-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস: ২০০৮ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ভারতে ৫ কোটি ১৬ লক্ষ স্টেরিলাইজেশনের মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ ছিল ভ্যাসেকটমি
১৯৫২ সালে ভারত বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে পরিবার পরিকল্পনার জন্য একটি জাতীয় কর্মসূচি চালু করে। কয়েক দশক ধরে কর্মসূচিটি তার লক্ষ্যসমূহের পরিপ্রেক্ষিতে রূপান্তরিত হয়েছে। শুধু জনসংখ্যার স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্যই নয়, বরং প্রজনন স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে এবং মা, সদ্যোজাত ও শিশুদের মৃত্যু ও অসুস্থতা হ্রাস করার জন্য এটি কাজ করেছে। পদ্ধতিগুলি প্রথাগত/প্রাকৃতিক ছন্দের অনুশীলন থেকে আধুনিক পদ্ধতি যেমন কনডোম, ডায়াফ্রাম, বড়ি, ইনজেক্টেবলস ইত্যাদির ব্যবহারে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে।
বিশ্ব পরিবার পরিকল্পনা ২০২০ রিপোর্ট অনুসারে, গত দুই দশকে পরিবার পরিকল্পনা ব্যবহার করতে ইচ্ছুক মহিলাদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে: ২০০০ সালের ৯০ কোটি থেকে ২০২০ সালে সংখ্যাটি প্রায় ১১০ কোটি হয়েছে৷ ফলে আধুনিক কনট্রাসেপটিভ ব্যবহার করেন এমন মহিলার সংখ্যা ৬৬ কোটি ৩০ লক্ষ থেকে বেড়ে ৮৫ কোটি ১০ লক্ষ হয়েছে, এবং গর্ভনিরোধক বিস্তারের হার ৪৭.৭ থেকে বেড়ে ৪৯.০ শতাংশ হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এতে আরও ৭ কোটি নারীর যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে স্থিতিশীল উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) সূচক ৩.৭.১ অবশ্য দেখাচ্ছে প্রজননক্ষম বয়সের (১৫-৪৯ বছর বয়সী) মহিলাদের দ্বারা গর্ভনিরোধক ব্যবহারের হার ২০১৫ থেকে ২০২০ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭৭ শতাংশে স্থবির হয়ে রয়েছে।
গর্ভনিরোধক পদ্ধতি হিসেবে স্টেরিলাইজেশন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতে গর্ভনিরোধক পছন্দগুলি এখনও আর্থ-সামাজিক সূচক, যেমন শিক্ষাগত অবস্থান, সম্পদ, ধর্ম, বর্ণ ইত্যাদি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। সমীক্ষাগুলি ইঙ্গিত দেয় যে দুর্বল অর্থনৈতিক ও শিক্ষাগত অবস্থার সম্প্রদায়ের মহিলাদের মধ্যে বন্ধ্যাকরণের ঝোঁক সাধারণ ঘটনা। ইসলাম মুসলিম মহিলাদের জন্য স্থায়ী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির পক্ষে নয়, অন্যদিকে হিন্দু মহিলারা অস্থায়ী পদ্ধতির চেয়ে বন্ধ্যাকরণ বেশি পছন্দ করেন। বিপরীতে, আর্থ-সামাজিক অবস্থা, শিক্ষা ও ক্ষমতায়নের প্রেক্ষিতে উচ্চতর স্তরের ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে কনডোম ও পিলের মতো আধুনিক কৌশলগুলির বেশি করে ব্যবহার পাওয়া গেছে। ভারত, ব্রাজিল ও বাংলাদেশের সমীক্ষাগুলি মহিলাদের স্টেরিলাইজেশনের জন্য নির্ধারক ফ্যাক্টর হিসেবে উচ্চ–সমতা (হায়ার প্যারিটি) খুঁজে পেয়েছে; কিন্তু উল্লেখযোগ্য ভাবে এখনও নিম্ন–সমতাগুলিতে পুত্রসন্তানের আগ্রহ বেশি।
ইসলাম মুসলিম মহিলাদের জন্য স্থায়ী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির পক্ষে নয়, অন্যদিকে হিন্দু মহিলারা অস্থায়ী পদ্ধতির চেয়ে স্টেরিলাইজেশন বেশি পছন্দ করেন।
বিহার, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, অসম, ঝাড়খণ্ডের ১৪৫টি উচ্চ-উর্বরতা জেলা জুড়ে গর্ভনিরোধকগুলির আরও বেশি বন্দোবস্তের জন্য ২০১৬ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক ‘মিশন পরিবার বিকাশ’ চালু করেছে। এতে রিভার্সিবল, নন-সার্জিক্যাল ও হরমোন-বেসড গর্ভনিরোধকগুলির উপর মনোযোগ নিবদ্ধ রাখা হয়েছিল। ২০২১ সালে এটি উত্তর-পূর্বের আরও ছয়টি রাজ্যে প্রসারিত হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সরকার আরও ভাল ভাবে উদ্যোগী হয়েছে। এছাড়াও হাম দো উদ্যোগের লক্ষ্য হল যোগ্য দম্পতিদের পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ও উপলব্ধ পরিষেবাগুলির বিষয়ে তথ্য এবং নির্দেশিকা দেওয়া। অন্যান্য উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে গর্ভনিরোধকের চাহিদা তৈরির জন্য ৩৬০ ডিগ্রি মিডিয়া প্রচারাভিযান, এবং সুবিধাভোগীদের দোরগোড়ায় আশা কর্মীদের দ্বারা গর্ভনিরোধক হোম ডেলিভারির একটি প্রকল্প।
কয়েক দশক ধরে ভারত গর্ভনিরোধের প্রাথমিক পদ্ধতি হিসেবে নারী বন্ধ্যাকরণের উপর নির্ভর করে আসছে, যদিও ভ্যাসেকটমি শুধু আরও নিরাপদই নয়, সেই সঙ্গেই নন–ইনভেসিভ। সমস্ত মহিলা বন্ধ্যাকরণের প্রায় ৭৫ শতাংশ সরকারি প্রতিষ্ঠানে ঘটে, এবং তার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ হল প্রসবোত্তর। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে (এনএফএইচএস)-৫ অনুসারে, ৩৭.৯ শতাংশ মহিলা অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ রোধ করতে বন্ধ্যাকরণ করেন, যা অস্ত্রোপচারের বাইরের পদ্ধতি যেমন পিল (৫.১ শতাংশ), ইনজেকটেবলস (০.৬ শতাংশ), কনডোম (৯.৫ শতাংশ), আইইউডি (২.১ শতাংশ) বা এমনকি পুরুষ নির্বীর্যকরণ (০.৩ শতাংশ) থেকে অনেক বেশি। ভারতে গর্ভনিরোধক পদ্ধতি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ভৌগোলিক বৈচিত্র্য দেখা যায়। যদিও কনডোম উত্তর ও পশ্চিম অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত কৌশল, উত্তর-পূর্ব ও পূর্বাঞ্চলে পিলের ব্যবহার বেশি।
উপরের গ্রাফটি ২০২১ সালে বিভিন্ন রাজ্যে মহিলা ও পুরুষ স্টেরিলাইজেশনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যবধানকে তুলে ধরে৷ অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও কর্ণাটকের মতো দক্ষিণের রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি ৫০ শতাংশেরও বেশি কভারেজ সহ মহিলা বন্ধ্যাকরণে সবার আগে আছে, কিন্তু সেখানে তুলনায় পুরুষদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত দুর্বল।
১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার সময় এক বছরের মধ্যে জোর করে প্রায় ৬২ লক্ষ বন্ধ্যাকরণ কেলেঙ্কারির পরে পুরুষ স্টেরিলাইজেশনের উপর ফোকাস পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির বাইরে চলে গেছে বলে মনে হয়। ১৯৯৬ সালে ভারত সরকার পরিবার পরিকল্পনার ‘লক্ষ্যভিত্তিক পদ্ধতি’ বাতিল করে, এবং গর্ভনিরোধক পদ্ধতি বা প্রজনন অধিকার লঙ্ঘনের জন্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের লক্ষ্য বা কোটা নির্ধারণ বন্ধ করে দেয়। কলঙ্ক, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া/জটিলতা এবং সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বিশ্বাস সম্পর্কিত ভুল তথ্য পুরুষদের মধ্যে নির্বীর্যকরণ গ্রহণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০০৮ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ৫ কোটি ১৬ লক্ষ স্টেরিলাইজেশনের মাত্র ৩ শতাংশই ভ্যাসেকটমি ছিল।
অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা গর্ভনিরোধের বর্তমান পদ্ধতির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতনতার দিক থেকে সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে, যদিও দেশে সর্বাধিক মহিলা বন্ধ্যাকরণ কভারেজ রয়েছে৷
বিকল্প ও রিভার্সিবল পদ্ধতি এবং মহিলাদের জন্য অস্ত্রোপচারের কৌশলগুলির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতনতার এখনও মারাত্মক অভাব রয়েছে। দরিদ্র এবং প্রান্তিক মহিলাদের মধ্যে আধুনিক গর্ভনিরোধের খুব বেশি অপূর্ণ চাহিদা পরিলক্ষিত হয়েছে, যার ফলে দুর্বল প্রজনন ফলাফল এবং অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ হয়। এনএফএইচএস-৫ মহিলাদের মধ্যে বর্তমান গর্ভনিরোধ পদ্ধতির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব লক্ষ করেছে। অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা গর্ভনিরোধের বর্তমান পদ্ধতির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতনতার দিক থেকে সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে, যদিও দেশে সর্বাধিক মহিলা বন্ধ্যাকরণ কভারেজ রয়েছে৷
গ্রামীণ এলাকায় জনপ্রিয় প্রসবোত্তর বা গর্ভপাত–উত্তর কপার-টি (বা কপার ইন্ট্রাইউটেরাইন ডিভাইস) হল দেশে উপলব্ধ একমাত্র দীর্ঘমেয়াদি রিভার্সিবল গর্ভনিরোধ পদ্ধতি। কিন্তু জরায়ুর রক্তপাত এবং পেটে ব্যথার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এ ক্ষেত্রে ব্যাপক। বিহারের মতো রাজ্যে, যেখানে দেশে মহিলাদের সর্বোচ্চ সামগ্রিক উর্বরতার হার (টিএফআর) দেখা যায় (মহিলাপ্রতি ৩ শিশু), অবাঞ্ছিত গর্ভধারণের প্রবণতার জন্য জন্ম-ব্যবধান ও বিকল্প পদ্ধতির বিষয়ে মহিলাদের মধ্যে কাউন্সেলিং-এর অভাবকে দায়ী করা হয়। ভারতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির প্রায় ৭০ বছর পরও গর্ভনিরোধের বিকল্প পদ্ধতি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় একটি বড় বাধা হয়ে রয়েছে। অন্যান্য কারণ হল জ্ঞানের অভাব, সাংস্কৃতিক বিশ্বাস, অন্তরঙ্গ সম্পর্কের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার অভাব, এবং পরিষেবা প্রদানকারীদের অবাঞ্ছিত মনোভাব।
বিকল্প গর্ভনিরোধ পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতনতার অভাব ছাড়া সম্মতিও একটি ধূসর এলাকা। সম্মতির লঙ্ঘন বা অ-সম্মতির অতীতের ঘটনাগুলি বেশ কয়েকবার রিপোর্ট করা হয়েছে, বিশেষ করে অশিক্ষিত, প্রতিবন্ধী, উপজাতি/সংখ্যালঘু মহিলাদের মধ্যে। অনেক মহিলাকে হয় বাধ্য করা হয়েছে, বা অস্ত্রোপচার সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে, বা এর সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে কখনও বলা হয়নি। উপরন্তু, মিনি-ল্যাপারোটমি বা ল্যাপারোস্কোপিক টিউবেকটমির মতো পদ্ধতিগুলি মহিলাদের পুরোপুরি না–জানিয়েই সহজে করা যেতে পারে।
প্রমাণগুলি ইঙ্গিত দেয় যে পরিবার কল্যাণ কর্মসূচিতে মহিলা বন্ধ্যাকরণের উপর অতিরিক্ত জোর দেওয়া অন্য পদ্ধতিগুলিকে নিরুৎসাহিত করতে পারে। তাই, প্রত্যন্ত এবং গ্রামীণ এলাকায় বিকল্পের অভাবে, বা পর্যাপ্ত সার্জন/চিকিৎসকদের অনুপস্থিতিতে, নিম্নমানের যত্নই গ্রহণযোগ্য মান হয়ে ওঠে। যেমন, ছত্তিশগড়ের শিবিরগুলি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গণ–স্টেরিলাইজেশনের নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য ঐতিহাসিক ভাবে কুখ্যাত ছিল, এবং সেখানে ভুল অস্ত্রোপচার ও নিকৃষ্ট পরিচর্যার বহু উদাহরণ আছে। সুরগুজা (২০২১) ও বিলাসপুরের (২০১৪) ঘটনাগুলি সরকারি নিয়ম ও নির্ধারিত মানের স্পষ্ট অবজ্ঞার কিছু কুখ্যাত উদাহরণ।
যেমন, ছত্তিশগড়ের শিবিরগুলি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গণ–স্টেরিলাইজেশনের নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য ঐতিহাসিক ভাবে কুখ্যাত ছিল, এবং সেখানে ভুল অস্ত্রোপচার ও নিকৃষ্ট পরিচর্যার বহু উদাহরণ আছে।
স্থায়ী পরিবার পরিকল্পনার ভারসাম্যহীন বোঝা বাল্যবিবাহ ও সন্তান জন্মদানের বৃহত্তর প্রবণতা এবং কিশোর-কিশোরীর চাহিদা পূরণ না–হওয়া থেকে উদ্ভূত স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উদ্বেগের ইঙ্গিত দেয়। দেশের গর্ভনিরোধকের প্রয়োজন সত্যিকার অর্থে বোঝার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য ব্যবধান দেখা দেয় অবিবাহিত মহিলা এবং কিশোরী মেয়েদের গবেষণা অধ্যয়নে অন্তর্ভুক্ত না–করার ফলে। তাই, জনসংখ্যার একটি বড় অংশের জন্ম পরিকল্পনার ক্রমবর্ধমান এবং অপ্রত্যাশিত চাহিদা রয়েছে। বিহারের সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ১৫-৪৯ বছর বয়সী বিবাহিত মহিলাদের চেয়ে অবিবাহিত এবং যৌন সক্রিয় মহিলারা বেশি গর্ভনিরোধক ব্যবহার করেন।
এমন প্রমাণ আছে যে পরিবারের ছোট আকার শিশুমৃত্যুর হার কমাতে পারে, এবং মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির সুযোগ ও ব্যবহারের বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ও মহিলাদের শিক্ষা ও অবস্থার উন্নতি শিশুর বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য লাভ আনতে পারে। উত্তরপ্রদেশ, অসম ও গুজরাতের মতো রাজ্যে দুই-সন্তান নীতির জন্য চাপ দিয়ে বন্ধ্যাকরণকে আরও উৎসাহিত করা হয় এবং প্রচার চালানো হয়। কিন্তু এই জোরাজুরি অপ্রয়োজনীয় বলে মনে হচ্ছে, কারণ বেশিরভাগ রাজ্য প্রায় প্রতিস্থাপন স্তরের উর্বরতার হারে পৌঁছেছে। মিশন পরিবার বিকাশের জন্য যে সাতটি রাজ্যকে প্রাথমিক ভাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে চারটি ইতিমধ্যেই ২ বা তার নিচের উর্বরতার হার অর্জনের লক্ষ্য পূরণ করেছে।
স্থিতিশীল উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য পরিবার পরিকল্পনা পরিষেবাগুলির আরও বেশি সুযোগ পৌঁছে দেওয়া এবং সেগুলির সশক্তিকরণ নিশ্চিত করা সরকারের জন্য অপরিহার্য। পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচিতে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে এটি যেন স্বেচ্ছাধীন হয়, অবগত করে এবং মহিলাদের মর্যাদা লঙ্ঘন না–করে। তাঁদের সত্যিকারের ক্ষমতায়ন করতে হলে মহিলাদের নিজেদের পছন্দ বেছে নেওয়ার অধিকার দিতে হবে এবং প্রক্রিয়াটিতে পুরুষদের জড়িত করতে হবে।
এই ভাষ্যটি প্রথম প্রকাশিত হয় News18 –এ।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Dr. Shoba Suri is a Senior Fellow with ORFs Health Initiative. Shoba is a nutritionist with experience in community and clinical research. She has worked on nutrition, ...
Read More +Mona is a Junior Fellow with the Health Initiative at Observer Research Foundation’s Delhi office. Her research expertise and interests lie broadly at the intersection ...
Read More +