Published on Aug 15, 2021 Updated 0 Hours ago

আরও লিঙ্গ-সংবেদী বিদেশনীতির পথ নিলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায় মহিলাদের স্থায়ী উপস্থিতির সুযোগ তৈরি হবে, যা প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রটিকে প্রসারিত করবে এবং প্রান্তিক মানুষের কণ্ঠে ভাষা দেবে।

আরও লিঙ্গ-সংবেদী বিদেশনীতি প্রয়োজন

শান্তি ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে জেন্ডার বা লিঙ্গের ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হলেও নীতি সংক্রান্ত আলোচনায় তাকে সেই প্রয়োজনীয় গুরুত্ব খুব কমই দেওয়া হয়। অধিকাংশ সময়েই লিঙ্গ-বিষয়ক আলোচনা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা এবং বৃহৎ শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতার মতো মূল সমস্যাগুলি এড়িয়ে যায়। কিন্তু এই দুইয়ের মধ্যে আসলে কোনও বিরোধ থাকার কথা নয়। আরও লিঙ্গ-সংবেদী বিদেশনীতির সমর্থনে তাই আরো আলোচনার প্রয়জন আছে।

কোনও সমাজে লিঙ্গ-সাম্য কতটা আছে তা বোঝার অন্যতম উপায় নেতৃত্ব দেওয়ার মতো জায়গায় কজন মহিলা আছেন সেটা দেখা। বিশেষ করে যে সব জায়গায় লিঙ্গের সম-প্রতিনিধিত্বের নজির সাধারণ ভাবে বিশেষ ভাল নয় — যেমন নিরাপত্তা দফতর, এমনকি সুরক্ষা বিষয়ক গবেষণা-চর্চার ক্ষেত্রে মহিলাদের সংখ্যা উন্নত দেশেও বেশ কম। অন্য দিকে, অনেকেই বলেছেন, মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব বাড়ালে এবং ক্ষমতায়ন করলে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার সমস্যা সমাধানে বিকল্প পথের দিশা পাওয়া সম্ভব হতে পারে। এ ছাড়া অনেকেরই মতে, লিঙ্গ-ভারসাম্য থাকলে দ্বন্দ্বের মোকাবিলায় শান্তি প্রস্তাবগুলি আরও কার্যকর হবে। বস্তুত লিঙ্গ-ভারসাম্য না থাকাটাই দ্বন্দ্বের অন্যতম কারণ হতে পারে। যে বিষয়গুলির প্রভাব সরাসরি মহিলাদের উপরেই পড়ে তার আলোচনায় মহিলাদেরই জায়গা না দেওয়ার নীতিগত প্রশ্ন তো আছেই, তার সঙ্গে আছে জনসংখ্যার অর্ধেক অংশকে পুরোপুরি কাজে না লাগানোর যৌক্তিক সমস্যাও।

রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব (ইউ এন এস সি আর ১৩২৫)

কয়েক দশকে পরিস্থিতির বেশ কিছুটা উন্নতিহলেও এখনও অনেক পথ বাকি। ২০০০ সালের অক্টোবরে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ শান্তি ও সুরক্ষার সঙ্গে লিঙ্গ-সাম্যের স্বাভাবিক যোগসূত্রের উপর জোর দিয়ে একটি প্রস্তাব (ইউ এন এস সি আর ১৩২৫) অনুমোদন করে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ, কারণ এতে শান্তি ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে মহিলাদের ভূমিকা জোরদার করে তোলার সম্ভাবনা নিহিত আছে। দ্বন্দ্ব-প্রতিরোধ ও সমাধান, শান্তি আলোচনা, শান্তি স্থাপন, শান্তি রক্ষা এবং দ্বন্দ্বের সময় ধর্ষণ ও অন্য ধরনের যৌন হেনস্থা ঠেকানোর মতো দ্বন্দ্ব মোকাবিলার সব দিকই এই প্রস্তাবের আওতায় রয়েছে। “শান্তি ও সুরক্ষা বজায় রাখা এবং সেই প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সব উদ্যোগেই [মহিলাদের] সমান অংশগ্রহণ এবং পূর্ণ সক্রিয়তার প্রয়োজনীয়তার” উপর এই প্রস্তাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়াও শান্তি ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে মহিলাদের ভূমিকার উপর গুরুত্ব দিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে একাধিক প্রস্তাব সহ নানা উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে।এর প্রত্যেকটিতেই বিভিন্ন রাষ্ট্র ও বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে লিঙ্গ-সংবেদনশীলতা বাড়ানর চেষ্টা আরও জোরদার করার কথা বলা হয়েছে, এবং এমন উদ্যোগ ও নীতি অনুসরণের কথাও বলা হয়েছে যাতে শান্তি ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে মহিলাদের ভূমিকা শক্তপোক্ত হয়। কিন্তু কুড়ি বছর পেরিয়ে গেলেও ভারত সহ বহু দেশই এখনও এ ব্যাপারে কোনও জাতীয় কর্মসূচি নেয়নি। অথচ ভারতের মতো দেশে রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষার পরিকল্পনায় মহিলারা সুনির্দিষ্ট ভূমিকা নিয়েছেন। ইউ এন এস সি আর ১৩২৫-এ এই বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে চিহ্নিত রয়েছে। তবু নয়াদিল্লির এখনও কোনও জাতীয় কর্মসূচি নেই।

ফলে এত সব প্রস্তাব, ইউ এন এস সি আর ১৩২৫-এর বার্ষিকী উদযাপন ইত্যাদি সত্ত্বেও আসল অগ্রগতি নেহাতই কম। তবে, এ কথা ঠিক যে এর কিছু সদর্থক দিকও আছে। হাতে গোনা কয়েকটি রাষ্ট্র, বিশেষ করে মেক্সিকো, নারীকেন্দ্রিক বিদেশনীতির পথ অনুসরণ করে আজকের দুনিয়ায়ে গ্লোবাল সাউথ এর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির অনেকের কাছেই আদর্শ হয়ে উঠেছে। গ্লোবাল সাউথের মধ্যে মেক্সিকোই প্রথম দেশ যারা ২০২০ সালের জানুয়ারিতে নারীকেন্দ্রিক বিদেশনীতি গ্রহণ করে — এ এক উল্লেখযোগ্য সাফল্য। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়ে, নতুন নীতিতে মেক্সিকোর আন্তর্জাতিক যোগাযোগের কেন্দ্রে লিঙ্গ-প্রশ্নটি থাকবে। মেক্সিকো সরকারের নীতি অনুসারে এই উদ্যোগের লক্ষ্য হবে, “লিঙ্গের ক্ষেত্রে কাঠামোগত পার্থক্য, তফাত ও বৈষম্য কমিয়ে এনে একেবারে দূর করা”। এ জন্য আরও এগিয়ে গিয়ে মেক্সিকো পাঁচটি মূলনীতি স্থির করেছেঃ “বিদেশনীতিতে লিঙ্গ-প্রেক্ষিত বজায় রাখা হবে, বিদেশে অনুসৃত হবে নারীকেন্দ্রিক কর্মসূচি; বিদেশ মন্ত্রকে থাকবে লিঙ্গ-সাম্য; বিদেশ মন্ত্রক হবে হিংসামুক্ত ও সবার জন্য নিরাপদ; বিদেশ মন্ত্রকে মহিলাদের সমানাধিকার স্পষ্টই দেখা যাবে; এবং বিদেশ মন্ত্রকের আওতায় সব ক্ষেত্রেই থাকবে নারী-কেন্দ্রিকতা।” নীতির ক্ষেত্রে এত স্পষ্ট ঘোষণা শান্তি ও সুরক্ষা সহ বিভিন্ন সমস্যার মোকাবিলায় আরও সংবেদনশীল ভূমিকা নেবে এমন আশা করাই যায়।

কিন্তু সমস্যা হল আমরা এখনও খুব অল্প কয়েকটি দেশের কথাই বলছি। সুইডেনই প্রথম দেশ যারা বিদেশনীতির ক্ষেত্রে নারীকেন্দ্রিক প্রেক্ষিত নিয়ে আসে। তাদের কথায়, এই ভাবনা তিনটি ‘আর’ কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছেঃ রাইটস (অধিকার), রিপ্রেজেনটেশন (প্রতিনিধিত্ব) এবং রিসোরসেস (সম্পদ)। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে সুইডেনের ভূতপূর্ব বিদেশমন্ত্রী মার্গট ওয়ালস্ত্রম বলেছেন, “সব দেশেই মহিলাদের একই আইনি অধিকার এবং মানবাধিকার” থাকা জরুরি। “যেখানে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে” সেখানে মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব কেমন সেটা দেখাও একই রকম গুরুত্বপূর্ণ। সব শেষে সম্পদের প্রশ্নে প্রাক্তন মন্ত্রীর বক্তব্য, “দেশের বাজেটে লিঙ্গ-প্রশ্নটি খেয়াল রাখা” হচ্ছে কি না, আর “মেয়েদের প্রয়োজন” মিটছে কি না, এটাও দেখা দরকার। প্রত্যেকটি বহুপাক্ষিক মঞ্চে মহিলাদের আরও বেশি প্রতিনিধিত্বের জন্য অল্প যে কটি দেশ জোর গলায় সওয়াল করেছে, সুইডেন তাদের অন্যতম। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের আলোচনায় মহিলাদের অন্তর্ভুক্ত করার উপর জোর দেওয়া দরকার, আর এটাও নিশ্চিত করা দরকার যে, সব কটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গায় মহিলাদের উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব আছে। যৌন হিংসাকে একটি প্রধান সমস্যা হিসেবে দেখার জন্যও সুইডেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে জোর দিয়েছে। সুইডেনের যুক্তি, বহুপাক্ষিক কর্মসূচিতে মহিলাদের সমস্যাগুলি নিজে থেকে গুরুত্ব পাবে না, নিয়মিত বিষয়টি নিয়ে চাপ দিতে হবে। এসব এখনও রোজকার ঘটনার পর্যায়ে পৌঁছয়নি, আর তাই জাতীয় ও বহুপাক্ষিক মঞ্চে মেয়েদের উপস্থিতি এবং জনসংখ্যার অর্ধেক অংশকে প্রভাবিত করে এমন বিষয়ে আলোচনার দাবি তোলা এখনও খুবই গুরুত্বপূর্ণ যাতে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে ভবিষ্যতের কর্মসূচি গড়ে তোলা যায়। 

আরও যে দুটি দেশ নারীকেন্দ্রিক বিদেশনীতির লক্ষ্যে উদ্যোগী হয়েছে, তারা হল কানাডা ও ফ্রান্স।কানাডা তাদের নতুন নীতির কথা প্রকাশ করে ২০১৭-য়। নতুন ভাবনার ব্যাখ্যা করে বিদেশমন্ত্রী ক্রিস্তিয়া ফ্রিল্যান্ড বলেছেন, কানাডার উদ্যোগের “লক্ষ্য লিঙ্গসাম্য এবং মেয়েদের ক্ষমতায়ন… [যাতে] কানাডা এই বৈশ্বিক উদ্যোগের প্রথম সারিতে পৌঁছতে পারে। এটি মৌলিক বিচার তথা মৌলিক অর্থনীতির বিষয়।” নারীকেন্দ্রিক কূটনীতি অনুসরণের লক্ষ্যে ফ্রান্স ২০১৯-এ ঘোষণা করে, লিঙ্গসাম্যকে তারা অগ্রাধিকার দেবে।

তবু এখনও তেমন দেশের সংখ্যা দশেরও কম যারা লিঙ্গ-প্রেক্ষিত বজায় রেখে এগোনর ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, গড়তে চেয়েছে এমন এক কাঠামো যা আর্থিক ও উন্নয়নমূলক নীতি, স্বাস্থ্যনীতির সঙ্গে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মতো সরকার-পরিচালনার কর্মসূচিতে মহিলাদের আরও বেশি করে অংশ নিতে সাহায্য করবে। যদিও হাতে গোনা কয়েকটি রাষ্ট্রই শান্তি ও সুরক্ষার প্রশ্নে নারীকেন্দ্রিক ভূমিকা নেওয়ার পথে এগোচ্ছে, তবু এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তা অন্যান্য রাষ্ট্রকে সেই পথে নিয়ে আসার ব্যাপারে প্রভাবিত করতে পারে। এই সব রাষ্ট্র কী ভাবে তাদের সৎ উদ্দেশ্যকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মঞ্চে রূপায়ণযোগ্য কর্মসূচিতে পরিণত করতে পারে, সেটা দেখাও গুরুত্বপূর্ণ। নারীকেন্দ্রিক কর্মসূচি কী ভাবে বহুপাক্ষিক কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার উপর প্রভাব ফেলতে পারে তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। কিন্তু কয়েকজন মহিলা যে অন্তত এই ধরনের নীতিগত প্রশ্নে চালকের আসনে রয়েছেন সেটাই উল্লেখযোগ্য। শান্তি ও সুস্থিতি ফিরিয়ে আনতে মহিলারা কতটা সফল হবেন তার থেকেও তাঁদের পক্ষে এটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে তাঁরা তাঁদের বক্তব্য ব্যাক্ত করতে পারছেন এবং তাঁদের মতামত বিবেচিত হচ্ছে।

অতিমারি ও মহিলারা

এমন একটা সময় এই সব বিষয় আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে যখন সারা বিশ্ব কোভিড-১৯ অতিমারির প্রকোপে বিপন্ন। এই অতিমারির ফলে আমাদের বর্তমান প্রতিষ্ঠান ও কর্মধারায় গুরুতর ত্রুটি প্রকাশ পেয়েছে। দেখা যাচ্ছে, সংঘর্ষ ও যুদ্ধের সময়ের মতোই আবারও লিঙ্গ-বৈষম্য বেড়েছে, মহিলাদের ঘাড়ে চেপেছে মাত্রাতিরিক্ত বোঝা। এই পরিস্থিতি তে লিঙ্গ-প্রশ্ন নিয়ে কথা তোলা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, কারণ অতিমারির মোকাবিলায় আগের ভুলত্রুটি এড়াতে সমাজ যদি মৌলিক সংস্কারের পরিকল্পনা করে তা হলে লিঙ্গ-প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে অসাম্য এবং অপ্রতুলতার বিষয়টি বিবেচনা করতেই হবে।

বিশেষ করে মহিলাদের জন্য জরুরি বিষয়গুলি বিবেচনা করতে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মঞ্চে মহিলাদের অবস্থানের উন্নতি ঘটাতে নারীকেন্দ্রিক বিদেশনীতির পথ কার্যকর হতে পারে। এতে অন্যান্য রাষ্ট্রের উপরেও এগিয়ে আসার চাপ বাড়বে—শুধু প্রতিশ্রুতি দেওয়া নয়, তাকে বাস্তবে রূপায়ণের দায়ও থাকবে। এমন চাপ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ রাষ্ট্রগুলি চাইবে মহিলাদের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে নিজেদের সাফল্য তুলে ধরতে। রাষ্ট্রগুলি যাতে আরও গুরুত্ব দিয়ে নারীকেন্দ্রিক কর্মসূচি অনুসরণ করে সে জন্য তাদের উপর আন্তর্জাতিক আদর্শগত চাপ সৃষ্টি বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে। ফলে আন্তর্জাতিক স্তরে এই বিষয়গুলি আলোচিত হওয়ার প্রদর্শনগত প্রভাব তাৎপর্যপূর্ণ।

অতএব আরও লিঙ্গ-সংবেদী বিদেশনীতির পথ নিলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায় মহিলাদের স্থায়ী উপস্থিতির সুযোগ তৈরি হবে, যা প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রটিকে প্রসারিত করবে এবং প্রান্তিক মানুষের কণ্ঠে ভাষা দেবে। বাস্তবে এর অর্থ এমন এক সু-পরিবেশ তৈরি করা যাতে বিস্তৃত, সর্বাত্মক পন্থা গ্রহণ করা যায়, উদ্ভাবনী চিন্তারসুযোগ থাকে,বৈচিত্র্য ও ভারসাম্য পরিপোষিত হয় এবং সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে চলা যায়। এই প্রক্রিয়াটির বিকাশ প্রয়োজন যা থেকে বৈশ্বিক স্তরে কিছু মান নির্ধারণ সম্ভব, যা রাষ্ট্রগুলিকে তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় আরও দায়বদ্ধ করে তুলবে। এটা সহজ নয়, ইউ এন এস সি আর ১৩২৫ মেনে চলার জন্য কী কী প্রয়োজন সেটা দেখলেই বিষয়টি বোঝা যাবে। আমাদের এখনও অনেকটা পথ যেতে হবে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.