়নিক পদার্থের নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি, রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির অবকাঠামো অপসারণ ও নিয়ন্ত্রণও সমান ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। নিষেধাজ্ঞা আরোপের সময় যাদের বিরুদ্ধে এ হেন অস্ত্রের উৎপাদন পুনরায় শুরু বা পুনরুজ্জীবিত করার সন্দেহ রয়েছে, তাদের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তাৎক্ষণিক নজরদারিতে রাখতে হবে। আয়োডিন স্ট্রোক সংগ্রহকারীদের নেপথ্যে থাকা দেশগুলিকে – যেমনটা সিরিয়ার ঘটনায় ইরান ও রাশিয়ার ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে - কূটনৈতিক, আর্থিক ও বিচারগত প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হবে।
অপরাধীদের জবাবদিহি করতে ও ভবিষ্যতে লঙ্ঘন রোধ করতে সিডব্লিউসি-র দায়িত্ব, দায়বদ্ধতা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলা গুরুত্বপূর্ণ। সিরিয়া যখন আসাদ প্রশাসনের কবল থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তার অবশিষ্ট রাসায়নিক অস্ত্রের ভাণ্ডার ধ্বংসের কাজটিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কেবলমাত্র শক্তিশালী পর্যবেক্ষণ, রাসায়নিক পূর্বসূরিদের উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও একটি ঐক্যবদ্ধ বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে আরও নৃশংসতা রোধ করা সম্ভব এবং এ কথা সুনিশ্চিত করা সম্ভব যে, রাসায়নিক অস্ত্র যেন আর কখনও যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত না হয়।
শ্রবিষ্ঠ অজয়কুমার অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেন্টার ফর সিকিউরিটি, স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড টেকনোলজি-র অ্যাসোসিয়েট ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Shravishtha Ajaykumar is Associate Fellow at the Centre for Security, Strategy and Technology. Her fields of research include geospatial technology, data privacy, cybersecurity, and strategic ...
Read More +