Author : Dharmil Doshi

Published on May 06, 2024 Updated 0 Hours ago

ভারতের গিফট (জিআইএফটি) সিটি তার অর্থনীতিকে বিশ্বব্যাপী আর্থিক ব্যবস্থায় একীভূত করতে এবং ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশে বিশ্বব্যাপী আর্থিক বাজারের সঙ্গে মূলধন প্রবাহ ও সংযোগ নিশ্চিত করতে চায়

গিফট সিটির সঙ্গে ভারতের 'অনশোরিং' দৃষ্টিভঙ্গি

'আত্মনির্ভর ভারত'-এর মূর্ত প্রতীক হিসাবে ঘোষিত স্বকীয়তা ও উদ্ভাবনের একটি কেন্দ্র গান্ধীনগরের গুজরাট ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স টেক (গিফট) সিটি হল ভারতের প্রথম গ্রিনফিল্ড স্মার্ট সিটি, যেখানে ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস সেন্টার (আইএফএসসি) রয়েছে৷ এটি একটি মাল্টি-সার্ভিস স্পেশাল ইকনমিক জোন (এসইজেড) হিসাবে কাজ করে,[১] এবং কর ছাড় ও সরলীকৃত প্রবিধান প্রদান করে। আইএফএসসি ব্যাঙ্কিং ইউনিট (আইবিইউ) পরিচালনাকারী ব্যাঙ্কিং সংস্থাগুলি-‌সহ আর্থিক পণ্য, পরিষেবা ও প্রতিষ্ঠানগুলির তত্ত্বাবধানের জন্য একীভূত নিয়ামক হিসাবে ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস সেন্টার অথরিটি কাজ করে।

ফ্রান্সের লা ডিফেন্স এবং জাপানের শিনজুকুর মতো আন্তর্জাতিক আর্থিক অঞ্চলগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার লক্ষ্যে গিফট সিটি ভারতের অর্থনীতিকে বিশ্বব্যাপী আর্থিক ব্যবস্থায় একীভূত করতে, মূলধন প্রবাহকে উৎসাহিত করতে, এবং ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশে বিশ্বব্যাপী আর্থিক বাজারের সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে চায়।



অফশোরিং থেকে অনশোরিং পর্যন্ত

২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের কথা মনে করিয়ে দিয়ে সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের (এসভিবি) বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং ২০২৩ সালের মার্চ মাসে ক্রেডিট সুইসের পতনের ফলে অসংখ্য ভারতীয় স্টার্টআপ একটি তহবিল স্থবির হয়ে পড়ে। কয়েক বছর ধরে, যখন "অফশোরিং" ছিল স্টার্টআপ বিশ্বের ক্যাচফ্রেজ, সেই সময় অনেক ভারত-কেন্দ্রিক উদ্যোগ বিশ্বব্যাপী হোল্ডিং স্ট্রাকচার প্রতিষ্ঠা করেছিল;‌ কিন্তু উল্লেখিত ঘটনাগুলি "অনশোরিং"-এ ফিরে যাওয়ার প্রয়াস চিহ্নিত করেছে, কারণ বিশিষ্ট স্টার্টআপগুলি ভারতে ফিরে আসতে চেয়েছিল। এসভিবি-‌‌র সঙ্গে স্টার্টআপদের কাছে থাকা ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি এখন গিফট সিটির ব্যাঙ্কগুলিতে স্থানান্তর করা হয়েছে, যা বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের জন্য একটি নিরাপদ স্থান।


যখন "অফশোরিং" ছিল স্টার্টআপ বিশ্বের ক্যাচফ্রেজ,সেই সময় অনেক ভারত-কেন্দ্রিক উদ্যোগ বিশ্বব্যাপী হোল্ডিং স্ট্রাকচার প্রতিষ্ঠা করেছিল;‌ কিন্তু উল্লেখিত ঘটনাগুলি "অনশোরিং"-এ ফিরে যাওয়ার প্রয়াস চিহ্নিত করেছে, কারণ বিশিষ্ট স্টার্টআপগুলি ভারতে ফিরে আসতে চেয়েছিল।



এই প্রবণতাকে পুঁজি করে, আইএফএসসি কর্তৃপক্ষ একটি 
শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে, যাতে গিফট সিটিকে ব্যবসার হাব হিসেবে "রিভার্স-ফ্লিপ" বা ভারতে আবাস স্থানান্তর করার জন্য পরিকল্পনার বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এতে আইনগত (সেফ চুক্তি ও অফশোর এক্সচেঞ্জ তালিকা) এবং আর্থিক (কর ছাড় ও এঞ্জেল ট্যাক্স রিলিফ) সংস্কারের প্রস্তাব রয়েছে।

প্রাথমিকভাবে ব্যাঙ্কিং ও আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্র থেকে ২০,০০০ কর্মী-‌সহ 
৪০০টিরও বেশি সংস্থা গিফট সিটিতে অফিস খুলেছে৷ যাই হোক, একটি শক্তিশালী বাজারের টার্নওভার-‌সহ একটি সমৃদ্ধ আর্থিক বাস্তুতন্ত্র তৈরি করা একটি নিয়ামক চ্যালেঞ্জ রয়ে গিয়েছে।



ব্যাঙ্কিং ও আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রের সুযোগ

ভারতীয় ও বিদেশী ব্যাঙ্কগুলি প্রয়োজনীয় লাইসেন্স পাওয়ার পরে গিফট আইএফএসসি-তে অনেক আইবিইউ প্রতিষ্ঠা করতে পারে। পাঁচটি বড় বৈশ্বিক এবং ১৪টি ভারতীয় ব্যাঙ্ক ইতিমধ্যে অপারেশনাল ইউনিট স্থাপন করেছে। ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত, গিফট সিটির মোট ব্যাঙ্কিং সম্পদ 
৪১.২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যার সঙ্গে ৫০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ক্রমবর্ধমান লেনদেন হয়েছে।

এক্সচেঞ্জ নিয়ন্ত্রণ আইনের অধীনে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলির আইবিইউগুলি অফশোর শাখা হিসাবে বিবেচিত হয়, এবং বিনিময়যোগ্য বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন পরিচালনা করতে পারে। অনুমোদনযোগ্য আইবিইউ কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ভারতে এবং বিদেশে বসবাসকারীদের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট খোলা, আমানত গ্রহণ, ঋণ ও বাণিজ্য অর্থ প্রদানের মাধ্যমে ঋণের প্রসার, ঋণ বৃদ্ধি, বিমা পরিষেবা, বৈদেশিক মুদ্রা তহবিল আহরণ এবং আরও অনেক কিছু। আইবিইউ-কে বিশ্ব বা আঞ্চলিক ট্রেজারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা করতেও উৎসাহিত করা হয়।


এক্সচেঞ্জ নিয়ন্ত্রণ আইনের অধীনে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলির আইবিইউগুলি অফশোর শাখা হিসাবে বিবেচিত হয়, এবং বিনিময়যোগ্য বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন পরিচালনা করতে পারে।



ব্যাঙ্কগুলি সক্রিয়ভাবে কাস্টমাইজড সমাধান প্রদান করে স্টার্টআপ থেকে আর্থিক প্রবাহকে পুঁজি করার চেষ্টা করছে। উদাহরণস্বরূপ, ব্যাঙ্ক অফ বরোদার গিফট সিটি শাখা মার্কিন ডলার, ইউরো ও ব্রিটিশ পাউন্ড স্টার্লিং-এ লেনদেন-ভিত্তিক ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং পরিষেবাগুলির জন্য '
ওয়ার্ল্ড স্টার্টআপ' পরিষেবাগুলির সুযোগ দেয়।

বিদেশী ব্যাঙ্কের আইবিইউগুলিকে গিফট আইএফসিএ-তে অধিগ্রহণের জন্য অর্থায়ন করার অনুমতি দেওয়া হলে তা 
নতুন ব্যবসায়িক সম্ভাবনা উপস্থাপন করতে পারে এবং ভারতীয় কোম্পানিগুলিকে অভ্যন্তরীণ অধিগ্রহণের জন্য একটি অতিরিক্ত তহবিলের উৎস প্রদান করতে পারে। এই আইবিইউ দ্বারা অধিগ্রহণ অর্থায়ন [২] অফশোর ডেরিভেটিভ ইন্সট্রুমেন্ট (ওডিআই) [৩]-‌কে বৈধ চুক্তি হিসাবে স্বীকার করবে।

দেশীয় অর্থনীতিতে বকেয়া ওডিআইয়ের মূল্য ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ১.৪৯ ট্রিলিয়ন ভারতীয় রুপি ছুঁয়েছে, যা ২০২৩ সালের ক্যালেন্ডার বছরে ৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি দেখায়। সরকার গিফট সিটি ব্যাঙ্কিং ইউনিটগুলিতে দ্বৈত কর থেকে রেহাই দিয়ে এই ধরনের ওডিআই ইস্যু করা সহজতর করার কথা বিবেচনা করছে। অধিকন্তু, কর-সম্পর্কিত জটিলতা এবং আয় বণ্টন কমাতে অনাবাসী ওডিআই হোল্ডারদের জন্য 
আইবিইউ-‌গুলিকে কর থেকে ছাড় দেওয়া হবে। এই প্রস্তাবের লক্ষ্য হল বিদেশী ব্যাঙ্কগুলির আইবিইউ-‌গুলিকে তাদের ক্লায়েন্টদের জন্য ওডিআই ইস্যু করতে অনুপ্রাণিত করা, এবং আর্থিক ক্ষেত্রের মধ্যে বৃদ্ধি এবং সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।


বিরোধ নিষ্পত্তির ঘাটতি

আইবিইউ-‌গুলির অবস্থান অনন্য, কারণ তাদের অবশ্যই একইসঙ্গে ভারতের ওভারল্যাপিং আঞ্চলিক আইন এবং একটি আইএফএসসি-র মধ্যে কাল্পনিক নিয়মগুলির মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আইবিইউ-‌গুলির ও গিফট সিটি লেনদেনের জন্য একটি অত্যাধুনিক বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থার অনুপস্থিতি তাদের সামনে একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ। সম্ভাব্য বিনিয়োগকারী ও রিভার্স ফ্লিপাররা এমন সম্ভাব্য জটিলতাগুলি নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে পারে যা বিরোধগুলি মোকাবিলা করার সময় উদ্ভূত হতে পারে, এবং যা অনিবার্যভাবে কষ্টকর নিষ্পত্তির দিকে চালিত করে।


আইবিইউ-‌গুলির ও গিফট সিটি লেনদেনের জন্য একটি অত্যাধুনিক বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থার অনুপস্থিতি তাদের সামনে একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ।



যদিও আইএফএসসি কর্তৃপক্ষ একটি আইএফএসসি-র মধ্যে আইবিইউ-এর সমস্ত ব্যাঙ্কিং কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করে, এই লেনদেনগুলি থেকে উদ্ভূত বিরোধগুলি পরিচালনা করার জন্য কোনও একচেটিয়া আদালত বা বিরোধ নিষ্পত্তি ফোরাম নেই৷ তাদের অনুপস্থিতি চ্যালেঞ্জ তৈরি করে, যেগুলি বিশেষ করে বহুমুখী দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিরোধের সঙ্গে জড়িত, যেমন জালিয়াতি। উদাহরণস্বরূপ, প্রিভেনশন অফ মানি-লন্ডারিং অ্যাক্ট, ২০০২ (পিএমএলএ)-‌এর বিধানগুলি ভারতের সীমানার বাইরে প্রসারিত হতে পারে, যেখানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ভারতের সঙ্গে যুক্ত আন্তঃসীমান্ত অপরাধ জড়িত, যা বিদেশী শাখা বা ভারতীয় সংস্থাগুলির সহায়ক সংস্থাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে৷ একইভাবে, আরবিআই-এর নির্দেশাবলী বিদেশে অবস্থিত ব্যাঙ্কিং সংস্থাগুলির শাখা এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ মালিকানাধীন সহায়ক সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যতক্ষণ তারা আয়োজক দেশে স্থানীয় আইনের বিরোধিতা না–‌করে।

ফলে, যখন একটি আইবিইউ একটি বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রক দৃষ্টিকোণ থেকে একটি "বিদেশী শাখা" হিসাবে বিবেচিত হতে পারে, 
ঋণ পুনরুদ্ধারের মত অন্য দিকগুলি ভারতীয় আঞ্চলিক আইন দ্বারা যাচাই করা যেতে পারে। এই ওভারল্যাপিং আইনি ভূচিত্র সম্পর্কে সচেতনতা নতুন আইএফএসসি প্রবেশকারীদের জন্য অত্যাবশ্যক।



২০২৪ সালের বাজেটের আগে সম্ভাব্যতা উপলব্ধি করা

২০২৩-২০২৪ কেন্দ্রীয় বাজেটে বাণিজ্য পুনঃঅর্থায়নের জন্য বিদেশী ব্যাঙ্কগুলির আইএফএসসি ব্যাঙ্কিং ইউনিট এবং সাবসিডিয়ারি এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এক্জিম ব্যাঙ্ক) দ্বারা অধিগ্রহণ অর্থায়ন চালু করা হয়েছে, সালিশি এবং সম্পর্কিত পরিষেবাগুলির ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে, এবং ওডিআই-কে বৈধ চুক্তি হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। গিফট সিটির বৃদ্ধিকে আরও প্রসারিত করতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন যোগ করেছেন যে ডিজিটাল ধারাবাহিকতা সমাধান খুঁজছে এমন দেশগুলির জন্য ডেটা দূতাবাসগুলিকে সহজতর করা হবে ৷

শিল্প আশা করছে ২০২৪-২০২৫ বাজেট মূলধন অ্যাকাউন্ট পরিবর্তনযোগ্যতার দিকে ব্যাঙ্কিং পরিষেবাগুলির আরও উদারীকরণ করবে। গিফট সিটিতে ইতিবাচক ফিনটেক পরিবেশের সুবিধা গ্রহণ করে সরকার আইএফএসসি-তে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের অগ্রগতিকে জোরদার করতে বেশ কিছু সংস্কার করতে পারে৷ আইবিইউ-গুলির জন্য 
ইলেকট্রনিক ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম এবং ভয়েস ব্রোকারগুলির বিস্তৃত পরিসরের সুযোগ নেওয়া অত্যাবশ্যক, আইএফএসসি সত্তা পরিষেবা প্রদানকারী প্ল্যাটফর্মগুলির জন্য যুক্তিসঙ্গত নিবন্ধকরণের প্রয়োজনীয়তা-‌সহ। উপরন্তু, ফিনান্সিয়াল কন্ট্রোল অথরিটি (এফসিএ ইউকে) ও মানিটারি অথরিটি অফ সিঙ্গাপুর (এমএএস)-‌এর মতো সম্মানিত আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত প্ল্যাটফর্মগুলিতে আইবিইউ-গুলিকে যোগদানের অনুমতি দেওয়া হলে তা অনাবাসী অংশগ্রহণকারীদের আকৃষ্ট করতে পারে।


ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনাল (এনসিএলটি)-‌এর জটিল প্রক্রিয়া থেকে একীভূতকরণের অব্যাহতি একটি সরলীকৃত বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার পাশাপাশি কোম্পানিগুলিকে ভারতে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা বাড়াতে পারে।



আইএফএসসি কর্তৃপক্ষের শ্বেতপত্রে অফশোর একীভূত করার সম্ভাবনা প্রসারিত করার জন্য ভারতীয় সহায়ক সংস্থাগুলির সঙ্গে গিফট আইএফএসসি-তে সত্তার জন্য ওডিআই-এর 
পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনাল (এনসিএলটি)- এর জটিল প্রক্রিয়া থেকে একীভূতকরণের অব্যাহতি একটি সরলীকৃত বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার পাশাপাশি কোম্পানিগুলিকে ভারতে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা বাড়াতে পারে।

কর্মরত গিফট সিটির 
বিশেষ বাণিজ্যিক আদালতে ব্যবসায়িক দক্ষতার অধিকারী বিচারকদের নিয়োগের মাধ্যমে একটি সুসংহত বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে। এই ব্যবস্থা শুধুমাত্র সালিসি [‌৪] প্রক্রিয়াই সমর্থন করবে না, কার্যকরভাবে পুরস্কার দেওয়ার পদ্ধতিও প্রয়োগ করবে। মাঝারি থেকে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের লেনদেনের উদ্বেগগুলিকে মোকাবিলা করে এমন উন্নত শাসন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

বিদেশী বিনিয়োগ এবং উদারীকৃত রেমিট্যান্স স্কিমের অধীনে বিনিয়োগের বিধিনিষেধ সহজ করার জন্য নিয়ামক বিধি পরিবর্তন করা, গিফট আইএফএসসি-তে স্টার্টআপ-‌দের জন্য কর-নিরপেক্ষ আচরণের প্রস্তাব দেওয়া, এবং শক্তিশালী মেধা সম্পত্তি সুরক্ষা ও নমনীয় পরিকাঠামো নিশ্চিত করা হলে তা গিফট আইএফএসসি-‌কে ভারতীয় বাজার অন্বেষণকারী একটি বিশ্বব্যাপী স্টার্টআপ হাবের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

এসভিবি ও ক্রেডিট সুইসের মতো ব্যাঙ্কিং জায়ান্টগুলির পতনের মধ্যে নিরাপদ ব্যাঙ্কিংয়ের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে৷ প্রশংসিত ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেস (ইউপিআই)-‌সহ নিজের ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং দক্ষতার সঙ্গে ভারত একটি ব্যয়-কার্যকর বৈশ্বিক আর্থিক কেন্দ্র হিসাবে আবির্ভূত হতে পারে, এবং গিফট সিটিতে নির্বিঘ্ন ব্যাঙ্কিং অভিজ্ঞতা প্রদান করতে পারে।



ধর্মিল দোশি অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন ইন্টার্ন

[১] এসইজেড-‌গুলি বাণিজ্যের জন্য বিদেশী অঞ্চল হিসাবে কাজ করে, শুল্ক বিধি প্রয়োগ করে, এবং এতে প্রবেশ করা পণ্যগুলিকে আমদানি হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

[২] অধিগ্রহণ অর্থায়ন বলতে বোঝায় একটি সত্তা দ্বারা অন্য সংস্থাকে অধিগ্রহণ করার জন্য অর্থায়ন করা।

[৩] ওডিআই হল বিনিয়োগের বাহন যা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের ভারতীয় ইকুইটি যেমন সোয়াপ, পার্টিসিপেটরি নোট ও ফরওয়ার্ডগুলিকে সক্ষম করে।

[৪] সালিশি বা আরবিট্রেশন ন্যূনতম বৈচারিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে একটি বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়াকে বোঝায়, যেখানে পক্ষগুলি নিজেরাই 'পুরস্কার' আকারে একটি নিষ্পত্তিতে পৌঁছনোর জন্য সালিশ এবং পদ্ধতিগুলি নির্ধারণ করে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.