Author : Soumya Awasthi

Published on Jun 19, 2024 Updated 0 Hours ago
ডিজিটাল যুদ্ধক্ষেত্র: আইএসকেপি বনাম তালিবান

২০২৪ সালের মার্চ মাসে রুশ ক্রোকাস হলে ইসলামিক স্টেট খোরাসান-এর (আইএস-কে) হামলার ঘটনাটিকে বন্দুকধারীরা তাদের গোপ্রো ক্যামেরায় সজ্জিত আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে রেকর্ড করে। এর ফলে কল অফ ডিউটি নামক ভিডিয়োগেম ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রাথমিক দৃশ্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং সন্ত্রাসবাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই আলোচনা আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে

একবিংশ শতাব্দীতে সোশ্যাল মিডিয়ার উত্থানের কারণে যোগাযোগ সংযোগের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব বিপ্লব দেখা দিয়েছে। বিশাল আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং সম্পৃক্ততার সুযোগ প্রদানের পাশাপাশি এই সংযোগটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জও উপস্থাপন করে। এর মধ্যে রয়েছে ভুল তথ্যের ব্যাপক বিস্তার, গোপনীয়তার ক্ষয় এবং সামাজিক মেরুকরণ মানসিক ক্ষতির সম্ভাবনা। অতএব, আজকের যুগে সোশ্যাল মিডিয়ার ডিজিটাল পরিসরে পথ খুঁজে নেওয়ার জন্য এর সুবিধাগুলিকে কাজে লাগানো এবং এর ঝুঁকিগুলি হ্রাস করার মধ্যে একটি সাবধানী ভারসাম্য প্রয়োজন

 

সোশ্যাল মিডিয়া দুর্বল জনসংখ্যার মৌলবাদকে সহজতর করে, কার্যকর ভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিশ্বব্যাপী সমন্বয় প্রতিক্রিয়া প্রচেষ্টাকে জটিল করে তোলে।

 

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি দ্বারা সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার, যা বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের জন্য বহুমুখী চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করে এই চ্যালেঞ্জগুলি নিয়োগ হিংসার উস্কানি, অভিযানের সমন্বয়, তহবিল সংগ্রহ সাইবার নিরাপত্তা হুমকির জন্য প্রচারের বিন্যাসকে অন্তর্ভুক্ত করে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, সোশ্যাল মিডিয়া দুর্বল জনসংখ্যার মৌলবাদকে সহজতর করে, কার্যকর ভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিশ্বব্যাপী সমন্বয় প্রতিক্রিয়া প্রচেষ্টাকে জটিল করে তোলে। মোদ্দা কথা, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার নিরাপত্তা ও সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমসাময়িক হুমকি হয়ে উঠেছে

তালিবানের পুনরুত্থান এবং ২০২১ সালের গস্ট মাসে তাদের আফগানিস্তান দখলের পর থেকে এই অঞ্চলে আন্তঃ-জিহাদি প্রতিযোগিতা শারীরিক এবং সাইবার উভয় ক্ষেত্রেই প্রসারিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে, ইসলামিক স্টেট অফ খোরাসান (আইএসকে) এবং তালিবান ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলিকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে অসাধারণ কার্যকারিতা প্রদর্শন করেছে। আইএসকে, বিশেষ করে, তালিবানের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য এবং জিহাদি মতাদর্শের রক্ষক হিসাবে নিজেকে উপস্থাপন করার জন্য তার প্রচারমূলক প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষমতাকে স্বীকৃতি দিয়ে আইএসকেপি-প্রচার সাধনী এই মতাদর্শের প্রচারই চালাচ্ছে যে, ‘আমাদের কলমগুলি কাফেরদের (বিধর্মী) হৃদয়ে ছোরাসম’। তারা কৌশলগত ভাবে বিশ্বব্যাপী নিজের বার্তাকে ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন ভাষায় বিষয়বস্তুর প্রচার চালায়।

বর্তমানে ইসলামিক স্টেট একটি সামরিক এবং গুরুত্বপূর্ণ মিডিয়া সত্তা হিসাবে কাজ করে। কুইলিয়াম ফাউন্ডেশনের ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসের রিপোর্টে ভার্চুয়াল খিলাফতের নথিভুক্তিকরণ’-এর বিষয়টিকে তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, গোষ্ঠীটি প্রতিদিন গড়ে ৩৮টি নতুন বিষয় মিডিয়ায় প্রকাশ করে, যার মধ্যে রয়েছে ২০ মিনিট দীর্ঘ ভিডিয়ো, সর্বাত্মক তথ্যচিত্র, ছবিসমৃদ্ধ প্রবন্ধ থেকে শুরু করে ডিয়ো রেকর্ডিং এবং প্যামফ্লেট, যা কিনা একাধিক ভাষায় উপলব্ধ। বিস্তৃত ডিজিটাল প্রচার উদ্যোগ সফল ভাবে ৩০০০০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে নিজেদের পরিবার পরিত্যাগ করতে এবং জিহাদের পথে চালিত করতে প্ররোচিত করেছে।

 

আইএসকে, বিশেষ করে, তালিবানের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য এবং জিহাদি মতাদর্শের রক্ষক হিসাবে নিজেকে উপস্থাপন করার জন্য তার প্রচারমূলক প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।

 

কথা স্বীকার করা গুরুত্বপূর্ণ যে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলিতে আইএসকে-এর কৌশলগত লক্ষ্য শুধুমাত্র ইরাক এবং সিরিয়ায় আঞ্চলিক ক্ষতির প্রতিক্রিয়া নয়, বরং প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখা এবং বিশ্বব্যাপী উপস্থিতি বজায় রাখার একটি প্রচেষ্টা। এটি আইএসকে-কে ব্যাপক সামাজিক মিডিয়া প্রচারাভিযান এবং বিশ্বব্যাপী শাখাগুলির একটি শৃঙ্খলের মাধ্যমে তার নাগাল প্রসারিত করতে সক্ষম করেছে।

গোষ্ঠীটি এক্স (আগে যা ছিল টুইটার), ফেসবুক, ইউটিউব, টেলিগ্রাম, সিগন্যাল, হোয়াটসঅ্যাপ, স্ন্যাপচ্যাট এবং অন্যান্য গেমিং প্ল্যাটফর্ম-সহ সোশ্যাল মিডিয়া মঞ্চগুলিকে নিখুঁত ভাবে ব্যবহার করে। তাদের বিষয়বস্তুর মধ্যে রয়েছে হিংসার গ্রাফিক চিত্রায়ন থেকে শুরু করে তাদের শাসনের অধীনে একটি কথিত ইউটোপিয়ান জীবন চিত্রিত করা এবং উগ্রবাদ-প্রবণ ব্যক্তিদের আকৃষ্ট করতে কৌশলগত ভাবে লক্ষ্যবস্তু করে তোলা হয়েছে

২০২১ সালে তার সূচনার পর থেকে আইএসকে তার ডিজিটাল উপস্থিতির জন্য একটি বহুমুখী পদ্ধতি গ্রহণ করেছে, যা টপ-ডাউন (উপর থেকে নিচে) এবং বটম-আপ (নিচ থেকে উপরে) কৌশল দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে। কিছু সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের বিপরীতে আইএসকে কোনও কেন্দ্রী ওয়েবসাইটের উপর নির্ভর করে না, বরং তার বার্তা প্রচারের জন্য বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেল ব্যবহার করে। একটি শক্তিশালী তালিবান-বিরোধী অবস্থানের সঙ্গে আইএসকে-এর মনোযোগ বিশ্বব্যাপী, আঞ্চলিক এবং স্থানীয় ভাবে প্রসারিত হয়েছে এবং মূলত দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার জনগণকে লক্ষ্যবস্তু করে তোলা হয়েছে। উর্দু, ইংরেজি, পশতু, রুশ, ফার্সি, তাজিক, উজবেক, হিন্দি, তামিল, মলয়ালম, আরবি, দারি এবং বাংলা-সহ বিভিন্ন ভাষায় প্রচার সামগ্রী তৈরি করা হয়। আইএসকে-এর মিডিয়া সাধনী ধারাবাহিক ভাবে বিষয়বস্তু অনুবাদ ও প্রচার করে, যা নিয়মিত বই প্রকাশের দ্বারা পরিপূরক হয়ে তার আদর্শগত আখ্যানকে আরও এগিয়ে নিয়ে যায়।

 

একটি শক্তিশালী তালিবান-বিরোধী অবস্থানের সঙ্গে আইএসকে-এর মনোযোগ বিশ্বব্যাপী, আঞ্চলিক এবং স্থানীয় ভাবে প্রসারিত হয়েছে এবং মূলত দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার জনগণকে লক্ষ্যবস্তু করে তোলা হয়েছে

 

আইএসকে-র মিডিয়া প্রচেষ্টার অগ্রভাগে রয়েছে আল-আজাইম ফাউন্ডেশন ফর মিডিয়া প্রোডাকশনস অ্যান্ড কমিউনিকেশনস, যা গোষ্ঠীটির আন্তর্দেশীয় প্রকৃতিকে প্রতিফলিত করে। আইএসকে বিভিন্ন শ্রোতার কাছে আবেদন করার লক্ষ্যে আল-মিল্লাত মিডিয়া এবং খালিদ মিডিয়ার মতো বিভিন্ন ইউনিটের মাধ্যমে সীমান্ত জুড়ে প্রচার চালায়। ইংরেজি, পশতু এবং উর্দুতে যথাক্রমে ভয়েস অফ খোরাসান, খোরাসান ঘাগ এবং ইয়ালঘরের মতো ম্যাগাজিনগুলি অডিয়ো এবং ভিডিয়ো বিবৃতি দ্বারা পরিপূরক আইএসকে-র চরমপন্থী মতাদর্শের সাধনী হিসাবে কাজ করে। গোষ্ঠীটি তার আক্রমণের ইনফোগ্রাফিকও (ছবির মাধ্যমে তথ্য) প্রকাশ করে, যা আল-নাবাতে প্রদর্শিত হয় এবং এর পাশাপাশি ব্যবহার করা হয় ডিয়ো এবং ভিডিয়ো বিবৃতিও।

এর অন্যান্য প্রচারমূলক ইউনিটের মধ্যে রয়েছে আল-মিল্লাত মিডিয়া (আইএসকেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে পুস্তিকা বিবৃতি প্রকাশ করে); খালিদ মিডিয়া (ভিডিয়ো নির্মাণ করে); আল-আখবার উইলায়াহ খোরাসান (আরও নীরস বক্তব্য এবং প্রতিদিনের ঘটনাবলি প্রকাশ করে); হকিকত নিউজ (আল-আখবার উইলায়াহ খোরাসান-এর মতোই); তোর বারিঘোনা; আল-মুরসালাত মিডিয়া।

এই বিভাগগুলি সম্মিলিত ভাবে আইএসকে-র ব্যাপক ডিজিটাল উপস্থিতিতে অবদান রাখে, বিভিন্ন মিডিয়া ফরম্যাট এবং মঞ্চ জুড়ে কৌশলগত ভাবে বিষয়বস্তু ছড়িয়ে দেয় যাতে এর বার্তা এবং নিয়োগের প্রচেষ্টাকে প্রসারিত করা যায়।

কানাডিয়ান থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেকডেভ ফাউন্ডেশনের মতে, আইএসকে-র মেসেজিং চ্যানেলগুলিকে তিনটি বিভাগে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে:

১। সেই সকল অফিসিয়াল চ্যানেলগুলি যেগুলি আসলে গোষ্ঠীগুলি নিজেরাই পরিচালনা এবং তত্ত্বাবধান করে

২। সরাসরি যুক্ত চ্যানেল। এগুলি অনানুষ্ঠানিক হলেও এই গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে নিবিড় ভাবে সংযুক্ত।

৩। পরোক্ষ চ্যানেল। এগুলি স্বাধীন হলেও হিংসাত্মক চরমপন্থী গোষ্ঠীর বিষয়বস্তু প্রচার করে এবং তাদের বার্তাগুলিকে প্রশস্ত করে।

 

টেলিগ্রামের মতো মূলধারার প্ল্যাটফর্মের ঊর্ধ্বে উঠে আইএসকে নজরদারি এড়াতে এবং নিজের অনলাইন উপস্থিতি প্রসারিত করতে ওদনোক্লাসনিকি, ডিসকর্ড এবং রকেট ডট চ্যাট-এর মতো কম নিয়ন্ত্রিত প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করে

 

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাপক ভাবে অভিন্ন সাধারণ সমন্বিত আক্রমণের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে আইএসকে তার ভিত্তি মজবুত করতে এবং নিজের উদ্দেশ্যের প্রতি সহানুভূতিশীল মানুষকে আকর্ষণ করে

 

তালিবানের বিপরীতে - যাদের লক্ষ্য প্রাথমিক ভাবে আফগানিস্তানেই নিবদ্ধ - আইএসকে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া থেকে সমগ্র অঞ্চলকে বৃহত্তর খোরাসান অঞ্চলের অধীনে সমন্বিত করার লক্ষ্যে আসীন। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাপক ভাবে অভিন্ন সাধারণ সমন্বিত আক্রমণের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে আইএসকে তার ভিত্তি মজবুত করতে এবং নিজের উদ্দেশ্যের প্রতি সহানুভূতিশীল মানুষকে আকর্ষণ করে। অধিকন্তু, আইএসকে-র সক্রিয় ডিজিটাল উপস্থিতি শুধুমাত্র আফগানিস্তানের মধ্যেই নয়, প্রতিবেশী দেশগুলিতেও একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা হুমকির সৃষ্টি করে, যেখানে এটি সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডকে অনুপ্রাণিত ও প্ররোচিত করতে পারে।

এর সীমিত আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণের কারণে আইএসকে সোশ্যাল মিডিয়া-সহ পরিকল্পনা, সরবরাহ, নিয়োগ এবং অভিযানের সমন্বয়ের জন্য ইন্টারনেটের উপর ব্যাপক ভাবে নির্ভর করে। আইএসকে এবং এর প্রতি সহানুভূতিশীলদের দ্বারা সৃষ্ট হুমকির মোকাবিলায় একাধিক এক্তিয়ার এবং বিভিন্ন ভাষা বিস্তৃত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, চ্যানেল, সাবস্ক্রিপশন এবং মিথস্ক্রিয়া পর্যবেক্ষণ তাদের কর্মকাণ্ড ব্যাহত করা প্রয়োজন। এর বিপরীতে, ইসলামিক স্টেট মিডিয়া জিহাদের আহ্বান জানায়, তার অনুসারীদের ইন্টারনেটের সবচেয়ে প্রবেশাধিকারযোগ্য মঞ্চে প্রকাশ্যে কাজ করার পরামর্শ দেয়। এটি এই উপসংহারে পৌঁছেছে যে, প্রচার সংগ্রহের সুবিধাগুলি গোপনীয়তা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ

তালিবানের প্রতি আইএসকে-র বিরোধী অবস্থানক্ষ করা অপরিহার্যকারণ এটি তাদের ইসলামি শাসনের সংস্করণকে অপ্রতুল বলে মনে করে। তার প্রচার প্রচেষ্টার মাধ্যমে আইএসকে তালিবান এবং অন্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শক্তিদের সম্মান করতে চায়, তালিবানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য রাশিয়ার সমালোচনা করে, উইঘুর মুসলমানদের প্রতি চিনের আচরণের সমালোচনা করে, পশ্চিমী সামরিক হস্তক্ষেপের নিন্দা করে এবং পাকিস্তানকে তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের সমর্থন করার জন্য দায়ী করে। এ দিকে, তালিবানরা তাদের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে নিজেদের অগ্রগতি প্রদর্শনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এবং সময়ে সময়ে আঞ্চলিক অংশীদারদের পক্ষে কূটনৈতিক বিবৃতি প্রকাশ করে, যার নেপথ্যে থেকেছে স্বীকৃত এবং সহানুভূতি অর্জনের এক চোরা স্রোত। অধিকন্তু, আইএসকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যবস্তু করে তোলে, স্কুল ও কলেজ থেকে নিয়োগের জন্য প্রচার সামগ্রী তৈরি করে এবং এই ভাবে তার চরমপন্থী লক্ষ্যকে স্থায়ী করে তোলে

 

তালিবানরা তাদের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে নিজেদের অগ্রগতি প্রদর্শনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এবং সময়ে সময়ে আঞ্চলিক অংশীদারদের পক্ষে কূটনৈতিক বিবৃতি প্রকাশ করে, যার নেপথ্যে থেকেছে স্বীকৃত এবং সহানুভূতি অর্জনের এক চোরা স্রোত।

 

উপসংহারে বলা যায়, ডিজিটাল ক্ষেত্রে আইএসকে-র চরমপন্থী প্রচার এবং নিয়োগ প্রচেষ্টার বিস্তার হিংসাত্মক চরমপন্থা মোকাবিলা করতে এবং দুর্বল জনগোষ্ঠীকে মৌলবাদ থেকে রক্ষা করার জন্য ব্যাপক কৌশলগুলির জরুরি প্রয়োজনের উপর জোর দেয়। এই চ্যানেলগুলির এনক্রিপশন চিরাচরিত নজরদারি পদ্ধতির জন্য একটি শক্তিশালী চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করে, যা সন্ত্রাসবাদীদের বিশ্বব্যাপী বিচক্ষণতার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে সাহায্য করে। অতএব, শুধুমাত্র সমন্বিত আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং অনলাইন কার্যক্রম নিরীক্ষণ ও ব্যাহত করার সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ডিজিটাল যুগে আইএসকে এবং অনুরূপ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি দ্বারা সৃষ্ট হুমকিকে কার্যকর ভাবে প্রশমিত করা যেতে পারে।

 


সৌম্যা অবস্থি ফ্রিল্যান্স কনসালট্যান্ট।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Author

Soumya Awasthi

Soumya Awasthi

Soumya Awasthi is a freelance consultant. Previously she has worked with organisations such as the Tony Blair Institute, Vivekananda International Foundation, and Manohar Parrikar Institute ...

Read More +