Author : Niranjan Sahoo

Published on May 21, 2024 Updated 0 Hours ago

মাওবাদীদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ধারাবাহিক সফল অভিযান সত্ত্বেও বিদ্রোহীদের সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য পরিসর উন্মুক্ত রাখাউদ্দেশ্যে রাজ্য এবং এর নিরাপত্তা বাহিনীকে নিজে থেকে উদ্যোগ নিতে হবে।

মাওবাদী আন্দোলন মোকাবিলা: ছত্তিশগড় কি মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে?

১৬ এপ্রিল নিরাপত্তা বাহিনী ছত্তিশগড়ের কাঙ্কের জেলার (বস্তার বিভাগ) জঙ্গলে ২৯ জন অভিযুক্ত মাওবাদীকে হত্যা করে। কাঙ্কের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স এবং ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের (ডিআরজি) নেতৃত্বে কাঙ্কের যৌথ অভিযানটি ২০০০ সালে ছত্তিশগড় গঠনের পর থেকে সবচেয়ে সফল নিরাপত্তা অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে। ২৯ জন নিহতের মধ্যে দু শীর্ষ মাওবাদী নেতা এবং বস্তার বিভাগীয় কমিটির সদস্য ললিতা এবং শঙ্করকেও নিরাপত্তা বাহিনী হত্যা করে। এই অভিযানে সিপিআই-মাওবাদীর গোটা পারতাপুর এরিয়া কমিটিকে নিকেশ করা হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

র ঠিক পনেরো দিন পরে (৩০ এপ্রিল) ডিআরজি এবং স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের একটি দল নারায়ণপুর এবং কাঙ্কের জেলার সীমান্তের কাছে আরও ১০ জন মাওবাদীকে হত্যাউদ্দেশ্যে আর কটি সফল অভিযান চালায়। নিহত মাওবাদীদের মধ্যে দুজন বিশিষ্ট বিভাগীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই উল্লেখ্য যে, ৩ এপ্রিল আর কটি সফল যৌথ অভিযানে ডিআরজি, স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স, এলিট কোবরা ইউনিট এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে ১৩ জনের মতো অভিযুক্ত মাওবাদীকে হত্যা করেছিলতার এক সপ্তাহ আগে (২৭ মার্চ) ডিআরজি, সিআরপিএফ এবং কোবরা ইউনিটের একটি যৌথ নিরাপত্তা অভিযানে বিজাপুরের চিপুরভাট্টি এলাকার কাছে বিদ্রোহীকে হত্যা করা হয়। এ ভাবে, শুধু মাত্র ২০২৪ সালে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে একদা ভয়ঙ্কর সিপিআই-মাওবাদী সংগঠনটি নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে ব্যাপক ধাক্কা ও ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

 

এক সপ্তাহ আগে (২৭ মার্চ) ডিআরজি, সিআরপিএফ এবং কোবরা ইউনিটের একটি যৌথ নিরাপত্তা অভিযানে বিজাপুরের চিপুরভাট্টি এলাকার কাছে বিদ্রোহীকে হত্যা করা হয়।

 

চার মাসের ব্যবধানে ছত্তিশগড় রাজ্যে কিছু শীর্ষ কম্যান্ডো-সহ অভূতপূর্ব ভাবে ৯১ জন মাওবাদীকে হত্যা করা হয়েছে। এই সংখ্যাটিকে ২০২৩ সালের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে, যেখানে গোটা বছর জুড়ে মাত্র ২৩ জন মাওবাদী নিহত হয়েছিলেন সংক্ষেপে বললে, এই ইঙ্গিত স্পষ্ট যে, ২০২৪ সালটি সিপিআই-মাওবাদীদের উপর নিরাপত্তা বাহিনীর আধিপত্যের ক্ষেত্রে বিগত বছরগুলির তুলনায় নজির সৃষ্টি করবে। তাই এ কথা কি বলা যেতে পারে যে, ছত্তিশগড় মাওবাদীদের দমনে সফলতার মুখ দেখছে? রাজ্যটি কি মাওবাদীদের উপর একমুখী আধিপত্য বিস্তারে সমর্থ হয়েছে?

 

অবশেষে ছত্তিশগড় সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে

বামপন্থী চরমপন্থা সম্পর্কিত সহিংস ঘটনাগুলি গত দশকে বেশির ভাগ প্রভাবিত রাজ্যে (দ্রষ্টব্য চিত্র) নিয়ন্ত্রণযোগ্য মাত্রায় নেমে এলেও ছত্তিশগড় এখনও সিপিআই-মাওবাদীদের মূল ঘাঁটিগুলির অন্যতম। কিছু দিন আগে রাজ্যের মোট ২৭টি জেলার মধ্যে ১৮টি জেলা চরমপন্থী সংগঠনের প্রভাবের আওতায় ছিল। দান্তেওয়াড়া, বিজাপুর, নারায়ণপুর, বস্তার এবং কাঙ্কেরে মাওবাদী আন্দোলন ছিল চোখে পড়ার মতো। উল্লেখ্য যে, কিছু দিন আগেমাওবাদীরা বেশ বড় আকারের হামলা চালিয়েছে। বিশেষ করে ২০১০ সালে ৭৬ জন সিআরপিএফ সৈনিকের হত্যা এবং ২০১৩ সালে ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস পার্টির পুরো শীর্ষ নেতৃত্বের হত্যার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে

যাই হোক, বছরের পর বছর ধরে বিভ্রান্তি নীতিগত দ্বিধাদ্বন্দ্বের পরে, বিশেষ করে বিতর্কিত সালওয়া জুড়ুম (স্থানীয় সতর্কতা উদ্যোগ) নিয়ে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে রাজ্য নেতৃত্ব মাওবাদীদের সঙ্গে লড়াই করার সময় এবং তাদের স্থানিক বিস্তার ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে ব্যাপক দৃঢ়তা দর্শিয়েছে। প্রথম দিকে রাজ্য সরকার তার পুলিশ বাহিনী ব্যাপক হারে বৃদ্ধি ঘটিয়েছে এবং অন্ধ্র গ্রেহাউন্ড মডেল অনুসরণ করে বিশেষ বাহিনীর নতুন ব্যাটালিয়ন তৈরি করেছে (জনপ্রিয় ভাবে যা কোবরা ইউনিট নামে পরিচিত)। উল্লেখযোগ্য ভাবে ছত্তিশগড়ের ধারাবাহিক সরকারগুলি গুরুত্বপূর্ণ মানব উন্নয়ন সূচকগুলিতে বিনিয়োগ করে মাওবাদের হুমকি মোকাবিলা করার জন্য একটি অভিন্ন সাধারণ উদ্দেশ্য দর্শিয়েছে (এর উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হল উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন স্কিম বা জনবণ্টন প্রকল্প)।

 

পুলিশ আধুনিকীকরণ (বস্তারিয়া ব্যাটালিয়ন), সুরক্ষিত পুলিশ স্টেশন এবং গোয়েন্দা ও আধা-সামরিক সহায়তা কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে উন্নত সমন্বয়ের মাধ্যমে স্থানীয় পুলিশের বর্ধিত যুদ্ধ ক্ষমতা ফল পেতে শুরু করেছে।

 

যাই হোক, আন্দোলন বিরোধী কৌশলের ক্ষেত্রে খেলার মোড় ঘোরানোর জন্য সড়ক যোগাযোগের উন্নতিতে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। রাজ্য গুরুত্বপূর্ণ সুকমা, বিজাপুর জগদলপুর জেলায় ১১টি মূল সড়ক প্রকল্প সফল ভাবে সম্পাদন করেছে। ২০২১ সালে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের সক্রিয় সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ পাল্লি-বরসুর অক্ষ সড়ক নির্মাণ করেছে, যা বোদলি কেদামেটাতে দুর্গম এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীকে চলাচলের সুবিধা করে দিয়েছে। পুলিশ আধুনিকীকরণ (বস্তারিয়া ব্যাটালিয়ন), সুরক্ষিত পুলিশ স্টেশন এবং গোয়েন্দা ও আধা-সামরিক সহায়তা কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে উন্নত সমন্বয়ের মাধ্যমে স্থানীয় পুলিশের বর্ধিত যুদ্ধ ক্ষমতা ফল পেতে শুরু করেছে।

এ ছাড়াও উন্নত সড়ক যোগাযোগ রাজ্যকে এক সময় মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে বিবেচিত অভ্যন্তরীণ অঞ্চলে আরও নিরাপত্তা শিবির খুলতে সক্ষম করেছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে সিআরপিএফ সুকমা-বিজাপুর অঞ্চলে ২০টি নতুন শিবির খুলেছে, যেখানে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) কাঙ্কের জেলায় তিনটি নতুন শিবির খুলেছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে ফেব্রুয়ারি মাসে নিরাপত্তা বাহিনী পুভারতি গ্রামে (সুকমা জেলা) – যা ভয়ঙ্কর মাওবাদী কম্যান্ডার হিডমার একটি শক্তিশালী ঘাঁটি ছিল – সেখানে একটি পুলিশ শিবির স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর আত্মবিশ্বাস এতটাই তুঙ্গে ছিল যে, তারা কাঙ্কের এবং নারায়ণপুরের দুটি প্রধান প্রবেশপথে নতুন পুলিশ শিবির স্থাপন করে যুদ্ধকে আবুমাদ (মাওবাদীদের একটি প্রধান নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসাবে বিবেচিত) পর্যন্ত বিস্তৃত করেছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী আবুমাদে একটি নতুন বেস ক্যাম্প স্থাপনের জন্য সফল ভাবে কোটরি নদী অতিক্রম করেছে। আধিকারিকরা দাবি করেছেন যে, এটিই সেই নতুন শিবির, যা কাঙ্কেরে সাম্প্রতিক অভিযানটিকে সফল করে তুলতে সাহায্য করেছিল।

 

একটি আকর্ষ পুনর্বাসন নীতির সংমিশ্রণ, মাওবাদের আদর্শগত আকর্ষণ হ্রাস পাওয়া এবং নিরাপত্তা অভিযানের মাধ্যমে তৈরি হওয়া চাপের কারণে ২০২০ সাল থেকে ৮০০ জনেরও বেশি মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছে

 

সংক্ষেপে বললে, জাতীয় ভাবে সিপিআই-মাওবাদী সংগঠনের সামগ্রিক পতনের সঙ্গে বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা ও উন্নয়নমূলক ব্যবস্থা ছত্তিশগড় রাজ্যকে বিদ্রোহীদের তুলনায় অনেকটাই সুবিধা প্রদান করেছে। এর প্রমাণ পরিসংখ্যানেই নিহিত। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের মধ্যে (মে পর্যন্ত) ৪৬৫ জন মাওবাদী নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধির কারণে নতি স্বীকার করেছেন। একই সময়ে, বিদ্রোহীদের মোকাবিলায় নিরাপত্তা বাহিনী প্রায় ২০৬ জন কর্মী প্রাণ হারিয়েছে। প্রাণহানির অনুপাত নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে অনেক বেশি হলেও যেটি তাৎপর্যপূর্ণ তা হল, সহিংস ঘটনাগুলির তীব্রতা হ্রাস পেয়েছে এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ ভাবে, একই সময়কালে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা (দ্রষ্টব্য রেখচিত্র ১) কমেছে। আরও লক্ষ্যণীয় বিষয় হল এই যে, চাপের মুখে মাওবাদী ক্যাডারদের আত্মসমর্পণের প্রবণতা বাড়ছে। সম্প্রতি দান্তেওয়াড়া পুলিশের কাছে ৩৫ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছে একটি আকর্ষ পুনর্বাসন নীতির সংমিশ্রণ, মাওবাদের আদর্শগত আকর্ষণ হ্রাস পাওয়া এবং নিরাপত্তা অভিযানের মাধ্যমে তৈরি হওয়া চাপের কারণে ২০২০ সাল থেকে ৮০০ জনেরও বেশি মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছে

 

রেখচিত্র ১: ছত্তিশগড় এলডব্লিউই সম্পর্কিত মৃত্যু (২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত)

সূত্র: সাউথ এশিয়া টেররিজম পোর্টাল এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এমএইচএ) থেকে সংগৃহীত

 

বিজয় ঘোষণা করার সময় কি এখনও আসেনি?

উপরোক্ত আলোচনা থেকে দেখা যায়, ছত্তিশগড় রাজ্য মাওবাদীদের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। বিদ্রোহীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পর সাম্প্রতিক নিরাপত্তা অভিযান আবুমাদের পাশে নিরাপত্তা শিবির স্থাপনে ক্রমবর্ধমান আস্থা থেকে এ কথাই স্পষ্ট যে, হেন অভিযান অনেককে সিপিআই-মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বিজয় ঘোষণা করতে প্ররোচিত করবে। যাই হোক, রাজ্য নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ বিদ্রোহ দমন অভিযানের তত্ত্বাবধানকারী নিরাপত্তা সংস্থার জন্য সতর্ক থাকা এবং মিথ্যা বাগাড়ম্বরের শিকার না হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। প্রধান জেলাগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেওয়া এবং নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অনেক আন্দোলনকারীর মৃত্যু হওয়া সত্ত্বেও মাওবাদীরা এখনও আবুমাদ এবং নারায়ণপুর, বিজাপুর, বস্তার দান্তেওয়াড়ার গুরুত্বপূর্ণ জেলাগুলিতে একটি শক্তিশালী শক্তি হিসাবে রয়ে গিয়েছেসর্বোপরি, মাওবাদী কার্যকলাপ দ্বারা প্রভাবিত জেলাগুলির সর্বশেষ শ্রেণিবিভাগ অনুসারে, ৫৮টি জেলার মধ্যে ১৫টি জেলাই পড়ে ছত্তিশগড়ের মধ্যে। বস্তারের পাহাড় ও বনাঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে খনন করা হয় (ল্যান্ডমাইনের সহায়তায়), যা নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে অবাধে চলাচল করা এবং চিরুনি তল্লাশি চালানোর কাজটিকে অত্যন্ত কঠিন করে তোলে। এ ছাড়াও অতীতের ঘটনাগুলি দর্শিয়েছে যে, সিপিআই-মাওবাদীরা এখনও নিরাপত্তা বাহিনীর উপর দুঃসাহসী হামলা চালানোর ক্ষমতা রাখে। মাত্র কিছু দিন আগেই (২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল) মাওবাদীদের চালানো এক ব্যাপক হামলায় দান্তেওয়াড়ায় ১০ জন ডিআরজি কর্মীর মৃত্যু হয়। সড়ক যোগাযোগ এবং নিরাপত্তা প্রস্তুতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হওয়া সত্ত্বেও বিদ্রোহীরা এমন দুঃসাহসী হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছে।

 

বিদ্রোহীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পর সাম্প্রতিক নিরাপত্তা অভিযান আবুমাদের পাশে নিরাপত্তা শিবির স্থাপনে ক্রমবর্ধমান আস্থা থেকে এ কথাই স্পষ্ট যে, হেন অভিযান অনেককে সিপিআই-মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বিজয় ঘোষণা করতে প্ররোচিত করবে।

 

যাই হোক, যেমনটা এই নিবন্ধে দর্শানো হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযান মাওবাদীদের ব্যাপক হতাহতের জন্য দায়ী হলেও এমনটার পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা কম। এই সাফল্য ঘটেছে মূলত আবুমাদের নিকটবর্তী এলাকাগুলি-সহ মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটিতে পুলিশ শিবির স্থাপনে নিরাপত্তা বাহিনীর সাম্প্রতিক সফলতার দরুন। তা সত্ত্বেও বিদ্রোহ দমনের সাফল্যের আখ্যান থেকে গৃহীত শিক্ষা এই ইঙ্গিত দেয় যে, রাজ্য এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে দীর্ঘ পথ চলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এবং একই সময়ে বিদ্রোহীদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চালানোর জন্য পথ খোলা রাখতে হবে। শুধু মাত্র মাওবাদী যোদ্ধাদের নির্মূল করলে ৫০ বছরের বেশি সময় যাবৎ ঘটে চলা দীর্ঘ বিদ্রোহের অবসান হবে না।

 


নিরঞ্জন সাহু অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.