Author : Basu Chandola

Published on Mar 14, 2025 Updated 0 Hours ago

বাজেট ২০২৫ প্রযুক্তির প্রতি একটি দ্বিমুখী দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে, এবং গ্রামীণ ডিজিটাল বিভাজনের সেতুবন্ধন করার পাশাপাশি ভারতের বৈশ্বিক প্রযুক্তির উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে পুনরায় নিশ্চিত করে 

বাজেট ২০২৫: ভারতের প্রযুক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা উসকে দেওয়া

১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৫ পেশ করেছিলেন। প্রযুক্তি নীতির দৃষ্টিকোণ থেকে, বাজেটের তিনটি মূল উপাদান বিশেষভাবে চিত্তাকর্ষক: ডিজিটাল বিভাজনের সেতুবন্ধন করার উদ্যোগ; উদীয়মান প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও গভীর প্রযুক্তির (‌ডিপ টেক)‌ উপর জোর দেওয়া; এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রজুড়ে প্রযুক্তি সমাধানের একীকরণ।

ডিজিটাল বিভাজনের সেতুবন্ধন

যদিও ভারত ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে বড় অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করেছে, তবে এখনও ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা অর্জন, ইন্টারনেট ব্যবহার, স্থানীয় বিষয়বস্তুর উপলব্ধতা এবং ডিজিটাল পরিষেবাগুলি পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুতর
ডিজিটাল বিভাজন রয়েছে। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে ২০১৯-২১ ডেটা ইন্টারনেট ব্যবহারে শহুরে-গ্রামীণ ব্যবধানকে তুলে ধরেছে। শহরাঞ্চলে ৭২.৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৫১.৮ শতাংশ মহিলা ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও গ্রামীণ এলাকায় মাত্র ৪৮.৭ শতাংশ পুরুষ এবং ২৪.৬ শতাংশ মহিলার ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ ছিল। এই ব্যবধান পূরণ করতে দেশের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে উচ্চগতির ইন্টারনেট প্রদানের জন্য ২০১১ সালে ভারতনেট প্রকল্প চালু করা হয়েছিল।


শহরাঞ্চলে ৭২.৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৫১.৮ শতাংশ মহিলা ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও গ্রামীণ এলাকায় মাত্র ৪৮.৭ শতাংশ পুরুষ এবং ২৪.৬ শতাংশ মহিলার ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ ছিল।



এর প্রথম পর্যায়ে,
ভারতনেট প্রকল্প ১ লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতকে সংযুক্ত করেছে এবং মৌলিক পরিকাঠামো স্থাপন করেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে অপটিক্যাল ফাইবার, রেডিও ও স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ব্যবহার করে অতিরিক্ত ১.৫ লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতে অন্তর্ভুক্তি বিস্তৃত করা হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ের লক্ষ্য ৫জি প্রযুক্তিগুলিকে একীভূত করা, ব্যান্ডউইডথের ক্ষমতা বাড়ানো, এবং শক্তিশালী শেষ-মাইল সংযোগ নিশ্চিত করা। বাজেট ২০২৫ গ্রামীণ এলাকায় সমস্ত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে ব্রডব্যান্ড সংযোগ প্রদানের জন্য প্রকল্পটিকে আরও এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে।

স্থানীয় ভাষায় বিষয়বস্তুর অভাব ডিজিটাল বিভাজনে অবদান রাখার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। স্থানীয় ভাষায় উপাদানের এই ধরনের অনুপলব্ধতা একজন ব্যক্তির তথ্যের সুযোগকে
উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে। বাজেট ২০২৫ ভারতীয় ভাষা পুস্তক প্রকল্প প্রবর্তন করেছে। এ হল এমন একটি উদ্যোগ যার লক্ষ্য স্কুল ও উচ্চ শিক্ষার জন্য স্থানীয় ভাষায় ডিজিটাল বই সরবরাহ করা। এই প্রকল্পটি এই ধরনের উপাদান অর্জনের খরচ কমাতেও সাহায্য করবে। এছাড়াও, জ্ঞান ভারতম মিশন আমাদের পান্ডুলিপি ঐতিহ্যের জরিপ, তথ্যায়ন ও সংরক্ষণের জন্য ভারতীয় জ্ঞান ব্যবস্থার একটি জাতীয় ডিজিটাল ভান্ডার স্থাপনের ব্যবস্থা করেছে।

যে ব্যক্তিরা ডিজিটাল বিভাজনের কারণে ডিজিটাল প্রযুক্তির সুযোগ গ্রহণ করতে অক্ষম তাঁরা প্রায়শই পিছিয়ে থাকেন, এবং ডিজিটালাইজেশন-‌এর ফলে প্রাপ্তিযোগ্য অসংখ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। তাঁরা অনলাইনে দেওয়া প্রয়োজনীয় সংস্থান এবং পরিষেবাগুলি ব্যবহার করতে অক্ষম। বাজেট ২০২৫ পোস্ট অফিসের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় সহায়ক ডিজিটাল পরিষেবা সরবরাহের সুবিধা প্রদান করেছে। পোস্ট অফিসগুলি সরাসরি বেনিফিট ট্রান্সফার ও ঋণ পরিষেবার মাধ্যমে ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সহজতর করবে। এটি ডিজিটালকে ব্যবহার করার দক্ষতা বা প্রযুক্তি না থাকা সত্ত্বেও ডিজিটাল প্রশাসন এবং অন্যান্য পরিষেবাগুলি ব্যবহার করার সুযোগ দেয়।


বাজেট ২০২৫ পোস্ট অফিসের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় সহায়ক ডিজিটাল পরিষেবা সরবরাহের সুবিধা প্রদান করেছে।


উদীয়মান প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও গভীর প্রযুক্তিতে মনোযোগ

কয়েক বছর ধরে, ভারত ক্রমবর্ধমানভাবে গবেষণা ও উদ্ভাবনের গুরুত্বকে
স্বীকৃতি দিয়েছে। এই বছরের বাজেট উদ্ভাবনের উপর ব্যাপক মনোযোগ দিয়ে এই ধারা অব্যাহত রেখেছে। তরুণদের মধ্যে কৌতূহল ও বৈজ্ঞানিক মেজাজ বাড়াতে আগামী পাঁচ বছরে সরকারি স্কুলে ৫০ হাজার অটল টিঙ্কারিং ল্যাব স্থাপন করা হবে। এই ল্যাবগুলির লক্ষ্য উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তাবৃত্তিকে উৎসাহিত করা, সমগ্র ভারত জুড়ে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি রূপান্তরমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক, ও স্থিতিশীলতার অনুসারী উদ্ভাবনী বাস্তুতন্ত্র তৈরি করা। আরও, পিএম রিসার্চ ফেলোশিপের অধীনে, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স-‌গুলিতে প্রযুক্তিগত গবেষণার জন্য ১০,০০০ ফেলোশিপ প্রদান করা হবে।

ভারত এআই মিশনের অধীনে একটি বিস্তৃত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বাস্তুতন্ত্র তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে। এ বছরও বাজেটে এআই-এর উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
ইন্ডিয়া এআই মিশনের জন্য প্রায় ২,০০০ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে, যা ২০২৪-২৫ সালের ১৭৩ কোটি টাকার থেকে ব্যাপক বৃদ্ধি সূচিত করে। বাজেটে শিক্ষার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় একটি সেন্টার অফ এক্সিলেন্স স্থাপনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইভাবে, ভারতে সেমিকন্ডাক্টর ও ডিসপ্লে ম্যানুফ্যাকচারিং বাস্তুতন্ত্রের উন্নয়নের জন্য সংশোধিত কর্মসূচিতে বাজেট বরাদ্দ ২,৫০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৩,৯০০ কোটি  টাকা করা হয়েছে, এবং উৎপাদন সংযুক্ত প্রণোদনা (‌পিএলআই)‌ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ৫,৭০০ কোটি থেকে বেড়ে অর্থবর্ষ ২০২৫-‌২৬-‌এ হয়েছে ৯,০০০ কোটি টাকা।


পরবর্তী প্রজন্মের গভীর প্রযুক্তির স্টার্ট-আপগুলিকে সমর্থন করার জন্য বাজেট ২০২৫-এ একটি ডিপ টেক ফান্ড অফ ফান্ডস প্রস্তাব করা হয়েছে।



সাম্প্রতিক বছরগুলিতে উদীয়মান ও গভীর প্রযুক্তির উপর ভারতের মনোযোগও দ্রুত গভীরতা পেয়েছে। বেশ কিছু ভারতীয় গভীর প্রযুক্তির স্টার্টআপ
বিশ্বব্যাপী উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করছে। পরবর্তী প্রজন্মের গভীর প্রযুক্তির স্টার্ট-আপগুলিকে সমর্থন করার জন্য বাজেট ২০২৫-এ একটি ডিপ টেক ফান্ড অফ ফান্ডস প্রস্তাব করা হয়েছে। এ দিকে, গভীর-প্রযুক্তি সমাধানগুলির বৃদ্ধিকে সমর্থন করার জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খনিজ অপরিহার্য। সেই অনুযায়ী, বাজেট ২০২৫ কোবাল্ট পাউডার এবং বর্জ্য, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির স্ক্র্যাপ, সিসা, দস্তা ও আরও ১২টি গুরুত্বপূর্ণ খনিজের উপর অব্যাহতি প্রদান করেছে। বাজেট ২০২৫-এ ‘‌মেক ইন ইন্ডিয়া’‌র উপরন্তু ম্যানুফ্যাকচারিং মিশন স্থাপনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে, যা ক্লিন টেক ম্যানুফ্যাকচারিংকে সহজতর ও সমর্থন করবে। তা ছাড়া, বাজেট ২০২৫ বেসরকারি ক্ষেত্রচালিত গবেষণা, উন্নয়ন ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য ২০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

প্রযুক্তির ক্ষেত্রগত প্রয়োগ

সরকার প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং বৈশ্বিক নীতিগত উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে নিয়ন্ত্রক সংস্কার আনতে চাইছে। এছাড়াও, বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে উদীয়মান প্রযুক্তি সমাধানগুলি স্থাপন করা হচ্ছে। নিম্নলিখিত কিছু প্রস্তাবিত প্রয়োগ রয়েছে:

‌‘‌গ্রামীণ সমৃদ্ধি এবং স্থিতিস্থাপকতা’‌ কর্মসূচির লক্ষ্য প্রযুক্তি সমাধান ব্যবহার করে কৃষিতে কর্মহীনতা দূর করা। একইভাবে, 'মিশন ফর কটন প্রোডাক্টিভিটি'-র লক্ষ্য হল তুলা চাষের উৎপাদনশীলতা ও স্থিতিশীলতা উন্নত করতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সর্বোত্তম সহায়তা প্রদান করা।
 
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম কর্মীদের কল্যাণের জন্য একটি সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে, যেখানে সরকার ই-শ্রম পোর্টালে পরিচয়পত্র এবং গিগ কর্মীদের নিবন্ধনের ব্যবস্থা করবে এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার অধীনে স্বাস্থ্যসেবা দেবে।

আধুনিকীকৃত ‘‌পিএম স্ট্রিট ভেন্ডর আত্মনির্ভর নিধি’‌ প্রকল্পের লক্ষ্য হল ব্যাঙ্ক ও ইউপিআই-সংযুক্ত ক্রেডিট কার্ড থেকে ঋণের মাধ্যমে রাস্তার বিক্রেতাদের জন্য ডিজিটাল ঋণ প্রদানের উন্নতি করা।

ভারতট্রেডনেট, একটি ডিজিটাল রাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য একীভূত প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ডকুমেন্টেশন ও অর্থায়নের সুবিধার্থে তৈরি করা হচ্ছে।

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি (পিপিপি) উন্নত করার জন্য, এবং প্রাসঙ্গিক ডেটা ও মানচিত্র ব্যবহারের সুযোগ প্রদান করে প্রকল্প পরিকল্পনায় বেসরকারি ক্ষেত্রকে সহায়তা করার জন্য, পিএম গতি শক্তি পোর্টাল তৈরি করা হবে ।

ন্যাশনাল জিওস্পেশিয়াল মিশন প্রতিষ্ঠা করা হবে ফাউন্ডেশনাল জিওস্পেশিয়াল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও ডেটা তৈরি করার জন্য। মিশনটি ভূমি রেকর্ড, নগর পরিকল্পনা ও পরিকাঠামো প্রকল্পের নকশার আধুনিকীকরণকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।

বিভিন্ন ক্ষেত্রজুড়ে প্রযুক্তি-ভিত্তিক সমাধানের ক্রমবর্ধমান গ্রহণ একটি নতুন প্রবণতা নয়, এটি 
পূর্ববর্তী বাজেটের ধারাবাহিকতা। এই চলমান গুরুত্ব বৃহত্তর ভালর জন্য প্রযুক্তির ব্যবহারে ভারতের নেতৃত্বের উপর জোর দেয়।


এআই ও সেমিকন্ডাক্টরের মতো উদীয়মান প্রযুক্তির জন্য বরাদ্দের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ভারতের প্রযুক্তির মহাশক্তি হয়ে ওঠার প্রয়াসের ইঙ্গিত দেয়।



সামনের পথ

বাজেট ২০২৫ প্রযুক্তির জন্য একটি আকর্ষণীয় দ্বিমুখী পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। একদিকে, এটি গ্রামীণ ডিজিটাল বিভাজনের সেতুবন্ধনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, যা একটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। ভারতের জনসংখ্যার আনুমানিক
৬৫ শতাংশ গ্রামীণ এলাকায় বসবাস করেন, এবং প্রযুক্তির সুবিধাগুলি অবশ্যই শহুরে কেন্দ্রগুলির বাইরে প্রসারিত করতে হবে। ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা এবং গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী মানুষের ডিজিটালাইজেশনের ফলের প্রাপ্তিযোগ্যতা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে, বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষা এই বাজেটে নিঃসন্দেহে প্রতিফলিত হয়েছে। এআই ও সেমিকন্ডাক্টরের মতো উদীয়মান প্রযুক্তির জন্য বরাদ্দের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ভারতের প্রযুক্তির মহাশক্তি হয়ে ওঠার প্রয়াসের ইঙ্গিত দেয়। তার উপর ক্লিন টেক ও ডিপ টেকের উপর মনোযোগ ভবিষ্যতে স্থিতিশীল বৃদ্ধি ও উদ্ভাবনের জন্য প্রস্তুত থাকাকালীন তার প্রযুক্তিচালিত অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির উপর জোর দেয়।



বাসু চন্দোলা অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন অ্যাসোসিয়েট ফেলো

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Author

Basu Chandola

Basu Chandola

Basu Chandola is an Associate Fellow. His areas of research include competition law, interface of intellectual property rights and competition law, and tech policy. Basu has ...

Read More +