Author : Vidur Ji Sharma

Published on Jun 01, 2024 Updated 0 Hours ago
পার্টি বনাম প্রথা: শি কি তাইওয়ানকে বলপূর্বক সমন্বিতকরণের জুয়া খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন?

২০০০ সালের গস্ট মাসে শি জিনপিং ফুজিয়ান প্রদেশের গভর্নর হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে চিনা ম্যাগাজিন ঝংহুয়া এরনু-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জোর দিয়ে বলেছিলেন যে, প্রথম বছরে একটি নতুন নেতার নিজস্ব কর্মসূচি নির্ধারণ করতে হবে এবং রিলে রেসের মতো পূর্ববর্তী নেতাদের কাছ থেকে ক্ষমতার ব্যাটন নিয়ে সঠিক ভাবে তা চালনা করতে হবে।’ এর বারো বছর পরে ২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট হিসাবে তাঁভাষণে শি ‘চিন দেশটির মহান পুনর্জাগরণ অর্জনের জন্য আবার সেই ক্ষমতার ব্যাটনের উপমা ব্যবহার করেছিলেন। ২০০০ সালের মতো তিনি একটি স্বতন্ত্র কৌশল দ্রুত গতিতে তাঁর পূর্বসূরিদের থেকে ভিন্ন ভাবে প্রশাসন চালানোর জন্য নিজস্ব কর্মসূচি নির্ধারণ করেছিলেন। নতুন পথের বিষয়ে শি-র বক্তব্য চার দশকের শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের চিনা ভাবমূর্তিকে বদলে দিয়েছে।

শি ক্ষমতায় আসার এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্রচালিত গণমাধ্যম চায়না নিউজ সার্ভিস ‘যে টি যুদ্ধ চিনকে আগামী ৫০ বছরে লড়াই করতে হবে শীর্ষক শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে, যেখানে বর্ণনা করা হয়েছে যুদ্ধ সম্পর্কে: (ক) তাইওয়ানকে সমন্বিত করার যুদ্ধ (২০২০-২০২৫); (খ) দক্ষিণ চিন সাগরের দ্বীপপুঞ্জ পুনরুদ্ধার (২০২৫-২০৩০); (গ) দক্ষিণ তিব্বত পুনর্দখল (২০৩৫-২০৪০); (ঘ) দিয়াউতাই ও রিয়ুকিয়ু দ্বীপপুঞ্জ পুনর্দখল (২০৪০-২০৪৫); (ঙ) আউটার মঙ্গোলিয়ার পুনঃসমন্বিতকরণ; এবং (চ) রাশিয়া কর্তৃক দখলকৃত অঞ্চল পুনরুদ্ধারের যুদ্ধ (২০৫৫-২০৬০)। এটি ছিল সুনির্দিষ্ট সময়রেখা-সহ চিনা কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহের একটি স্পষ্ট আভাস, যেখানে সর্বোচ্চ স্বপ্ন হিসেবে তাইওয়ানের পুনঃসমন্বিতকরণের কথা বলা হয়েছে।

চিরাচরিত ভাবে চিন তাইওয়ানের শান্তিপূর্ণ সমন্বিতকরণকে সমর্থন করে প্রধানত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কারণে: (ক) তাইওয়ান সংক্রান্ত আইন ১৯৭৯-এর মাধ্যমে চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তাইওয়ানের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি; (খ) আন্তঃপ্রণালী বরাবর ভয় পক্ষের কার্যকলাপের জটিলতা; (গ) সমন্বিতকরণে ব্যর্থ হলে তা সেই সংক্রান্ত স্বপ্নকে দুরমুশ করে দেবে এবং আন্তর্জাতিক ভাবে চিনের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে পারে।

এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য চিন একটি চতুর্মুখী কৌশল নির্মাণ করেছে: (ক) পশ্চিমী গণতান্ত্রিক মডেলের তুলনায় শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন সংক্রান্ত চিনা মডেলের শ্রেষ্ঠত্বের প্রচার করা; (খ) আগ্রাসী ভাবে স্বাধীন-মনোভাবাপন্ন তাইওয়ানিদের ভয়কে প্রশমিত করার উদ্দেশ্যে এক জাতি দুই ব্যবস্থা অধীনে স্বায়ত্তশাসনের প্রচারকে আকর্ষণীয় করে তোলা, আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যকে উত্সাহ জোগানোর মাধ্যমে অর্থনৈতিক নির্ভরতা তৈরি করা এবং তাইওয়ান মূল ভূখণ্ডের মধ্যে বিনিময়কে গভীরতর করা; (গ) তিনটি যুদ্ধ কৌশল ব্যবহার করে বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রতিরোধের মোকাবিলা করার পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বীপদেশটির স্বাধীনতার উদ্দেশ্যে যে সামরিক শক্তি ও সমর্থন জোগাচ্ছে, তা প্রতিহত করা; এবং (ঘ) অর্থনৈতিক ও সামরিক প্রভাব ব্যবহার করে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা থেকে অন্যান্য দেশকে নিরুৎসাহিত করে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া।

 

বিকাশমান গণতন্ত্রের পাশাপাশি বেশির ভাগ মানব উন্নয়নমূলক সূচকে তাইওয়ানের আরও ভাল ফলাফল উন্নয়নের কমিউনিস্ট মডেলের প্রচারকে নস্যাৎ করে দিয়েছে।

 

বাস্তবসম্মত বিশ্লেষণ উপরের কৌশলগুলির সীমিত কার্যকারিতাকেই দর্শায়। আইএমএফ-এর মাথাপিছু আয়ের তথ্য (জিডিপি, ২২ ডিসেম্বর) তুলনা করলে দেখা যায় চিনের আয় ১২২৫৯ মার্কিন ডলার, যেখানে তাইওয়ানের মাথা পিছু আয় ৩৩৭৭৫ মার্কিন ডলার অর্থাৎ চিনের প্রায় তিন গুণ। এ ছাড়াও, বিকাশমান গণতন্ত্রের পাশাপাশি বেশির ভাগ মানব উন্নয়নমূলক সূচকে তাইওয়ানের আরও ভাল ফলাফল উন্নয়নের কমিউনিস্ট মডেলের প্রচারকে নস্যাৎ করে দিয়েছে। ‘এক জাতি দুই ব্যবস্থার অধীনে স্বায়ত্তশাসনের প্রচারের সিসিপি-র মুখোশ খুলে গিয়েছিল ২০১৯ সালে, যখন হংকং-এ প্রত্যর্পণ বিরোধী বিল বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে চিনের তরফে নৃশংস আচরণ তাইওয়ানে তীব্র প্রতিক্রিয়া জন্ম দিয়েছিল। এর ফলে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) ক্ষমতায় আসে এবং দ্বীপদেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন বহালই থাকে

২০২১ সালের অগস্ট মাসে তাইওয়ানিজ পাবলিক ওপিনিয়ন ফাউন্ডেশন দ্বারা পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, তাইওয়ানের ৭৩ শতাংশ মানুষ স্বাধীনতা/স্থিতাবস্থা সমর্থন করেন এবং মাত্র ১১.১ শতাংশ মানুষ চিনের সঙ্গে সমন্বিতকরণের বিষয়টিকে সমর্থন করে্ন। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ তাইওয়ানি হিসাবে নিজেদের পরিচয়  দিতে পছন্দ করেচিনা বিভ্রান্তিমূলক প্রচার, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ এবং বিরোধী ভোটারদের সমন্বিত করার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের নির্বাচনে ডিপিপি-র জন্য অভূতপূর্ব তৃতীয় মেয়াদ আরও বেশি করে গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের (পিআরসি) প্রচারের সীমিত আবেদন এবং শান্তিপূর্ণ পুনঃসমন্বিতকরণের প্রেক্ষিতে চিনের ক্ষয়িষ্ণু আশাকে তুলে ধরে। তাইওয়ানের নিউ সাউথবাউন্ড পলিসি’ (নয়া দক্ষিণ অভিমুখী নীতি) এবং পিআরসি থেকে দ্বীপদেশটির অর্থনীতিকে বিচ্ছিন্ন করার ব্যবস্থা চিনের আগ্রাসী আক্রমণাত্মক চরিত্রকে আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে।

তাইওয়ানের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি অক্ষুণ্ণ রয়েছে এবং ২০২২ সালের তাইওয়ান নীতি আইনের মাধ্যমে তা পুনরায় নিশ্চিত করা হয়েছে। চিতার একমাত্র আংশিক সাফল্য হিসেবে যা দাবি করতে পারে তা হল, তাইওয়ানকে কূটনৈতিক ভাবে বিচ্ছিন্ন করতে পারার ব্যাপারে তার সফল প্রচেষ্টা। কারণ মাত্র ১৩টি ছোট দেশ তাইওয়ানকে একটি স্বাধীন দেশ  হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তাইওয়ানকে পিআরসি-র জোরপূর্বক দখল এই ধারণার মূলে আঘাত হানবে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব জুড়ে স্বাধীনতা গণতন্ত্রের রক্ষক বলে দাবি করলেও আন্তর্জাতিক শক্তি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তিতে ধাক্কা লাগবে।

 

একটি প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক শক্তি হয়ে উঠতে ক্রমবর্ধমান উচ্চাকাঙ্ক্ষাসম্পন্ন পিআরসি-র জন্য নিজের ভূখণ্ডের একটি তথাকথিত অংশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা অকার্যকর। আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তাইওয়ানকে পিআরসি-র জোরপূর্বক দখল এই ধারণার মূলে আঘাত হানবে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব জুড়ে স্বাধীনতা গণতন্ত্রের রক্ষক বলে দাবি করলেও আন্তর্জাতিক শক্তি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তিকে ধাক্কা লাগবে। এই সমন্বিতকরণের ঘটনা পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে, ফার্স্ট আইল্যান্ড চেন-এর ধারণাকে ভেঙে দিতে পারে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মার্কিন প্রাধান্যের অবসান ঘটাতে পারেসুতরাং, তাইওয়ান প্রণালী উভয় পরাশক্তির জন্য একটি অস্তিত্বগত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছেইউক্রেন যুদ্ধ থেকে নেওয়া শিক্ষার উপর ভিত্তি করে বেজিং বিশ্বের কাছে একটি ‘ফেট অ্যাকমপ্লি’ (এমন কিছু যা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে) উপস্থাপন করার জন্য একটি দ্রুত সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাইপেই নেতৃত্বের পতন ঘটানোর চেষ্টা করবে।

অন্য দিকে আবার চিন ভৌত, অর্থনৈতিক এবং এমনকি প্রযুক্তিগত ভাবে বা বৃহত্তর সামরিক পদক্ষেপের অগ্রদূত হিসাবে দ্বীপটি শ্বাসরোধ করে এবং বিচ্ছিন্ন করে ফেলার মাধ্যমে অবরোধ আরোপ করার চেষ্টা করতে পারে। সাম্প্রতিক চিনা সামরিক বিদ্রোহ তাইপেইকে শঙ্কিত করেছে এবং তাইপেইকে একাধিক প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য করেছে - যেমন সেনাবাহিনীতে  বাধ্যতামূলক নিয়োগের মেয়াদ বর্তমান চার মাস থেকে এক বছর বৃদ্ধি করা, অ্যাসিমেট্রিক যুদ্ধ ক্ষমতার বিকাশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে উন্নত সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়। ইউক্রেন সংঘাত ইতিমধ্যে ওয়াশিংটন তাইপেইকে এ বিষয়ে সুনিশ্চিত করেছে যে, চিনা আক্রমণ সম্ভাব্য বিপদ হতে পারে এবং একটি ছোট সামরিক বাহিনী যদি সঠিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়, তা হলে তারা যে কোনও বৃহত্তর শক্তিকে পরাজিত করতে পারে। শান্তিপূর্ণ পুনঃসমন্বিতকরণের ক্ষীণ আশার সঙ্গে বর্ধিত তাইওয়ানের পাল্টা ব্যবস্থার কারণে সামরিক বিকল্পের বন্ধ জানালা শি-কে অবশ্যই উত্তেজিত করবে।

দুই মেয়াদের সীমা অপসারণ করে এবং উত্তরাধিকারী মনোনীত না করে শি ইতিমধ্যেই অনড় মনোভাব দর্শিয়েছেন এবং গত শতাব্দীর পিআরসি-এর সবচেয়ে বিশিষ্ট রাজনৈতিক সংস্কারের বিনিময়ে নিজের কর্তৃত্বকে মজবুত করেছেন দেং শক্তির নিয়মিত ও শান্তিপূর্ণ হস্তান্তরের কথা বলেছিলেন। কারণ তিনি একনায়কতন্ত্র ও ব্যক্তিমহিমার প্রচারকে উপলব্ধি করেছিলেন এবং যৌথ নেতৃত্বের কথা বলেছিলেন। যদিও ২০৪৯ সালের মহান পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শি হয়তো পদে বহাল থাকবেন নাতবে তিনি তাঁর মেয়াদের মধ্যেই তাইওয়ানের পুনঃসমন্বিতকরণের অন্যান্য দীর্ঘকাল যাবৎ লালিত স্বপ্নের জন্য জুয়া খেলতে পারেন এবং এ হেন পদক্ষেপ মাও ও দেং-এর মতো মহান ব্যক্তিত্বদের পরে তাঁর স্থানকে আরও শক্তিশালী করতে পারে। ইউক্রেন থেকে মধ্যপ্রাচ্য পর্যন্ত গাজা, লোহিত সাগর ইরাকের একাধিক সঙ্কটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই জর্জরিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আর কটি নিরাপত্তা সঙ্কটে যোগদানে পশ্চিমী শক্তিদের অনীহা শি-র কাছে প্রণালী বরাবর তাঁর সামরিক অভিযানকে আরও এগিয়ে আনার দারুণ সুযোগ প্রদান করবে। এবং শি এ ক্ষেত্রে গো বিগ, গো আর্লি মনোভাব অবলম্বন করবেন।

 

বলপূর্বক সমন্বিতকরণ পূর্ব ও দক্ষিণ চিন সাগরে অন্যান্য প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে একই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য চিনকে কেবল উৎসাহিত করবে না, বরং একই সঙ্গে তার দ্বিমুখী দ্বিধাও দূর করবে। এর ফলে দেশটির সম্পূর্ণ সামরিক শক্তিকে ভারতের জন্য দুঃস্বপ্নসম পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথ ভাবে অরুণাচল প্রদেশে (দক্ষিণ তিব্বত নামে পরিচিত) পরবর্তী যুদ্ধের জন্য কাজে লাগাবে।

 

যাই হোক, তাইওয়ানে যে কোন স্থিতাবস্থার পরিবর্তন সারা বিশ্বে গুরুতর নিরাপত্তা অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলবে, যা ইউক্রেন যুদ্ধের চেয়ে অনেক বেশি গুরুতর হয়ে উঠবে। বলপূর্বক সমন্বিতকরণ পূর্ব ও দক্ষিণ চিন সাগরে অন্যান্য প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে একই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য চিনকে কেবল উৎসাহিত করবে না, বরং একই সঙ্গে তার দ্বিমুখী দ্বিধাও দূর করবে। এর ফলে দেশটির সম্পূর্ণ সামরিক শক্তিকে ভারতের জন্য দুঃস্বপ্নসম পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথ ভাবে অরুণাচল প্রদেশে (দক্ষিণ তিব্বত নামে পরিচিত) পরবর্তী যুদ্ধের জন্য কাজে লাগাবে। ভারতকে পঞ্চাশের দশকের স্মৃতিজর্জরিত ভুলগুলি থেকে শিক্ষা নিতে হবে, যখন ভারত তিব্বতে চিনের দখলদারিত্বের পরিণতি পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারেনি। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে সৃষ্ট ঐতিহাসিক বাফার মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে ভারত এবং উত্তর সীমান্ত বরাবর চিনের তরফে ‘অল্প অল্প করে ভূখণ্ড দখলের’ দীর্ঘমেয়াদি হুমকির জন্ম হয়েছে। তাইপেইয়ের প্রতি বেজিংয়ের যে কোনও জবরদস্তিমূলক পদক্ষেপের ক্ষেত্রে ভারতকে অবশ্যই মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে তাইওয়ানের সমর্থনে সক্রিয় ভাবে সম্পৃক্ত হতে হবে। পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমর্থনের মাত্রা ধরন পরিবর্তিত হতে পারে, তবে নিরপেক্ষ থাকা কোনও বিকল্প হতে পারে না। হিমালয় বরাবর চিনের যে কোন দুঃসাহসিক অভিযানের বিরুদ্ধে পারস্পরিক ভাবে সক্রিয় পশ্চিমী সমর্থনের জন্য ভারত শুধু মাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিন্দু হিসেবে কাজ করবে না, বরং তিব্বত দখলের সময় ভারতের হারানো অঞ্চলও উদ্ধার করতে সক্ষম হবে।

 


বিদুর শর্মা অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ভিজিটিং ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Author

Vidur Ji Sharma

Vidur Ji Sharma

Col Vidur Ji Sharma is an Indian Army officer commissioned into Mahar Regiment in May 2000. The officer has had varied operational experience of serving ...

Read More +