Author : Rishith Sinha

Published on Jun 11, 2024 Updated 0 Hours ago

যদিও এমডিবি রূপান্তরের জন্য সাম্প্রতিক প্রয়াস স্বাগত এবং সংস্কারের জরুরি প্রয়োজন আছে, আইইজি রিপোর্টের সুপারিশগুলি আরও গুরুত্ব সহকারে মূল্যায়ন করা উচিত

এমডিবি সংস্কার: প্রয়োজন, পন্থা, ভুল পদক্ষেপ

বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাঙ্কগুলি (এমডিবি) বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে। অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য বৈশ্বিক লড়াইয়ে এক সময় সহায়ক ভূমিকা পালন করলেও এমডিবি-‌গুলি আজ জলবায়ু পরিবর্তনের মতো ক্রমাগত বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মুখে অপ্রচলিত হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে৷ এই বছরের শুরুর দিকে ১৩ জন বিশ্বনেতা একটি খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন যাতে জোর দেওয়া হয় যে এমডিবি-র সংস্কার হল একটি "শীর্ষ অগ্রাধিকার"। এই লক্ষ্যে ভারতের জি২০ প্রেসিডেন্সি বহুপাক্ষিক উন্নয়নমূলক ব্যাঙ্কগুলিকে শক্তিশালী করার জন্য একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী (আইইজি) দ্বারা একটি বিস্তৃত প্রতিবেদন ‘‌ট্রিপল অ্যাজেন্ডা’ তৈরি করিয়েছে‌, যা এমডিবি ব্যবস্থার পুনর্নবীকরণের পক্ষে যুক্তি দিয়েছে৷

আইইজি রিপোর্ট এমডিবি বিশ্বে ঝড় তুলেছে, এবং বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা ২০২৩ সালের বিশ্ব ব্যাঙ্ক/ আইএমএফের বার্ষিক সভায়
তাঁর ভাষণে এর অনেক সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এর যুক্তিগুলির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ একটি মিশ্র চেহারা সামনে আনে। সামগ্রিকভাবে, যদিও এতে অনেক কিছু রয়েছে যা বাস্তব এমডিবি সংস্কারের আশা জাগায়, প্রতিবেদনের কয়েকটি দিক — অ-‌রেয়াতি ঋণের উপর এর ফোকাস এবং বেসরকারি খাতের নিযুক্তির ক্ষেত্রে ঝুঁকি বিযুক্তিকরণ পদ্ধতির প্রতি এর সমর্থন — অর্থবোধক পরিবর্তনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে।


ভারতের জি২০ প্রেসিডেন্সি বহুপাক্ষিক উন্নয়নমূলক ব্যাঙ্কগুলিকে শক্তিশালী করার জন্য একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী (আইইজি) দ্বারা একটি বিস্তৃত প্রতিবেদন ‘‌ট্রিপল অ্যাজেন্ডা’ তৈরি করিয়েছে‌, যা এমডিবি ব্যবস্থার পুনর্নবীকরণের পক্ষে যুক্তি দিয়েছে৷



প্রতিবেদনের সুপারিশগুলি তিনটি বিস্তৃত উপাদান নিয়ে গঠিত - একটি ট্রিপল অ্যাজেন্ডা।

ট্রিপল ম্যান্ডেট

তাদের স্বতন্ত্র মিশনের বিবৃতিতে পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও এমডিবি-‌গুলি সাধারণত একটি দ্বিফলা উন্নয়নমূলক ব্যবস্থায় সম্মত হয়, যার মধ্যে রয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করা এবং চরম দারিদ্র্য দূর করা। এখানে, আইইজি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে একটি তৃতীয় ফলা অবশ্যই আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করতে হবে: জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজন, খাদ্য ও জলের নিরাপত্তা, এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ সম্পর্কিত বৈশ্বিক গণপণ্যে (জিপিজি) বিনিয়োগ।

এই ট্রিপল ম্যান্ডেট গ্রহণ করা সঠিক দিকে প্রথম পদক্ষেপ। জিপিজি-‌গুলিকে গ্রহণ করা হলে তা এমডিবি সিস্টেমকে ২১ শতকের বৈশ্বিক উন্নয়ন লক্ষ্যগুলির সঙ্গে নিজেদের আরও ঘনিষ্ঠভাবে সারিবদ্ধ করার অনুমতি দেবে। এটি করার মাধ্যমে এসডিজি-‌গুলি, প্যারিস চুক্তি, ও কুনমিং-মন্ট্রিল গ্লোবাল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক-‌কে এমডিবি-‌র উদ্দেশ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে স্থাপন করা গেলে তা সমন্বিত বৈশ্বিক জলবায়ু কর্মের জন্য আরও আশার জন্ম দেবে। অতিরিক্তভাবে, মূল দ্বিমুখী ম্যান্ডেট-‌এর সঙ্গে জিপিজি-‌গুলি যেভাবে জড়িত তা বিবেচনায় রেখে ট্রিপল ম্যান্ডেটের উপর কাজ করলে, তা এমডিবিগুলিকে সম্মিলিত প্রয়াস থেকে লভ্যাংশ তোলার অনুমতি দেবে। বায়ু, জল ও স্থলে বিনিয়োগ না-‌করে বহুমাত্রিক দারিদ্র্য দূর করা যাবে না; জলবায়ু অভিযোজন এবং স্থিতিস্থাপকতা তহবিল ছাড়া,জলবায়ু-অরক্ষিত জনসংখ্যার জন্য জীবনের ফলাফলের গুণমান উন্নত করা যাবে না।


এসডিজি-‌গুলি, প্যারিস চুক্তি, ও কুনমিং-মন্ট্রিল গ্লোবাল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক-‌কে এমডিবি-‌র উদ্দেশ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে স্থাপন করা গেলে তা সমন্বিত বৈশ্বিক জলবায়ু কর্মের জন্য আরও আশার জন্ম দেবে।



অতীতে একাধিক প্রতিশ্রুতি না-‌রাখার কারণে সত্যিকারের এমডিবি সংস্কারের সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এই প্রতিশ্রুতিগুলিকে সঠিকভাবে পালন করার দায়িত্ব এমডিবি-গুলির। একটি ট্রিপল ম্যান্ডেট শুধুমাত্র অলংকারমূলক হয় যতক্ষণ না এটি এমডিবি-‌গুলির গৃহীত পদক্ষেপগুলিতে মূর্ত হয়। আইইজি রিপোর্টের একটি বড় অবদান কর্মের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়রেখা প্রদান করছে। জি২০-র মতো সংস্থাগুলিকে এই টাইমলাইনের জন্য এমডিবি-গুলিকে দায়বদ্ধ রাখতে হবে।

বার্ষিক এমডিবি তহবিল

এমডিবি ফাইন্যান্স ঐতিহ্যগতভাবে অ্যাডহক ভিত্তিতে গৃহীত হয়েছে। আইইজি রিপোর্টে দেশগুলির উন্নয়নমূলক অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য প্রকৃতপক্ষে প্রয়োজনীয় মূলধনের পরিমাণ নিয়ে আলোচনার ভিত্তিতে ঋণ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এটি ২০৩০ সালের মধ্যে এমডিবি ফাইন্যান্সের বার্ষিক স্তরে তিনগুণ বৃদ্ধির আহ্বান জানায়, যার অর্থ নিয়মিত ঋণ প্রদানের জন্য বছরে ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং অনুদান ও রেয়াতি হারে ঋণে বছরে ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়া। অতিরিক্তভাবে, আইইজি রিপোর্টে রেয়াতি অর্থায়নের গুরুত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছে, যেহেতু তহবিলের এই চ্যানেলটি খুব সহজেই নিম্ন আয়ের দেশগুলিকে গুরুত্বপূর্ণ অ-রাজস্ব উৎপাদনকারী প্রকল্পগুলি গ্রহণ করার অনুমতি দেয়। এই লক্ষ্যে, ২০৩০ সালের মধ্যে, ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ)-‌এর আকার তিনগুণ বৃদ্ধি করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যার জন্য দাতাদের অবদান দ্রুত বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

অ-রেয়াতি এমডিবি অর্থায়ন তিনগুণ করার সুপারিশ করা যে কথাটি বিবেচনা করে না তা হল নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে ঋণ সঙ্কট।
প্রায় ৮০টি দেশ আজ ঋণ সঙ্কটের মধ্যে বা ঝুঁকিতে রয়েছে। ২০১০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বহির্দেশীয় সরকারি ঋণের মোট পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে, যার ফলে একটি দেশের রাজস্ব সম্পদের ক্রমান্বয়ে বৃহত্তর অংশ ঋণ পরিষেবায় চলে যায়: ২০১০ সাল থেকে নিম্ন আয়ের দেশগুলির জন্য জিডিপি-‌র তুলনায় সুদের অর্থপ্রদান ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ দেশগুলি আটকে আছে অ-টেকসই বৈদেশিক ঋণের একটি দুষ্ট চক্রের মধ্যে: জলবায়ু-সম্পর্কিত ক্ষতিপূরণ এবং জলবায়ু অভিযোজন তহবিলের জন্য সম্পদের অভাবের দরুন একটি নিম্ন বা মধ্যম আয়ের দেশ বহির্দেশীয় ঋণ গ্রহণ করে; ঋণ পরিষেবা ব্যয় বৃদ্ধির ফলে জলবায়ু কর্ম, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ইত্যাদির জন্য কম সম্পদ বরাদ্দ করা হয়; অত্যাবশ্যকীয় ব্যয়ের ঘাটতি স্থিতিশীল উন্নয়ন ও অভিযোজন অর্থায়নের জন্য দেশের ক্ষমতাকে আরও ক্ষয় করে; তখন দেশকে অবশ্যই আরও বেশি বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ করতে হয়; এবং এই চক্র চলতে থাকে। ঋণের এই দুষ্টচক্র সরাসরি এসডিজির অর্জনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ঋণ সঙ্কট ( এবং এর তীব্রতা বৃদ্ধিতে বিশ্ব ব্যাঙ্কের ভূমিকা) স্বীকার না করা পর্যন্ত অ-রেয়াতি এমডিবি অর্থায়নের মাত্রা বৃদ্ধির কোনও কাঙ্ক্ষিত প্রভাব থাকবে না।


২০১০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বহির্দেশীয় সরকারি ঋণের মোট পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে, যার ফলে একটি দেশের রাজস্ব সম্পদের ক্রমান্বয়ে বৃহত্তর অংশ ঋণ পরিষেবায় চলে যায়: ২০১০ সাল থেকে নিম্ন আয়ের দেশগুলির জন্য জিডিপি-‌র তুলনায় সুদের অর্থপ্রদান ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে৷



সমস্যার উপর আরও নিয়মিত ঋণ নিক্ষেপ করা হতে থাকলে তার কোনওভাবেই সাহায্য করার সম্ভাবনা কম। আইইজি-এর রেয়াতি অর্থের গুরুত্বের স্বীকৃতি হল তাজা বাতাসের শ্বাস, এবং আইডিএ-র তিনগুণ বৃদ্ধি হল একটি সূচনা। যাই হোক, জলবায়ু অভিযোজন এবং অন্য এসডিজিগুলির জন্য পর্যাপ্ত পদক্ষেপের লক্ষ্যে আরও ছাড়যুক্ত অর্থ জোগাড় করতে হবে। ঋণের দুষ্টচক্র ভাঙার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য স্তরের অনুদান অর্থায়ন অপরিহার্য। এই ধরনের অর্থের যোগান বাড়ানোর জন্য অ-রেয়াতি অর্থের শর্তের কড়াকড়ির মাধ্যমে দেশগুলিকে শাস্তি দেওয়া বন্ধ করতে হবে; রেয়াতি অর্থ গ্রহণ একটি দুর্বল সংকেত, এমন অনুমান থেকে সরে আসা আবশ্যক।
 


বেসরকারি ক্ষেত্রের নিযুক্তি

বৈশ্বিক জলবায়ু-সম্পর্কিত লক্ষ্য এবং এসডিজি পূরণের জন্য যথেষ্ট বেসরকারি পুঁজির প্রয়োজন হবে। সেই অনুসারে, আইইজি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে প্রাইভেট ক্যাপিটাল মোবিলাইজেশন (পিসিএম) এর অনুপাত প্রতি ডলার এমডিবি ঋণের জন্য কমপক্ষে ১.৫ প্রাইভেট ডলারে উন্নীত করতে হবে, এবং বার্ষিক বেসরকারি অর্থায়ন কমপক্ষে ৭৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নিয়ে যেতে হবে। এই সুবিধার জন্য, প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, এমডিবিগুলি বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করতে জাতীয় সরকারগুলির সঙ্গে তাদের আলোচনাকে কাজে লাগাক। এমডিবি-র জন্য ঝুঁকিমুক্ত এবং ঝুঁকি ভাগাভাগি ব্যবস্থার একটি সিরিজ সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে আছে আরও সিনিয়র বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি বিযুক্তিকরণের জন্য এমডিবি-র জুনিয়র পদে কাঠামোগত আর্থিক উপায়গুলি সংযুক্ত করা; প্রত্যক্ষ ঋণ থেকে নিশ্চয়তা উপকরণের উপর অধিক নির্ভরশীল হওয়া; এবং প্রাথমিক ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায় থেকে বিনিয়োগে বেসরকারি ক্ষেত্রের সঙ্গে সহযোগিতা করা।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, একটি নতুন নীতির দৃষ্টান্ত —
ওয়াল স্ট্রিট কনসেনসাস (ডব্লিউএসসি) — আবির্ভূত হয়েছে, যা উন্নয়ন প্রচেষ্টার কেন্দ্রে  বেসরকারি অর্থায়নকে রাখে৷ ডব্লিউএসসি ২০১৫ বিলিয়ন থেকে ট্রিলিয়ন অ্যাজেন্ডা এবং ২০১৭ ক্যাসকেড অ্যাপ্রোচ দ্বারা প্রতিফলিত হয়, উভয়ই উন্নয়ন ছাতার অধীনে সর্বাধিক অর্থায়নের জন্য বিশ্ব ব্যাঙ্ক দ্বারা গৃহীত হয়েছে। আইইজি-র সুপারিশটি ডব্লিউএসসি স্থিতাবস্থার মধ্যে পড়ে, যেটি নিজেই লভ্যাংশ প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে: বিলিয়ন থেকে ট্রিলিয়ন-‌এর ৬ বছর পর ২০২১ সালে পিসিএম অনুপাত ছিল প্রতি সরকারি ডলারে ২৫ বেসরকারি সেন্ট। ঝুঁকিমুক্তকরণ, নিশ্চয়তা, প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ের সহ-সৃষ্টি: এই পদক্ষেপগুলি লাভের বেসরকারিকরণকে রক্ষা করে ঝুঁকির সামাজিকীকরণকে সহজতর করে। অধিকন্তু, পিসিএম-এর একটি গভীর সমালোচনা রয়েছে: ব্যক্তিগত পুঁজি সহজাতভাবে ঝুঁকিবিরোধী, লাভ-প্রার্থী বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা তাদের স্বার্থে কাজ করে। এটাকে অবহেলা করা উচিত নয় যে, প্রকৃতপক্ষে, ব্যক্তিগত মুনাফা এবং জনস্বার্থের মধ্যে একটি লেনদেন রয়েছে।


আইইজি-র সুপারিশটি ডব্লিউএসসি স্থিতাবস্থার মধ্যে পড়ে, যেটি নিজেই লভ্যাংশ প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে: বিলিয়ন থেকে ট্রিলিয়ন-‌এর ৬ বছর পর ২০২১ সালে পিসিএম অনুপাত ছিল প্রতি সরকারি ডলারে ২৫ বেসরকারি সেন্ট।



যদিও বেসরকারি পুঁজি উল্লেখযোগ্য জলবায়ু অর্থায়নের ব্যবধান পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে এবং অবশ্যই তা চেষ্টাকৃতভাবে সংগঠিত করতে হবে। আইইজি-‌র সুপারিশ হল ভাল ব্যাঙ্কিং, অতিরিক্ত বিষয়াবলি এবং প্রভাব মূল্যায়নকে আর্থিক আলোচনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
 
এছাড়া, বেসরকারি পুঁজি শুধু পরিকাঠামো, জ্বালানি ও গণপরিবহণে আয়-উৎপাদনকারী বিনিয়োগের জন্য সংহত করা উচিত; এবং একে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার  মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি থেকে দূরে রাখা উচিত, কারণ সেখানে মুনাফা ও জনস্বার্থের মধ্যে বিকল্প আরও দ্বন্দ্বমূলক হয়ে ওঠে। অবশেষে, বিশ্ব ব্যাঙ্ককে অবশ্যই তার 'ঝুঁকিমুক্তকরণ' পদ্ধতির বাইরে বেরোতে হবে। সবুজ বিনিয়োগগুলিকে ঝুঁকিমুক্ত করে আপেক্ষিক মূল্যকে লক্ষ্যে পরিণত করার পরিবর্তে, যা কার্বন-নিবিড় ক্ষেত্র থেকে আর্থিক প্রবাহকে দূরে সরিয়ে দিতে স্পষ্টভাবে সফল হয়নি,
জনগণকে অগ্রাধিকার দিয়ে সবুজ পরিবর্তনের নেতৃত্বে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে রাষ্ট্রগুলিকে সাহায্য করার জন্য সরকারি ডলার ব্যবহার করা উচিত। একটি দেশের উন্নয়নমূলক প্রয়োজন অনুসারে বেসরকারি বিনিয়োগগুলিকে নিয়ন্ত্রিত করা উচিত, যার ফলে লভ্যাংশগুলি কর্পোরেশনের পরিবর্তে নাগরিকদের কাছে প্রবাহিত হবে।



ঋষিত সিনহা অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন গবেষণা সহকারী।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.