২০২৪ সালের মে থেকে মায়ানমারের রাখাইন স্টেটে রোহিঙ্গা জনগণের উপর প্রাণঘাতী হামলার বৃদ্ধি ২০১৭ সালের অগস্ট মাসে সংঘটিত নৃশংসতার কথা মনে করিয়ে দেয়, যখন সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গাদের উপর আক্রমণ চালায় ও তাঁদের বসতি পুড়িয়ে দিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছিল। প্রায় সাত বছর পরে রোহিঙ্গা পুরুষ, মহিলা এবং শিশুদের হত্যা করা বা প্রতিবেশী দেশগুলিতে পালিয়ে যাওয়ার অনুরূপ ঘটনা ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে, যা ক্রমাগত রোহিঙ্গাদের ইতিহাস ও পরিচয় মুছে ফেলার প্রচেষ্টাকেই দর্শায়। তবে এই বার হামলা চালানোর কাজটি করছে একটি জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী।
রোহিঙ্গাদের নিয়োগের জন্য ব্যবহৃত নতুন নিয়োগ আইনগুলি রাখাইনের একটি শক্তিশালী জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) বিরুদ্ধে বিভাজনের একটি মূল বিষয় হয়ে উঠেছে। এএ আগে রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকলেও এখন অবশ্য রোহিঙ্গাদের হুন্তার বোড়ে বলেই মনে করে।
২০২৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে রাখাইন স্টেটের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে এবং সামরিক শাসনকে উৎখাত করতে চেয়ে এএ রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় হিংসা তীব্রতর করেছে।
২০২৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে রাখাইন স্টেটের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে এবং সামরিক শাসনকে উৎখাত করতে চেয়ে এএ রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় হিংসা তীব্রতর করেছে। ১৭ মে উত্তর রাখাইনের বুথিডাংয়ে বড় আকারের অগ্নিসংযোগের দরুন হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হন। পরবর্তী কালে ৫ অগস্ট মংডুতে ফের আক্রমণ হানে এএ। এর ফলে ব্যাপক সংখ্যক রোহিঙ্গা নাগরিক নিহত হন। জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের লক্ষ্যবস্তু করার কথা অস্বীকার করলেও নানাবিধ প্রমাণ অন্য বাস্তবতাই দর্শায়।
রাষ্ট্রহীন সম্প্রদায়
রোহিঙ্গারা মায়ানমারের রাখাইন স্টেটের একটি মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী তাঁদের ‘অবৈধ বাঙালি অভিবাসী’ বলে মনে করে। কারণ তাঁরা বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে উদ্ভূত বলে মনে করা হয়। মায়ানমারের ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইনে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করায় তাঁরা কার্যত রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়েন। এর ফলস্বরূপ রোহিঙ্গারা শিক্ষা, চলাফেরার স্বাধীনতা, পেশা, এমনকি বিবাহের মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। নানা সময়ে এলোপাতাড়ি গ্রেফতার, বলপূর্বক শ্রম প্রদান এবং সম্পত্তি দখলের সম্মুখীন হয়েছেন রোহিঙ্গারা।
ঐতিহাসিক ভাবে রোহিঙ্গারা এএ-র প্রতি গভীর সন্দেহ পোষণ করেছেন, যারা মূলত ধর্মীয় বিভাজনের কারণে ২০২০ সাল থেকে রাখাইন জনগণের স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই করছে। প্রধানত মুসলিম রোহিঙ্গারা বৌদ্ধ এএ-কে প্রভাবশালী বামার অংশের সঙ্গে সংযুক্ত বলে মনে করে। এএ প্রধানত এই বিখ্যাত ও প্রচলিত ধারণা বজায় রেখেছে যে, রোহিঙ্গারা এমন একটি অভিবাসী জনগোষ্ঠী, যারা কোনও দেশেরই অন্তর্গত নয়।
প্রধানত মুসলিম রোহিঙ্গারা বৌদ্ধ এএ-কে প্রভাবশালী বামার অংশের সঙ্গে সংযুক্ত বলে মনে করে।
সামরিক হুন্তা আপাতদৃষ্টিতে রোহিঙ্গা যোদ্ধাদের বলপূর্বক নিয়োগ করে এবং এএ-বিরোধী বিক্ষোভ পরিচালনা করার জন্য চাপ দিয়ে এই ধর্মীয় উত্তেজনাকে কাজে লাগিয়েছে। রোহিঙ্গা যোদ্ধাদের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণে এবং ক্ষোভ জাগানোর কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। মে মাসের শেষের দিকে এএ দ্বারা পরিচালিত হিংসার ঘটনাকে কেউ কেউ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উপর পূর্বের হামলায় রোহিঙ্গাদের জড়িত থাকার প্রতিশোধমূলক প্রতিক্রিয়া বলেই মনে করেন। সুতরাং, ক্ষমতায় যে-ই আসুক না কেন, মায়ানমারে বসবাসকারী রাষ্ট্রহীন জনগোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় মোড়াই থাকছে।
কিছু রোহিঙ্গা এখনও মায়ানমারে আটকে থাকলেও এবং প্রতিবেশী দেশগুলিতে পাড়ি দিতে অক্ষম হলেও প্রায় ৮০০০ শরণার্থী ইতিমধ্যেই জনবহুল ও অস্থিতিশীল বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
ক্রান্তিকালের সরকার
সংরক্ষণ নীতির বিরুদ্ধে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ একটি বড় রাজনৈতিক সঙ্কটে পরিণত হওয়ার পর থেকে অগস্ট মাসটি বাংলাদেশের জন্য একটি বাঁকবদলকারী মাস হয়ে থেকেছে, যার ফলে ১৫ বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকায় শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ও ক্ষুদ্রঋণের জনক হিসাবেও পরিচিত মহম্মদ ইউনুসের অধীনে একটি অন্তর্বর্তী সরকার এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় রয়েছে এবং এখনও একটি বিক্ষুব্ধ দেশকে স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।
১৯৭০-এর দশক থেকে যখন মায়ানমারের সামরিক সরকার এই রাষ্ট্রহীন মানুষদের উচ্ছেদের জন্য প্রথম অভিযান শুরু করেছিল, তখন থেকেই বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জন্য সবচেয়ে প্রবেশযোগ্য গন্তব্য হয়ে উঠেছে। তার পর থেকে সেই রোহিঙ্গাদের বহিষ্কার করার জন্য ১৯৯১, ২০১২, ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে ধারাবাহিক প্রচেষ্টা করা হয়েছে, যাঁরা বেশিরভাগ সময়ে বাংলাদেশে আশ্রয় চেয়েছিলেন।
১৯৭০-এর দশক থেকে যখন মায়ানমারের সামরিক সরকার এই রাষ্ট্রহীন মানুষদের উচ্ছেদের জন্য প্রথম অভিযান শুরু করেছিল, তখন থেকেই বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জন্য সবচেয়ে প্রবেশযোগ্য গন্তব্য হয়ে উঠেছে।
২০২৪ সালের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৩৩টি শিবিরে প্রায় ১ মিলিয়ন রোহিঙ্গা বাস করেন। এই রোহিঙ্গারা পরিসরের সীমাবদ্ধতা, দরিদ্র জীবনযাপন এবং টানা সপ্তম বছরের জন্য ডব্লিউএএসএইচ অবস্থার সঙ্গে লড়াই করছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা দরিদ্র জীবনযাত্রার দুর্দশাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। ২০২৩ সালে বিধ্বংসী দাবানল এবং ঘূর্ণিঝড় মোকায় অন্তত ১২০০০ বাস্তুচ্যুত মানুষ ফের অস্থায়ী আশ্রয়ের শরণাপন্ন হন। তীব্র তহবিলের ঘাটতি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি শিবিরের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার ব্যবধান সৃষ্টি করেছে। দলের মধ্যে মারামারি এবং পাচারের সমস্যা থেকে উদ্ভূত ঘন ঘন অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্রমাগত মানব নিরাপত্তা উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
শিবির এলাকায় সুষ্ঠু ভাবে কাজ করার জন্য মানবকল্যাণ সংস্থাগুলি স্বাধীন হলেও অনুমতি, সরবরাহ এবং নিরাপত্তা সমন্বয়ের জন্য জাতীয় কর্তৃপক্ষের উপর নির্ভর করে। বাংলাদেশি আমলারা, বিশেষ করে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের অফিসে, অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আত্মগোপন করায় বা পালিয়ে যাওয়ায় অস্পষ্টতার সম্মুখীন হন। নিরাপত্তা বাহিনী অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে তেমন বেশি নিরাপত্তাও নেই।
বাংলাদেশি আমলারা, বিশেষ করে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের অফিসে, অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আত্মগোপনে বা পালিয়ে যাওয়ায় অস্পষ্টতার সম্মুখীন হন।
প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী তাঁদের মায়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশের নীতি বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অগস্টের মাঝামাঝি সময়ে নীতিগত ভাষণে ইউনুস বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সাহায্য করার জন্য বাংলাদেশের আন্তরিকতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। সেপ্টেম্বর মাসে ইউনুস বাস্তুচ্যুত মানুষদের প্রতি সহায়তা বাড়ানোর জন্য ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন-সহ (আইওএম) বিভিন্ন মানবকল্যাণ সংস্থার কাছে আবেদন করেছিলেন।
তৃতীয় দেশে পুনর্বাসন: একটি নতুন আশা?
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থানে প্রাথমিক পরিবর্তন একটি স্বাগত পদক্ষেপ ছিল যেখানে বাস্তুচ্যুত মানুষদের মায়ানমারে প্রত্যাবাসন থেকে মনোযোগ স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। কারণ এই মুহূর্তে তৃতীয় যে কোনও দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য পরিস্থিতি দিন দিন খারাপতর হচ্ছে। সম্ভাব্য গন্তব্যগুলির মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা, জাপান এবং আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে থার্ড কান্ট্রি রিসেটলমেন্ট বা তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের সুযোগগুলি অন্বেষণ করা হচ্ছে।
ইউনুসের খ্যাতি ও আন্তর্জাতিক মাত্রা ধরে রাখা আরও আন্তর্জাতিক দাতাদের আকৃষ্ট করার জন্য অপরিহার্য এবং তা তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনকে সহজতর করতে পারে। এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান সরকার বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও তাইল্যান্ড থেকে রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করেছিল। যাই হোক, রোহিঙ্গা সঙ্কটের সুবিশাল মাত্রা, দাতাদের অর্থায়নের জন্য প্রতিযোগিতামূলক অগ্রাধিকার এবং শরণার্থীদের গ্রহণে অনেক সরকারের অনীহার কারণে এই পুনর্বাসনের কাজটি এখন চ্যালেঞ্জিং বলে প্রমাণিত হতে পারে।
ইউনুসের খ্যাতি ও আন্তর্জাতিক মাত্রা ধরে রাখা আরও আন্তর্জাতিক দাতাদের আকৃষ্ট করার জন্য অপরিহার্য এবং তা তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনকে সহজতর করতে পারে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে (ইউএনজিএ) এই বিষয়ে সাম্প্রতিক সমান্তরাল বৈঠকের পর মার্কিন সরকার রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা সম্প্রদায়গুলিকে আরও সহায়তা প্রদানের জন্য ১৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিতে সম্মত হয়েছে। ইইউ ২০২৪ সালের জন্য বাংলাদেশে প্রায় ৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মানবিক সহায়তা বরাদ্দ করেছে এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা-সহ বাংলাদেশে বন্যা দুর্গতদের সহায়তার জন্য সেপ্টেম্বর মাসে অতিরিক্ত ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছে।
ইউনুস ইউএনজিএ-র সভায় বলেছিলেন যে, এই অসহায় মানুষদের জন্য প্রত্যাবাসনই একমাত্র বিকল্প। বাংলাদেশকে অবশ্যই একটি মধ্যমেয়াদি নীতি তৈরি করতে হবে, যাতে মানবকল্যাণ সংস্থাগুলি গঠনমূলক ভাবে কাজ করতে এবং পরিস্থিতি পরিচালনা করতে সক্রিয় ভাবে তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের বিকল্পগুলি অন্বেষণ করতে সক্ষম হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারকে আর্থিক ও কূটনৈতিক উভয় ভাবেই রোহিঙ্গাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সমর্থন বজায় রাখতে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে দেশগুলির মধ্যে আরও ন্যায়সঙ্গত বোঝা বণ্টনের জন্য ওকালতি করা এবং এ কথা সুনিশ্চিত করা যে, বাংলাদেশ একা এই সঙ্কট বয়ে বেড়াবে না। উপরন্তু, মায়ানমারে একটি সমাধানের জন্য চাপ দিয়ে সঙ্কটের মূল কারণগুলির মোকাবিলা করা জরুরি, যেখানে সুযোগ পেলে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের নিশ্চয়তা প্রদান করাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এই বিষয়ে মায়ানমারে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রসারিত করার পাশাপাশি অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলতে হবে এবং হুন্তা ও অ-রাষ্ট্রীয় উভয় পক্ষের দ্বারা সংঘটিত অপরাধের তদন্তের অনুমতি দিতে হবে।
বাংলাদেশের উচিত রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে ঐকমত্য গড়ে তুলতে এবং সঙ্কট মোকাবিলায় বৃহত্তর আঞ্চলিক দায়িত্বকে উত্সাহিত করতে অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস-এর (আসিয়ান) মতো আঞ্চলিক মঞ্চগুলিকে কাজে লাগানো।
একই সঙ্গে বাংলাদেশের উচিত রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে ঐকমত্য গড়ে তুলতে এবং সঙ্কট মোকাবিলায় বৃহত্তর আঞ্চলিক দায়িত্বকে উত্সাহিত করতে অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস-এর (আসিয়ান) মতো আঞ্চলিক মঞ্চগুলিকে কাজে লাগানো। আসিয়ান এই প্রসঙ্গে সীমিত পদ্ধতির জন্য সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। উদ্বাস্তু উদ্বেগের জন্য একটি আঞ্চলিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা অত্যাবশ্যক, বিশেষ করে যেহেতু বেশির ভাগ সদস্য রাষ্ট্র ১৯৫১ শরণার্থী কনভেনশন বা এর ১৯৬৭ প্রোটোকলের স্বাক্ষরকারী নয়। বাংলাদেশ যেহেতু ব্লকের মধ্যে একটি আঞ্চলিক আলোচনার অংশীদার হতে চায়, তাই এই বিষয়ে আসিয়ানের আসন্ন সভাপতি মালয়েশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া ফলপ্রসূ হবে।
মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষার জন্য প্রাথমিক দায়িত্ব পালন করলেও রোহিঙ্গা সঙ্কটের একটি সুসংহত সমাধান অর্জনের জন্য সম্মিলিত আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শ্রীপর্ণা ব্যানার্জি অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অ্যাসোসিয়েট ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.