Published on May 22, 2024 Updated 0 Hours ago

মায়ানমারে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ভারতকে তার  অ্যাক্ট ইস্ট নীতির উদ্দেশ্য অর্জনে বাধা দিচ্ছে

মায়ানমার কি ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট নীতির বাধা হয়ে উঠছে?

Source Image: WE News

২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ভারত সরকার (জিওআই) দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির জনসংখ্যার কাঠামো বজায় রাখতে ভারত ও মায়ানমারের মধ্যে ফ্রি রেজিম মুভমেন্ট (এফএমআর) বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। নয়াদিল্লি ১৬৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-মায়ানমার সীমান্তে বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কয়েক দিন পরে এফএমআর বাতিলের কথা ঘোষণা করেছিল। ভৌগোলিক পরিসরের পরিপ্রেক্ষিতে মায়ানমার ভারতের জন্য কৌশলগত ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব বহন করে। অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি (এইপি) বা পূর্ব অভিমুখী নীতির মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়, বিশেষ করে অ্যাসোসিয়েশন  সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) দেশগুলির মধ্যে ভারতের প্রভাব বৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষার জন্য মায়ানমার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যাই হোক, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সামরিক বাহিনী ক্ষমতার দখলের পর থেকে মায়ানমার রাজনৈতিক অস্থিরতার সম্মুখীন হয়েছে ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স অর্থাৎ আরাকান আর্মি, তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি এবং মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিকের জোটের তরফে অপারেশন ১০২৭’-এর সূচনা সামরিক হুন্তার বিরুদ্ধে অস্থিতিশীলতাকে আরও উস্কে দিয়েছিল এবং ভারতের এইপি-র মূল উদ্দেশ্যগুলিকে বাধা দান করেছিল।

 

ভারতের পূর্ব অভিমুখী নীতির আলোকে

২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লুক ইস্ট পলিসি’-কে অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’তে বদলে দেন এবং তিনটি প্রাথমিক উদ্দেশ্যের মাধ্যমে এই নীতির পুনরুজ্জীবন ঘটিয়েছেন: প্রথমত, উদীয়মান ভারত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, বিশেষ করে আসিয়ানের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করা। দ্বিতীয়ত, নীতিটিতে সুযোগ সৃষ্টি এবং ভারতের অস্থিতিশীল সংঘাত-প্রবণ উত্তর-পূর্ব অঞ্চলকে (এনইআর) স্থিতিশীল করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। তৃতীয়ত, প্রতিবেশী মায়ানমারে চিনের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তির মোকাবিলা করার উদ্দেশ্যে নীতিটিতে দ্বিপাক্ষিক ভাবে এবং সমমনস্ক আসিয়ান দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতা করার কথা বলা হয়েছে

 

কেএমএমপি-র লক্ষ্য  হল বাংলাদেশ ও মায়ানমার হয়ে ভারতের এনইআর-এর সঙ্গে সংযোগ উন্নত করা, ভারতের কলকাতা বন্দরকে মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত করা এবং মায়ানমারের সড়ক পথের মাধ্যমে সংযোগ ব্যবস্থাকে মিজোরাম পর্যন্ত প্রসারিত করা।

 

এই উদ্দেশ্যগুলি অর্জনের জন্য ভারত সক্রিয় ভাবে কালাদান মাল্টি-মোডাল প্রজেক্ট (কেএমএমপি) এবং ভারত-মায়ানমার-তাইল্যান্ড ত্রিপাক্ষিক প্রকল্পের (আইএমটিটিপি) মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলির মাধ্যমে মায়ানমারের সঙ্গে আঞ্চলিক সংযোগ সাধন করে। কেএমএমপি-র লক্ষ্য হল বাংলাদেশ ও মায়ানমার হয়ে ভারতের এনইআর-এর সঙ্গে সংযোগ উন্নত করা, ভারতের কলকাতা বন্দরকে মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত করা এবং মায়ানমারের সড়ক পথের মাধ্যমে সংযোগ ব্যবস্থাকে মিজোরাম পর্যন্ত প্রসারিত করা। এর বিপরীতে আইএমটিটিপি ভারতের সীমান্ত শহর মোরে-কে মায়ানমার হয়ে তাইল্যান্ডের মায়ে সোটের সঙ্গে সংযুক্ত করবে এবং তিনটি দেশের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন বাণিজ্য, ব্যবসা, শিক্ষা এবং পর্যটনের উদ্দেশ্যে একটি সড়ক সংযোগের সূচনা করবে।

 

২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর মায়ানমার

দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব এবং পূর্ব এশিয়ার ত্রিমুখী সংযোগস্থলে মায়ানমারের অবস্থান ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাকি অংশ এবং তার সীমানা ছাড়িয়ে স্থল ও সামুদ্রিক সংযোগ প্রসারিত করার এক প্রবেশদ্বার। কৌশলগত গুরুত্বের ঊর্ধ্বে উঠে নয়াদিল্লি মায়ানমারকে একটি আকর্ষণীয় বাজার এবং তার ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির জন্য একটি নির্ভরযোগ্য অর্থনৈতিক অংশীদার বলে মনে করে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তিতে কৃষি পণ্য, বাসনপত্র, প্রসাধনী, মোটরবাইক সিমেন্ট-সহ ৬২টি পণ্যকে কর ছাড়ের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা ২০২২-২০২৩ অর্থবর্ষে ১.৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মোট পণ্য বাণিজ্যকেই দর্শায়।

এই সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও, মায়ানমারের মূল এইপি প্রকল্পগুলি উল্লেখযোগ্য বিলম্বের সম্মুখীন হয়েছে। মিজোরামের পক্ষে সিটওয়ে বন্দর কার্যকর হওয়া ও তার কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও কেএমএমপি-র অধীনে সিটওয়ে বন্দরকে (মায়ানমার) মিজোরামের (ভারত) সঙ্গে সংযুক্তকারী ৬৮ মাইল দীর্ঘ হাইওয়ে এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। আইএমটিটিপি ভারতের পক্ষে ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করেছে এবং তাইল্যান্ডেও সেই কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে। তবে মায়ানমার সেই কাজ সম্পর্কিত অগ্রগতির খতিয়ান পেশ করেনি। যদিও বাণিজ্যমন্ত্রী অং নাইং উ উল্লেখ করেছেন যে, মহাসড়কের একটি অংশ এখনও সম্পূর্ণ করা দরকার এবং তা সম্পন্ন হতে আরও তিন বছর সময় লাগবে। এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশন বা জাতিগত সশস্ত্র সংস্থা (ইএও) এবং সামরিক হুন্তার মধ্যে হিংসা বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা দুই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের গতি হ্রাস করেছে। এর পাশাপাশি ইএও এবং জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি) প্রকল্পটি যে এলাকাগুলির মধ্য দিয়ে যায় অর্থাৎ চিন, সাগাইং এবং রাখাইন স্টেটগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে এ ছাড়াও, কেএমএমপি-র জন্য কৌশলগত ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পালেতোয়া শহরটি এখন আরাকান আর্মি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, যার সঙ্গে ভারতের কোনও প্রকার আলোচনা হয়নি। নতুন বাস্তবতার প্রতি সাড়া দেওয়া এবং এই গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্পগুলির সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেতে এই গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে সংযোগ করা এখন নয়াদিল্লির জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

 

এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশন বা জাতিগত সশস্ত্র সংস্থা (ইএও) এবং সামরিক হুন্তার মধ্যে হিংসা বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা দুই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের গতি হ্রাস করেছে।

 

নয়াদিল্লি বিদ্রোহীদের হুমকির বিরুদ্ধে এনইআর-কে সুরক্ষিত করতে মায়ানমার সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং মায়ানমার হুন্তার মধ্যে একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা ১৯৯০-এর দশক থেকে মায়ানমারের অভ্যন্তরে কর্মরত ভারতীয় গোষ্ঠীগুলির দ্বারা বিদ্রোহ প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, এইপি-র বাস্তবায়ন এনইআর-এ সশস্ত্র সংঘাত প্রশমিত করবে, মায়ানমারের মাধ্যমে আসিয়ান দেশগুলির সঙ্গে সংযোগ বৃদ্ধি করবে। এই রূপান্তরটি ভারতের স্থলবেষ্টিত স্বল্পোন্নত এনইআর-কে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রে জায়গা করে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে, যার ফলে বেকারত্ব এই অঞ্চলের যুবকদের জন্য সীমিত সুযোগের মতো বিদ্রোহের  কারণগুলি প্রশমিত করা যাবে। যাই হোক, ভারত-মায়ানমার সীমান্তে বিদ্রোহ মোকাবিলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি থেকে সামরিক হুন্তার বিচ্যুতি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার উপরেও বিরূপ প্রভাব ফেলে। মণিপুরের পিপলস লিবারেশন আর্মি এবং মণিপুর নাগা পিপলস ফ্রন্টের অসম রাইফেলের কনভয়ে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে হওয়া অতর্কিত হামলায় এই কথাই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ভারতে হামলার জন্য মায়ানমারকে মঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। মায়ানমার থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে মণিপুরের টেংনুপাল জেলায় একটি সেনা কনভয়ে অতর্কিত হামলার সাম্প্রতিক প্রচেষ্টা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াকে আরও জোরদার করে তুলেছে

উদ্বাস্তুদের ক্রমবর্ধমান প্রবাহ ভারতের এনইআর-এ, বিশেষ করে মিজোরাম এবং মণিপুরে উল্লেখযোগ্য নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। প্রতিরোধ বাহিনীকে দমন করতে হুন্তার তরফে সাম্প্রতিক আকাশপথে হামলার পর মায়ানমারের শরণার্থীদের সংখ্যা নাটকীয় ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে, মিজোরাম ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে ৬০০০০ মায়ানমার অভিবাসীদের আশ্রয় দিয়েছে। মায়ানমারের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এর পাশাপাশি, মায়ানমার থেকে চিন কুকি শরণার্থীদের আগমনকে মণিপুরে চলমান হিংসানেপথ্যে অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই হিংসা ভারত-মায়ানমার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের জন্য অত্যাবশ্যক মোরে-তামু সীমান্ত বাজারকে ব্যাহত করেছে। বিশ্লেষকরা যুক্তি দিয়েছেন যে, মণিপুরে বিদ্যমান হিংসা ভারত-মায়ানমার সীমান্তে সংযোগ পথের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে, সম্ভাব্য ভাবে অংশীদারদের এইপি-র সঙ্গে যুক্ত এনইআর-এ বিনিয়োগ করতে নিরুৎসাহ করেছে। এর ফলস্বরূপ, মায়ানমারের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ভারতের এনইআর-এর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

 

উদ্বাস্তুদের ক্রমবর্ধমান প্রবাহ ভারতের এনইআর-এ, বিশেষ করে মিজোরাম এবং মণিপুরে উল্লেখযোগ্য নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। প্রতিরোধ বাহিনীকে দমন করতে হুন্তার তরফে সাম্প্রতিক আকাশপথে হামলার পর মায়ানমারের শরণার্থীদের সংখ্যা নাটকীয় ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

চিনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি

চিন প্রসঙ্গ ভারতের কাছে মায়ানমারের কৌশলগত গুরুত্বকে আরও জোরদার করে তোলেমায়ানমারের মধ্যে চিনের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব এবং মায়ানমারের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে প্রবেশাধিকার সুনিশ্চিত করার জন্য চিনের প্রচেষ্টা ভারতের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিনেচিন-মায়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর প্রতিষ্ঠা এবং সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে মায়ানমারের কোকো দ্বীপে নজরদারি সুবিধা স্থাপন ভারতের কৌশলগত অস্বস্তিকে উস্কে দিয়েছে। এর পাশাপাশি বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের প্রধান উত্স হিসাবে চিনের উত্থান এবং মায়ানমারের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হিসাবে চিনের অগ্রণী অবস্থান উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। পরিবর্তনশীল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে ভারত তার অবস্থান পুনরুদ্ধার করতে এইপি-র অধীনে মায়ানমারে বিনিয়োগ প্রকল্প শুরু করেছে। তবে মায়ানমারে চিনের প্রভাব মোকাবিলায় ভারতের কৌশলের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ভারতের বিপরীতে মায়ানমারের প্রতি চিনের দৃষ্টিভঙ্গি সামরিক হুন্তার সঙ্গে সম্পৃক্ততার ঊর্ধ্বে উঠেও প্রসারিত; চিন ইএও এবং এনইউজি-এর সঙ্গেও মিথস্ক্রিয়া চালিয়েছে। চিন যখন থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স এবং শান স্টেট সামরিক হুন্তার মধ্যে একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করেছিল (যা তিন দিন পরে ভেঙেও যায়) তখনও এই সম্পৃক্ততা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ভারতে বর্তমানে এই কৌশলগত ব্যবস্থার অভাব রয়েছেকারণ নয়াদিল্লি বিশ্বাস করে যে, হুন্তার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া আসলে চিনা প্রভাব মোকাবিলা করার অন্যতম উপায়। মায়ানমারের বিরাজমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে চিনের বহুমুখী সম্পৃক্ততা ভারতের উদ্যোগকে ছাপিয়ে যাবে যদি অদূর ভবিষ্যতে মায়ানমারে সরকারি পরিবর্তন হয় এবং ইএও ও এনইউজি একত্রে সরকার গঠন করে।

 

পরিবর্তনশীল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে ভারত তার অবস্থান পুনরুদ্ধার করতে এইপি-র অধীনে মায়ানমারে বিনিয়োগ প্রকল্প শুরু করেছে।

 

উপসংহার

মায়ানমারের সঙ্গে ভারতের সম্পৃক্ততা আঞ্চলিক সংযোগ বাড়ানো, এনইআর-এ বিদ্রোহ প্রশমন, ভূমিবেষ্টিত এনইআর-এ প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নকে উৎসাহ জোগানো এবং চিনের প্রভাব মোকাবিলার জন্য অবিচ্ছেদ্য। যাই হোক, মায়ানমারের রাজনৈতিক অস্থিরতা ভারতের এনইআর, চিনের ক্রমবর্ধমান বহুমুখী সম্পৃক্ততা এবং চিন কুকি শরণার্থীদের আগমনে আরও বেশি পরিমাণে বিদ্রোহে অবদান রাখছে। ভারতকে – যে দেশ নিজের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব বাড়াতে আগ্রহী – এইপি-র মাধ্যমে তার স্বার্থ এবং উদ্দেশ্যগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মায়ানমারের প্রতি তার কৌশলকে পুনর্বিবেচনা করতে হবে।

 


ওফেলিয়া ইয়ামলেম্বাম দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পলিটিক্যাল সায়েন্সে স্নাতকোত্তর। তিনি এখন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল সায়েন্স বিভাগের রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মরত।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Author

Ophelia Yumlembam

Ophelia Yumlembam

Ophelia Yumlembam is a Research Assistant at the Dept. of Political Science, University of Delhi (DU). She graduated with an M.A. in Political Science from ...

Read More +