Author : Tanya Aggarwal

Published on Jun 21, 2024 Updated 0 Hours ago

ভারতে ব্যবসা এবং ব্যক্তিদের অবশ্যই এআই-এর সুবিধাগুলি গ্রহণ করতে হবে, এবং কৌশলগতভাবে এআই-তে অগ্রগতির সমপর্যায়ে থেকে নিজেদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে হবে

এমএসএমই-র ক্ষমতায়ন: এআই সাক্ষরতার ভূমিকা

প্রযুক্তি অভূতপূর্ব হারে অগ্রসর হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মতো উদীয়মান প্রযুক্তিকে সামনের সারিতে নিয়ে আসছে। এআই দ্বারা সৃষ্ট আসন্ন পরিবর্তন সুস্পষ্ট, আর তা এআই সাক্ষরতার গুরুত্বের উপর জোর দেয়। এই প্রসঙ্গে এআই অনুধাবন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভারত তার স্বতন্ত্র জনসংখ্যাগত লভ্যাংশ এবং বৃদ্ধির জন্য অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের (এমএসএমই) উপর নির্ভরতার কারণে একটি বিশেষ  অবস্থানে রয়েছে। যেমন, উত্তরপ্রদেশ সরকার রাজ্যের স্কুলগুলিতে "এআই লিটারেসি ফর অল" উদ্যোগ চালু করেছে, যার লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের এআই, কোডিং এবং মেশিন লার্নিং (এমএল)-‌এর বিষয়ে শিক্ষিত করা। এই প্রচেষ্টা তরুণ প্রজন্মকে ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল বিশ্বে সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলিতে সজ্জিত করতে চায়।


প্রযুক্তিগত অগ্রগতির দ্রুত গতির সময় ব্যবসা, বিশেষ করে এমএসএমই ক্ষেত্র, এমন কর্মীবাহিনী দাবি করে যারা এআই উপকরণগুলিকে ভালভাবে কাজে লাগাতে পারে।



আমরা যখন এই দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিগত ভূচিত্রের মধ্য দিয়ে এগোই, তখন সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য এআইকে উপলব্ধি করা, ব্যবহার করা এবং নৈতিকভাবে স্থাপন করার ক্ষমতা অপরিহার্য হয়ে ওঠে। প্রযুক্তিগত অগ্রগতির দ্রুত গতির সময় ব্যবসা, বিশেষ করে এমএসএমই ক্ষেত্র, এমন কর্মীবাহিনী দাবি করে যারা এআই উপকরণগুলিকে ভালভাবে কাজে লাগাতে পারে। এআই টুলগুলিকে কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে সক্ষম সমাজ, ব্যবসা এবং দৈনন্দিন জীবনে এআই-‌এর বহুমুখী প্রভাবকে স্বীকার করা অগ্রগতি এবং প্রতিযোগিতাযোগ্যতা চালনার জন্য বিচক্ষণ এবং অপরিহার্য।

ভবিষ্যতের জন্য শেখা

রোগের নজরদারিতে সহায়তা করা থেকে শুরু করে ফটো ফিল্টার, এবং এর বাইরেও সোশ্যাল মিডিয়ার অভিজ্ঞতা বাড়ানো পর্যন্ত, সমাজে এআই-এর প্রভাব সর্বব্যাপী। সুতরাং, এআই সাক্ষরতা অপরিহার্য। সহজ ভাষায়,
এআই সাক্ষরতা হল এআই-চালিত প্রযুক্তি শেখা এবং তা ব্যবহার করার ক্ষমতা। উপলব্ধ সরঞ্জামগুলি কীভাবে ব্যবহার করবেন তা শেখা উন্নয়নের চাবিকাঠি হবে। এআই-এর ব্যবহার, এটি কীভাবে আমাদের সমাজকে আকার দেয় এবং কর্মজীবী মানুষের দৈনন্দিন ব্যবসার উপর এর প্রভাব কী, তা বোঝা অত্যাবশ্যক। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে এআই সাক্ষরতা এবং চাকরির সুযোগের মধ্যে সংযোগ এআই-এর রূপান্তরমূলক সম্ভাবনাকে তুলে ধরে। এআই দক্ষতা অর্জন বিভিন্ন শিল্পে কর্মসংস্থানের সুযোগের দ্বার খুলে দেয়। ডেটা অ্যানালিটিক্স থেকে মেশিন লার্নিং, এআই-তে পারদর্শী একজন কর্মী এক মূল্যবান সম্পদ হয়ে ওঠেন, যা বিদেশী বিনিয়োগকে আকর্ষণ করে এবং অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এগিয়ে নিয়ে চলে। ব্যবসার জন্য বিভিন্ন এআই সরঞ্জামগুলিকে কীভাবে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হয় তা শেখার অর্থ হল উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, উৎপাদনে গতি আনা, এবং ভোক্তা প্রবণতা বোঝা। বর্তমানে, ৬ কোটিরও বেশি এমএসএমই রয়েছে যা ভারতে ১১ কোটিরও বেশি চাকরি প্রদান করে। কীভাবে এআই উপকরণগুলিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হয় তা বোঝা চাকরি-প্রার্থীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রবেশের সুযোগ দিতে সাহায্য করতে পারে।

এআই অর্থনীতির প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রকে পরিবর্তন করতে প্রস্তুত। ফলস্বরূপ, নীতিনির্ধারকদের অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলির সুরক্ষার অগ্রাধিকার দিতে হবে, আর ভারতের এমএসএমই ক্ষেত্র সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু ভারত একটি এআই উদ্ভাবন কেন্দ্র হিসাবে অবস্থান করছে, তাই এটি এআই সাক্ষরতার গুরুত্বের উপর জোর দিচ্ছে। একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ হল ভারতের জনসংখ্যাগত লভ্যাংশ স্বীকার করা এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করা। শিক্ষায় বিপ্লব ঘটাতে এবং ভবিষ্যতের জন্য ছাত্রদের প্রস্তুত করতে ভারত সক্রিয়ভাবে স্কুলগুলিতে এআই অন্তর্ভুক্ত করছে।
ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি (এনইপি) ২০২৩ এআই, এমএল, বিগ ডেটা অ্যানালিটিক্স এবং শিক্ষায় ভিজ্যুয়ালাইজেশনের মতো উদীয়মান প্রযুক্তির রূপান্তরমূলক সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দেয়। লক্ষ্য হল শিক্ষা দেওয়া-‌নেওয়া প্রসারিত করা ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়াগুলিকে উন্নত করা, শিক্ষক প্রস্তুতি এবং পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা করা, শিক্ষাগত সুযোগ বৃদ্ধি করা, এবং শিক্ষাগত পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনকে প্রবাহিত করা। এটি অর্জনের জন্য লক্ষ্য হল ডিজিটাল শিক্ষার একটি শক্তিশালী বাস্তুতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, যেখানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং প্রশাসকেরা প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার সম্পর্কে ভালভাবে অবহিত, যার মাধ্যমে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যবস্থার উপর জোর দেওয়া হয়।


লক্ষ্য হল শিক্ষা দেওয়া-‌নেওয়া প্রসারিত করা ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়াগুলিকে উন্নত করা, শিক্ষক প্রস্তুতি এবং পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা করা, শিক্ষাগত সুযোগ বৃদ্ধি করা, এবং শিক্ষাগত পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনকে প্রবাহিত করা।



এরকম একটি উদ্যোগ হল
যুবকদের জন্য দায়বদ্ধ এআই (যুবাআই) প্রোগ্রাম, জাতীয় ই-গভর্নমেন্ট বিভাগ, ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক এবং ইনটেল ইন্ডিয়ার মধ্যে সহযোগিতা। এটি তরুণ প্রজন্মকে এআই-প্রস্তুত করে তাদের ক্ষমতায়িত করার লক্ষ্যে। প্ল্যাটফর্মটি শিক্ষার্থীদের একটি নতুন যুগের প্রযুক্তিগত মানসিকতা বিকাশে এবং প্রাসঙ্গিক দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। পাঠ্যক্রমের সাথে এআই শিক্ষাকে একীভূত করার মাধ্যমে যুবাআই নিশ্চিত করে যে জাতীয়, রাজ্য এবং স্কুল স্তরের শিক্ষার্থীরা এই প্রযুক্তিগুলি, তাদের ভূমিকা, এবং কীভাবে তাদের ব্যবহার এবং প্রভাব বোঝা যায় সে সম্পর্কে সচেতন। এই সক্রিয় পদ্ধতির লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল ভূচিত্রে দায়িত্বের সাথে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান এবং দক্ষতা দিয়ে সজ্জিত করা।

তরুণদের থেকে শুরু করে ব্যবসার মালিকদের কাছে এআই সাক্ষরতার উদ্যোগ সম্প্রসারণ করাও উপকারী হতে পারে। আজকের ক্রমবর্ধমান এআই-চালিত ব্যবসায়িক পরিবেশে, এআই নীতিগুলির একটি দৃঢ় উপলব্ধি উদ্যোক্তাদের এবং অগ্রণী ব্যবসায়ীদের নিজেদের ক্রিয়াকলাপে এআই সমাধানগুলি অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম করতে পারে। ফলস্বরূপ, এটি তাদের উদ্যোগকে দক্ষতা, উৎপাদনশীলতা এবং উদ্ভাবনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এআই সাক্ষরতা নিশ্চিত করে যে ব্যবসাগুলি বাজারের গতিশীলতার পরিবর্তনের সঙ্গে
খাপ খাইয়ে নিতে পারে, প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে এগিয়ে রাখতে পারে এবং বৃদ্ধি ও উদ্ভাবনের সুযোগগুলিকে পুঁজি করে নিতে পারে। এআই সাক্ষরতা বৃদ্ধি করা, বিশেষ করে এমএসএমইগুলির মধ্যে, ডিজিটাল যুগকে কার্যকরভাবে নেভিগেট করার জন্য তাদের সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করবে এবং একটি প্রযুক্তি-বুদ্ধিমান এবং স্থিতিস্থাপক ছোট ব্যবসাক্ষেত্রকে উৎসাহিত করে সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।


ছোট ব্যবসা, বড় প্রভাব

এমএসএমইগুলিকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মেরুদণ্ড হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ভারতে এমএসএমই ক্ষেত্র দেশের অর্থনৈতিক ভূচিত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উদ্ভাবন, রপ্তানি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখে।
এটি মোট  শিল্প উৎপাদনের ৪৫ শতাংশ, এবং মোট রপ্তানির ৪০ শতাংশ, এবং জিডিপিতে এটি একটি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে, যার মোট অংশ ৩৭.৫৪ শতাংশ। একটি অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে এমএসএমই মন্ত্রক ক্ষেত্রটির সম্ভাবনা উপলব্ধি করতে এবং টেকসই বৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য একটি সমৃদ্ধ উদ্যোক্তা বাস্তুতন্ত্রের গুরুত্বের উপর জোর দেয়।


বৃহত্তর কর্পোরেশনগুলি থেকে অন্তর্দৃষ্টি নিয়ে তারা বিক্রয় কৌশলগুলি সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে, ভোক্তাদের প্রবণতা অনুমান করতে, বাজারের গতিশীলতার পূর্বাভাস দিতে এবং কার্যপ্রণালীকে মসৃণ করতে এআই প্রযুক্তির ব্যবহার করতে পারে৷ 


এআই সাক্ষরতা আজকের গতিশীল ব্যবসায়িক ভূচিত্রে উন্নতির জন্য 
এমএসএমই-কে ক্ষমতায়নের অপার সম্ভাবনা রাখে। বিভিন্ন ক্ষেত্রজুড়ে এআই প্রয়োগ সম্পর্কে তাদের বোঝাপড়া বাড়িয়ে এমএসএমই-‌গুলি বৃদ্ধি ও দক্ষতার জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। বৃহত্তর কর্পোরেশনগুলি থেকে অন্তর্দৃষ্টি নিয়ে তারা বিক্রয় কৌশলগুলি সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে, ভোক্তাদের প্রবণতা অনুমান করতে, বাজারের গতিশীলতার পূর্বাভাস দিতে এবং কার্যপ্রণালীকে মসৃণ করতে এআই প্রযুক্তির ব্যবহার করতে পারে৷ তা ছাড়া, এআই-এর প্রভাব জনপ্রশাসন, আইনি ব্যবস্থা, কর ব্যবস্থা এবং ডিজিটাল পরিকাঠামোর মতো ক্ষেত্রগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নিছক ব্যবসায়িক ক্রিয়াকলাপগুলির বাইরে প্রসারিত। এমএসএমইগুলি উপলব্ধ সরকারি প্রকল্প, অর্থায়নের বিকল্পগুলি এবং তাদের প্রয়োজন অনুসারে তৈরি নীতি কাঠামোর অন্তর্দৃষ্টি অর্জন করে এই জটিলতাগুলির সমাধান করতে পারে।

 

এআই উপকরণগুলি, যেমন আর্থিক ও ইনভেনটরি ম্যানেজমেন্ট, ছোট ব্যবসাগুলিকে অর্থ সাশ্রয় করতে সাহায্য করতে পারে এবং ইমেল মার্কেটিং অটোমেশন তাদের ভোক্তা পরিধি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র যেখানে এআই সাক্ষরতা একটি উল্লেখযোগ্য পার্থক্য তৈরি করতে পারে তা হল ডেটা বিশ্লেষণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ। এআই অ্যালগরিদমগুলি দ্রুত বিপুল পরিমাণ ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করতে সক্ষম, এবং তা ব্যবহার করে এমএসএমই কৌশলগত সিদ্ধান্ত জানাতে এবং ব্যবসায়িক বৃদ্ধি চালনার জন্য কার্যকর অন্তর্দৃষ্টি অর্জন করতে পারে। যেমন, গুরুগ্রাম-ভিত্তিক এইচআর কনসাল্টিং ফার্ম কালচারো ব্যবহার করেছে স্কেলনাট, একটি এআই প্ল্যাটফর্ম যা ক্রুজ মোডের মতো পরিষেবা প্রদান করে এবং সামগ্রী তৈরি এবং বিপণনে সহায়তা করে। কালচারো-র সহ-প্রতিষ্ঠাতা আশিস মানচন্দা বলেছেন, "এআই টুলগুলি আমাদের মতো ছোট কোম্পানিগুলিকে সমগ্র বিষয়বস্তুর বর্ণালী জুড়ে তাদের প্রচেষ্টা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।"



এআই অ্যালগরিদমগুলি দ্রুত বিপুল পরিমাণ ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করতে সক্ষম, এবং তা ব্যবহার করে এমএসএমই কৌশলগত সিদ্ধান্ত জানাতে এবং ব্যবসায়িক বৃদ্ধি চালনার জন্য কার্যকর অন্তর্দৃষ্টি অর্জন করতে পারে।



এআই-‌এর সুবিধাগুলি সম্পূর্ণরূপে কাজে লাগাতে এমএসএমই পরিচালক এবং কর্মচারীদের অবশ্যই এর সম্ভাব্য সুবিধাগুলি সম্পর্কে শিক্ষিত হতে হবে। এর মধ্যে এআই-‌এর সুবিধা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, আর্থিক সীমাবদ্ধতা মোকাবিলা করা, এবং প্রাসঙ্গিক জ্ঞান সম্পদ আহরণের সুযোগ নিশ্চিত করা জড়িত। উপরন্তু, উপযোগী পন্থা, ক্ষেত্র-নির্দিষ্ট অধ্যয়ন, এবং ব্যবহারিক ব্যবসায়িক ব্যবহার এমএসএমই-গুলিকে একটি সফল এআই যাত্রা শুরু করার জন্য আরও শক্তিশালী করতে পারে, এবং সমগ্র ক্ষেত্রজুড়ে অন্তর্ভুক্তি এবং জ্ঞাত সিদ্ধান্ত গ্রহণকে উৎসাহিত করে।

এআই আলিঙ্গন

বিশ্ব ক্রমবর্ধমানভাবে ডিজিটাল ও প্রযুক্তিনির্ভর হওয়ার সঙ্গেসঙ্গে ভারত একটি অগ্রণী শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হচ্ছে। যাই হোক, প্রতিটি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সাথে ব্যাঘাত ঘটে, যার ফলে রূপান্তর ঘটে এবং কিছু ক্ষেত্র ও ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এই ধরনের বাধাগুলি আবার নতুন ব্যবসা ও চাকরি তৈরি করে।


ব্যবসা এবং ব্যক্তিদের অবশ্যই এআই এর সুবিধাগুলি দখল করতে হবে এবং প্রতিযোগিতাযোগ্য থাকার জন্য কৌশলগত উন্নতি করতে হবে।



এআই ব্যাঘাতের প্রভাব আসন্ন এবং তা সবাইকে প্রভাবিত করবে। ব্যবসা এবং ব্যক্তিদের অবশ্যই এআই-এর সুবিধাগুলি কাজে লাগাতে হবে এবং প্রতিযোগিতাযোগ্য থাকার জন্য কৌশলগত উন্নতি করতে হবে। এটি করতে ব্যর্থ হওয়া মানে সম্ভাব্য সুযোগগুলি হাতছাড়া করা। ভারতের ক্রমবর্ধমান ডিজিটালাইজেশন প্রচেষ্টা এবং ইন্টারনেট সংযোগের উন্নতির সময় এ কথা কল্পনা করা যুক্তিযুক্ত যে, এমএসএমইগুলি তাদের ক্রিয়াকলাপ উন্নত করার জন্য এআই সরঞ্জামগুলিকে কাজে লাগাবে৷ ভারতের তরুণ জনসংখ্যা ও এমএসএমই-কে এআই সাক্ষর করা এই রূপান্তরের একটি সূচনাবিন্দু হিসেবে কাজ করতে পারে।



তানিয়া আগরওয়াল অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন রিসার্চ ইন্টার্ন

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.