-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
গাজা যুদ্ধ এবং ইরানের ‘প্রতিরোধের অক্ষ’র সঙ্গে সামঞ্জস্যতা থেকে হুতিরা উল্লেখযোগ্য ভাবে উপকৃত হয়েছে এবং ক্রমশ তারা একটি প্রশিক্ষিত, অর্থায়িত এবং অভিজ্ঞ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
২০১৫ সালে আরব বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ ইয়েমেন যুদ্ধে বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশটির রাজধানী সানা এবং এর বিমানবন্দর হুতি-দের নিয়ন্ত্রণে আসার কারণে ভারত তার নাগরিকদের সরিয়ে আনার লক্ষ্যে অপারেশন রাহাত চালু করেছিল। প্রকৃত সামরিক ও জঙ্গি সক্ষমতার ক্ষেত্রে তখন হুতিরা তুলনামূলক ভাবে অসংগঠিত ছিল। বর্তমানে গাজায় হামাসের সন্ত্রাসবাদী হামলা এবং ইজরায়েলের প্রতিশোধমূলক যুদ্ধের ন’মাস পর হুতিরা বলতে গেলে সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হয়ে উঠেছে।
পূর্বে আনুষ্ঠানিক ভাবে আনসারাল্লাহ নামে পরিচিত হুতি আন্দোলনের শিকড় প্রোথিত রয়েছে একটি সশস্ত্র এবং রাজনৈতিক ধারণার মধ্যে, যা ইয়েমেনের জাতিগত শিয়া মুসলিম সংখ্যালঘু, জাইদিদের মধ্যে নিহিত।
পূর্বে আনুষ্ঠানিক ভাবে আনসারাল্লাহ নামে পরিচিত হুতি আন্দোলনের শিকড় প্রোথিত রয়েছে একটি সশস্ত্র এবং রাজনৈতিক ধারণার মধ্যে, যা ইয়েমেনের জাতিগত শিয়া মুসলিম সংখ্যালঘু, জাইদিদের মধ্যে নিহিত। এই মতাদর্শটি হুসেইন আল-হুতি (২০০৪ সালে নিহত) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং বর্তমানে তাঁর ভাই আবদুল-মালিক-আল-হুতির নেতৃত্বাধীন। আনসারাল্লাহর ইতিহাস এই অঞ্চলের অন্যান্য শিয়া সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মতোই। আল-হুতি ইয়েমেনি নেতা আলি আবদুল্লাহ সালেহ-র (যিনি ২০১৭ সালে হুতিদের অতর্কিত হামলায় নিহত হয়েছিলেন) দীর্ঘস্থায়ী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন।
গাজা যুদ্ধ
হুতিরা আনুষ্ঠানিক ভাবে নিজেদের ইরানের ‘অ্যাক্সিস অফ রেজিস্ট্যান্স’ বা ‘প্রতিরোধের অক্ষ’র অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি আসলে ইরানের সাহায্যপ্রাপ্ত গোষ্ঠীগুলির একটি সমষ্টি, যা মূলত ইজরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কাজ করে। যাই হোক, হুতিরা সৌদি আরবের বিরুদ্ধেও একটি যুদ্ধ করেছে, যা ২০১৫ সাল থেকে এখনও চলছে। ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটি যাতে সৌদির প্রতিবেশে নিজেদের ভিত্তি মজবুত না করতে পারে, তা সুনিশ্চিত করার জন্য হুতিদের বিরুদ্ধে সৌদি বিমান অভিযান চালানো হয়। এর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ লোহিত সাগরের জলপথ – যেটি শুধু মাত্র সুয়েজ খালের অভিমুখেই যায় না, বরং সৌদি অর্থনৈতিক বহুমুখীকরণের জন্য ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) বিপুল উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রেক্ষিতেও অত্যন্ত জরুরি – সেই জলপথের উপর প্রভাব বজায় রাখার জন্যও এই অভিযান চালানো হয়েছিল। কিছু প্রতিবেদনে এ কথাও তুলে ধরা হয়েছে যে, ইয়েমেনের রাজনীতিতে বৈদেশিক হস্তক্ষেপ এবং এডেনভিত্তিক আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত সরকারের মোকাবিলা করার জন্যও আল-কায়েদা ইন দ্য আরাবিয়ান পেনিনসুলার (একিউএপি) সঙ্গে হুতিরা সাযুজ্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
সৌদি প্রচারাভিযান - যার মধ্যে ‘বুটস অন দ্য গ্রাউন্ড’ অর্থাৎ ‘বাস্তব জমিতে সেনার উপস্থিতি’ একেবারেই অন্তর্ভুক্ত ছিল না – আদতে তেমন ধোপে টেকেনি। ফলে তা রিয়াধকে কূটনীতির শৃঙ্খল উন্মোচন করতে বাধ্য করেছে এবং ২০২৩ সালে চিনের মধ্যস্থতায় সৌদি-ইরান কূটনৈতিক স্বাভাবিকীকরণের দিকে চালিত করেছে। এই পদক্ষেপগুলি সৌদিকে এই মুহূর্তের জন্য কোনও প্রকার প্রত্যক্ষ দ্বন্দ্ব থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল প্যালেস্তাইনের ঘটনা নিয়ে কোনও একতরফা সামরিক প্রতিক্রিয়া না-দর্শানো, যখন ইজরায়েল ‘হামাসকে নির্মূল করা’র লক্ষ্য অর্জনের জন্য অপ্রতিসম সামরিক শক্তি ব্যবহার করছে। এমনকি মিশরও – এমন একটি আরব রাষ্ট্র, যা প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসাবে গাজা সম্পর্কিত ঘটনাবলির সঙ্গে আরও বেশি যুক্ত - ফিলিস্তিনিদের সরাসরি সাহায্য করতে অস্বীকার করেছে। মিশর আশঙ্কা করে যে, সংঘাতে জড়িত হওয়ার বিষয়টি এটিকে ইজরায়েলের যুদ্ধ প্রচেষ্টায় জড়িয়ে ফেলতে পারে এবং ইজরায়েল-মিশর শান্তি চুক্তিতে ফাটল ধরাবে। এই শান্তি চুক্তিটি ক্যাম্প ডেভিড অ্যাকর্ডস নামেও পরিচিত, যা ১৯৭৮ সাল থেকে চালু রয়েছে।
এই পদক্ষেপগুলি সৌদিকে এই মুহূর্তের জন্য কোনও প্রকার প্রত্যক্ষ দ্বন্দ্ব থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল প্যালেস্তাইনের ঘটনা নিয়ে কোনও একতরফা সামরিক প্রতিক্রিয়া না-দর্শানো, যখন ইজরায়েল ‘হামাসকে নির্মূল করা’র লক্ষ্য অর্জনের জন্য অপ্রতিসম সামরিক শক্তি ব্যবহার করছে।
আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতির এই সমস্ত জটিলতা হুতিদের ইজরায়েলের বিরুদ্ধে আরও সরাসরি লড়াই করার জায়গা দিয়েছে, যে লড়াই লড়তে বেশির ভাগ আরব রাষ্ট্রগুলিই অস্বীকার করছে। এই অবস্থানটি হুতিদের একটি স্থানীয় জঙ্গিগোষ্ঠী হওয়া থেকে বাস্তবে এমন একটি দলে পরিণত করেছে, যে দলটি সরকারি সামরিক ইউনিটের মতোই আচরণ করে। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় হুতিদের ব্যাপক উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আরব জনগণের মাঝে সমর্থন কুড়োতেও সক্ষম হয়েছে। গোষ্ঠীটি যেমন ইরানের পৃষ্ঠপোষকতা থেকে উপকৃত হয়েছে - যা ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে স্পষ্টতই বহু গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে – তেহরানও বিষয়টির অস্বীকৃতি থেকে উপকৃত হয়েছে। ইরানের তৎকালীন ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার এবং বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত ফরেন মিনিস্টার আলি বাঘেরি ডিসেম্বর মাসে বলেছিলেন, ‘প্রতিরোধের (হুতিদের) নিজস্ব হাতিয়ার রয়েছে... এবং তারা নিজস্ব সিদ্ধান্ত ও ক্ষমতা অনুযায়ী কাজ করে।’ এই কৌশলগত ক্ষমতাগুলি আরও বেশি করে প্রকট হয়ে ওঠে যখন লোহিত সাগরে হুতিদের মোতায়েন করা হয় এবং এর ফলে এই অঞ্চলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, সরবরাহ শৃঙ্খল এবং শক্তি সুরক্ষায় ভারতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য ভারতীয় নৌবাহিনীকেও মোতায়েন করতে হয়েছিল। এমনকি রাজনৈতিক ভাবেও হুতিরা ইরাকের মতো রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার চেষ্টা করেছে, যেখানে ইরান-সমর্থিত এবং মার্কিন-সমর্থিত প্রভাবের মধ্যে টানাপড়েনটি প্রায় স্থায়ী ঘটনা। ফলে এই পরিস্থিতি হুতিদের নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বেশ কিছুটা পরিসর প্রদান করেছে।
লোহিত সাগরে উপস্থিতি
ইউএস সেন্ট্রাল কম্যান্ড (সেন্টকম) সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে, এই অঞ্চলে তাদের সম্পদ লোহিত সাগরে ইরান-সমর্থিত তিন হুতি ‘আনক্রুড সারফেস ভেসেল’ ধ্বংস করেছে। এর অর্থ হল অত্যাধুনিক অথবা অস্থায়ী ভাবে কার্যকর সমুদ্রবাহিত ড্রোনগুলিকে হুতিরা মোতায়েন করেছিল এবং এগুলির লক্ষ্য ছিল ইজরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যে সম্পৃক্ত মার্কিন সামরিক সম্পদ ও বাণিজ্যিক জাহাজকে ধ্বংস করা। হরমুজ প্রণালীতে ইরান দ্বারা পূর্বে ব্যবহৃত একটি কৌশল হল নির্দিষ্ট সংখ্যায় পরিচালিত ছোট মানবচালিত গানবোট। এর আগে হুতিরা লোহিত সাগরে লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করার জন্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র চালনা করেছে। ২০ জুন হুতিরা দ্বিতীয় জাহাজটি ডুবিয়ে দেয়, যা বাণিজ্যিক জাহাজচালকদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। এই সংশ্লিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্রগুলি সম্ভবত ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কোর এবং বিশেষ করে এর বৈদেশিক শাখা কুদস ফোর্স গত কয়েক বছর ধরে সরবরাহ করেছে। বিশ্লেষক ফাবিয়ান হিঞ্জের মতে, সংশ্লিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ইরানি নকশায় নির্মিত এবং পুরনো সোভিয়েত ও চিনা ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে হয়তো হুতিদের সীমিত প্রযুক্তিগত জ্ঞানের জন্য সহজে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে পুনরায় কাজে লাগানো হয়েছে।
যাই হোক, প্রতিরোধের অংশ হিসাবে এই কয়েকটি গোষ্ঠীকে কী ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সে সম্পর্কে একটি স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। সমুদ্রভিত্তিক যুদ্ধকে অগ্রাধিকার দেওয়ার মাধ্যমে হুতিদের ক্ষমতা ব্যাপক ভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। আর এক দিক থেকে দেখলে, গাজা থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে ইউক্রেনীয়রা কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার মোকাবিলায় মনুষ্যবিহীন নৌকা বা ‘নেভাল ড্রোন’ ব্যবহার করছে। যেখানে ইরানি অর্থ ও জ্ঞান লোহিত সাগরে হুতিদের মৌলিক প্রযুক্তিগত সক্ষমতায় ইন্ধন জোগাচ্ছে, সেখানে মার্কিন ও ইউরোপীয় সাহায্য একই ভাবে ইউক্রেনকে সশক্ত করছে। রাজনীতি এবং ভূ-রাজনীতি ভিন্ন বিষয় হলেও, কৌশল এবং কার্যকরী চিন্তাভাবনা একই অভিমুখী। উভয়ই মানুষের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা এবং যুদ্ধবিমান, নৌ জাহাজ ও ক্ষেপণাস্ত্রের মতো উচ্চ মূল্যের অস্ত্র ব্যবস্থা রক্ষা করার লক্ষ্যে অস্ত্রের স্বল্প মূল্যের স্বয়ংক্রিয়তা দ্বারা পরিচালিত হয়।
যাই হোক, প্রতিরোধের অংশ হিসাবে এই কয়েকটি গোষ্ঠীকে কী ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সে সম্পর্কে একটি স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। সমুদ্রভিত্তিক যুদ্ধকে অগ্রাধিকার দেওয়ার মাধ্যমে হুতিদের ক্ষমতা ব্যাপক ভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
রাজনীতি ও কৌশলগত সামরিক পদ্ধতির পাশাপাশি হুতির নকশা ‘যুদ্ধের খরচ’ সংক্রান্ত বিতর্ককেও সমুন্নত রেখেছে। জানুয়ারি মাসে ভারত মহাসাগরের জন্য ফরাসি নৌবাহিনীর কম্যান্ডার ভাইস অ্যাডমিরাল ইমানুয়েল স্লারস অ্যাস্টর ১৫ ক্ষেপণাস্ত্রের ফ্রিগেটের ব্যবহারকে জনসমক্ষে সমর্থন করতে বাধ্য হন। এই ফ্রিগেটের প্রতিটির নির্মাণ মূল্য ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি এবং এগুলি মাত্র কয়েক হাজার ডলার মূল্যে নির্মিত হুতি ড্রোন ধ্বংস করার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (ইউএস) এবং ব্রিটেনের (ইউকে) নৌবাহিনীও একই খরচ বহন করছে। যদিও ভারতের মতো দেশের ক্ষেত্রে এই ধরনের ক্ষমতা কাজে লাগানো সমীচীন নয়। এ কথা উল্লেখযোগ্য যে, একটি ভারতীয় জাহাজ মাত্র কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেই একটি ড্রোন আক্রমণ সামাল দিতে পারে এবং তার গোলাবারুদ পুনরায় মজুদ করতে ভারতের বন্দরে ফিরে আসতে পারে। ‘যুদ্ধের খরচ’-এর এই বিদ্রুপাত্মক অস্ত্রায়ন বেশ কয়েকটি জঙ্গিগোষ্ঠীর জন্য অত্যন্ত লাভজনক বলে প্রমাণিত হচ্ছে।
উপসংহার
হুতিরা এমন এক সময়ে গাজা ও হামাসকে সমর্থন করার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে যখন এই অঞ্চলের খুব কম আরব রাষ্ট্রই এমনটা করছে। এমনটা করার সিদ্ধান্ত এই অঞ্চলে গোষ্ঠীটিকে আরও আনুষ্ঠানিক ও শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি করে তোলার পথে সহায়ক হতে পারে। গাজার যুদ্ধ এবং ইরানের অক্ষের একটি অংশ হওয়ার সিদ্ধান্তের দরুন হুতিরা ব্যাপক ভাবে উপকৃত হয়েছে এবং হুতিরা নিজের যোদ্ধাদের মধ্যে একটি মাত্র কালাশনিকভ ভাগ করে নেওয়ার সময় পেরিয়ে এসে বর্তমানে আরও প্রশিক্ষিত, অর্থায়িত, সশস্ত্র এবং অভিজ্ঞ যুদ্ধবাহিনীতে পরিণত হয়েছে। নিজেদের পৃষ্ঠপোষকতা সত্ত্বেও গাজা তেমন উপকৃত না হলেও এবং সরাসরি ইজরায়েলকে লক্ষ্যবস্তু করে তোলার জন্য গোষ্ঠীটির অভিপ্রায় এখনও বাস্তবায়িত না হলেও ‘আনসারাল্লাহ’ সামরিক সক্ষমতা-সহ এক আদর্শের মেলবন্ধনে তৈরি নিজস্ব ভাবমূর্তিকে জোরদার করার কাজে সফল ভাবে যুদ্ধটিকে ব্যবহার করতে সমর্থ হয়েছে।
কবীর তানেজা অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Kabir Taneja is a Deputy Director and Fellow, Middle East, with the Strategic Studies programme. His research focuses on India’s relations with the Middle East ...
Read More +