Author : Ivan Shchedrov

Published on Jun 07, 2024 Updated 5 Days ago

ক্রেতা-বিক্রেতা বিন্যাসের ঊর্ধ্বে উঠে ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরও কৌশলগত ভিত্তিতে দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন

ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক: ‘তেল সম্পৃক্ততা’ কাটিয়ে ওঠার প্রচেষ্টা

২০১০ সাল থেকে ভারত-রাশিয়া বিশেষ বিশিষ্ট সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্ব শক্তিশালী ইতিহাসের শক্ত ভিত্তির উপর নির্ভর করে বিকশিত হয়েছে এবং রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার মাধ্যমে এগিয়ে চলেছে। রাশিয়া সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনে (এসসিও) ভারতের সদস্যপদ সমর্থন করেছে এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার জোটটিতে ভারতের অন্তর্ভুক্তিকে আহ্বান জানিয়েছেএ ভাবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের ক্রমবর্ধমান ভূমিকাকে রাশিয়া ব্যাপক ভাবে স্বীকার করে নিয়েছে

গত এক দশকে, রাশিয়ার প্রাচ্যের অভিমুখে অগ্রসর’ নীতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে ভারসাম্যহীন করার জন্য এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে তার অর্থনৈতিক সম্পর্ক পুনঃনির্মাণের আকাঙ্ক্ষার ইঙ্গিত দিয়েছে। যাই হোক, পরিবর্তনের বেগ সুযোগ পশ্চিমের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষমতা দ্বারা নির্ধারিত হয়েছিল, যা প্রতিটি পক্ষের জন্যই ছিল উপযুক্ত। রাশিয়ার বৈদেশিক নীতিতে সক্ষমতা আকাঙ্ক্ষার মধ্যকার জটিল বিন্যাস দুবছর আগে ২৪ ফেব্রুয়ারির ঘটনার পরপরই স্পষ্ট হয়ে ওঠেএকটি প্রবর্তন বিন্দু হিসাবে ইউক্রেনের সংঘাত রুশ রাজনৈতিক অভিজাতদের বৈচিত্র্য আনতে ভারতের প্রতি রাশিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করার সুযোগ করে দিয়েছে।

 

রাশিয়ার প্রাচ্যের অভিমুখে অগ্রসর’ নীতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে ভারসাম্যহীন করার জন্য এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে তার অর্থনৈতিক সম্পর্ক পুনঃনির্মাণের আকাঙ্ক্ষার ইঙ্গিত দিয়েছে।

 

আগে ভারত ও রাশিয়া উভয়ই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের অবনতি-সহ রাজনৈতিক সম্পর্ককে বাস্তব অর্থনৈতিক সহযোগিতায় রূপান্তর করতে মন্থর মনোভাব দর্শিয়েছিল। সামরিক ও জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতার চিরাচরিত পরিসর ছাড়া অন্যত্র রুশ ও ভারতীয় ব্যবসার সম্পৃক্ততা তেমন দেখা যায়নি এবং দুই দেশই একে অপরের প্রতি সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণে অত্যন্ত অনিচ্ছুক ছিল। ইদানীং কালের বাণিজ্যিক সম্পর্কের অভিযোজনযোগ্যতা সত্ত্বেও রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে সর্বব্যাপী শঙ্কার ফলে বহু কাঙ্ক্ষিত কৌশলগত প্রকল্পগুলি - যেমন ইন্টারন্যাশনাল নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডোর (আইএনএসটিসি) এবং ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়ন (ইএইইউ) ও ভারতের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) - বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থাটি কৌশলের সুযোগকে উল্লেখযোগ্য ভাবে সঙ্কুচিত করেছে।

 

ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মাঝে বাণিজ্য সহযোগিতা

বর্তমান দশকের ঘটনাপ্রবাহ সেই কণ্ঠস্বরের কথাই তুলে ধরেছে, যারা স্বনির্ভরতা আমদানি প্রতিস্থাপনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেনকোভিড-১৯ অতিমারি সরবরাহ শৃঙ্খলে বিঘ্ন ঘটিয়েছে, বিশেষ করে চাহিদার মধ্যে বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতির উৎপাদনকে প্রভাবিত করেছে, যার ফলে সুরক্ষাবাদের অনুভূতির পুনরুত্থান ঘটছে। এর কিছু পরেই ইউক্রেনের সংঘাত শুরু হয়েছে। পশ্চিমের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের টানাপড়েনের ফলে জ্বালানির দাম সারের দামে স্বল্পমেয়াদি অথচ স্পষ্ট বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে এবং এর ফলে কৃষিপণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার, বিশেষ করে ভুট্টা, বার্লি, গম সূর্যমুখী বীজেতেলের বাজারের উপরে প্রভাব পড়েছে।

একই সময়ে উদ্ঘাটিত ঘটনাগুলি ভারত-রাশিয়া অর্থনৈতিক সম্পর্কের স্থিতিস্থাপকতার প্রেক্ষিতে একটি লিটমাস টেস্ট বা নির্ণায়ক পরীক্ষাসম হয়ে উঠেছে২০১৯ সালে উভয় দেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মাত্রা ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে বৃদ্ধি করার জন্য একটি উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করে। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করা হয়েছিলছাড়ের হারে রুশ তেলের আমদানি ছগুণ বৃদ্ধির কারণে মোট আইনি বাণিজ্য ৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ৬২.৮ শতাংশ এবং ভারতের মোট তেল আমদানির ১৯.২ শতাংশকেই দর্শায়। এখন পর্যন্ত তথ্য দর্শিয়েছে যে, আসন্ন বছরে এ হেন পরিসংখ্যানের অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ভারত ৩৪.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের রুশ তেল আমদানি করেছে, যা সমস্ত অপরিশোধিত তেল আমদানির প্রায় ৩৪ শতাংশ। দৃঢ় কর্মক্ষমতা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি গৌণ নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি অভিযোজনযোগ্যতাকেও দর্শায়। কারণ বাণিজ্যের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক বাণিজ্যের শ্যাডো ফ্লিট’, গ্রে জোনএবং সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি তুর্কিয়ের মতো তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। সিক্কা ভাদিনার ভারতীয় বন্দর রুশ তেল আমদানির জন্য সবচেয়ে বড় কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

 

দৃঢ় কর্মক্ষমতা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি গৌণ নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি অভিযোজনযোগ্যতাকেও দর্শায়। কারণ বাণিজ্যের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক বাণিজ্যের শ্যাডো ফ্লিট’, গ্রে জোনএবং সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি তুর্কিয়ের মতো তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

 

এক দিকে, স্থিতাবস্থা পারস্পরিক ভাবে উপকারী বলে মনে হচ্ছে, যা উভয় পক্ষকে আশ্বাসের অনুভূতি প্রদান করে। অপরিশোধিত তেলের দামে ব্যারেল প্রতি মাত্র ১ মার্কিন ডলার বৃদ্ধির ফলে প্রায় বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের চলতি অ্যাকাউন্টের ঘাটতি বার্ষিক বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনার দরুন নিজের জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য ভারতের অপরিহার্যতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সর্বোপরি দেশটি তেল পরিশোধন খাত থেকে এবং ইউরোপের বাজারে পেট্রোলিয়াম পণ্য রফতানি থেকে যথেষ্ট পরিমাণ মুনাফা অর্জন করে।

এই পরিমাণে নেদারল্যান্ডসে ভারতীয় ডিজেল জ্বালানি রফতানির পরিমাণ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে তুর্কিয়েতে ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পরিমাণকে ছাপিয়ে গিয়েছে। একই ভাবে, ডিজেল তেল কেরোসিনের চালান ফ্রান্সে ভারতের রফতানির দুটি প্রধান বিভাগ গঠন করে, যার পরিমাণ ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারবিশ্ব রাশিয়ার তেল কেনার জন্য ভারতের কাছে কৃতজ্ঞ’, হরদীপ সিং পুরির সাম্প্রতিক মন্তব্য এই গোটা বিষয়টিকে স্পষ্ট ভাবে প্রতিফলিত করে(১)

যাই হোক, এই প্রশান্তি বিপথগামী হতে পারেকারণ এই পরিস্থিতি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে বহির্মুখী উদ্দেশ্যগুলির জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল করে তোলে, যেমন বাজারের ওঠানামা এবং রাজনৈতিক ভাবে উদ্দেশ্যমূলক সিদ্ধান্ত। এর ফলস্বরূপ, এটি প্রায়শই ভোক্তা পণ্যগুলির জন্য আরও জটিল রসদ উচ্চ মূল্যের দিকে চালিত করে। মার্কিন প্রযুক্তিগত ভাণ্ডারের দিকে ধীর অথচ স্পষ্ট প্রবাহের মাঝেই ভারতীয় সংস্থাগুলি রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতায় সম্পৃক্ত হওয়ার বিষয়ে আরও সতর্ক হয়ে উঠছে। তা ছাড়া, রাশিয়া থেকে আমদানি বৃদ্ধি ভারতীয় রফতানি বৃদ্ধির সঙ্গে সমান্তরাল ছিল না। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ভারসাম্যহীনতা কেবল বাণিজ্য ঘাটতির দীর্ঘমেয়াদি সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে

 

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ডাচ ডিজিজ’ বা ‘উত্থান-পতনের অনন্যোক সম্পর্ক’ (অর্থনৈতিক ভাবে একটি ক্ষেত্রে উত্থান হলে আর একটি ক্ষেত্রে পতন)

চিত্র রাশিয়া থেকে জ্বালানি সম্পদ ব্যতীত ১০টি প্রধান আমদানি বিভাগকে তুলে ধরেছে। তথ্য দর্শিয়েছে যে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সার, সূর্যমুখী বীজের তেল এবং হিরে আমদানিতে উদ্বৃত্ত বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি চালিত হয়েছিল। আশ্চর্যের বিষয় হল, আমদানিকৃত পণ্যের সামগ্রিক কাঠামো পরিবর্তনশীল নয়, যেখানে প্রধান বিভাগগুলির উল্লেখযোগ্য সশক্তিকরণ লক্ষ করা গিয়েছে। এর একটি কারণ হল ধাতব পণ্যের আমদানি ক্ষ্যণীয় হ্রাস। মার্চ থেকে রুশ হিরের পরোক্ষ আমদানি নিষিদ্ধ করার সাম্প্রতিক জি৭-এর সিদ্ধান্ত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের স্তরকে আঘাত করতে পারে কারণ রাশিয়াকে ভারতীয় হিরে শিল্পের কাঁচামালের একটি প্রধান উত্স হিসাবে বিবেচনা করা হয় দেশটি আন্তর্জাতিক হিরের বাজারের ৩৫ শতাংশ জায়গা জুড়ে রয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে অনিয়ন্ত্রিত বাণিজ্য বৃদ্ধি পরবর্তী কালে মধ্য মেয়াদে ভোক্তাদের জন্য মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

 

চিত্র ১: রাশিয়া থেকে ভারতের প্রধান আমদানি

উত্স: ভারতের বাণিজ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে লেখকের গণনা https://commerce.gov.in/trade-statistics/

 

চিত্র ২ দর্শিয়েছে যে, রাশিয়ায় রফতানি আরও বৈচিত্র্যময়, যদিও একই সময়ে মূল্যের দিক থেকে আরও শালীন অর্থাৎ সেই পরিমাণ হল মোট ৩.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই বছর চা, ওষুধ, ভোজ্য প্রস্তুতি এবং সম্ভবত জৈব রাসায়নিকের চালানে একটি পূর্বাভাসযোগ্য পতন সত্ত্বেও মেশিন-বিল্ডিং বা যন্ত্র নির্মিত এবং ধাতুবিদ্যা ক্ষেত্রে উৎপাদনে একটি নির্দিষ্ট বৃদ্ধি লক্ষ করা গিয়েছে

 

চিত্র ২ – রাশিয়ায় ভারতের প্রধান রফতানি

উত্স: ভারতের বাণিজ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে লেখকের গণনা https://commerce.gov.in/trade-statistics/

 

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মূল সমস্যাটি কেবল মাত্র জ্বালানি আমদানি ক্ষেত্র থেকেই উঠে এসেছে, এই দাবি ভিত্তিহীন। ভারতের রফতানির পরিমাণ দর্শায় যে, দেশটি এখনও রুশ বাজারে নিজের ক্ষমতাকে আবিষ্কার করতে পারেনি। এই দুর্দশার নেপথ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি কারণ প্রথমত, লজিস্টিক-আইএনএসটি ট্রেড করিডোর অনুশীলনের চেয়ে তাত্ত্বিক ভাবে বেশি কাজ করে। দ্বিতীয়ত, ভারতীয় সংস্থাগুলির পরোক্ষ ভাবে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তৃতীয়ত, রুবল-রুপি পেমেন্ট সিস্টেম সঠিক ভাবে কাজ করছে না। কিছু কার্যকলাপ সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দিরহাম, চিনা ইউয়ান এবং সিঙ্গাপুর ডলারের মাধ্যমে করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে দেশগুলি পশ্চিমী চাপ থেকে এখনও মুক্ত নয়।

উপরোক্ত বিষয়গুলি বিবেচনা করলে, নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকা অবস্থায় দ্বিপাক্ষিক আইনি বাণিজ্যে ভারসাম্যহীনতা কাটিয়ে ওঠার সম্ভাবনা নেই। ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘ক্রেতা-বিক্রেতা’ বিন্যাসের ঊর্ধ্বে উঠে আরও কৌশলগত ভিত্তিতে সম্পর্কের একটি দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন অবশ্যই

 

উন্নতির অবকাশ?

কৌশলগত সহযোগিতার মূল বিষয়গুলি নিয়ে দেশগুলির ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে বলে মনে করা হয়। যদি রাশিয়ার জন্য অনেক ক্ষেত্রে এটি রাজনৈতিক কারণ যা অর্থনৈতিক মিথস্ক্রিয়ার ভিত্তি উদ্দীপক হয়ে ওঠে, তা হলে ভারত বাণিজ্য দ্বারা ঘনিষ্ঠ ভাবে সংযুক্ত দেশগুলির সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করাকে অগ্রাধিকার দেয়। উভয় পক্ষের তরফে গৃহীত সুরক্ষাবাদী পদক্ষেপের দ্বারা পরিপূরকতার অভাবকে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্কের অন্যতম প্রধান সমস্যা হিসাবে বলে মনে করা যেতে পারে। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি করতে কিছু দিতে পারার সাহস থাকা জরুরি। রাজনৈতিক পরিসর যথেষ্ট টালমাটাল হওয়ার দরুন আরও বিশ্বাসযোগ্য আশ্বাসের প্রয়োজন। এই প্রেক্ষাপটে গ্যারান্টি হিসেবে ঠিক কোন জিনিসটি কাজ করতে পারে?

 

জ্বালানি ক্ষেত্রের ঊর্ধ্বে উঠে তৃতীয় দেশ-সহ ধাতুবিদ্যা, যান্ত্রিক প্রকৌশল এবং ওষুধ প্রস্তুতের ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগ তৈরি করা আশাব্যঞ্জক

 

ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতি সাধিত হতে পারে তখনই যদি ভিত্তির উপর নির্ভর করে দুই দেশ সেই ভিত্তিটিকেই আরও শক্তিশালী করে। প্রথমত, দেশগুলিকে বিনিয়োগ সহযোগিতা প্রসারিত করতে হবে। জ্বালানি ক্ষেত্রের ঊর্ধ্বে উঠে তৃতীয় দেশ-সহ ধাতুবিদ্যা, যান্ত্রিক প্রকৌশল এবং ওষুধ প্রস্তুতের ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগ তৈরি করা আশাব্যঞ্জক। দ্বিতীয়ত, রাশিয়া ভারত উভয়েরই জৈবপ্রযুক্তি, কৃষি, তেল ও গ্যাস উৎপাদনের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত শিক্ষাগত সহযোগিতার পাশাপাশি উচ্চ প্রযুক্তি, মহাকাশ, প্রযুক্তি ক্ষেত্র এবং মৌলিক বিজ্ঞানে আন্তঃসহযোগিতা চালাতে হবে। বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য উভয় দেশের রাজনৈতিক এবং ব্যবসায়িক অভিজাতদের ১০-১৫ বছরের সময়কালে বৃদ্ধির বিন্দু’ এবং সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিময় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করতে হবে। এই ধরনের আলোচনা চালানোর জন্য প্রযুক্তি ও শিক্ষা খাতে দ্বিপাক্ষিক সমন্বয় বিনিয়োগের ব্যবস্থা তৈরি করা প্রয়োজন। এটি সম্ভবত যৌথ রুশ-ভারতীয় উদ্ভাবন তহবিল প্রতিষ্ঠা করার জন্য দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবে এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে অর্থপ্রদান সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলি আংশিক ভাবে উপশম করতে সমর্থ হবে

 


ইভান স্কেদ্রভ অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ভিজিটিং ফেলো।

 


১) ‘ইন্ডিয়া’স মিনিস্টার অব পেট্রোলিয়াম ক্লেমস দি ওয়ার্ল্ড ইজ ‘গ্রেটফুল’ টু ইন্ডিয়া ফর বায়িং রাশিয়ান অয়েল’, সিএনবিসি, ০৭.০২.২০২৪

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Author

Ivan Shchedrov

Ivan Shchedrov

Ivan Shchedrov is presently a Visiting Fellow at Observer Research Foundation, New Delhi. He is also a research fellow at the Center of Indo-Pacific Region ...

Read More +