Published on Mar 25, 2025 Updated 0 Hours ago

চিনের দুই-মহাসাগর উদ্যম যখন দীর্ঘ ছায়া ফেলছে, সেই সময় ভারত ও ফিলিপিন্স কাছাকাছি আসছে

চিনের দুই-মহাসাগর উদ্যম যখন দীর্ঘ ছায়া ফেলছে, সেই সময় ভারত ও ফিলিপিন্স কাছাকাছি আসছে

ভারত ও ফিলিপিন্স হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে থাকতে পারে, তবে তাদের ভাগ করা সামুদ্রিক উদ্বেগ, বিশেষ করে চিনের আগ্রাসন, তাদের আগের চেয়ে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসছে।

ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিজ নিজ সরকারের অধীনে দেশদুটির উদীয়মান দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা অংশীদারি প্রসারিত ও প্রাতিষ্ঠানিক করার জন্য একটি ক্রমবর্ধমান আকাঙ্ক্ষা দেখা গিয়েছে।

গত ১৬ ডিসেম্বর ভারত ও ফিলিপিন্স ম্যানিলায় তাদের প্রথম ট্র্যাক ১ দ্বিপাক্ষিক মেরিটাইম ডায়ালগ
সফলভাবে শেষ করেছে। বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন ফিলিপিন্সের বিদেশবিষয়ক বিভাগের (ডিএফএ) সামুদ্রিক ও মহাসাগর বিষয়ক সহকারী সচিব মার্শাল লুই আলফেরেজ এবং ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের (এমইএ) নিরস্ত্রীকরণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক যুগ্ম সচিব মুয়ানপুই সায়াভি। উদ্বোধনী বৈঠকটি দুটি ইন্দো-প্যাসিফিক গণতন্ত্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকীর সময় হয়েছিল। উভয় পক্ষই সাগরের আইন সংক্রান্ত রাষ্ট্রপুঞ্জ কনভেনশন (ইউএনক্লস) এবং ২০১৬ সালিস রায়ের সঙ্গে ‘‌সম্পূর্ণ এবং বিশ্বস্ত সম্মতির’‌ আহ্বান জানিয়েছে। এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে, উদ্বোধনী ট্র্যাক ১-এর আগে দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা ক্ষেত্রে বেশ কিছু উন্নয়ন ঘটেছিল। উদাহরণস্বরূপ, সেপ্টেম্বরে ভারত-ফিলিপিন্স জয়েন্ট ডিফেন্স কো-অপারেশন কমিটির (জেডিসিসি) পঞ্চম বৈঠকে প্রথম বারের মতো প্রতিরক্ষা সচিবেরা সভাপতিত্ব করেছিলেন, যা ছিল ২০২৩-‌এর দিল্লির জেডিসিসি-র সময়কার জয়েন্ট সেক্রেটারিদের স্তর থেকে উন্নত করার ইঙ্গিত। অতিরিক্তভাবে, গভীর প্রতিরক্ষা সমন্বয়ের জন্য একটি নতুন প্রয়াস হিসাবে, ভারতীয় কোস্ট গার্ড (আইসিজি) ও ফিলিপিন্স কোস্ট গার্ড (পিসিজি) এর মধ্যে একটি সমঝোতাপত্র (এমওইউ) আগস্ট ২০২৩ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। রাষ্ট্রীয় স্তরের কৌশলগত সম্পর্কের এই পরিপক্বতা দেখায় উভয় গণতন্ত্রই কীভাবে মৌলিক স্তরের ব্যস্ততার বাইরে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার পরিশীলিত রূপের দিকে যাওয়ার প্রশ্নে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছে। এই প্রচেষ্টাগুলি অনুরূপ চ্যালেঞ্জগুলিকে আরও ভালভাবে মোকাবিলা করতে এবং অঞ্চলে ভাগ করা লক্ষ্যগুলি অনুসরণ করতে প্রস্তুত। আরও গুরুত্বপূর্ণ, দুই দেশের মধ্যে সমুদ্র নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদার করা ভারত মহাসাগর এবং বৃহত্তর দক্ষিণ চিন সাগরের গভীরভাবে পরস্পর-‌নির্ভরশীল নিরাপত্তা গতিশীলতার প্রতিনিধিত্ব করে। অধিকন্তু, ঘনিষ্ঠ সমন্বয় উভয় দেশকে চিনের দুই-মহাসাগর কৌশল মোকাবিলা করার সুযোগ করে দেবে, যার লক্ষ্য ইন্দো-প্যাসিফিকের উপর বৃহত্তর শক্তি ও নিয়ন্ত্রণ প্রক্ষেপ করা।


দুই দেশের মধ্যে সমুদ্র নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদার করা ভারত মহাসাগর এবং বৃহত্তর দক্ষিণ চিন সাগরের গভীরভাবে পরস্পর-‌নির্ভরশীল নিরাপত্তা গতিশীলতার প্রতিনিধিত্ব করে।



ভারত মহাসাগর, পশ্চিম ফিলিপিন সাগরে চিনের জোরালো প্রয়াস

যদিও ভারত মহাসাগরে ক্ষমতার ভারসাম্য তার ভৌগোলিক সুবিধা, সামরিক সক্ষমতা এবং সামুদ্রিক সম্পদের কারণে এখনও ভারতের পক্ষে রয়েছে, চিন গত এক দশক ধরে ভারত মহাসাগরে তার নৌ-‌উপস্থিতি বাড়িয়ে চলেছে।
জিবুতিতে তার প্রথম বৈদেশিক নৌঘাঁটি স্থাপনের পাশাপাশি সুদান, কেনিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেও চিন টার্মিনাল উন্নয়ন প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগ করেছে , এবং পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মায়ানমার ও শ্রীলঙ্কার বন্দরগুলিতে সামরিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করেছে। তার উপর, বেজিং পশ্চিম ভারত মহাসাগরে তার অবৈধ, অপ্রতিবেদিত ও অনিয়ন্ত্রিত (আইইউইউ) মাছ ধরার কার্যক্রমকে প্রসারিত করেছে, যা সমুদ্রতীরবর্তী দেশগুলির জন্য অর্থনৈতিক উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে। এই বিপর্যয়মূলক কার্যকলাপগুলি উল্লেখযোগ্যভাবে ভারত মহাসাগরের নিরাপত্তা স্থাপত্যকে প্রভাবিত করে। ভারত মহাসাগরে চিনের গভীরতর সামরিক, রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক ব্যস্ততার লক্ষ্য ইন্দো-প্যাসিফিকের পূর্ব অংশে আধিপত্য জাহির করা। ভৌগোলিক বর্ণালীর অন্য দিকে, পশ্চিম ফিলিপিন সাগরে চিনের বর্ধিত সক্রিয়তা ফিলিপিন্সের জলের মূল বৈশিষ্ট্যগুলির উপর কার্যত নিয়ন্ত্রণ জাহির করে এবং ফিলিপিনোদের প্রবেশাধিকার অস্বীকার করে। যদিও সেকেন্ড টমাস বা আয়ুঙ্গিন শোল—ফিলিপিন্সের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন (ইইজেড)-এর মধ্যে অবস্থিত একটি নিমজ্জিত প্রাচীর—প্রথম দিকে ম্যানিলা ও বেজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল, কিন্তু চিনের আগ্রাসন সম্প্রতি সাবিনা বা এসকোডা শোল এবং স্কারবোরো শোল বা বাজো ডি মাসিনলোক-‌এ প্রসারিত হয়েছে, যে দুটিই ফিলিপিন্সের সমুদ্রের মধ্যে অবস্থিত। এই প্রেক্ষাপটে, ম্যানিলা চিনের সম্প্রসারণবাদকে মোকাবিলা করার জন্য একটি ব্যবহারিক ও কার্যকর পদ্ধতি তৈরি করার চেষ্টা করছে। ফিলিপিন্সের সমসাময়িক সামুদ্রিক নিরাপত্তা দৃষ্টিভঙ্গি কমপ্রিহেনসিভ আর্কিপেলাগিক ডিফেন্স কনসেপ্ট (সেএডিসি) এর উপর ভিত্তি করা হয়েছে, যা মার্চ মাসে তার সশস্ত্র বাহিনী দ্বারা বাস্তবায়িত এবং কার্যকর করা হয়েছিল। সিএডিসি দেশের সশস্ত্র বাহিনী ও  উপকূলরক্ষীদের পশ্চিম ফিলিপিন সাগরের সম্পদ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে প্রতিটি ফিলিপিনোর অবিচ্ছেদ্য অধিকার সংরক্ষণের জন্য ২০০-নটিক্যাল-মাইল ইইজেড-‌এর প্রতিরক্ষা এবং আঞ্চলিক ও দ্বীপপুঞ্জের জলকে আরও কার্যকরভাবে সুরক্ষিত করার একটি নীলনকশা প্রদান করেছে। তা ছাড়া, মার্কোস জুনিয়র পশ্চিম ফিলিপিন সাগরে তাঁর সরকারের নিয়ম-ভিত্তিক পদ্ধতিকে শক্তিশালী করার জন্য নভেম্বর মাসে মেরিটাইম জোন ল ও আর্কিপেলাজিক সি লেন ল স্বাক্ষর করেছেন। এই আইনগুলি দেখায় যে কীভাবে ফিলিপিন্সের সামুদ্রিক অধিকারগুলিকে ইউএনক্লস ও ২০১৬ সালিসি রায়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করা হয়েছে। যাই হোক, সেগুলি দেশের ইইজেড-এর মধ্যে আইন প্রয়োগ করার জন্য পিসিজি ও ফিলিপিন্সের সামরিক বাহিনীকেও ক্ষমতায়িত করেছে।


সিএডিসি দেশের সশস্ত্র বাহিনী ও উপকূলরক্ষীদের পশ্চিম ফিলিপিন সাগরের সম্পদ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে প্রতিটি ফিলিপিনোর অবিচ্ছেদ্য অধিকার সংরক্ষণের জন্য ২০০-নটিক্যাল-মাইল ইইজেড-‌এর প্রতিরক্ষার এবং আঞ্চলিক ও দ্বীপপুঞ্জের জলকে আরও কার্যকরভাবে সুরক্ষিত করার একটি নীলনকশা প্রদান করেছে।



স্বাভাবিক অংশীদার হিসেবে ভারত ও ফিলিপিন্স

সিএডিসি ও সামুদ্রিক আইন কার্যকর করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান প্রত্যক্ষ উপস্থিতি, বস্তুগত ক্ষমতা ও সম্পদের মধ্যে নিহিত। এখানেই সমমনস্ক অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা ম্যানিলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ফিলিপিন্স গত দুই বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও কানাডাসহ ঐতিহ্যগত ও অপ্রচলিত উভয় অংশীদারের সঙ্গে তার সমুদ্র নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদার করেছে। ম্যানিলা পশ্চিম ফিলিপিন্স সাগরে সহযোগিতামূলক সামুদ্রিক টহল ও অনুশীলনের নেতৃত্ব দিয়ে জলকে অবাধ, উন্মুক্ত ও নিয়মভিত্তিক রাখার জন্য এই সম্পর্কগুলিকে কাজে লাগিয়েছে। তদুপরি, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম উপকূলরক্ষীদের মধ্যে একটি হওয়ার জন্য ম্যানিলা ফ্রান্স ও জাপান থেকে মোট ৪৬টি জাহাজ কেনার
অনুমোদন দিয়েছে, যেগুলি সাত বছরের মধ্যে পৌঁছনোর আশা করা হচ্ছে। ফিলিপিন্স ভারতের সঙ্গে তার সামুদ্রিক নিরাপত্তা অংশীদারিকে সর্বাধিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার উপায়গুলিও অন্বেষণ করছে। বিগত কয়েক বছরে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সম্পর্কের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। শুধুমাত্র গত কয়েক মাসে উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি উচ্চ-পর্যায়ের যোগাযোগ হয়েছে, যার মধ্যে একটি হল গত নভেম্বরে ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও ফিলিপিন্সের জাতীয় প্রতিরক্ষা সচিব গিলবার্তো তেওডোরোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। আঞ্চলিক স্বার্থে সমমনস্ক গণতন্ত্র হিসেবে ভারত ও ফিলিপিন্স স্বাভাবিক অংশীদার। ভারত ইন্দো-প্যাসিফিকের নিয়ম-ভিত্তিক শৃঙ্খলা রক্ষা করতে এবং গ্লোবাল সাউথের নিরাপত্তা ও উন্নয়নে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি উদীয়মান মহাশক্তি হিসাবে তার অ্যাক্ট ইস্ট নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তার ভূমিকাকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করছে। পশ্চিম ফিলিপিন্স সাগরের ক্ষেত্রে, চিনের দুঃসাহসিকতা ও উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ভারতের ক্রমবর্ধমান অবস্থান—সাধারণত দক্ষিণ চিন সাগরে এবং বিশেষ করে পশ্চিম ফিলিপিন্স সাগরে—আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে

পরবর্তী স্তরে পৌঁছনো

যদিও অগ্রগতি হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও গভীর করার জায়গাটি কিন্তু বেশ বড় রয়ে গেছে। উভয় পক্ষকেই সক্ষমতা বৃদ্ধি, তথ্য আদান-প্রদান, এবং আন্তঃকার্যক্ষমতার উপর পুনরুজ্জীবিত নজরকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। যেমন, অক্টোবরে সেল্ফ-‌রিলায়েন্ট ডিফেন্স পসচার ল প্রয়োগ করে ফিলিপিন্স তার প্রতিরক্ষা উৎপাদন ক্ষমতা বিকাশ করতে উদ্যোগী হয়েছে। এটি নতুন দিল্লির নিজের অভিজ্ঞতা এবং আত্মনির্ভর ভারত দৃষ্টিভঙ্গির অধীনে প্রযুক্তি উন্নয়ন ও প্রতিরক্ষা উৎপাদনে ট্র্যাক রেকর্ডের দৌলতে ম্যানিলার সঙ্গে তার অংশীদারি বাড়ানোর সুযোগ উন্মুক্ত এবং প্রসারিত করে। তাছাড়া, ফিলিপিন্সের জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার আকাঙ্ক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে, দেশটির সামুদ্রিক উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য ম্যানিলার উদ্দেশ্য পরিপূরণে ভারত পশ্চিম ফিলিপিন সাগরজুড়ে জাহাজ রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধা তৈরিতে সর্বোত্তম অনুশীলনগুলি ভাগ করে নিতে ও সহযোগিতা করতে পারে। সমুদ্র-ভিত্তিক পরিকাঠামো সম্প্রসারণের জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিকল্পনায় অংশীদার হওয়ার সুযোগও রয়েছে ভারতের। প্রকৃতপক্ষে, আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকনমিক জোন লিমিটেড (এপিএসইজেড লিমিটেড) পশ্চিম ফিলিপিন সাগরের মুখে বাটানে একটি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করার
পরিকল্পনা করছে। দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা সম্পর্ক গভীর ও প্রসারিত হওয়ার মধ্যে, ম্যানিলা ও নয়াদিল্লিকে অবশ্যই দীর্ঘমেয়াদে ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার জন্য কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক করার পাশাপাশি সহযোগিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলির অন্বেষণ চালিয়ে যেতে হবে, বিশেষ করে যেহেতু বেজিং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে তার দুই-মহাসাগর কৌশল ত্বরান্বিত করেছে।



এই ভাষ্যটি প্রথম
দ্য প্রিন্ট -‌এ প্রকাশিত হয়েছিল।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.