Published on May 25, 2024 Updated 0 Hours ago

জাপান, ফিলিপিন্স এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সাম্প্রতিক ত্রিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলন এই অঞ্চলে যৌথ প্রতিক্রিয়া আত্মরক্ষার উন্নতির উদ্দেশ্যে অভিন্ন স্বার্থকে তুলে ধরেছে।

মনোযোগের কেন্দ্রে মিত্রদেশগুলি: মার্কিন-জাপান-ফিলিপিন্স শীর্ষ সম্মেলন

পশ্চিম ফিলিপাইন সাগর, পূর্ব চিন সাগর ও তাইওয়ান প্রণালীতে নিরাপত্তা পরিস্থিতির ক্রমাবনতির মধ্যে চিরাচরিত কেন্দ্র এবং আঞ্চলিক ক্রমভিত্তিক ব্যবস্থার দায়িত্বশীল অংশীদার হিসাবে সম্মিলিত ভাবে বৃহত্তর আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করার জন্য ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রথম জাপান, ফিলিপিন্স এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (জেএপিএইচইউএস) ত্রিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলনটি তিনটি দেশের বিশেষ আগ্রহকেই তুলে ধরে। একটি ত্রিপাক্ষিক জোট গড়ার উদ্দেশ্যে দেওয়া চাপের নেপথ্যে রয়েছে ওয়াশিংটন, ম্যানিলা ও টোকিয়োর সমন্বিতকরণকে আরও গভীর করা এবং যৌথ প্রতিক্রিয়া আত্মরক্ষার উন্নতির জন্য নিজেদের অভিন্ন স্বার্থকে সাযুজ্যপূর্ণ করে তোলার প্রয়াস, বিশেষ করে সেই সময়ে, যখন চিন আন্তর্জাতিক আইনের নিরিখে নিজের সম্প্রসারণবাদী স্বার্থকে অনুসরণ করে চলতে আগ্রহী।

 

শীর্ষ সম্মেলনে আলোচনার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে ত্রিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের সূচনা করা হয় এবং আইপিইএফ-এর জন্য সমর্থন জোগানোর পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি স্থিতিস্থাপকতা, গুরুত্বপূর্ণ উদীয়মান প্রযুক্তির উন্নয়নে অংশীদারিত্ব এবং দূষণহীন জ্বালানি সরবরাহ শৃঙ্খলকে ত্বরান্বিত করার কথা বলা হয়

 

২০২৩ সালের মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রতিবেদনে - যেটিতে দক্ষিণ ও পূর্ব চিন সাগর এবং তাইওয়ান প্রণালীতে তার কার্যকলাপের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলাকে চ্যালেঞ্জ করতে সক্ষম প্রাথমিক প্রতিযোগী হিসাবে চিনের কথা তুলে ধরা হয়েছে- এই অঞ্চলে চিনের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসন মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া হয়। এই দুটি উদ্বেগ হল শীর্ষ সম্মেলনটি নেপথ্যে মূল অনুপ্রেরণা, যেখানে তিনটি দেশের নেতারা ইন্দো-প্যাসিফিক এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি নিজেদেবদ্ধপরিকর মনোভাবকে আরও সশক্ত করেছেন। শীর্ষ সম্মেলনে আলোচনার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে ত্রিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের সূচনা করা হয় এবং আইপিইএফ-এর জন্য সমর্থন জোগানোর পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি স্থিতিস্থাপকতা, গুরুত্বপূর্ণ উদীয়মান প্রযুক্তির উন্নয়নে অংশীদারিত্ব এবং দূষণহীন জ্বালানি সরবরাহ শৃঙ্খলকে ত্বরান্বিত করার কথা বলা হয় দুটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির প্রথমটি হল গ্লোবাল অবকাঠামো বিনিয়োগ করিডোরের জন্য প্রথম অংশীদারিত্বের অংশ হিসাবে লুজন ইকোনমিক রিডোরের ঘোষণা। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল ফিলিপিন্সের মূল কেন্দ্রগুলি অর্থাৎ সুবিক বে, ক্লার্ক, ম্যানিলা এবং বাটাঙ্গাসের মধ্যে সংযোগ  বৃদ্ধি করা। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে তিনটি দেশ রেল শৃঙ্খল, বন্দরের পরিবর্ধন, দূষণহীন জ্বালানি, সেমিকন্ডাক্টর সাপ্লাই চেন বা অর্ধপরিবাহী সরবরাহ শৃঙ্খল, কৃষি ব্যবসা সুবিক বে-তে বেসামরিক বন্দর সংস্কারের ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তিমূলক মূল অবকাঠামো প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করার প্রতিশ্রুতি দেয়। দ্বিতীয়ত, যৌথ বিবৃতিতে মার্কিন জোটের প্রতিশ্রুতিকে পুনর্নিশ্চিত করা হয়েছে এবং দক্ষিণ ও পূর্ব চিন সাগরে গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের (পিআরসি) বিপজ্জনক ও আগ্রাসী আচরণের প্রেক্ষিতে তাইওয়ান প্রণালী এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য তিনটি দেশের অটল প্রতিশ্রুতির পর জোর দেওয়া হয়েছে।

সামুদ্রিক নিরাপত্তার উপর মনোযোগ দেওয়ার পাশাপাশি নেতাদের যৌথ দৃষ্টিভঙ্গিমূলক বিবৃতিতে ইন্দো-প্যাসিফিকের সামুদ্রিক পরিসরকে মুক্ত, অবাধ ও নিয়মভিত্তিক রাখার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন অন দ্য ল অফ দ্য সি (ইউএনসিএলওএস বা আনক্লজ) এবং ২০১৬ সালের সালিসি রায় মেনে চলার প্রয়োজনীয়তার উপর স্পষ্ট জোর দেওয়ার পাশাপাশি আরও বেশি পরিমাণে ত্রিপাক্ষিক সামুদ্রিক কার্যক্রমের কথা ঘোষণা করা হয়। সালিসি রায়টি ফিলিপিন্সের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে চিনের সম্প্রসারণের দাবিকে খারিজ করে দিয়েছে। ফিলিপিন্স জাপান এক বার রেসিপ্রোকাল অ্যাক্সেস এগ্রিমেন্ট-এ (আরএএ) স্বাক্ষর করলে এই ধরনের অনুশীলনের সরবরাহ আরও উন্নত করা সম্ভব। আরও গুরুত্বপূর্ণ ভাবে নথিটি এই অঞ্চলে বিদ্যমান ক্ষুদ্রপাক্ষিকগুলির শৃঙ্খলের সঙ্গে নিজেকে সমন্বিত করার জন্য ত্রিপাক্ষিকতার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছে, যার মধ্যে কোয়াড, অউকাস এবং মার্কিন-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া ত্রিপাক্ষিক অন্তর্ভুক্ত। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে অভিন্ন লক্ষ্যগুলির উপর ভিত্তি করে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য অংশীদারিত্বের দ্বারা জেএপিএইচইউএস-এর কার্যকলাপগুলি কতটা সম্পূরক হবে, তা সুনিশ্চিত করার জন্য এই জোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

ফিলিপিন্স জাপান এক বার রেসিপ্রোকাল অ্যাক্সেস এগ্রিমেন্ট-এ (আরএএ) স্বাক্ষর করলে এই ধরনের অনুশীলনের সরবরাহ আরও উন্নত করা সম্ভব

 

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে জাপানের কৌশলগত ভঙ্গি তার ফ্রি অ্যান্ড ওপন ইন্দো-প্যাসিফিক (এফওআইপি) কৌশল এবং এই ত্রিপাক্ষিক জোটের পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিকের পরিবর্তনশীল শক্তি সমীকরণের প্রতিক্রিয়ায় জাপানের কৌশলগত পুনর্নির্মাণকে প্রতিফলিত করে, বিশেষ করে এর আলোকে ক্রমবর্ধমান মার্কিন-চিন বৈরিতার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এই ত্রিপাক্ষিক বিন্যাসে জাপানের নিযুক্তি এমন এক কৌশলগত প্রচেষ্টা, যার লক্ষ্য হল তার আঞ্চলিক নিরাপত্তা ভঙ্গি জোরদার করা, কূটনৈতিক সুবিধা বাড়ানো এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক অংশীদার হিসেবে ফিলিপিন্সের পাশাপাশি তার দীর্ঘ দিনের মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইতিমধ্যেই সুপ্রতিষ্ঠিত নিরাপত্তা সম্পর্ককে আরও গভীর করে তোলা।

জেএপিএইচইউএস-এর সাফল্যের জন্য সম্মিলিত স্থিতিস্থাপকতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা মাথায় রাখলে কথা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ফিলিপিন্স তার প্রতিরক্ষা অর্থনৈতিক সক্ষমতার দিক থেকে বেশ অনেকটাই পিছিয়ে আছে। এই আলোকে শীর্ষ সম্মেলনটি ফিলিপিন্সের নিরাপত্তা অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির সাক্ষী থেকেছে। উদাহরণস্বরূপ, মার্কিন কংগ্রেসে একটি দ্বিদলীয় বিল উত্থাপন করা হয়েছিল, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে এবং তার সামরিক আধুনিকীকরণ কর্মসূচিকে ত্বরান্বিত করতে পাঁচ বছরে ফিলিপিন্সকে ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করবে।  এছাড়াও, লুজন ইকোনমিক করিডোর চালু করা হয়েছে। পার্টনারশিপ ফর গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট-এর অধীনে এ হেন অবকাঠামো ও উন্নয়ন প্রকল্পটি এই অঞ্চলে এই প্রথম।

এই প্রকল্পটি এক বার সূচিত হলে তা উচ্চ প্রভাবশালী অবকাঠামো প্রকল্পগুলিতে সমন্বিত বিনিয়োগ প্রদান করবে এবং দেশে আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। ফিলিপিন্সের অর্থনৈতিক প্রাণশক্তি বৃদ্ধি করা আসলে এই অঞ্চলে চিনের বহুমাত্রিক শক্তির অভিক্ষেপকে আরও ভাল ভাবে মোকাবিলা করার জন্য ত্রিপাক্ষিক জোটটির স্বার্থের অনুকূল। চিন মূলত তার ক্ষুদ্র প্রতিবেশীদের সঙ্গে অপ্রতিসম ভাবে আন্তঃনির্ভরশীল বাণিজ্যিক সম্পর্কের উপরেই নির্ভর করে থাকেসর্বোপরি, অর্থনৈতিক করিডোর ফিলিপিন্সকে অর্ধপরিবাহী সরবরাহ শৃঙ্খলে আরও ভাল জায়গা করে দেবে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশটিকে নিকেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থানগুলিকে আরও ভাল ভাবে ব্যবহার করতে ও তা থেকে লাভবান হওয়ার সুযোগ প্রদান করবে। যাই হোক, এই জাতীয় প্রকল্পের আকারের প্রেক্ষিতে এ হেন প্রকল্পগুলির অর্থায়নে আমলাতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জের কারণে অতীতের প্রতিবন্ধকতার দরুন দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতি সুনিশ্চিত করা ওয়াশিংটনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। সর্বোপরি, ফিলিপিন্সের বৃদ্ধির আখ্যানে অংশ নেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে ইতিবাচক সমন্বিত প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হয়েছে। এর মধ্যে ফিলিপিন্সের উদ্ভাবনী অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

 

ফিলিপিন্সের অর্থনৈতিক প্রাণশক্তি বৃদ্ধি করা আসলে এই অঞ্চলে চিনের বহুমাত্রিক শক্তির অভিক্ষেপকে আরও ভাল ভাবে মোকাবিলা করার জন্য ত্রিপাক্ষিক জোটটির স্বার্থের অনুকূল। চিন মূলত তার ক্ষুদ্র প্রতিবেশীদের সঙ্গে অপ্রতিসম ভাবে আন্তঃনির্ভরশীল বাণিজ্যিক সম্পর্কের উপরেই নির্ভর করে থাকে

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ফিলিপিন্সের সঙ্গে সুরক্ষা সহযোগিতার একটি শক্তিশালী ও বর্ধিত সুযোগের পাশাপাশ টোকিয়ো তার কৌশলগত সম্পৃক্ততা গভীর করতে পারে, আঞ্চলিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের একটি অবাধ উন্মুক্ত রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্যে নিজেদের প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করতে পারে। বিশেষ করে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির মাধ্যমে এই অঞ্চলে জাপানের দীর্ঘস্থায়ী সমর্থনকে কাজে লাগানো ত্রিপাক্ষিক জোটটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যেটি রূপান্তরমূলক বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতে বহুপাক্ষিক সংস্থা বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে সহযোগিতা করতে আগ্রহী

অভিন্ন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং কৌশলগত স্বার্থের ভিত্তিতে নির্মিত ওয়াশিংটন-টোকিয়ো অংশীদারিত্ব ঠান্ডা লড়াই-পরবর্তী যুগের জটিলতাগুলি সফল ভাবে কাটিয়ে উঠতে পেয়েছে এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার একটি মূল স্তম্ভ হিসেবে রয়ে গিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে পরিবর্তনশীল নিরাপত্তা গতিশীলতার প্রতিক্রিয়া হিসাবে তাদের জোটের আধুনিকীকরণ এবং সেটিকে প্রসারিত করার চেষ্টা করেছে। জাপানের নতুন প্রতিরক্ষা নির্দেশিকা গ্রহণ এবং উন্নত মার্কিন সামরিক প্রযুক্তি অর্জন-সহ প্রতিরক্ষা ব্যয় দক্ষতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা আঞ্চলিক নিরাপত্তার নিরিখে আরও সক্রিয় অবস্থানকেই দর্শায়। সরকারি সংস্থা এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো সুরক্ষার জন্য তিনটি দেশ ইতিমধ্যেই একটি যৌথ সাইবার প্রতিরক্ষা কাঠামো স্থাপন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা চালাচ্ছে।

তিনটি রাষ্ট্রই বাস্তবসম্মত এবং দূরদর্শী পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ সম্মেলনটিকে সফল হিসাবে বর্ণনা করলেও এই উদীয়মান ত্রিপাক্ষিক জোটটির গতিকে সর্বাধিক করা এবং টিকিয়ে রাখার প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং ফিলিপিন্সের মধ্যে তাইওয়ানের কৌশলগত সাযুজ্য ফিলিপিন্সের কৌশলগত অবস্থান তাইওয়ানের বৃহৎ ফিলিপিনো জনসংখ্যার সঙ্গে পরিবর্তিত হতে পারে, যা তাইওয়ানের সংঘাতের পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ও মানবিক সঙ্কটের সামনে তাইওয়ানকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অথচ অপেক্ষাকৃত কম নিশ্চয়তাসম্পন্ন শক্তি করে তোলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ফিলিপিন্সের সঙ্গে জাপানের গভীর সম্পৃক্ততাকে অবশ্যই  আঞ্চলিক কূটনীতির জটিল গতিশীলতা, চিরাচরিত সংবেদনশীলতা এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলির বিভিন্ন কৌশলগত অগ্রাধিকারগুলির মধ্যে পথ খুঁজে নিতে হবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, নিপ্পন স্টিলের ইউএস স্টিলের অধিগ্রহণের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিরোধিতার কারণে এবং প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পের সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তনের প্রভাবের দরুন মার্কিন-জাপান সম্পর্কের উদ্বেগের মাঝেই শীর্ষ সম্মেলনটি ঘটেছে। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপিন্স জাপানকে অবশ্যই ধারাবাহিক ভাবে শৃঙ্খলভিত্তিক সমন্বয় ব্যবস্থায় নিযুক্ত থাকতে হবে। এর পাশাপাশি তিনটি দেশের রাজনীতিবিদ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের জন্য একটি মঞ্চও সরবরাহ করতে হবে, যাতে তিনটি দেশ নিয়মিত ভাবে অভিন্ন সাধারণ উদ্দেশ্য উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করতে পারে। অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তন সত্ত্বেও ধারাবাহিকতাকে সুনিশ্চিত করতে জাতীয় রাজনীতিবিদদের অবশ্যই বিদেনীতির লক্ষ্যগুলির সঙ্গে দ্ব্যর্থহীন ভাবে সাযুজ্যপূর্ণ হতে হবে।

 


প্রত্নশ্রী বসু অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অ্যাসোসিয়েট ফেলো।

ডন ম্যাকলেন গিল ফিলিপিন্স-ভিত্তিক ভৌগোলিক বিশ্লেষক ও লেখক এবং দে লা সাল ইউনিভার্সিটির (ডিএলএসইউ) ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অধ্যাপক।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Authors

Pratnashree Basu

Pratnashree Basu

Pratnashree Basu is an Associate Fellow, Indo-Pacific at Observer Research Foundation, Kolkata, with the Strategic Studies Programme and the Centre for New Economic Diplomacy. She ...

Read More +
Don McLain Gill

Don McLain Gill

Don McLain Gill is a Philippines-based geopolitical analyst author and lecturer at the Department of International Studies De La Salle University (DLSU). ...

Read More +