দীর্ঘায়িত ইউক্রেন সংকটের সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত ফলাফলগুলির মধ্যে একটি হল চিনের বিশ্ব কূটনীতির অগ্রভাগে উঠে আসা। অতিমারি–প্ররোচিত বিধিনিষেধ হ্রাস পাওয়ার পর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে নেতারা চিনে ছুটে যাচ্ছেন বেজিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য, রাজনীতি ও কূটনীতিতে নিজেদের স্থান সুনিশ্চিত করতে ।
২০২২ সালের নভেম্বরে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনার জন্য বেজিং গিয়েছিলেন। স্কোলজের সফরের আগে শেষ কোনও ইউরোপীয় নেতার চিন সফরের পর তিন বছর কেটে গিয়েছিল। অতি সম্প্রতি চিন সফরকারী বিশিষ্ট নেতাদের মধ্যে রয়েছেন স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ পেরেজ–কাস্তেজন (যিনি এই বছরের মার্চ মাসে চিন সফর করেছিলেন), ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। বিশ্বনেতাদের চিন সফর মূলত বিশ্ব রাজনীতিতে তাঁদের স্বাতন্ত্র্যসূচক ভূমিকা চিহ্নিত করার একটি প্রয়াস হিসাবে দেখা যেতে পারে, কারণ চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন কারণে সুসম্পর্ক বজায় রাখার প্রয়োজন তাঁদের আছে। কিন্তু এই সফরগুলি বাজারে নতুন ব্রোকার হিসাবে চিনের ক্রমবর্ধমান পরিসরেরও ইঙ্গিতবাহী।
ফরাসি প্রচার
চিনের কাছে ফ্রান্সের পৌঁছে যাওয়া ইউরোপে চলতি যুদ্ধের ফলে ট্রান্সঅ্যাটলান্টিক সম্পর্কের মধ্যে আবির্ভূত নতুন সৌহার্দ্যকে কিছুটা কাঁপিয়ে দিয়েছে। যুদ্ধের জন্য অ্যাটলান্টিক জুড়ে সংহতির বাধ্যতামূলক প্রয়োজনের সময়ে ট্রান্সঅ্যাটলান্টিক সম্পর্কের জন্য এর তাৎপর্য যাই হোক না কেন, মনে হয় ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ ও তার পাশাপাশি বাহ্যিক বাধ্যবাধকতাই তার চিনের কাছে যাওয়ার বড় কারণ। অভ্যন্তরীণভাবে, ক্রমাগত পেনশন বিক্ষোভের ফলে ফ্রান্স অশান্তির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে , যা ফ্রান্সের বাইরেও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। নেদারল্যান্ডে সাম্প্রতিক রাষ্ট্রীয় সফরের সময় ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বিক্ষোভকারীদের মুখে পড়েন, যাঁরা তাঁর বক্তৃতায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছিলেন। বাহ্যিকভাবে, রাশিয়ার প্ররোচিত কৌশলগত বাধ্যবাধকতার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াশিংটন প্যারিসের কাছ থেকে যে সংহতি চাইছে তার প্রেক্ষাপটে ফ্রান্সের প্রতিযোগিতা–সক্ষমতা, শিল্পনীতি, সুরক্ষাবাদ, পারস্পরিকতা ও সহযোগিতার পাঁচটি স্তম্ভ সমন্বিত ‘ইউরোপীয় সার্বভৌমত্ব’ তুলে ধরার প্রয়াসটি অসময়োচিত ও অদূরদর্শী হতে পারে।
চিনের কাছে ফ্রান্সের পৌঁছে যাওয়া ইউরোপে চলতি যুদ্ধের ফলে ট্রান্সঅ্যাটলান্টিক সম্পর্কের মধ্যে আবির্ভূত নতুন সৌহার্দ্যকে কিছুটা কাঁপিয়ে দিয়েছে।
ফ্রান্সের জন্য ম্যাক্রোঁর চিন সফর ছিল ইউরোপীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া, এবং বিভিন্ন কারণে ট্রান্স–অ্যাটলান্টিককে ছোট করা, এমনকি নিন্দনীয় করে তোলার, একটি সচেতন প্রয়াস। যদিও তাঁর সফরটি ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেয়েনের সঙ্গে চিনে যৌথ সফর হওয়ায় তা সম্মিলিত আঞ্চলিক স্বার্থের প্রতীক হিসাবে এসেছিল, ফরাসি প্রেসিডেন্ট কিন্তু স্পষ্টতই চিনকে খুশি করার জন্য খেলছিলেন। এটি তাইওয়ানের বিষয়ে ম্যাক্রোঁর বিবৃতিতে সবচেয়ে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল: ‘‘আমরা ইউরোপীয়রা নিজেদেরকে যে প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করছি তা হল: তাইওয়ানের ক্ষেত্রে এটি (সংকট) ত্বরান্বিত করা কি আমাদের স্বার্থে? না।’’ তদুপরি, তিনি মার্কিন স্বার্থের সঙ্গে সারিবন্ধনের সীমাবদ্ধতার স্পষ্ট রেখা আঁকেন এই বলে যে ফ্রান্সকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘আধিপত্যাধীন’ হতে দেওয়া উচিত নয়, এবং ‘মার্কিন ডলারের এক্সট্রাটেরিটোরিয়ালিটি’–র উপর ফ্রান্সের নির্ভরতা হ্রাস করা উচিত। ম্যাক্রোঁর উল্লিখিত ‘কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন’–এর ফরাসি আখ্যানটি শি জিনপিংয়ের কানে সুন্দর সুরে বেজেছিল, যা এই সফরের পরবর্তী সময়ের ব্যাপক ও ইতিবাচক ব্যাখ্যা থেকে স্পষ্ট।
চিনের প্রতি তার সহানুভূতিশীল অবস্থানের সপক্ষে বলতে গিয়ে ফ্রান্স তার ‘কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন’–এর দুর্বল যুক্তি দিয়েছে। এ কৌশল প্রত্যাশিতভাবেই চিনের কাছ থেকে প্রচুর প্রশংসা পেয়েছে। ২০২২ সালে অওকাস চুক্তির মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সাবমেরিন চুক্তি থেকে ফ্রান্সকে বিতাড়িত করা হয়েছিল, এবং সেই প্রেক্ষিতে ফ্রান্সের চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ হিসাবেও দেখা যেতে পারে। কিন্তু এই পদক্ষেপগুলি পশ্চিমের, রাশিয়ার ও চিনের কৌশলের বিরুদ্ধে গিয়েছে। তবুও রাজনৈতিক বিজ্ঞানের কার্যকারণ তত্ত্ব কিন্তু এই ইঙ্গিতই করে যে ক্রমবর্ধমান রাশিয়া–চিন অক্ষের কারণে ইউরোপের পক্ষে বৃহত্তর ট্রান্স–অ্যাটলান্টিক লক্ষ্যগুলি নিয়ে এগনোই তার নিজস্ব স্বার্থবাহী।
কোথায় ট্রান্স–অ্যাটলান্টিক সংহতি?
ম্যাক্রোঁর চিনে তিন দিনের সফর ফ্রান্সের জন্য ভবিষ্যতে ব্যবসায়িক চুক্তি ও বাণিজ্যের একটি উৎসাহী ছবি হতে পারে; তবে এটি ট্রান্স–অ্যাটলান্টিক সম্প্রদায়ের ভেতর, বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, তীব্র ও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এই পদক্ষেপগুলি ট্রান্স–অ্যাটলান্টিক সংহতিতে মন্দাকে চিহ্নিত করে৷ ট্রাম্প প্রশাসনের ক্ষতিকর নীতির পরে ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে বাইডেন প্রশাসন অতিরিক্ত সময় কাজ করেছে। একইসঙ্গে চিন ও রাশিয়া উভয়কে একত্রে মোকাবিলার প্রশ্নে ইউরোপকে সঙ্গে আনার জন্য বাইডেন প্রশাসনকে সুবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে ইউরোপে ইউক্রেন সঙ্কট, কারণ এ এমন এক কাজ যা ওয়াশিংটন একা করতে পারে না। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে তার পদক্ষেপের মাধ্যমে চিত্রিত বাইডেনের চিনের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থানের জন্য ইউরোপ থেকে একটি পরিপূরক পদ্ধতির প্রয়োজন। ক্রমবর্ধমানভাবে এটি ইউরোপীয় দেশগুলির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ, কারণ তারা তাদের উৎপাদন ও ব্যবসা প্রসারিত করতে চায়। যেমন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চিনকে অর্থনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা সত্ত্বেও জার্মানি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে চিনের কাছাকাছি চলে যাচ্ছে।
একইসঙ্গে চিন ও রাশিয়া উভয়কে একত্রে মোকাবিলার প্রশ্নে ইউরোপকে সঙ্গে আনার জন্য বাইডেন প্রশাসনকে সুবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে ইউরোপে ইউক্রেন সঙ্কট, কারণ এ এমন এক কাজ যা ওয়াশিংটন একা করতে পারে না।
প্রধান ইউরোপীয় দেশগুলির বিভিন্ন নেতা চিনের প্রশ্নে ভিন্ন ভিন্ন পথে চলে গেলে তা চিন ও রাশিয়া সম্পর্কিত কৌশলগত ফ্রন্টগুলিতে মার্কিন সমস্যাকে জটিল করে তুলতে পারে। রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন সংঘাতে প্রবেশ করার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য দেশটি একটি অপ্রত্যাশিত উদ্বেগ হয়ে উঠেছে; আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল ও তার ইন্দো–প্যাসিফিক নীতি সহ তার সমস্ত কৌশলগত নীতি নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে চিন তার দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত চ্যালেঞ্জ হিসাবে রয়ে গেছে। তাইওয়ানের ক্ষেত্রে উত্তেজনা প্রশমন পদ্ধতির বিষয়ে ম্যাক্রোঁর মন্তব্য আসন্ন চিনা চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধের ছায়ায় ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে বাইডেনের সংহতি চিনের সম্মিলিত ট্রান্স–আটলান্টিক বিচ্ছিন্নতার উপর নির্ভরশীল। এই অঞ্চলে ইইউ কৌশল ছাড়াও কিছু ইউরোপীয় দেশের পৃথক ইন্দো–প্যাসিফিক কৌশল অনুসরণের ঘটনা এই ইঙ্গিত দেয় যে ইন্দো–প্যাসিফিক বাস্তবতার সঙ্গে ট্রান্স–অ্যাটলান্টিক বাধ্যবাধকতার বন্ধন তৈরি করা বাইডেন প্রশাসনের পক্ষে সহজ না–ও হতে পারে। বাইডেনের জন্য চূড়ান্ত চ্যালেঞ্জ হল এমন একটি ট্রান্স–অ্যাটলান্টিক সম্পর্ক গড়ে তোলা যা চিন ও রাশিয়ার সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছে, এবং এখনও অবধি তা অলীক স্বপ্ন। এমনকি চিনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যের পরিমাণও বাড়ছে: ২০২২–২৩–এ চিন থেকে মার্কিন আমদানি ২০২১–২২–এর তুলনায় ৬.৩ শতাংশ বেড়েছে।
বাজারে নতুন ব্রোকার?
চিনের জন্য ইউরোপীয় দেশগুলির সঙ্গে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক হল প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে তাকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য ওয়াশিংটনের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দিকে আরেকটি পদক্ষেপ। এটি বিশ্বব্যাপী একটি সৎ ব্রোকার হওয়ার প্রচেষ্টার সঙ্গে তার বিশ্বজুড়ে পৌঁছে যাওয়াকে একত্র করছে। সাম্প্রতিক অতীতে চিন শান্তির মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তার আগমন ঘোষণা করেছে। পশ্চিম এশীয় অঞ্চলে চিন দুই আঞ্চলিক শত্রু সৌদি আরব ও ইরানকে এক টেবিলে বসাতে সক্ষম হয়েছে, যা একটি নতুন আঞ্চলিক ব্যবস্থার সূচনা করতে পারে। ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার চিনকে তার নতুন ভূমিকা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে চিন্তা করার জন্য কৌশলগত পরিসর দিয়েছে। তবে শি জিনপিং–এর মস্কো সফরের সময় ইউক্রেন সংকটের অবসান ঘটাতে চিনের শান্তি প্রস্তাবের, যেটি অস্পষ্ট হিসাবে গণ্য হয়েছে, লক্ষ্য শান্তি প্রতিষ্ঠার চেয়ে বেশি ছিল শান্তির ধারণা তৈরি করা।
এক সৎ মধ্যস্থ হিসাবে চিনের ভাবমূর্তি তার বৈদেশিক নীতির সরঞ্জামগুলির কারণে কলঙ্কিত রয়ে গেছে, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক জবরদস্তিতে পরিণত হয়েছে।
একটি অনিবার্য প্রশ্ন যা চিনের বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক প্রচারের ক্ষেত্রে বড় হয়ে উঠেছে তা হল দেশটি একটি সৎ মধ্যস্থ হতে পারে কি না, বিশেষ করে তার তাইওয়ানের উপর বিতর্কিত সার্বভৌমত্বের দাবি ও তা নিয়ে লড়াইক্ষ্যাপা আচরণ এবং আফগানিস্তানে তালিবানের মতো অ–রাষ্ট্রীয় কুশীলবদের আলিঙ্গন করার জন্য তার প্রস্তুতির পরিপ্রেক্ষিতে। এক সৎ মধ্যস্থ হিসাবে চিনের ভাবমূর্তি তার বৈদেশিক নীতির সরঞ্জামগুলির কারণে কলঙ্কিত রয়ে গেছে, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক জবরদস্তিতে পরিণত হয়েছে। দেশটি প্রায়শই তার বিশাল প্রতিবেশে তার সার্বভৌমত্বের দাবি তুলে এই পদ্ধতির আরও বেশি প্রয়োগ করে।
চিন বিশ্বব্যাপী কূটনীতিকে প্রভাবিত করার আয়তন ও সুযোগের মাপকাঠিতে মার্কিন ক্ষমতার কাছাকাছি নয়, তবে দেশটি এই দিকে দ্রুত ওয়াশিংটনের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার ভিত্তি তৈরি করতে পারে। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঐতিহাসিকভাবে বেশ স্পষ্টভাবে অন্যান্য দেশের উপর প্রভাব বিস্তারের জন্য কূটনৈতিক ও জবরদস্তিমূলক উভয় উপায়ই ব্যবহার করেছে, চিনের জবরদস্তিমূলক কৌশলগুলি ছদ্ম আকারে রয়ে গেছে, এবং বেজিংকে ওয়াশিংটনের চেয়ে ভাল ভাবমূর্তি তৈরির সুবিধা দিয়েছে। এছাড়াও চিন বৈশ্বিক দক্ষিণের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ভূদৃশ্য ব্যবহার করে চলতি ব্যাপক পশ্চিম–বিরোধী ও উপনিবেশ–বিরোধী মনোভাবের সুবিধা নিচ্ছে। যেহেতু ইউরোপে সংঘাত অব্যাহত রয়েছে এবং অর্থনৈতিক ও মন্দার বাধ্যবাধকতা বিশ্বজুড়ে দেশগুলিকে অর্থনৈতিকভাবে চিনের সঙ্গে জড়িত হতে বাধ্য করছে, বেজিং তার প্রভাব বাড়ানোর পাশাপাশি তার ভাবমূর্তি ঝেড়েমুছে ঝকঝকে করারও চেষ্টা করবে।