Published on Jun 15, 2024 Updated 0 Hours ago

শক্তি ও জনস্বাস্থ্যের মধ্যে একটি মৌলিক যোগসূত্র রয়েছে। স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য শক্তির নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য শক্তি-স্বাস্থ্য সম্পর্ককে শক্তিশালী করা

ভূমিকা

শক্তি একটি ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশগত ও জনস্বাস্থ্য উদ্বেগ। রাষ্ট্রপুঞ্জের (ইউএন) একটি অংশীদার সংস্থা সাসটেনেবল এনার্জি ফর অল জোর দিয়ে বলেছে যে "স্থিতিশীল শক্তি ছাড়া স্থিতিশীল উন্নয়ন
সম্ভব নয়"। বিশ্বব্যাপী, প্রায় ২.৩ বিলিয়ন মানুষ এখনও কঠিন জ্বালানি ব্যবহার করে রান্না করেন, এবং শুধুমাত্র ২০২০ সালে আনুমানিক ৩.২ মিলিয়ন মৃত্যুর estimated 3.2 million deaths   — যার মধ্যে ২৩৭,০০০ ছিল ৫ বছরের কম বয়সী শিশু — কারণ ছিল ঘরোয়া বায়ু দূষণ। এই জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার প্রতিকূল পরিবেশে মহিলাদের অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রভাবিত করেছে। পণ্ডিতরা অনাদিকাল থেকে শক্তি ও জনস্বাস্থ্যের মধ্যে সংযোগের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন। দ্রুত প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও স্থিতিশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে, স্বাস্থ্যের জন্য শক্তি সুরক্ষিত করতে ক্রমশ বেশি করে একটি বিশ্বব্যাপী মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করার মানসিকতা ও গতি কিন্তু একটি স্পষ্ট আদেশ-‌ব্যবস্থা এবং পছন্দসই ফলাফলগুলি পর্যবেক্ষণ করার জন্য পরিমাপযোগ্য সূচক ছাড়া অসম্পূর্ণ হবে। স্বাস্থ্যের উন্নতিতে শক্তির নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

যখন আমরা স্বাস্থ্যের সামাজিক নির্ধারক নিয়ে আলোচনা করি, তখন শক্তি নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যের শক্তি নির্ধারককে অন্তর্ভুক্ত করা অপরিহার্য, এবং এখন তাৎপর্যপূর্ণও বটে। শক্তির সুরক্ষা শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করবে না, বরং
অন্যান্য এসডিজি-‌র অর্জনকেও প্রভাবিত করবে, যেমন এসডিজি ১ (দারিদ্র্য দূরীকরণ), এসডিজি ৫ (লিঙ্গসমতা অর্জন), এসডিজি ৬ (পরিষ্কার জলের সুযোগ), এসডিজি ৮ (চাকরির নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন বৃদ্ধি), এসডিজি ১৩ (জলবায়ু পরিবর্তনের লড়াই), এবং এসডিজি ১৭ (লক্ষ্যের জন্য অংশীদারিত্ব)। এসডিজি অর্জন করে নিরাপদ, সহজলভ্য, সাশ্রয়ী ও স্থিতিশীল জ্বালানি সুরক্ষিত করে গেলে তা স্বাস্থ্য নিরাপত্তাকে সক্ষম করবে। এই বিষয়ে সাধারণ পরিষদ ২৬ জানুয়ারি (রেজোলিউশন এ/৭৭/৩২৭) "পরিচ্ছন্ন শক্তির আন্তর্জাতিক দিবস" ঘোষণা করেছে, যাতে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিচ্ছন্ন শক্তিতে একটি ন্যায়সঙ্গত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবর্তনের জন্য পদক্ষেপকে অনুঘটন করা হয়।


পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করার মানসিকতা ও গতি কিন্তু একটি স্পষ্ট আদেশ-‌ব্যবস্থা এবং পছন্দসই ফলাফলগুলি পর্যবেক্ষণ করার জন্য পরিমাপযোগ্য সূচক ছাড়া অসম্পূর্ণ হবে। স্বাস্থ্যের উন্নতিতে শক্তির নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।



বর্তমানে, শক্তি নিরাপত্তার জন্য
দুটি প্রধান সমস্যা হল এর ব্যবহার গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনে অবদান রাখে এবং এর প্রাপ্তিযোগ্যতার অভাব। চিত্র ১ দেশগুলির মাথাপিছু জিডিপির তুলনায় মাথাপিছু উপভোগ-ভিত্তিক সিওটু নির্গমনকে চিত্রিত করে, এবং এটি পরামর্শ দেয় যে যেখানে মাথাপিছু জিডিপি বেশি, সেই দেশগুলিতে কার্বন নির্গমন বেশি। উন্নত, উন্নয়নশীল, ভঙ্গুর ও সংঘাত-আক্রান্ত পরিস্থিতিতে (এফসিএএস) শক্তির প্রাপ্তিযোগ্যতার অসমতার কারণেও এই তির্যকতা দেখা যায়। চিত্র ২ বিদ্যুতের সুযোগ আছে এমন বিভিন্ন আয়-‌গোষ্ঠীর প্রেক্ষিতে জনসংখ্যার শতাংশগত স্পষ্ট বিভাজন চিত্রিত করে। এই দুটি শক্তিসুরক্ষা সমস্যা স্বাস্থ্যক্ষেত্রের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে, কারণ বিশ্বের শক্তি-অনিরাপদ অঞ্চলে দুর্বল মানুষের জন্য জীবন রক্ষাকারী পরিষেবা সরবরাহ সর্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ অর্জনকে ব্যাহত করে। অনুমান করা হয় যে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে প্রায় ১ বিলিয়ন মানুষকে এমন সুবিধাকেন্দ্রগুলিতে স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা সরবরাহ করা হয় যেখানে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ নেই বা এমনকি বিদ্যুৎ সংযোগই নেই। এটি স্বাস্থ্যের জন্য পরিচ্ছন্ন শক্তিতে বর্ধিত গবেষণা ও উন্নয়নের এবং এসডিজি ৭.২ (নবায়নযোগ্য শক্তির অংশ বৃদ্ধি) অর্জনের জন্য শক্তির উত্তরণ ত্বরান্বিত করার প্রয়োজন চিহ্নিত করে।

চিত্র ১: মাথাপিছু উপভোগভিত্তিক সিওটু নির্গমন বনাম মাথাপিছু জিডিপি

সূত্র:
আওয়ার ওয়র্ল্ড ইন ডাটা

চিত্র ২: বিদ্যুতের প্রাপ্যতা (জনসংখ্যার শতাংশ)

সূত্র:
বিশ্ব ব্যাঙ্ক

শক্তি রূপান্তরের চ্যালেঞ্জ

জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে এর যোগসূত্রটি অন্তত গত দুই দশক ধরে রাজনৈতিক আলোচনার অগ্রভাগে থাকা সত্ত্বেও পরিচ্ছন্ন শক্তিতে রূপান্তর অসংখ্য বাধার সম্মুখীন হয়েছে। বিশ্বযুদ্ধোত্তর যুগ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু করে সর্বাত্মক যুদ্ধ পর্যন্ত একাধিক
ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রত্যক্ষ করেছে, যা নিজেদের শক্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রগুলির উচ্চতর মনোযোগ টেনেছে। এই ভূ-রাজনৈতিক ঘটনাগুলি সরবরাহ লাইন ও পরিকাঠামোকে ব্যাহত করে, এবং তা শক্তি নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করে। অন্যদিকে, ভূ-রাজনীতি গঠনে শক্তি নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, কারণ এটি ক্ষমতার ভারসাম্য গঠন এবং রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখে।


জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে এর যোগসূত্রটি অন্তত গত দুই দশক ধরে রাজনৈতিক আলোচনার অগ্রভাগে থাকা সত্ত্বেও পরিচ্ছন্ন শক্তিতে উত্তরণ অসংখ্য বাধার সম্মুখীন হয়েছে।



বিশ্ব ব্যাঙ্কের গ্লোবাল ডিরেক্টর অফ এনার্জি অ্যান্ড এক্সট্র্যাকটিভস মতামত দিয়েছেন যে,
উন্নয়নশীল দেশগুলি বিদ্যুতের উপভোগ, পরিচ্ছন্ন শক্তি প্রকল্পগুলিতে প্রবেশাধিকার, এবং জীবাশ্ম জ্বালানির উপর উচ্চ নির্ভরতার কারণে শক্তি রূপান্তরের জন্য তিনগুণ জরিমানা প্রদান করে। তার উপর, এটি লক্ষ্য করা যায় যে দুর্বল শাসন ব্যবস্থা, লক্ষ্যযুক্ত ভর্তুকির অভাব, অদক্ষ পরিকল্পনা ও অপ্রতুল ক্ষমতা এই শক্তির উত্তরণকে পঙ্গু করে দিয়েছে। অতএব, যখন নীতিগুলি কম-কার্বন শক্তির লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হচ্ছে, বিভিন্ন অংশীদারদের অবশ্যই তাদের সিদ্ধান্তগুলিকে এমনভাবে একত্রিত করতে হবে যা অন্তর্ভুক্তিমূলক, এবং সরবরাহে ওঠানামা বা ধাক্কাগুলিকে প্রশমিত করে শক্তির নিশ্চয়তার সুযোগের ব্যবস্থা করে।

শক্তি রূপান্তরের বিপদের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলার সময় শক্তির ক্রমাগত চাহিদা ও সরবরাহের ঝুঁকিগুলি পরস্পর-‌সম্পর্কিত, এবং ফলস্বরূপ তা বিশ্ব রাজনীতিকে প্রভাবিত করবে। জীবাশ্ম জ্বালা্নি থেকে দেখা যায় শক্তি ব্যবস্থার পরিবর্তন ভূ-রাজনীতিকে প্রভাবিত করতে পারে। তেল কার্টেল ও ব্লকের মতোই, যে দেশগুলি
পরিচ্ছন্ন শক্তি প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন করছে তারা শক্তি ও সম্পদের সমাবেশ দেখতে পাবে, কারণ নির্ভরতা 'জীবাশ্ম জ্বালানি' থেকে 'পরিচ্ছন্ন শক্তি'-তে স্থানান্তরিত হবে। তাই, প্রযুক্তি, অর্থ, এবং পরিচ্ছন্ন শক্তি প্রযুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপকরণের সরবরাহ শৃঙ্খল দুর্বলতা সংক্রান্ত উদ্বেগগুলিকে মোকাবিলা করার জন্য যৌথ ব্যবস্থা গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ।


সামনের পথ

রাষ্ট্রগুলির মধ্যে চলতি দ্বন্দ্ব ও প্রতিযোগিতা একটি পরিচ্ছন্ন শক্তি রূপান্তরের দাবি রাখে। রূপান্তর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার জন্য কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রতিশ্রুতি হল হু–এর দ্য হাই-‌লেভেল কোয়ালিশন অন হেলথ অ্যান্ড এনার্জি প্ল্যাটফর্ম অফ অ্যাকশন (‌এইচইপিএ)‌, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সাসটেনেবল ডেভলপমেন্ট ইমপ্যাক্ট মিটিংস, আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থার ক্লিন এনার্জি ট্রানজিশন প্রোগ্রাম, ভারত ও ফ্রান্সের চালু করা দ্য ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স, এবং ভারতীয় জি২০ প্রেসিডেন্সির সময় অগ্রাধিকারগুলির মধ্যে একটি গ্লোবাল বায়োফুয়েল অ্যালায়েন্স। সাম্প্রতিক কপ২৮ চলাকালীন জলবায়ু ও স্বাস্থ্যের জন্য পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিতে রূপান্তরের আলোচনার সময় প্রথমবারের মতো 'জীবাশ্ম জ্বালানি' শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছিল।

সরকারি, বেসরকারি খেলোয়াড় এবং এনজিওগুলির পদক্ষেপের সঙ্গে শক্তি-স্বাস্থ্য সংযোগের এই বিশ্বব্যাপী উদ্যোগগুলি কার্যকর নমুনা সংগ্রহ এবং ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যেমন কোভিড-‌১৯-এর সময়
সৌরশক্তি চালিত পোর্টেবল রেফ্রিজারেটরগুলি ভারতজুড়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১৫০,০০০-এরও বেশি ভ্যাকসিন রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এই কাজ সম্ভব হয়েছে সেই এনজিও–গুলির জন্য যেগুলি লোকবল জোগায়, সেই বেসরকারি ক্ষেত্রগুলির জন্য যেগুলি তহবিল জোগাড় করে, এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য যেগুলি মোতায়েনকে সক্ষম করে। শক্তি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে এই ধরনের উদ্যোগের উপস্থিতি সত্ত্বেও এফসিএএস দেশগুলিতে রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক অনিশ্চয়তার কারণে বিশ্বব্যাপী প্রতিশ্রুতির রূপায়ণ একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শক্তিব্যবহার-সম্পর্কিত স্বাস্থ্যের প্রভাব এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিতে রূপান্তরকে সম্ভব করার জন্য ওয়ান-সাইজ-ফিটস-অল পদ্ধতির পরিবর্তে প্রেক্ষাপট ও শর্তগুলির উপর ভিত্তি করে উপযুক্ত সমাধান প্রয়োজন। ইস্যুনির্দিষ্ট সমাধান থেকে সিস্টেম-ভিত্তিক সমাধানগুলির দিকে একটি স্থানান্তরকে অবশ্যই জলবায়ু, শক্তি, ও স্বাস্থ্যের লক্ষ্যগুলি স্থিতিস্থাপকভাবে পূরণ করতে হবে।
স্থিতিস্থাপকতার রিবাউন্ড মডেল হল এমন একটি পন্থা যা শক্তি-স্বাস্থ্য সম্পর্কযুক্ত উদ্বেগগুলিকে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার জন্য উপলব্ধ নীতির বিকল্পগুলি সনাক্ত করতে, মূল্যায়ন করতে এবং অগ্রাধিকার দিতে সাহায্য করতে পারে৷ মডেলটি পরীক্ষা করে প্রতিশ্রুতিগুলির সংকল্প ও সংহতি, ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ ও তৎপরতা, এবং সম্পদ ও মূলধন নেটওয়ার্কের একটি স্থিতিস্থাপক সিস্টেমের উপস্থিতি। চিত্র ৩ বাধার বিরুদ্ধে শক্তি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে স্থিতিস্থাপক করার প্রেক্ষাপটে স্থিতিস্থাপকতার অভিযোজিত রিবাউন্ড মডেলকে চিত্রিত করে।

চিত্র ৩: শক্তি-স্বাস্থ্য সম্পর্ক স্থিতিস্থাপকতার জন্য প্রস্তাবিত কাঠামো

স্থিতিস্থাপকতার একটি মডেলের একটি চিত্র, বর্ণনা স্বয়ংক্রিয়ভাবে উৎপন্ন
উ‌ৎস:
স্থিতিস্থাপকতার রিবাউন্ড মডেল থেকে অভিযোজিত

এই মডেলটি রাষ্ট্র ও খেলোয়াড়দের জন্য অত্যাবশ্যক হয়ে ওঠে বাধার পরিস্থিতিতে প্রতিস্থাপনের উপায়, পদ্ধতি ও মানসিকতার সন্ধান করার জন্য। উদাহরণস্বরূপ, যেহেতু ভঙ্গুর ও সংঘাত-আকীর্ণ রাষ্ট্রগুলির জন্য পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগ আকর্ষণ করা কঠিন, সেহেতু পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি প্রকল্পগুলির বিকাশের জন্য তহবিল ও নেটওয়ার্ক সরবরাহ করে এমন
পিস রিনিউয়েবল এনার্জি ক্রেডিটস (পি-রেকস)-‌এর মতো উদ্যোগগুলিকে প্রসারিত করতে হবে৷ ভূ-রাজনৈতিক গতিশীলতার পরিবর্তনের কারণে মান শৃঙ্খলের দুর্বলতার যে কোনও হুমকির প্রভাব কমানোর জন্য নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশ (এলএমআইসি), এফসিএএস, এবং উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলির (এসআইডি) সক্ষমতা বাড়াতে হবে। প্রতিশ্রুতির প্রতি সংকল্প ও সংহতি অত্যাবশ্যক হয়ে ওঠে, কারণ অনেক উন্নয়নশীল দেশ তাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে বৈশ্বিক সহযোগিতামূলক ব্যবস্থায় অসুবিধার সম্মুখীন হয়। অ্যাডহক ফোরাম তৈরি, উদ্যোগ, এবং সফল কেস স্টাডি থেকে শেখা কার্যকর হতে পারে এই কৌশলগুলি গ্রহণে এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারিত্ব তৈরিতে, যা বৈশ্বিক অংশগ্রহণের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে সাহায়তা করে, যেমনটি ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড –এর ক্ষেত্রে দেখা যায়। তাই, এই সময়ের প্রয়োজন হল একটি স্থিতিস্থাপক ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য স্থানীয়, জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্তরের বিভিন্ন অংশীদারদের জোগাড় করা, যা শক্তি-স্বাস্থ্য সম্পর্ককে মোকাবিলা করার জন্য শক্তির রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করবে।



সঞ্জয় এম পট্টনশেট্টি প্রসন্ন স্কুল অফ পাবলিক হেলথ মনিপাল অ্যাকাডেমি অফ হায়ার এডুকেশন (এমএএইচই), মণিপাল, কর্ণাটক, ভারতের গ্লোবাল হেলথ গভর্নেন্স বিভাগের প্রধান।

অনিরুদ্ধ ইনামদার সেন্টার ফর হেলথ ডিপ্লোমেসি প্রসন্ন স্কুল অফ পাবলিক হেলথের একজন রিসার্চ ফেলো।

কিরণ ভট্ট গ্লোবাল হেলথ প্রসন্ন স্কুল অফ পাবলিক হেলথ মনিপাল অ্যাকাডেমি অফ হায়ার এডুকেশনের সেন্টার ফর হেলথ ডিপ্লোম্যাসি বিভাগের একজন রিসার্চ ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Authors

Sanjay Pattanshetty

Sanjay Pattanshetty

Dr. Sanjay M Pattanshetty is Head of theDepartment of Global Health Governance Prasanna School of Public Health Manipal Academy of Higher Education (MAHE) Manipal Karnataka ...

Read More +
Aniruddha Inamdar

Aniruddha Inamdar

Aniruddha Inamdar is a Research Fellow at the Centre for Health Diplomacy, Department of Global Health Governance, Prasanna School of Public Health, Manipal Academy of ...

Read More +
Kiran Bhatt

Kiran Bhatt

Kiran Bhatt is a Research Fellow at the Centre for Health Diplomacy, Department of Global Health Governance, Prasanna School of Public Health, Manipal Academy of ...

Read More +